রাত ১:৫৩
বুধবার
১৭ ই এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
৩ রা বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৮ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

প্রথম এশিয়া সফরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাইডেন

দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া গেলেন জো বাইডেন।

শুক্রবার মার্কিন বিমান ঘাঁটি ওসানে বাইডেনকে স্বাগত জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিন।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন কোরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর কমান্ডিং জেনারেল পল ল্যাকামেরা।

এ সফরের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক-ইয়োলের সাক্ষাৎ হবে।

প্রেসিডেন্ট সুক-ইয়োল ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

এসএইচ-১৭/২০/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

শ্মশানে সোনার বার রাখতে গিয়ে চোরাকারবারি আটক

যশোরের চৌগাছা উপজেলার কাবিলপুর শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে ১২৪ পিস সোনার বারসহ শাহ আলম নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি।

শুক্রবার দুপুরে যশোরের ৪৯ বিজিবি হেডকোয়ার্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বেশ কিছুদিন ধরে সোনা চোরাকারবারিদের একটি গ্রুপের ওপর নজরদারি করা হচ্ছিল। এরই অংশ হিসেবে আজ ভোরে চৌগাছা সীমান্তের শাহজাদপুর বিওপির সদস্যরা শাহ আলমকে নজরদারি শুরু করেন। এরপর তাকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শাহজাদপুর বিওপির এক কিলোমিটার অদূরে কাবিলপুর শ্মশান ঘাট এলাকা থেকে আটক করা হয়।

তিনি জানান, এ সময় তার কোমরে পেঁচানো ১২৪ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। জব্দ সোনার বাজারমূল্য ১০ কোটি সাড়ে ১১ লাখ টাকা।

বিজিবির অধিনায়ক আরও জানান, শাহ আলম কৃষক সেজে ওই স্বর্ণের বার শ্মশানে রেখে আসতে গিয়েছিল। ওখান থেকে অন্য একটি গ্রুপের সদস্যদের ওই বার নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তার আগেই শাহ আলমকে আটক করে বিজিবি। আলম এর আগে আরও ৬টি চালান সফলভাবে পাচার করেছে। সপ্তম চালান পাচারকালে তাকে আটক করা হয়। জব্দ মোটরসাইকেলসহ শাহ আলমকে চৌগাছা থানায় সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া জব্দ সোনার বারগুলো আদালতের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এসএইচ-১৬/২০/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

আর্জেন্টিনার চূড়ান্ত দল ঘোষণা

ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল থেকে চূড়ান্ত স্কোয়াড বেছে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। মূল স্কোয়ার্ডে জায়গা ধরে রেখেছেন দেশটির সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। আছেন পাওলো দিবালা, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও লতারো মার্টিনেজরাও।

আর্জেন্টিনার ঘোষিত চূড়ান্ত স্কোয়াডের আকার ২৯ সদস্যের। যে ছয় জন বাদ পড়েছেন তারা হলেন- লেয়ান্দ্রো প্যারাদেস, লুকাস ওকাম্পোস, এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়া, লুকাস আলিরিও, নিকোলাস ডমিনগুয়েজ ও লুকাস মার্টিনেজ।

আগামী ১ জুন লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইতালির মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। লিওনেল স্ক্যালোনির স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন চোটে জর্জরিত ক্রিস্টিয়ান রোমেরোও। টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে শেষ দিকে ইনজুরি জর্জর সময় কাটিয়েছেন তিনি।

২৯ জনের আর্জেন্টিনা স্কোয়াড

গোলরক্ষক
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ (অ্যাস্টন ভিলা), হুয়ান মুসো (আটালান্টা), জেরোনিমো রুলি (ভিয়ারিয়াল), ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট)
ডিফেন্ডার

গঞ্জালো মন্টিয়েল (সেভিয়া), নাহুয়েল মলিনা (উদিনেস), হুয়ান ফয়েথ (ভিয়ারিয়াল), ক্রিস্টিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম), মার্কোস সেনেসি (ফিয়েনুর্দ), জার্মান পেজেল্লা (রিয়াল বেটিস), লিসান্দ্রো মার্টিনেজ (আয়াক্স), নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকো (আয়াক্স), নিকোলাস ওটামেন্ডি (বেনফিকা), নেহুয়েন পেরেজ (উদিনেস), মার্কোস আকুনা (সেভিয়া)।

