গরু, খাসি ও ৫ শতাধিক মুরগির সমন্বয়ে তবারক বিতরণ

নিউইয়র্কে ‘জাতীয় শোক দিবস’র দোয়া-মাহফিল শেষে ১০ গরু, ৬ খাসি ও ৫ শতাধিক মুরগির সমন্বয়ে তবারক বিতরণ করা হয়েছে। ‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’র ব্যানারে এটি ছিল এবারের জাতীয় শোক-দিবসের সর্ববৃহৎ আয়োজন। ১৫ আগস্ট দুপুর থেকে রাত ১২টা নাগাদ ১০ হাজারের অধিক মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয় এই তবারক।

সাদা ভাতের সাথে গরু-খাসি আর মুরগির মাংসের সাথে ছিল সেদ্ধ করা ডিম। সবশেষে প্রদান করা হয় পায়েশ অর্থাৎ সকলেই এই তবারক গ্রহণ করেন পরম তৃপ্তির সাথে। ভিনদেশিরাও পিছিয়ে থাকেননি। কৌতূহলী ভিনদেশিরা জানতে চান বিশাল এই আয়োজনের প্রেক্ষাপট। আর এভাবেই বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে জানার সাথে হায়েনার দল সম্পর্কে অবহিত হয়ে তারা ঘৃণা প্রদর্শন করেন।

‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’র ব্যানারে দলমত নির্বিশেষে এই আয়োজনের সার্বিক সমন্বয় ঘটিয়েছেন ‘জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলম নমী। খাবার বিতরণ করেন হোস্ট সংগঠনের সভাপতি শাকিল মিয়া, আহবায়ক হোসেন সোহেল রানা এবং উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, চেয়ারম্যান নূরল আমিন বাবু, কো-চেয়ারপার্সন সাখাওয়াত বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক নান্টু মিয়া প্রমুখ।

রানা-বান্নায় সমন্বয় করেন খাবার বাড়ি রেস্টুরেন্টের অন্যতম কর্ণধার মো. কামরুজ্জামান কামরুল, হাটবাজারের মহসীন ননী এবং মনসুর চৌধুরী, কমিউনিটি লিডার হারুন ভূইয়া, ফাহাদ সোলায়মান, আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম আসাদ, সোলায়মান আলী, বিপ্লব সাহা প্রমুখ। লাইনে দাঁড়ানো নারী-পুরুষের মধ্যে তবারক বিতরণে সহায়তা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান।

গত ক’বছর থেকেই জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী’র ব্যানারে এমন আয়োজন হলেও এবারও অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং বাঙালি জাতির পিতার শাহাদৎ বার্ষিকী ঘিরে পুরো নিউইয়র্ক সিটিতেই শোকের আবহ বিরাজ করেছে। মুজিব আদর্শের লোকজন এই শোককে শক্তিতে পরিনত করার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন।

‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে এবার সবচেয়ে বেশি অনুষ্ঠান হলো নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসেচুসেটস, ভার্জিনিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, মিশিগান, ইলিনয় প্রভৃতি স্থানে। সর্বত্র বিশেষ মোনাজাত হয়েছে ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায়। সবগুলো মাহফিলেই শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করা হয় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনার কাজটি সমাপ্তির স্বার্থে।

এসএইচ-০৫/১৭/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)