রাত ৮:৩৬
মঙ্গলবার
২৩ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১০ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৪ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা

তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চারদফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো—

১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন।

২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন।

৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এআর-০১/২৩/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

রাজধানীতে হিট স্ট্রোকে রিকশাচালকের মৃত্যু

রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় হিট স্ট্রোকে আ. আওয়াল (৪৫) নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, আঃ আওয়াল হবিগঞ্জের লাখাই থানার সিংহ গ্রামের মৃত আজম আলীর ছেলে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

জানা গেছে, বিকেল চারটার দিকে শহীদ মিনার এলাকা দিয়ে খালি রিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই রিকশাচালক। এ সময় অতিরিক্ত গরমে হঠাৎ রিকশা থেকে কাত হয়ে পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যায়। পরে দ্রুততাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ইদানিং অতিরিক্ত গরমের কারণে ঢাকা মেডিকেলে রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে বেশিরভাগ ভোগান্তিতে পড়ছে বয়স্ক ব্যক্তি , শিশু এবং খেটে খাওয়া মানুষেরা। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকের কাছ থেকে জানতে পেরেছি ওই রিকশাচালক অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে এই ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি’।

এআর-০৫/২২/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত

বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সড়কের সেলিনা কাদের চৌধুরী কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের চার নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে। আর তৌফিক নোয়াখালীর সুধারামের নিউ কলেজ রোড দুই নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।

এ দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা নাম জাকারিয়া হিমু। তিনি ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চুয়েটের তিন শিক্ষার্থীকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে শাহ আমানত নামের দ্রুতগামী একটি বাস পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের আরোহী শিক্ষার্থীরা ছিটকে পড়েন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বাসটিকে আটক করেছে।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে চুয়েট ক্যাম্পাস এলাকার সামনের সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চুয়েটের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, দুই মেধাবী শিক্ষার্থীর অকালপ্রয়াণে চুয়েট পরিবার মর্মাহত। সর্বশক্তিমান তাদের আত্মা শান্তিতে রাখুক। চুয়েট পরিবার এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছে এবং নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে।

এআর-০৪/২২/০৪ (শিক্ষা ডেস্ক)

গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৩৪ হাজার

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) গত ছয় মাসের অভিযানে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৪ হাজার ১৫১ জনে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন মোট ৭৭ হাজার ৮৪ জন।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাগুলি ও বোমা হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৪ জন। শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে এসব তথ্য।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের ১ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত দিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে বেপরোয়াভাবে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়।

অতর্কিত এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। সেই অভিযান এখনও চলছে।

যুক্তরাষ্ট্র, মিসর এবং কাতার এই যুদ্ধের শুরু থেকে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে মধ্যস্থতা করে আসছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মধ্যস্থতাকারী তিন দেশের ব্যাপক প্রচেষ্টায় গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মানবিক বিরতি ঘোষণা হয়েছিল গাজায় । ওই এক সপ্তাহ অভিযান বন্ধ রেখেছিল ইসরায়েলি বাহিনী এবং নিজেদের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ১০৮ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।

তারপর বেশ কয়েকবার দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতির জন্য দু’পক্ষকে চাপ দিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ও হামাস এখনও এ ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।

সূত্র : এএফপি।

এসএ-১০/২২/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের দামে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দায়ী চীন?

বিশ্ববাজারে চলতি বছর প্রতি আউন্স (২৮ দশমিক ৩৫ গ্রাম) স্বর্ণের দাম উঠেছিল রেকর্ড ২ হাজার ৪০০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬২৫ টাকা) পর্যন্ত। বর্তমানে তার চেয়ে কিছুটা কম হলেও বাজারের চড়াভাব এখনও বজায় আছে এবং যেকোনো সময় ফের আগের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কিংবা আশঙ্কা— উভয়ই রয়েছে।