মিডফিল্ডার

গুইদো রদ্রিগেজ (রিয়াল বেটিস), আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার (ব্রাইটন), রদ্রিগো ডি পল (অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ), এজিকুয়েল প্যালাসিওস (বেয়ার লেভারকুসেন), জিওভান্নি লো সেলসো (ভিয়ারিয়াল)।
ফরোয়ার্ড

লিওনেল মেসি (পিএসজি), আলেহান্দ্র পাপু গোমেজ (সেভিয়া), নিকোলাস গঞ্জালেজ (ফিওরেন্টিনা), অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া (পিএসজি), অ্যাঞ্জেল কোরেয়া (অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ), পাওলো দিবালা (জুভেন্টাস), হুয়াকিন কোরেয়া (ইন্টার মিলান), জুলিয়ান আলভারেজ (রিভার প্লেট), লতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান)।

এসএইচ-১৫/২০/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

ম্যারাডোনার রঙে সজ্জিত বিমান

দিয়াগো আরমান্দো ম্যারাডোনার রঙে সেজেছে ‘ট্যাঙ্গো ডিটেনএস’ নামে একটি বিমান। আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকরের স্মরণে আগামী ২৫ মে মঙ্গোলিয়ার মোরন বিমানবন্দরে উন্মোচন করা হবে এটি।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কার প্রতিবেদন বলছে, ট্যাঙ্গো ডিটেনএস উন্মোচন করার দিন সেখানে উপস্থিত থাকবেন আর্জেন্টিনার সাবেক ডিফেন্ডার হুয়ান পাবলো সোরিন ও দেশটির রক ব্যান্ড দল রাতোনেস প্যারানোইক্সের সদস্যারা। রক ব্যান্ডটি অনুষ্ঠানে ‘প্যারা সিয়েম্প্রে দিয়াগো’ গানটি গাইবে।

শুধু রক ব্যান্ড দল রাতোনেসই নয়, ওই অনুষ্ঠানে গান গাইবেন আর্জেন্টাইন গায়িকা ভালেরিয়া লিঞ্চও। মূলত তিনি গান গেয়েই বিমান উন্মোচন অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি সেখানে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, আর্টিস্ট ও নামিদামি ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকবেন।

ম্যারাডোনা ছিলেন আর্জেন্টিনার ফুটবলের দর্শন বদলে দেওয়া এক ব্যক্তিত্ব। যার হাত ধরে আর্জেন্টিনা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জেতে। বলা হয়ে থাকে, ছিয়াশির বিশ্বকাপে মেক্সিকোয় একাই দেশকে বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দেন ম্যারাডোনা। ক্লাব ফুটবলেও তিনি ছিলেন অনবদ্য। ইতালির অখ্যাত এক ক্লাব নাপোলিকে ইউরোপ মঞ্চের ট্রফি এনে দেন তিনিই, জেতান লিগ শিরোপাও।

খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় জানানোর পর ম্যারাডোনা করান কোচিংও। আর্জেন্টিনা ছাড়াও তিনি আরও সাতটি দলের দায়িত্ব সামলেছিলেন। অবশ্য কোচিং ক্যারিয়ারে খুব বেশি সফল ছিলেন না তিনি। ম্যারাডোনার জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে। সেবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে পিটার শিল্টনের ওপর দিয়ে হাতে একটি গোল করেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার। ইংল্যান্ড ম্যাচটি হারে ২-১ গোলে। পরে ম্যারাডোনা গোলটি হাত দিয়ে করেছিলেন বলে স্বীকারও করেন।

১৯৬০ সালের ৩০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। তার জীবনটা ছিল নাটকীয়তায় ভরা। ফুটবল ক্যারিয়ারের পরেও তিনি সব সময় থেকেছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ফুটবলার হিসেবেও গণ্য করা হয় তাকে। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ঘুমের মধ্যই চির ঘুমের দেশে পাড়ি জমান তিনি।

এসএইচ-১৪/২০/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

হোস্টেলে নির্যাতনের ঘটনা মাকে বলায় স্কুলছাত্রকে অধ্যক্ষের মারধর!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রাবাসে নির্যাতনের ঘটনা মায়ের কাছে বলে দেওয়ায় ওই শিক্ষার্থীকে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে শিক্ষার্থীর মা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

থানায় করা অভিযোগ ও স্কুলছাত্রের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জেলার কসবা উপজেলার বিশারাবাড়ি গ্রামের দুবাইপ্রবাসীর একমাত্র ছেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের উইজডম স্কুল অ্যান্ড কলেজের আবাসিক ছাত্র।

