পর্তুগালে ভোগান্তিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

আবাসন সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অভিবাসনের আশায় সম্প্রতি পর্তুগালে পাড়ি জমানো প্রবাসী বাংলাদেশিরা। শুধু একটি বাসা বা কক্ষই নয়, একটি স্থায়ী সিট পেতেও অপেক্ষার যেন শেষ নেই। আর তাই, পর্তুগাল আসার আগেই আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কমিউনিটি নেতারা।

করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কিছুটা কমে আসায় এ বছর গ্রীষ্মে পর্যটকের ঢল নামে পর্তুগালে। অন্যদিকে, সহজ অভিবাসন, বিনিয়োগের সম্ভাবনা বিবেচনায় বহু বিনিয়োগকারীও বেছে নেন এই দেশটিকে। এমন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি পর্তুগালে দেখা দিয়েছে চরম আবাসন সংকট। শুধু রাজধানী লিসবনেই নয়, দেশটির অধিকাংশ বড় শহরেও স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছেন অভিবাসীরা।

শুধু অভিবাসীরাই নন, তীব্র আবাসন সংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরাও। অ্যাপার্টমেন্ট বা রুম তো দূরে থাক, থাকার মতো একটি সিটও মিলছে না কারো। বাধ্য হয়েই থাকতে হচ্ছে হোটেলে বা দৈনিক ভিত্তিতে ভাড়া দিয়ে, যা অনেকের জন্যই বেশ ব্যয়বহুল। আর তাই পর্তুগালে আসার আগে আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের।

এদিকে, চলমান এ সংকটে দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের একে অপরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার আহ্বান কমিউনিটি নেতাদের।

লিসবনের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জহিরুল আলম জসিম বলেন, আবাসন সংকট মোকাবিলায় সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় বাসাবাড়িগুলোকে হোটেল হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি বাতিল এবং আগামী শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মতো নানা উদ্যোগ।

এসএইচ-২০/২০/২২ (প্রবাস ডেস্ক)