সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরেও চলছে অভিযান

মালয়েশিয়ায় সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরেও চলছে অভিযান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ ক্ষমার পাশাপাশি এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ অভিবাসী ধরতে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে মালয়েশিয়ার পেনাং রাজ্যের অভিবাসন বিভাগ। তবে অভিযানের পূর্বেই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়াতে বিপাকে পড়ছে সংশ্লিষ্টরা।

মালয়েশিয়ার পেনাং ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ হুসনি মাহমুদ বলছেন, তার অফিসারদের অভিযানে যাওয়ার বিষয়টি সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করছে একটি অপরাধী চক্র। আর এ চক্রটি অভিযানের আগেই অবৈধ অভিবাসীদের জানিয়ে দিচ্ছে। ফলে ইমিগ্রেশন কার্যালয় সেবেরাং জায়ায় নিরাপত্তা আরো বৃদ্ধির দিকে নজর দিয়েছে। এ চক্রকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নিজস্ব পরিকল্পনায় এগুচ্ছে ইমিগ্রেশন।

পরিচালক স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, যারা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিয়েছেন এবং এ ধরণের গোয়েন্দাগিরি করছেন, তারা রক্ষা পাবেন না। কারণ আমরা অভিযানের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, যেসব অভিবাসী পেনাংয়ে কাজ করছেন, তাদের আইন ও নিয়মকানুন মেনেই থাকতে হবে।

মুহাম্মদ হুসনি বলেন, অবৈধ অভিবাসী ও অভিবাসী সংক্রান্ত অপরাধ ঘটিয়ে যাচ্ছে, তাদের আটক করতে প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ টি করে অভিযান পরিচালনা করেছি। আর এ অভিযানে আটক হয়েছেন এক হাজার ৫৫৬ জন অবৈধ অভিবাসী।

আটক হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ৬৩১ জন বাংলাদেশি ৩৪৬ জন ইন্দোনেশিয়ান, মায়ানমারের ৩৩১ জন, থাইল্যান্ডের ১২৬ জন, ভিয়েতনামের ১২৬ জন এবং বাকিরা অন্যান্য দেশের।

তিনি বলেন, এছাড়াও এই প্রথম ৬ মাসে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা বরণ করে নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন ২ হাজার ৩৪ জন অভিবাসী।

উল্লেখ্য, সাধারণ ক্ষমা (বিফোরজি) কর্মসূচির মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে ১ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩৪০ জন অবৈধ অভিবাসী ইমিগ্রেশনে তাদের নথি জমা করেছেন। এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা জানা যায়নি। তবে একাধিক সূত্র বলছে, ইমিগ্রেশন থেকে স্পেশাল পাস ইস্যুতে চলছে টুকেন বাণিজ্য। সাধারণ প্রবাসীদের পিছু ছাড়ছেনা দালাল চক্র। ইমিগ্রেশনের বাহিরে মালয়েশিয়ান ও বাংলাদেশি দালালদের দ্বারা গড়ে উঠেছে একটি চক্র। এ চক্র ইমিগ্রেশন কর্তাদের হাত করে নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে সিরিয়ালের নামে টুকেন বাণিজ্য। সংশ্লিষ্টরা দেখেও না দেখার ভান করছে বলে ভূক্তভোগিরা অভিযোগ করেছেন।

এ দিকে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫০ টি করে ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন জমা পড়ছে। ১ আগস্ট থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রায় ৪০০ টি ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হয়েছে বলে দূতাবাসের একটি সূত্রে জানা গেছে।

এসএইচ-০৫/০৯/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)