ছাত্রাবাসের নবম শ্রেণির তিন ছাত্র তার সঙ্গে অশোভন আচরণ ও তাকে মারধর করত। গত ১৬ মে সকালে ওই শিক্ষার্থীর মা বিদ্যালয়ে গিয়ে ছেলের বেতন ও রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৮ হাজার ৩০০ টাকা জমা দেন। ওই সময় তিনি দেখতে পান, ছেলের নাক-মুখ ফোলা ও জখম। পরে তিনি ছেলেকে সঙ্গে করে কসবায় বাড়িতে নিয়ে যান। রাতে ছেলে মায়ের কাছে হোস্টেলে নির্যাতন ও মারধরের কথা খুলে বলে।

ছেলের কাছ থেকে শুনে রাতেই ওই শিক্ষার্থীর মা ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে মোবাইলে বিষয়টি অবহিত করেন।

পরদিন বুধবার সকালে ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে গেলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আবদুল মোনায়েম তাকে ও নির্যাতনের অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে বেত্রাঘাত করেন।

বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর মা বিদ্যালয়ে গেলে সে তার মাকে ঘটনা খুলে বলে। পরে তিনি এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে ওই শিক্ষার্থীর মা বলেন, ‘হোস্টেলে আমার ছেলেকে অন্য তিন শিক্ষার্থী বেশ কয়েকদিন ধরে নির্যাতন করে আসছিল। বিষয়টি বাড়িতে এসে ছেলে আমাকে জানালে আমি বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও তত্ত্বাবধায়ককে জানাই। পরদিন অধ্যক্ষ আমার ছেলেকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করেন। এতে তার বাঁহাতের কনিষ্ঠ আঙুল জখম হয়ে কালো হয়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি পুলিশকে অবগত করায় হোস্টেল সুপার আমার সঙ্গে অশোভন (খারাপ) আচরণ করেন।’

এ ব্যাপারে ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক নাজমা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীর মা আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। আমি তাকে কেন বকাবকি করব?’

তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থী আমাদের না জানিয়ে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার মাকে জানিয়েছে। তাই অধ্যক্ষ তাকে একটা বেত দিয়ে তার হাতে বাড়ি দিয়েছেন।’

এ ব্যাপারে উইজডম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোনায়েম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থীকে ডেকে শাসন করেছি। আমাদের না জানিয়ে ঘটনার বিষয়ে ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবককে জানিয়েছে। তাই তিন শিক্ষার্থীর সঙ্গে তাকেও হালকা একটু শাসন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিদ্যালয়ে পুলিশ নিয়ে এসেছিল। আমরা পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি।’

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীদের মা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি।’

এসএইচ-১৩/২০/২২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

বিচ্ছেদের গুঞ্জনে পানি ঢেলে দিলেন মাহি

গেল কয়েকদিন থেকে ঢালিউডে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, ঢাকাই সিনেমার অগ্নিকন্যা খ্যাত অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির নতুন সংসার ভেঙে যাচ্ছে! গুঞ্জনের সূত্রপাত হয় মাহির ফেসবুকে দেওয়া একটা স্ট্যাটাস ঘিরেই। অবশ্য সেই গুঞ্জনে পানি ঢেলে দিলেন মাহি।

শুক্রবার একসঙ্গে ছবি শেয়ার করে মাহি জানালেন, তারা সুখেই আছেন। ছবিতে দেখা গেল, কালো পাঞ্জাবি পরেছেন রাকিব, আর মাহির পরনে কালো বোরকা। স্বামীর হাত ধরে, মাথায় মাথা ঠেকিয়ে রোমান্টিক মুডে ঢাকাই সিনেমার এ নায়িকা। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘হ্যাপি ফ্রাইডে’।

এর আগে গত ১৬ মে বিকেলে ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেন মাহি। ওই ছবির ক্যাপশনে মাহি লেখেন, ‘প্রিয় মানুষটা, তুমি বরং সুখেই থাকো। কাছে না হয় বহু দূরে’।

আর এ ক্যাপশনের কারণে নেটকারিগররা ভেবেই নিয়েছিলেন মাহির বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে! অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, কাকে সুখে থাকার কথা বলছেন তিনি? তার কাছ থেকে দূরেই বা আছেন কে? তার স্বামী মাহিকে উদ্দেশ্য করে নয়তো এমন স্ট্যাটাস?

রাকিব সরকারের আগে মাহিয়া মাহি সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৬ সালে বিয়ের পর প্রায় পাঁচ বছর সংসার করেছেন তারা। গেল বছরের মে মাসে অপুর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করেন নায়িকা। এরপর সেপ্টেম্বরে গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এ তারকা।

এসএইচ-১২/২০/২২ (বিনোদন ডেস্ক)

দেশে কি সবাই শাড়ী কামিজ পরবে?