স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্বর্ণের দামের এই নাটকীয় ঊর্ধ্বগতি পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়। কারণ, এর মূলে রয়েছে মূল্যবান এই ধাতুটি ক্রয় এবং সঞ্চয়ের প্রতি চীনের লাগামহীন আগ্রহ। প্রসঙ্গত, চীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ।

ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেনে যুদ্ধ এবং ডলারের মূল্যের ওঠানামার কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা থেকে চীনে স্বর্ণ ক্রয় ও সঞ্চয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বড় ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে খুচরা পণ্য বিক্রেতা, এমনকি সাধারণ লোকজনও যে যেভাবে পারছেন— স্বর্ণ কিনছেন ও মজুত করছেন। তাদের এই আগ্রহের প্রধান কারণ ভবিষ্যতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।

আন্তর্জাতিক বাজারে এতদিন পর্যন্ত যুগপৎভাবে স্বর্ণের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ছিল চীন ও ভারত। কিন্তু গত বছর চাহিদার নিরিখে ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে চীন। ২০২৩ সালে শতকরা হিসাবে যেখানে চীনা ক্রেতাদের মধ্যে স্বর্ণালঙ্কার কেনার প্রবণতা বেড়েছে ১০ শতাংশ, সেখানে ভারতীয় ক্রেতাদের মধ্যে স্বর্ণের অলঙ্কার কেনার প্রবণতা কমেছে ৬ শতাংশ।

স্বর্ণালঙ্কার কেনার প্রবণতার পাশাপাশি স্বর্ণকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে বিনিয়োগের হারও বেড়েছে চীনে। ব্লুমবার্গের হিসাব বলছে—২০২৩ সালে স্বর্ণের মাধ্যমে বিনিয়োগের হার চীনে বেড়েছে ২৮ শতাংশ।

সামনের বছরগুলোতে অর্থের পরিবর্তে স্বর্ণের মাধ্যমে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের প্রবণতা চীনে আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন হংকংভিত্তিক বাজার বিশ্লেষণকারী সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফিলিপ ক্ল্যাপউইজিক।

অভ্যন্তরীণভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বর্ণ উৎপাদনকারী দেশ হলেও চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রাখতে স্বর্ণ আমদানির মাত্রাও ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে চীন। গত দুই বছরে ২ হাজার ৮০০ টনেরও বেশি স্বর্ণ আমদানি করেছে চীন, যা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে থাকা স্বর্ণের মজুতের এক তৃতীয়াংশের সমান।

এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত যে পরিমাণ স্বর্ণ আমদানি করেছে বেইজিং, তা গত বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেশি।

চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য পিপলস ব্যাংক অব চায়না টানা ১৭ মাস ধরে স্বর্ণ কিনছে। আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও স্বর্ণ কিনছে পিপলস ব্যাংক অব চায়না। ২০২৪ সাল জুড়েও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, চীনের ক্রেতাদের একটি সাধারণ প্রবণতা হলো, যখন স্বর্ণের দাম বাড়বে তখন তা কেনা বন্ধ রাখা এবং যখন দাম কমবে— তখন ফের কেনা শুরু করা।

চীনের সরকার অবশ্য সম্প্রতি একটি বিবৃতি জারি করে বেসরকারি বিনিয়োগকারী ও সাধারণ ক্রেতাদের সতর্কবার্তা দিয়েছে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, ক্রেতারা যদি তাদের চাহিদায় লাগাম না টানেন, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে জাতীয় অর্থনীতিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

সূত্র : ব্লুমবার্গ

এসএ-০৯/২২/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগ

ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে নতুন গোয়েন্দা প্রধান নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের গোষণা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধান গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন।’’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চিফ অব জেনারেল স্টাফের সাথে আলোচনায় মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তার পদের মেয়াদ শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন। গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রধান হিসেবে ৭ অক্টোবরের হামাসের হামলার ঘটনায় নিজের ব্যর্থতা স্বীকার করে এই আহ্বান জানান তিনি।

