বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশংসায় ভাসালেন মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান

মালয়েশিয়ার উন্নয়নে বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশংসা করে দেশটির পুলিশপ্রধান দাতুক সেরি আব্দুল হামিদ বদর বলেছেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা অনেক পরিশ্রমী, দক্ষ এবং সৎ।

বুধবার মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম মালয়েশিয়া পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শনকালে দেশটির পুলিশপ্রধান এ কথা বলেন। পুলিশপ্রধান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে সফল হওয়া এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন হাইকমিশনের কাউন্সেলর (শ্রম ২) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল এবং প্রথম সচিব (পলিটিক্যাল) রুহুল আমিন, মালয়েশিয়ান পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক দাতুক হুজির বিন মোহামেদ, পুলিশ সেক্রেটারি দাতুক রামলি মোহামেদ ইউসুফ এবং ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনসের প্রধান দাতুক গোহ বন কেংসহ অন্য কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, উভয় দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য তিনি অপরাধ দমনে একসঙ্গে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

পুলিশপ্রধান বলেন, মালয়েশিয়া থেকে কিছু অপরাধমূলক কাজ হচ্ছে- যেমন অপহরণ, চাঁদাবাজি, প্রতারণা এবং প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যা উভয় দেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। সোশ্যাল ও সংবাদ মিডিয়ায় মালয়েশিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল তথ্য পরিবেশন করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।

অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং প্রোপাগান্ডাসহ যেকোনো প্রকার আইন বহির্ভূত কাজে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স অবস্থান জানিয়ে হাইকমিশনার বলেন, অপরাধ দমনে হাইকমিশন যে কোনো কাজে সহযোগিতা করবে।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের কিছু কর্মী বাজে এজেন্টে/ব্যক্তি/গ্রুপের খপ্পড়ে পড়ে প্রতারণার শিকার হন।

তিনি বলেন, গ্রেফতারের কিছু দিন পর কোম্পানিও কাগজপত্র থাকা সাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয় এরূপ ক্ষেত্রে তল্লাশির সময় তাদের গ্রেফতার না করার জন্য অনুরোধ করেন। ডিটেনশন সেন্টারে যারা রিমান্ড এবং অনেকে মামলার সাক্ষী হিসেবে মাসের পর মাস অপেক্ষা করে তাদের ছেড়ে দেয়া বা দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন। বিশেষ করে কাউকে মামলার সাক্ষী হিসেবে ডিটেনশন সেন্টারে না রেখে বাইরে থাকার এবং কাজ করার অনুমতি দিতে অনুরোধ করা হলে আইজিপি বলেন, তিনি এ বিষয় বিবেচনা করবেন এবং ইমিগ্রেশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন।

হাইকমিশনার বলেন, মালয়ো আগমনের পর বিমানবন্দরে অনেক সময় বাংলাদেশের ট্যুরিস্টদের মালয়েশিয়া প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়, তখন বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আইজিপি ইমিগ্রেশনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান।

হাইকমিশনার উভয় দেশের পুলিশের মধ্যে প্রশিক্ষণ, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ইত্যাদি বিনিময়ের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। বিষয়টি মালয়েশিয়ার পুলিশপ্রধান সাদরে গ্রহণ করে বলেন, মানবপাচার, কাউন্টার টেরোরিজম, অপরাধ দমন এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়ে উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তিনি জানান, শিগগিরই মালয়েশিয়া পুলিশের একটি টিম বাংলাদেশ সফর করবে।

এসএইচ-০৫/১৭/১৯ (প্রবাস ডেস্ক)