দেশের রাজধানী ঢাকার কাছেই নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশনে বুধবার ভোরে পোশাকের কারণে হেনস্থা ও মারধরের শিকার হয়েছেন এক তরুণী।

জিন্স প্যান্ট ও টপস পরিহিত ওই তরুণী এক পর্যায়ে দৌঁড়ে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে আশ্রয় নিয়ে তাকে বাঁচানোর অনুরোধ করেন।

জানা যাচ্ছে, সেখানে এক নারী প্রথমে ওই তরুণীকে আঘাত করে ও পরে আরও কয়েকজন ব্যক্তি তার ওপর হামলার চেষ্টা করে।

তবে ঘটনাটি নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ, নরসিংদী রেল স্টেশনের স্টেশন মাষ্টার এবং নরসিংদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

বাংলাদেশে মাঝে-মধ্যেই পোশাকের কারণে নারীদের বিব্রত হবার ঘটনার খবর গণমাধ্যমে আসে। এমনকি নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীকে উল্টো তার পোশাকের জন্য দায়ী করার প্রবণতাও দেখা যায়।

সম্প্রতি কপালে টিপ পরা নিয়ে এক পুলিশ সদস্য একজন শিক্ষিকাকে হেনস্থা করার অভিযোগ নিয়েও তুমুল শোরগোল হয়েছিলো।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জিন্স ও টপস পরিহিত এক তরুণী কেন এ ধরণের পোশাক পরেছেন সেটি তার সঙ্গে থাকা দুই তরুণকে জিজ্ঞাসা করছেন চশমা পরিহিত এক ব্যক্তি।

এসময় আরও লোকজন তাদের ঘিরে দাঁড়িয়ে যান এবং প্রশ্নকর্তা ব্যক্তির সাথে কথা কাটাকাটি হয় ওই তরুণদের। সে সময় তরুণী তাদের পেছনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এই বাদানুবাদের এক পর্যায়ে লাল টি শার্ট পরা এক ব্যক্তিকে পেছন থেকে এগিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে আঘাত করতে দেখা যায় এবং আক্রান্ত তরুণী চিৎকার দিয়ে দৌড়ে স্টেশন মাস্টারের রুমের দিকে যান।

সে সময় স্টেশন মাষ্টারের দায়িত্বে থাকা নাইয়ুম মিয়া বিবিসি বাংলাকে বলছেন যে বাইরে হৈচৈ ও আওয়াজ শুনে তিনি তার কক্ষের আসন ছেড়ে দরজার দিকে এগুচ্ছিলেন।

“আমি ডিউটিতেই ছিলাম। হৈ চৈ শুনে বের হতে হতে দেখি একটা মেয়ে দৌঁড়ায়া আসে আর বাঁচান বাঁচান বলে আমার রুমে ঢোকে। পরে ছেলে দুটোও ঢুকলো। আমি গেট আটকে গিয়ে সাথে সাথে পুলিশকে ইনফর্ম করলাম যেন তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে,” বলছিলেন তিনি।

এরপর স্টেশন মাষ্টার আক্রান্ত তরুণী ও তার সাথে থাকা দুই তরুণীকে কক্ষে বসানোর ব্যবস্থা করেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেছেন, “এসময় মেয়েটির কাছে জানতে চেয়েছিলাম যে কি হয়েছে। মেয়েটি শুধু আমাকে বলে- আচ্ছা বলেনতো এদেশে কি সবাইকে শাড়ী ও সালোয়ার কামিজ পরতে হবে? এ জন্য আমাকে মারবে? – এর মধ্যেই পুলিশ চলে আসে।”

জানা গেছে, পুলিশ এসে প্রথমে বাইরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ও পরে তরুণী ও তার সহযোগীদের ঢাকাগামী ট্রেনে তুলে দেয়।

সেখানকার রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ইমায়দুল জাহেদি বিবিসি বাংলাকে বলেন, তারা গিয়ে আক্রান্ত তরুণীকে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে পেয়েছেন কিন্তু তারা কোন অভিযোগ করেননি।

তবে তারা জানতে পেরেছেন যে প্লাটফরমে অপেক্ষার সময় আরেকজন নারী ওই তরুণীকে এ ধরণের পোশাক পরেছে কেন জিজ্ঞেস করেন।