‘‘মেজর জেনারেল আহারন হালিভা তার পদের মেয়াদ শেষ করার ও ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিয়ম ও পেশাদারিত্বের প্রক্রিয়া অনুযায়ী নতুন করে সামরিক বাহিনীর নতুন গোয়েন্দা প্রধান নিয়োগ করা হবে।’’

এর আগে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের শত শত যোদ্ধা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে কোনও ধরনের বাধা ছাড়াই বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। ওই হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে হামাস। হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল।

সপ্তম মাসে পৌঁছানো ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এই যুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নজিরবিহীন মানবিক সংকট তৈরি করেছে। যুদ্ধে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নির্বিচার হামলায় ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়।

পদত্যাগ পত্রে জেনারেল আহারন হালিভা লিখেছেন, ‘‘গোয়েন্দা অধিদপ্তর আমার নেতৃত্বাধীন কমান্ডের ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করেছিল তা সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি। সেই কালো দিনের ব্যর্থতার দায় আমি নিচ্ছি। আমি চিরদিন এই যুদ্ধের ভয়ংকর যন্ত্রণা বহন করব।’’

সূত্র: এপি, রয়টার্স।

এসএ-০৮/২২/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

পশ্চিমের সাথে সরাসরি সংঘাতের হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

ইউক্রেনের জন্য মার্কিন, ব্রিটিশ এবং ফরাসি সামরিক সহায়তা বিশ্বকে বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মাঝে সরাসরি সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। আর এই সংঘাতের অবসান ঘটতে পারে বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে। সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মস্কোতে এক সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রুশ ও মার্কিন কূটনীতিকদের মতে, ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আক্রমণ রাশিয়ার সাথে পশ্চিমের সম্পর্ককে একেবারে তলানিতে নিয়ে গেছে।

মার্কিন আইনপ্রণেতারা ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা বিলে অনুমোদন দেওয়ার দু’দিন পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার ‘‘কৌশলগত পরাজয়’’ ঘটানোর ধারণা নিয়ে মগ্ন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো।

তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থন রাশিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সাথে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। রাশিয়ার এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমারা বিপজ্জনকভাবে পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মাঝে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের বিষয়ে উসকানি দিচ্ছে; যা বিপর্যয়কর পরিণতিতে পরিপূর্ণ।

ল্যাভরভ বলেন, ‘‘বিশেষ উদ্বেগের বিষয় হলো, পশ্চিমা পারমাণবিক শক্তিধর ‘ট্রোইকা।’ যারা বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক পদক্ষেপের প্রধান উদ্যোক্তা। আর ট্রোইকাই অপরাধী কিয়েভের শাসকগোষ্ঠীর মূল পৃষ্ঠপোষক।’’ ট্রোইকা বলতে পশ্চিমা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়া তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে বোঝানো হয়।

তিনি বলেন, ‘‘আমরা তাদের এই ধরনের কার্যক্রমে গুরুতর কৌশলগত ঝুঁকি দেখতে পাই। যার ফলে পারমাণবিক বিপদের মাত্রা বাড়ছে।’’

ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া বারবার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়ে আসছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মস্কোর এই সতর্কতাকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা রাশিয়ার পারমাণবিক হুমকিতে কোনও পরিবর্তন দেখতে পায়নি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমের ক্ষয়িষ্ণু পশ্চিমের সাথে শতাব্দীর পুরোনো যুদ্ধের অংশ হিসাবে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীর পতনের পর ন্যাটোর বিস্তার রাশিয়ার ঐতিহাসিক প্রভাব বলয় গুঁড়িয়ে দিয়ে মস্কোকে অপমানিত করেছে।

সূত্র: রয়টার্স, আরটি।

এসএ-০৭/২২/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

দাউদ ইব্রাহিমের অনুষ্ঠানে নাচ? মুখ খুললেন অক্ষয়-পত্নী

১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরণের মূলহোতা দাউদ ইব্রাহিম। শুধু তাই নয়, মুম্বাইয়ের অন্ধকার জগতের বিভিন্ন কার্যকলাপও সংঘটিত হতো তার নেতৃত্বেই। অপরাধ জগতের এই ‘ডন’ কোথায় কখন কী করছেন, কাকপক্ষীতেও টের পায় না। আর সেই কারণেই তার খবর জানার জন্য এত আগ্রহ সবার।

