প্রতারিত শ্রমিকদের ৭০ ভাগ বাংলাদেশি!

মালয়েশিয়ায় প্রতারণার শিকার হয়নি নির্মাণ শ্রমিকের মাঝে এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর ২/৩ মাস ভালো বেতন দেয় কিন্তু কমিশন খায়। তিন মাস পর পুরো বেতন নিয়ে পালিয়ে যায় তাও আবার বাংলাদেশি। আর প্রতিটা প্রতারণার সাথেই মুখোশের অন্তরালে লুকিয়ে আছে স্বদেশি নরপশু।

মালয়েশিয়ায় খুব সহজে কাজ মিলছে সকল পেশায়। তাই কেউ পারমিট নিয়ে কোম্পানি ছেড়েছে আবার কেউ পারমিট ছাড়াই চলছে, নিজের খেয়াল খুশিতে। বৈধ আর অবৈধ এদের সিংহভাগ লোকই বেশি রোজগারের আশায় বেছে নিচ্ছেন নির্মাণ শ্রমিকের পেশা।

মালয়েশিয়া প্রতিটা নির্মাণ কোম্পানি নির্ভরশীল বাংলাদেশি শ্রমিকের উপর। আর প্রতিটা কোম্পানির লোক দেখাশুনার জন্য একাধিক লোককে (কোপালা) ফোরম্যন নির্বাচিত করে থাকেন। প্রতিটা ১০/২০ জনের গ্রুপে ১ জন করে কোপালা থাকে।

যাবতীয় কাজ দেখাশুনাসহ কাজের হিসাব রাখার দায়িত্ব তার উপরেই থাকেন। আবার এই কোপালা অনেক সময় কমিশন ভিত্তিক লোক সংগ্রহ করেন। কোম্পানি থেকে ৬০ রিঙ্গিত বেসিক (৮ঘন্টা) দেওয়া হলেও কোপালারা ৮/১২% হারে নিজেদের কমিশন কেটে নেন। কিন্ত এতেই তারা ক্ষ্যন্ত থাকেনা।

সুজোগ বুঝে সাধারণ শ্রমিকের ২/৩ মাসের বেতন নিয়ে চম্পট দেয় নিজ গন্তব্যে। এতে পুলিশ রিপোর্ট ছাড়া কোম্পানির কিছুই করার থাকেনা। আর এই ধরনের মালয়েশিয়া জুড়ে হলেও বর্তমানে বেশি ঘটেছে জহুরবারু ফরেষ্ট সিটি নামক বৃহত্তম ঐ পজেক্টে।

ফরেষ্ট সিটির প্রতিটা দোকানেই এমন অনেক লিপলেট দেখা যায়,অমুক কে ধরিয়ে দিন ৫ হাজার রিঙ্গিত (১ লক্ষ টাকা) পুরস্কৃত করা হবে। ১০ হাজার রিঙ্গিত(২ লক্ষ টাকা) পুরস্কৃত করা হবে। বাংলা ভাষার সাথে মালায় ভাষায় লেখা একাদিক লিপলেট চোখে পড়ে। প্রতারিত কয়েক জনের সাথেই কথা বলে জানা গেলো, প্রথম ২/৩ মাস ভালোভাবে বেতন দিলেও পরেই আর সম্পূর্ণ বেতন দেয় না। বিভিন্ন অজুহাতে যেটা কাটা হয় কমিশন।

ভুক্তভোগীদের একজন মামুনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ভাই এইসব ব্যপার নিয়ে হাইকমিশনেও গিয়েছিলাম,হাইকমিশনের পরামর্শক্রমে পুলিশে রিপোর্ট করেছি।

কিন্তু কোন লাভ নাই। তাই অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েও চুপ করে বসে থাকতে হয়। মামুনের ভাষ্যমতে হাইকমিশনের মধ্যমে বাংলাদেশ প্রশাসনকে অবগত করলে দেশে গিয়েও পালাতে পারবে না।

এসএইচ-০৫/১২/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)