মেয়েটি এবং তাদের সাথে থাকা তরুণরা এর প্রতিবাদ করেন এবং ওই নারীকে বলেন যে ‘আপনার পোশাক নিয়ে তো আমরা কোন কিছু জিজ্ঞেস করিনি।”

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যেই শার্ট ও চশমা পরিহিত এক ব্যক্তি একই প্রশ্ন করতে থাকেন ও পরে আরেকজন এসে আঘাত করে।

মি. জাহেদি বলেন, “মেয়েটা শর্ট টপস আর জিন্স পরিহিত ছিলো। এ নিয়ে এক নারী প্রথম চার্জ করেন। এ নিয়ে উত্তপ্ত কথা বিনিময়। ছেলে দুটো প্রতিবাদ করে। তখনি অন্য কয়েকজন এসে চার্জ করলে তরুণীটি দৌড়ে স্টেশন মাষ্টারের কক্ষে আশ্রয় নেয়।”

তবে আজ শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন অভিযোগ না আসায় এ নিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যদিও তরুণীকে হেনস্থা ও মারধরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

কহিনুর আক্তার নামে একজন লিখেছেন, “কেন? নরসিংদীতে রেল স্টেশনে শর্ট ড্রেস পরায় তরুণীকে হেনস্থা। এমন বর্বর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”

এম. এস. রাসেল লিখেছেন, “তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও সঠিক তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।”

সাদিয়া আহমেদ লিখেছেন, “একদল হিজাব-বোরকা পরার স্বাধীনতা চান। কিন্তু তারাই আবার জিন্স টপসের স্বাধীনতা মানতে চান না। আবার কেউ হিজাবকে গ্রহণ করতে পারেন না। পোশাক যার যার ব্যক্তিগত চয়েস – এ শিক্ষাটা কবে আসবে জানি না।”

কেউ কেউ অবশ্য আবার ওই নারীকেই এমন পোশাক পড়েছে কেন তা নিয়ে আক্রমণ করেই মন্তব্য লিখেছেন ফেসবুকে।

এসএইচ-১১/২০/২২ (অনলাইন ডেস্ক, সূত্র : বিবিসি)

দেরিতে কর্মস্থলে ঢুকলে বেতন কাটা

ঢাকায় শহরের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকার একটি বিজয় সরণিতে বৃহস্পতিবার একটি গাড়ি উল্টে যাওয়ার পর সেটি সরিয়ে নিতে দীর্ঘ সময় লেগেছে।

ঢাকা শহরে যানজটের কারণে গাড়ি এমনিতেই যেন নড়ে না। যানজটে প্রতিদিন নাস্তানাবুদ হচ্ছেন শহরের বাসিন্দারা। ঢাকায় এখন গাড়ির গড় গতির চেয়ে হাঁটার গতিবেগ বেশি।

তার মধ্যেই ব্যস্ত একটি রাস্তায় অফিস যাওয়ার তাড়াহুড়োর সময়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে তার প্রভাব পড়ে পুরো শহরে, যার চিত্র বৃহস্পতিবার দেখা গেছে পুরোমাত্রায়। ঢাকার ট্রাফিক অ্যালার্ট নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন পাতায় গেলে দেখা যাবে মানুষজনের বিরক্তি।

ঢাকা শহরের যানজট এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কত আগে বাড়ি থেকে বের হলে সময় মতো অফিসে পৌঁছানো যাবে সেটা বোঝার যেন আর কোন উপায় নেই।

এমন পরিস্থিতিতে অফিসে দেরিতে পৌঁছালে বেতন কাটার নানা নিয়ম বিভিন্ন কোম্পানিতে চালু রয়েছে। সেনিয়ে পক্ষে বিপক্ষে নানা যুক্তি রয়েছে চাকরিদাতা এবং কর্মীদের।

ঢাকায় তৈরি পোশাক খাতে অ্যক্সেসরিজ সরবরাহ করে এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন জান্নাতুল ফেরদৌস। তার বর্তমান কর্মস্থলে সপ্তাহে তিনদিন দেরিতে ঢুকলে একদিনের বেতন কেটে নেয়া হয়।

তিনি বলছেন, “বছর দুয়েক আগেও সোয়া এক ঘণ্টা আগে বাসা থেকে বের হলে সময়মত অফিসে পৌঁছাতে পারতাম। এখন সেটা দেড় ঘণ্টার বেশি। আর কিছুকিছু দিন থাকে কোন কিছুই যেন কাজ করে না। এরকম পরিস্থিতিতে বেতন কেটে নেয়া হলে সারাদিন মন থেকে আর কাজ করতে পারি না। আজ বেতন পাবো না কিন্তু কাজ করছি।”