বছরের পর বছর পেরিয়ে এখনো অধরা তিনি। পুলিশ-গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে বহাল তবিয়তে আছেন দাউদ ইব্রাহিম– এমনটাই শোনা যায়। তবে এই ‘ডন’কে নিয়ে নানা ধরনের তথ্য ঘুরে বেড়ায় বিভিন্ন মহলে।

শোনা যায়, তার সঙ্গে নাকি বলিউডের সখ্য দীর্ঘদিনের। কুখ্যাত এই ‘ডন’-এর ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়েছিলেন একাধিক বলিউড শিল্পী। সম্প্রতি শোনা যায়, ২০১০ সালে দাউদের অনুষ্ঠানে নাচতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না। এ নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন অক্ষয়-ঘরনি।

শোনা যায়, দাউদের ডাকে সাড়া দেন টুইঙ্কল। রীতিমতো অনুষ্ঠান করেছেন। যদিও বহু বছর হলো অভিনয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ডিম্পল-কন্যা। অভিনেতা অক্ষয় কুমারের সঙ্গে বিয়ের প্রায় দুই দশক কাটিয়ে ফেলেছেন। দুই সন্তানের মা তিনি। এদিকে অক্ষয় বরাবরই নিজের ভাবমূর্তি নিয়ে সাবধানি। কিন্তু তার স্ত্রীর সঙ্গেই নাকি দাউদের যোগাযোগ রয়েছে।

এ খবরকে ভুয়া খবর বলে আখ্যা দিয়েছেন টুইঙ্কল। তার কথায়, আমি নাকি দাউদের ডাকে নাচতে গিয়েছিলাম। যদিও আমার ছেলেমেয়েরা ভাবে, আমার নাচ দেখা আর কুস্তি করা এক। তবুও যদি দাউদ চান, অনেক ভালো শিল্পীকে নিজের অনুষ্ঠানে ডাকতে পারবেন। আমি সেই ব্যক্তি নই। সবটাই মিথ্যা খবর।

২০১০ সালে এমন গুঞ্জন উঠলে অক্ষয় কুমার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, এমনটি হলে তো তার বাড়িতে পুলিশ যেত। অথচ পুলিশ বাহিনী তো দূরের কথা, একজন কনস্টেবলও আসেননি বাড়িতে।

এসএ-০৬/২২/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

সাইফকে বিয়ে করা নিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল কারিনাকে?

নিজের ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকাকালীন হঠাৎই ২০১২ সালে সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেন কারিনা কাপুর। দু’জনেই বলিউডের অভিজাত পরিবারের সন্তান। অথচ তারা একে অপরের আলোয় আলোকিত নন। নিজ গুণে আলাদা শিল্পিসত্তা তৈরি করেছেন কারিনা ও সাইফ। ২০১২ সালে বিয়ে করেন তারা। দাম্পত্যের বয়স প্রায় ১২ বছর। সাইফ-কারিনা এখন দুই সন্তানের মা-বাবা।। কিন্তু, এক সময় কারিনাকে অনেকেই নিষেধ করেছিলেন সাইফকে বিয়ে করতে।

যেই সময় তাদের বিয়ে হয়, তখন কারিনা ছিলেন বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী। কারিনার আগে সাইফের বিয়ে হয় অভিনেত্রী অমৃতা সিংহের সঙ্গে। সেই পক্ষের দুই ছেলে-মেয়েও রয়েছেন অভিনেতার। এছাড়া মাঝেমধ্যেই একাধিক প্রেমের খবরও মিলেছে তার। তবে সাইফ-কারিনার প্রেমকাহিনি ঠিক যেন রূপকথা। ২০১২-তে মিলেছিল চার হাত, ২০১৯-এও রোম্যান্সে ভাটা পড়েনি একেবারেই। শোনা যায়, সাইফের দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানও করেছিলেন দু’বার।

