নাজমুন নাহার পেলেন ‘মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড’

সারা পৃথিবী থেকে আগত কয়েক হাজার বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় করতালিতে মুখরিত এক বিশেষ মুহূর্তে নিউ ইয়র্কের লং আইল্যান্ড শহরের নাসাউ কলসিয়ামে অনুষ্ঠিত ৩৩তম ফোবানা সম্মেলনের শেষদিন ১ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক সময় রাত ৯টায় নাজমুন নাহারকে ‘মিস আর্থ কুইন অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সম্মাননাটি নাজমুন নাহারের হাতে তুলে দেন ফোবানার কনভেনার নার্গিস আহমেদসহ ফোবানার আইকনপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনেরা।

বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকাকে পৃথিবীর পথে পথে পৌঁছে দেওয়ার এক ভিন্ন ইতিহাস সৃষ্টি করেন নাজমুন নাহার। বাংলাদেশের গৌরব ও তারুণ্যের আইকন অদম্য সাহসী বীর এই নারীকে দেশের জন্য তার এমন বিরল অবদানের কৃতিত্ব স্বরূপ তাকে দেওয়া হয় এই সম্মাননা। সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের বিখ্যাত শিল্পী সাংবাদিক গুণীজনেরাসহ আগত সকল বাংলাদেশিরা নাসাউ কলসিয়ামের হলরুমে অভিনন্দিত ও ভালোবাসায় সিক্ত করেছিলেন নাহারকে।

উল্লেখ্য, এই সম্মেলনে একই দিনে সম্মাননা পান বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ মাহমুদুন্নবী। বাবার এই সম্মাননা গ্রহণ করতে বাংলাদেশ থেকে আসেন তার দুই কন্যা জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী ও সামিনা চৌধুরী।

৩০, ৩১ আগস্ট ও ১ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ‘নিউ ইয়র্ক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশ’ আয়োজিত ইয়ুথ কনফারেন্সে তার বিশ্ব ভ্রমণের উপর ‘উইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামক এজেন্ডায় নাজমুন নাহার ইনস্পিরেশনাল বক্তব্য দেন এবং প্রেজেন্টেশন দেন। এছাড়াও ইয়ুথ কনফারেন্স প্রদর্শিত হয় তার জীবনের উপর তথ্যচিত্র। ইয়ুথ কনফারেন্সে ও নাজমুন নাহারকে ‘গ্লোব অ্যাওয়ার্ড’ এর মাধ্যমে সম্মাননা জানানো হয়।

সারা পৃথিবীজুড়েই তিনি তরুণদেরকে এভাবে উৎসাহিত করছেন নানাভাবে। তিনি যে পথ সৃষ্টি করে যাচ্ছেন তার বিশ্বভ্রমণ অভিযাত্রার মাধ্যমে তা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি আলোকিত পথের মাইলফলক হয়ে থাকবে। তিনি ইতোমধ্যে ১৩০টি দেশ ভ্রমণ করে ফেলেছেন, তার সর্বশেষ দেশ ছিল কানাডা। আমেরিকা ও কানাডার সীমান্তবর্তী নায়াগ্রা জলপ্রপাতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে তিনি সম্পন্ন করেন তার বিশ্বভ্রমণের ১৩০তম দেশ।

ইতোমধ্যে তিনি শিরোনাম হয়েছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিখ্যাত গণমাধ্যমে। তার এই দুঃসাহসিক কৃতিত্বের অবদান স্বরূপ দেশ-বিদেশে নাজমুন নাহার পেয়েছিলেন বেশ কিছু সম্মাননা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ২০১৯ সালের ২৩ মার্চ ‘তারুণ্যের আইকন’ উপাধি পান অনন্যা সম্মাননার মাধ্যমে।

তার বিশ্ব অভিযাত্রার মাইলফলকের সম্মাননা স্বরূপ জাম্বিয়া সরকারের গভর্নর হ্যারিয়েট কায়োনার কাছ থেকে ‘ফ্ল্যাগ গার্ল’ উপাধি পান। এ ছাড়া এই বছর তিনি অতীশ দীপঙ্কর গোল্ড মেডেল সম্মাননা লাভ করেন। আরও পান জনটা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, তিন বাংলা সম্মাননা ও রেড ক্রিসেন্ট মোটিভেশনাল অ্যাওয়ার্ড।

গত ১৯ বছর ধরে তিনি বাংলাদেশের পতাকাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার জন্য চালিয়ে যাচ্ছেন তার অভিযাত্রা। ২০২১ সালের মধ্যে তিনি জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি দেশ ভ্রমণের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে পরিচিত করিয়ে দেওয়ার মাইলফলক সৃষ্টি করবেন তার বিশ্ব ভ্রমণের মাধ্যমে।

এসএইচ-০৫/০৪/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)