জান্নাতুল ফেরদৌস দুটি কারণে কিছুদিন হল তার আগের কর্মস্থল ছেড়েছেন।

“নতুন কর্মস্থলে আসতে সময় কম লাগে এটি অন্যতম কারণ তাতে দেরি হওয়ার ঝুঁকি কম। আগের অফিসে মিনিট প্রতি পাঁচ টাকা কেটে নেয়া হত। এটা আমি মানতে পারিনি। বেতন কাটার মতো এত বড় শাস্তি আর নেই কারণ আমরা বেঁচে থাকতে টাকার জন্যেই তো চাকরি করি।”

বেতন কাটার এই নিয়ম যুক্তিসঙ্গত মনে করেন না ঢাকার গুলশানে বছর তিনেক অফিস সহকারীর কাজ করছেন এমন একজন বলছেন, “আমার বাসা মিরপুর আর অফিস গুলশান দুই নম্বর। বাসা থেকে অফিসে যেতে সাধারণত এক ঘণ্টা লাগে। আমার অফিসের রিপোর্টিং টাইম সকাল আটটা। পনের মিনিট গ্রেস টাইম আছে। তবে আটটা বেজে ষোল মিনিটেও যদি ঢুকি এক মিনিটের জন্য এক ঘণ্টার বেতন কাটা হয়। মাঝে মাঝেই দেখা যায় ট্রাফিক জ্যামে পড়তে হয়, বাকিটা ইতিহাস।”

তার ভাষায়, “ঢাকা শহর হচ্ছে খুবই জনবহুল এলাকা যেখানে মাত্রাতিরিক্ত যানজট। কখন বের হলে কত সময় লাগবে কেউ জানেনা। তবুও সবাই কিন্তু চেষ্টা করে সময়মত কর্মস্থলে পৌঁছাতে। কিন্তু যানজটের কারণে পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেলে বেতন কাটার কি যুক্তি আছে আমার বুঝে আসেনা।”

বেসরকারি ও সরকারি পর্যায়ে নানা রকম নিয়ম চালু রয়েছে। কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের সাথে কথা বলে জানা গেছে তিন ধরনের নিয়ম প্রধানত চালু রয়েছে।

যেমন সপ্তাহে পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে তিনদিন কর্মস্থলে ঢোকার নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিটের বেশি দেরি করলে এক দিনের বেসিক বা মূল বেতন কেটে নেয়া হয়। কিছু কোম্পানি একদিনের পুরো বেতনটাই কেটে নেয়। তিনদিন যদি পরপর হয় তাহলে একদিনের বেতন কাটা হয়ে থাকে। কিছু কোম্পানিতে এক্ষেত্রে একদিনের ছুটি কেটে নেয়া হয়।

এগুলোই মূলত বেশি আরোপ করা হয়। তবে অনেক কোম্পানি ভিন্ন নিয়মও চালু করেছে যেমন আধাবেলা অথবা মিনিট প্রতি নির্দিষ্ট পরিমাণে বেতন কাটার নিয়ম।

আর সরকারি চাকুরেদের ক্ষেত্রে যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া দেরি করে অফিসে এলে প্রথমে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেয়ার নিয়ম রয়েছে। কারণ যুক্তিসঙ্গত না হলে একদিনের মূল বেতন কেটে নেয়া যাবে। মাসে একাধিকবার দেরি করে এলে সর্বোচ্চ সাতদিনের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ কেটে নেয়ার বিধান রয়েছে।

টি. কে. গ্রুপের প্রধান মানব সম্পদ নির্বাহী, অজেয় রোহিতাশ্ব আল্ কাযী বলছেন, “আপনি যদি সময় মতো কাজে না আসেন এবং সেজন্য সবসময় পার পেয়ে যান তাহলে আপনি অন্যদের জন্য একটা খারাপ উদাহরণ তৈরি করছেন। যেমন ধরুন একজন কর্মী খুবই ভাল কাজ করে কিন্তু নিয়মিত দেরিতে আসে। তার কাজ ভাল হওয়ার কারণে যদি আমি তাকে ছাড় দিয়ে দেই তাহলে অফিসের বাকিরাও একই জিনিস অনুসরণ করবে।”

এছাড়া দেরিতে কাজ শুরু হলে কাজ শেষ হবে দেরিতে। কর্মস্থলের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যাবে। মি. আল্ কাযী বলছেন, “উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠানে যেমন গার্মেন্টস কারখানায় দশ মিনিট দেরি মানে পাঁচটা শার্ট কম সেলাই হওয়া। তারমানে অর্ডার দেরিতে শেষ হওয়া, শিপমেন্টে দেরি হওয়া। সময়ের সাথে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে রাজস্ব আয়ের।”

