আমাকে মেরে ফেলবে

ব্যাংককে আটক সেই সৌদি তরুণীকে নিয়ে এখন সমস্যায় পড়েছেন থাই অভিবাসন কর্মকর্তারা। ওই তরুণীর আকুল আবেদন, ‘দেশে ফেরাবেন না। দয়া করে আশ্রয় দিন। দেশে ফিরলে আমার পরিবার আমাকে মেরে ফেলবে।‘ পরিবারের সঙ্গে কুয়েতে বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে থাইল্যান্ড পালিয়ে আসেন ওই তরুণী।

রবিবার ওই তরুণী ব্যাংকক বিমানবন্দরে থাই অভিবাসন কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েন। তবে কেন তার পরিবার তার ওপরে অত্যাচার করে তা এখনও স্পষ্ট নয়। থাই অভিবাসন দফতরের প্রধান সুরাচেতে হাকপ্রান জানিয়েছেন, কানুনকে ফেরত পাঠানো হবে। সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে রয়েছেন।

আঠারো বছরের রাহাফ মোহাম্মদ আল-কানুন জানিয়েছেন, কুয়েতে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন। কারণ তিনি তার পরিবারের অত্যাচার থেকে মুক্তি চান। তিনি চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া চলে যেতে।

কানুন আবেদন জানিয়েছেন, থাই সরকারের কাছে অনুরোধ, কুয়েতে আমাকে ফেরত পাঠাবেন না। বরং এখানে আমাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। প্রসঙ্গত কানুনকে বর্তমানে ব্যাংককের একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কানুন।

মোনা এলটাওয়ে নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি কানুনের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি টুইটও করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ১৯৫১ সালের কনভেনশন ও ১৯৬৭ সালের প্রটোকল অনুযায়ী আমি রাহাফ মোহাম্মদ এখন যে কোনও দেশে আশ্রয় চাইছি। আমি ধর্ম ত্যাগ করেছি।

এখন আমার পরিবারের অত্যাচার ও খুন হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে চাই। আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত ঘরে ফিরলে আমাকে আমার পরিবারের লোকজন মেরে ফেলবে।

এদিকে, হিমম্যান রাইটস ওয়াচ’র প্রতিনিধি ফিল রবার্টসন জানিয়েছেন, সৌদি আরবের অনার কিলিংয়ের রেকর্ড অনুয়ায়ী রাহাফ মোহাম্মদ কানুনের খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। থাইল্য়ান্ডের উচিত কানুনকে জাতিসংঘ হাই কমিশনে গিয়ে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দেওয়া।

এসএইচ-১৫/০৭/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)