যুক্তরাষ্ট্রে পিঠা মেলার এক যুগে বাঙালিদের ঢল

স্যানফোর্ড বাৎসরিক পিঠা উৎসব কমিটির উদ্যোগে সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা স্যানফোর্ডে ৪ জানুয়ারি এক বর্ণাঢ্য পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। পিঠা মেলার এক যুগ পূর্তির এই উৎসব বাঙালির মিলন মেলায় পরিণত হয়। অতীতের সব পিঠা মেলার রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে এবার প্রথম সর্বমোট ১৪১টি পিঠা স্থান পায়।

হাড্ডাহাড্ডি এক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১০ জনকে শ্রেষ্ঠ পিঠা বিজয়ী হিসেবে পুরস্কৃতও করা হয়।

দশটি পুরস্কারের মধ্যে ছিল দুইটি স্বর্নের চেইন, এমকে ব্যাগ এবং সাতটি জামদানি শাড়ি। র্যাফেল ড্রয়ের পুরস্কারের মধ্যে ছিল অরলান্ডো টু ঢাকা রাউন্ড টিকেট, আপেল ওয়াচ, আইপ্যাড এবং প্রত্যেকটি পিঠা অংশগ্রহণকারীকে একটি করে শাড়ি উপহার দেয়া হয়।

প্রতিটি পিঠা গ্রহণ এবং বিচার করার জন্য কমিটি করা হয়। পিঠা গ্রহণ করেন বুলবুল আহমেদ, সায়িদ হোসেন (মিলন), জাহাঙ্গীর আলম, আজগর, টুলু ভুইয়া এবং তাদের সহযোগিতা করেন টিটু বেপারী। পিঠার বিচারক ছিলেন সামসুর রহমান(সামু), আবিদ আমিৱ, ডা. রিপন, নাজমা বুলবুল, লিপি বেগম, সুমি প্রমুখ।

পিঠা উৎসবের অন্যতম সংগঠক সাইফুল ভুইয়া (দুলুর) তত্ত্বাবধানে এবং টনি হোসেনের সাবলীল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সানু, ফিরোজ আহমেদ, নান্টু চৌধুরি, রিপন, বাসার ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম, আজগর আলি, সাহাদাৎ মিসু, বিদ্যুত হোসেন, বাবলু, টিপু, রয়েল, তাহের, তারেক, রফিক, টিটু বেপারী, আলম, সবনম ভুইয়া, সোহেলী চৌধুরী, শাহানাজ রুনা, ঝর্ণা, রুমি, লিপি প্রমুখ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পল্লি ইসলাম, বাচ্চু ভূঁইয়া, বাদল ভূঁইয়া এবং সেতু। অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের নৃত্য পরিবেশন ছিল চোখে পড়ার মতো।

এবারের পিঠা মেলায় দর্শকদের একটু ভিন্ন রকম আনন্দ দেওয়ার জন্য আয়োজন করা হয় ধাঁধা প্রতিযোগিতা। এই ধাঁধা প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা করেন এবং তিনটি এক্সক্লুসিভ গিফ্ট উপহার দেওয়া হয় টিটু বেপারীর সৌজন্যে। ধাঁধা প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন টনি হোসেন। রান্নার দায়িত্বে ছিলেন তাহের। পুরো অনুষ্ঠান ক্যামেরাবন্দী করেন শাহাদাৎ মিশু।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে একটু সমস্যা হলেও দুপুর ১টা থেকে মানুষ পিঠা নিয়ে আসা শুরু করে। ২টা ৩০ মিনিট থেকে পিঠা মেলায় মানুষের ঢল নামে। পিঠা মেলার এক যুগ উপলক্ষে সব উপস্থিত বাঙালি নারীরা জামদানি শাড়িতে যেন এক টুকরো বাংলাদেশকেই তুলে আনলেন স্যানফোর্ড ডার্বি পার্কে।

বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি সামদুস তোহা বলেন যে, ‘আমার জীবনের দেখা পিঠা মেলার মধ্যে এটা ছিল অন্যতম। এতো পিঠার সমাগম কখনো আমার চোখে পড়েনি।’

কমিউনিটির পরিচিত মুখ ইলিয়াস ঠাকুর বলেন, ‘আমি সত্যিই অভিভূত এতো সুন্দর আয়োজন, এতো পিঠার সমারোহ, বৈরি আবহাওয়ার পরেও এতো মানুষের উপস্থিতি দেখে।’

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে পিঠা মেলার এক যুগ উপলক্ষে কেক কাটা হয়। একই দিনে দুলু-শবনম দম্পতির বিয়েবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। উপস্থিত সবাই করতালির মাধ্যমে তাদের শুভেচ্ছা জানান।

এসএইচ-০২/১৩/২০ (প্রবাস ডেস্ক)