মাদ্রিদে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় অংশ নিচ্ছে না বাংলাদেশ

স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘ফিতুর ২০১৯’। স্পেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, গতবছর অংশগ্রহণ করলেও এবার অংশগ্রহণ করছেনা বাংলাদেশ।

‘ফেরিয়া দে মাদ্রিদ’ আন্তর্জাতিক ভেন্যুতে আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে ‘ফিতুর’ নামে এ মেলার ৩৯তম আসর। চলবে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘ফিতুর’ এ বাংলাদেশ ২০১২, ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে অংশগ্রহণ করেছিল।

‘ফিতুর’ এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে স্পেনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, বিশ্বের কোন কোন দেশে পর্যটন মেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করবে, তা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড নির্ধারণ করে। গতবছর স্পেনের এ পর্যটন মেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করেছিল চতুর্থ বারের মতো।

আন্তর্জাতিক ট্যুরিজম সেক্টরে ‘গ্লোবাল মিটিং পয়েন্ট’ হিসেবে খ্যাত ‘ফিতুর’ ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বিশ্বের শতাধিক দেশের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান, ট্যুর অপারেটর, পর্যটনবিষয়ক গবেষক, সাংবাদিক ও লেখকরা উপস্থিত থাকেন এ মেলায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের লক্ষাধিক দর্শনার্থীর কাছে নিজেদের দেশের পর্যটন শিল্পকে পরিচয় কিংবা পৌঁছে দেয়ার সুযোগ নিতে তাই ‘ফিতুর’ এ অংশগ্রহণ করে শতাধিক দেশের পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।

‘ফিতুর ২০১৯’-এ বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার, ভারত এর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া থেকে পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, অংশগ্রহণ করছে। পর্যটন শিল্পে বিশ্বব্যাপী ‘ফিতুর’ এর গুরুত্ব থাকলেও এ মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অনিয়মিত।

স্পেন ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পর্যটন মেলা হয়। এ বছর স্পেনে অংশগ্রহণ করছে না বাংলাদেশ। তবে হয়তো অন্য কোন দেশে পর্যটন মেলায় অংশ নেবে বাংলাদেশ। এটা অবশ্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের ক্যালেন্ডারে আছে কোন কোন দেশে পর্যটন মেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে।

মাদ্রিদে বিশ্ব পর্যটন সংস্থার প্রধান অফিস অবস্থিত। তাই নিয়মিত ‘ফিতুর’ এ অংশগ্রহণ করলে বাংলাদেশের সাথে বিশ্ব পর্যটন সংস্থাটির সুসম্পর্ক সৃষ্টি হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হবে- এমনটি জানিয়ে নাভিদ শফিউল্লাহ আরো বলেন, আমি বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাথে আলাপ করে ‘ফিতুর’ এ বাংলাদেশের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেছি।

স্পেন বাংলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি বনি হায়দার মান্না বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ পর্যটন খাতকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে। বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পে অমিত সম্ভাবনাময় দেশ এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলোই যথেষ্ট। এগুলো ‘ফিতুর’ এর মতো আন্তর্জাতিক আসরে অংশগ্রহণ করে দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরলে আমাদের দেশে পর্যটকরা ভিড় জমাবেন।

‘ফিতুর’ এর ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, ৫দিনে একই ভেন্যু থেকে পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিশ্বের বাণিজ্যিক তথ্য পাওয়া, পর্যটকদের মধ্যে নেটওয়ার্কিং সৃষ্টি করা, পর্যটন পণ্যের বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ ও তুলনা, শিল্প বিবর্তন এবং প্রবণতা সম্পর্কিত তথ্যগুলির উৎস হিসেবে ‘ফিতুর’ আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলাটি কাজ করবে। এ মেলায় প্রতিদিন থাকছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সেমিনার। মেলার শেষ দু’দিন সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ উন্মুক্ত থাকবে।

এসএইচ-০৬/২০/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)