সম্প্রতি বিয়ে নিয়ে নানা অজানা তথ্য ফাঁস করলেন বেবো। প্রথম বার ‘তাসান’-ছবির সেটে কারিনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সাইফ। সে সময় তারা ছিলেন গ্রিসে। প্রথম বার না বলেন কারিনা। এর পর একইভাবে লাদাখেও প্রেম নিবেদন করে বসেন সাইফ। কারিনা খুব বেশি দিন মুখ ফিরিয়ে থাকতে পারেননি। বিয়ের আগে প্রায় পাঁচ বছর একত্রবাস করেছিলেন। কিন্তু সাইফের সঙ্গে কারিনার বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই নাকি অসন্তুষ্ট হন অনেকে।

কারিনা জানান, অনেকেই ভয় দেখিয়েছিলেন, উপদেশ দিয়েছিলেন— তিনি যেন এই বিয়ে না করেন। তাতে তার ক্যারিয়ারের ক্ষতি হবে। কাজ পেতে অসুবিধা হবে। কারিনা বলেন, ‘‘যখন অনেকেই আমাকে এই এক কথা বলতে শুরু করলেন, তখন তাদের বলেছিলাম, যদি সাইফকে বিয়ে করলে প্রযোজকরা কাজ না দেন, দেবেন না। মরে তো যাব না!’’

যদিও বিয়ের পরও একাধিক ভালো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। শেষমেশ লোকে কী বলবে, তা না ভেবে সাইফের সঙ্গে ঘর বাঁধেন অভিনেত্রী।

এসএ-০৫/২২/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

সিয়াম থাকলে আমাকে ডাকবেন না : মেহজাবীন

পর্দায় একসঙ্গে একাধিক নাটক ও অনুষ্ঠানে কাজ করতে দেখা গেছে জনপ্রিয় অভিনেতা সিয়াম আহমেদ ও অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীকে। এই দুই তারকার মধ্যেই রয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বিভিন্ন সময় ভক্তরাও দেখেছে সেসব চিত্র।

সবশেষ গেল ঈদে প্রচারিত ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে একসঙ্গে পারফর্ম করতে দেখা গেছে মেহজাবীন ও সিয়ামকে। দুজনের রসায়ণ বরাবরই প্রশংসিত দর্শকমহলে। ইত্যাদিতেও আরও একবার সকলকে মুগ্ধ করেছেন এই জুটি।

সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই মেহজাবীন-সিয়ামের মধ্যে ভাঙনের সুর দেখা মিলল। যার সূত্রপাত দুজনের ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে সিয়ামকে নিয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেহজাবীন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সিয়াম আহমেদ যেখানে থাকবে প্লিজ আমাকে সেখানে ডাকবেন না।’

অভিনেত্রীর এমন স্ট্যাটাসে চমকে ওঠেন ভক্তরা। নানা রকমের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন তারা। সেই রেশ না থামতেই নিজের ফেসবুকেও একটি স্ট্যাটাস দেন অভিনেতা সিয়াম। যেখানে মেহজাবীনকে উদ্দেশ্য করে তিনি লেখেন, ‘মেহজাবীন-ও যেখানে থাকবে, আমার সেখানে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নাই।’

তাদের দুজনের স্ট্যাটাস আপাতদৃষ্টিতে উপভোগ করেছেন ভক্তরাও। বর্তমানে তারকাদের কোনো কিছু প্রচারণার জন্যই যে এসব কৌশল, সেটা বুঝতেও খুব একটা বেগ পোহাতে হয় না ভক্তদের। যে কারণে সবাই ধরেই নিয়েছেন, এটা মেহজাবীন-সিয়ামের কোনো নাটক বা বিজ্ঞাপনের প্রচারণারই কৌশল।

এসএ-০৪/২২/২৪(বিনোদন ডেস্ক)