তার প্রতিষ্ঠানে মাসে একজন কর্মীর ৩৬০ মিনিটের বেশি দেরি হলে এক দিনের বেতন কেটে নেয়া হয়। তিনি জানিয়েছেন পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে শহরে কিছু ঘটেছে এবং সবার একই অভিজ্ঞতা হয়েছে সে ক্ষেত্রে বিষয়টি তারা বিবেচনা করেন। কোন জরুরী বিষয়ের ক্ষেত্রেও বিবেচনা করা হয়।

অফিসে দেরি করে ঢোকার সংস্কৃতি পছন্দ করে না কোন প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বিশেষ করে ঢাকার মতো শহরে যেখানে দিনকে দিন আরো বেশি সময় হাতে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হতে হয়, তেমন শহরে বিকল্প কি কিছু আছে? একজন মানুষ আর কত আগে বের হতে পারেন?

ঢাকার পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক প্রতিষ্ঠান অবশ্য বেতন না কেটে ভিন্নভাবে দেরিতে ঢোকা কমানোর চেষ্টা করছে।

কনফিডেন্স গ্রুপ অফ কোম্পানিজ লিমিটেডের প্রধান মানবসম্পদ ও কর্পোরেট কমিউনিকেশন কর্মকর্তা মোহামম্দ তারিকুল ইসলাম বলছেন করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর তার প্রতিষ্ঠানে চালু হওয়া কিছু বিষয় তারা অব্যাহত রেখেছেন যা যানজটের দিনেও বেশ কাজে আসছে।

তিনি বলছেন, “প্যান্ডেমিকের সময়ে অফিসে সংক্রমণ ঠেকাতে আমরা কর্মীদের সবার গাড়িতে আনা নেয়ার ব্যবস্থা চালু করেছিলাম। সেটা আমরা এখনও চালু রেখেছি। কোম্পানির গাড়ি যদি এসে পৌছাতে দেরি করে তাতে কর্মীর তো কোন হাত নেই। আমরা আরো যেটা করেছি আমরা অফিসে ঢোকার সময় এগিয়ে নিয়ে এসেছি। দেখবেন ঢাকায় নটার পরে একটা মারাত্মক চাপ তৈরি হয় কারণ অনেক কর্পোরেট অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দশটায় শুরু হয়। এতে আমাদের অনেক লাভ হয়েছে।”

মহামারির সময়ে যেভাবে বাড়িতে বসে কাজ করতে হয়েছে সেরকম সপ্তাহে একদিন বাড়িতে কাজ করার ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। ঢাকায় এখন বহু কোম্পানি নিজস্ব পরিবহনে কর্মীদের আনা নেয়া করছে। রাস্তায় নেমে বাহন খোঁজার জন্যে নষ্ট হওয়া সময়টাও বেঁচে যাচ্ছে।

ঢাকায় এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে কাজে ঢুকতে দেরি করলে পাঁচশ টাকা নিয়ে নেন লাইন ম্যানেজার। কিন্তু টাকাটা দিয়ে সহকর্মীদের জন্য পার্টি আয়োজন করা হয়, কিছু একটা কিনে আনা হয় তাদের খাওয়ার জন্য।

এসএইচ-১০/২০/২২ (শাহনাজ পারভীন, বিবিসি)

প্রথমবারের মতো ঋণখেলাপি শ্রীলঙ্কা

৭০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বাজে আর্থিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে। ঋণ পরিশোধে ৩০ দিনের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হলেও বুধবার সেই সময় পার হয়ে গেছে। অপরিশোধিত থেকেছে ৭৮ মিলিয়ন ডলারের ঋণ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলছেন, তার দেশ এখন ‘প্রি-এমটিভ ডিফল্ট’ হয়ে পড়েছে। পরে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিশ্বের শীর্ষ দুই ঋণ রেটিং সংস্থাও জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কা ঋণখেলাপি হয়ে পড়েছে।

কোনো সরকার যখন ঋণদাতাদের ঋণের কিছু অংশ বা পুরোটা পরিশোধে ব্যর্থ হয় তখন সেই সরকারকে খেলাপি বলা হয়। এতে বিনিয়োগকারীদের কাছে দেশটির সুনাম নষ্ট হয়, প্রয়োজনের সময় আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ সংগ্রহ কঠিন হয়ে যায়। এতে দেশটির মুদ্রা এবং অর্থনীতির আরও বেশি ক্ষতি হয়।

