বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশিসহ ১৩৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাদের আটক করা হয়। এ নিয়ে দেশটিতে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশিসহ ৪৮ হাজার ৬৫৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুয়ালালামপুর জালান মুন্সি আবদুল্লাহ এর বিলাসবহুল সিটি ওয়ান কনডোমিনিয়ামে ইন্টিগ্রেটেড অভিযান শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতো রুসলিন বিন জুসোহ।
আটকদের মধ্যে ২৪৫ জন নিয়োগকর্তা ও ২৩৪ জন স্থানীয় নিয়োগকর্তাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুসলিন। তবে আটককৃতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তা জানায়নি দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
রুসলি বলেন, বিদেশিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে আমাদের অভিবাসন বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে। তবে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিদে কোনো পক্ষের সঙ্গে আপস করা হবে না।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে যারা মালয়েশিয়ায় বসবাস করছেন, তাদের জন্য চলমান বৈধকরণ প্রক্রিয়া ‘আরটিকে ২.০’ প্রোগ্রামের ঘোষণা দেয়ার পরও দেশটিতে এখনও যারা নাম নিবন্ধন ছাড়া রয়েছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতেও কাজ করছে অভিবাসন বিভাগ।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুয়ালালামপুর জালান মুন্সি আবদুল্লাহ এর বিলাসবহুল সিটি ওয়ান কনডোমিনিয়ামে বিদেশিদের আনাগোনার বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য ও জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় ৩ হাজার ১৬ জন অভিবাসীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে তাদের মধ্যে ১৩৬ জনের কাছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের ১৩০ জন পুরুষ ও ছয়জন বাংলাদেশি নারী রয়েছেন, যাদের বয়স ২০ থেকে ৭০ বছর।
রাত ১টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টার অভিযানে দেশটির পুত্রজায়া, কুয়ালালামপুর ফেডারেল টেরিটরি, মেলাকা এবং নেগেরি সেম্বিলান থেকে ৩৩৮ জন কর্মকর্তার সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযানে মালয়েশিয়ার জাতীয় নিবন্ধন বিভাগ (জেপিএন) এবং সিভিল ডিফেন্স ফোর্স অব মালয়েশিয়ার (এপিএম) অংশগ্রহণ করেন।
দেশটির ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩, পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এবং ইমিগ্রেশন রুলস ১৯৬৩ অনুযায়ী অধিকতর তদন্তের জন্য আটক সকল অভিবাসীকে সেলাঙ্গরের সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এসএইচ-০৬/২০/২৩ (প্রবাস ডেস্ক)