শ্রীলঙ্কা খেলাপি হয়ে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পি নন্দলাল বীরসিংহে বলেন, আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, আমরা বলেছি যতক্ষণ তারা (ঋণ) পুনর্গঠনের আওতায় আসবে না, ততক্ষণ আমরা পরিশোধ করতে সক্ষম হব না। সে কারণে যেটা হচ্ছে সেটারেক প্রি-এমটিভ ডিফল্ট বলা যেতে পারে।

নন্দলাল বীরসিংহে আরও বলেন, টেকনিক্যাল ব্যাখ্যাও দেওয়া যেতে পারে… তাদের দিক থেকে তারা এটাকে খেলাপি বিবেচনা করতে পারে। আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট, যতক্ষণ ঋণ পুনর্গঠন হচ্ছে না, ততক্ষণ আমরা পরিশোধ করতে পারব না।

এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কা বিদেশি দাতাদের কাছ থেকে নেওয়া ৫০ বিলিয়নের বেশি ডলারের ঋণ পুনর্গঠন করতে চাইছে। তাদের দাবি এ ঋণ পরিশোধের শর্ত তাদের জন্য আরও বেশি সহজ করতে হবে।

এদিকে ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হওয়া শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভায় ৯ জন নতুন মন্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সামনে শপথ নেন তারা।

সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের চাপে চলতি মাসে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বড় ভাই মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে গত সোমবার (৯ মে) পদত্যাগ করার পর অভিজ্ঞ রাজনীতিক পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় সদস্য রনিল বিক্রমাসিংহকে ওই পদে নিয়োগ পান। স্থানীয় সময় ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। ৭৩ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এ রাজনীতিবিদ শ্রীলঙ্কার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতা। সহিংস বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে গত ৯ মে পদত্যাগ করার পর তার স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।

বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত দেশটি রিজার্ভে মুদ্রা না থাকায় জ্বালানি, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে পারছে না। এ অবস্থায় আরও এক শঙ্কার কথা জানিয়েছেন সেখানকার চিকিৎসকরা। রিজার্ভে বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে অতি প্রয়োজনীয় ওষুধও আমদানি করতে পারছে না দেশটি।

বলা হচ্ছে, কোভিড মহামারিতে পর্যটন খাত থেকে আয় শূ্ন্যে নেমে যাওয়া, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এবং জনগণের মন জয় করতে রাজাপাকসে সরকারের কর কর্তন শ্রীলঙ্কার আজকের পরিস্থিতির জন্য মূলত দায়ী।

এসএইচ-০৯/২০/২২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

গুগলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করল রাশিয়া

সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের রাশিয়ায় থাকা সব অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে দেশটির সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ায় অবস্থিত গুগল শাখাকে দেউলিয়া ঘোষণা করছে কোম্পানিটি।

রয়টার্স ও সিএনবিসির খবরে বলা হয়, ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে একটি নোটিশ দিয়েছে গুগল। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করায় রাশিয়া চাকরিরত কোনো গুগল কর্মীকে বেতন দিতে পারবে না বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ ব্যাপারে গুগলের একজন মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানান, সরকার আমাদের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। ফলে এ দেশে কাজ চালানোর মতো পরিস্থিতি আর নেই। বেতন পাচ্ছেন না কর্মীরা। একটি চরম সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে সংস্থা।

ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ার এমন সিদ্ধান্তে দেশটি থেকে নিজেদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারে গুগল। মূলত ফেব্রুয়ারির শেষার্ধে রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করলে গুগলসহ বেশ কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম রুশ সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। এবার তারই শোধ তুলল রাশিয়ার পুতিন সরকার।

কেবল ইউক্রেন প্রসঙ্গে নয়, গত বছর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে গুগলের মনোমালিন্য চলে আসছিল। সরকার বিরোধী তথ্য মুছে না ফেলায় রুশ সরকারের তোপের মুখে পড়ে গুগল। এরই সূত্র ধরে ২০২১ সালের মে মাসে গুগলকে ৮২ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।

রাশিয়া থেকে গুগল একেবারে তল্পিতল্পা গুটিয়ে চলে যাচ্ছে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটি থেকে জানানো হয়, পরিষেবা বন্ধ করলেও গুগল সার্চ, ম্যাপ এবং ইউটিউব পরিষেবা বিনামূল্যে দেওয়া হবে।

এসএইচ-০৮/২০/২২ (প্রযুক্তি ডেস্ক)