বিকাল ৩:৪৭
শনিবার
২০ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
৭ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কি কৌশলে বন্ধ করে দেয়া হলো?

জি. এম. মুরতুজা: সরকারী প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। অথচ গতকালও শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়টি এখনো চিন্তা করা হচ্ছে না।

জনমনে প্রশ্ন- শাবিপ্রবি-এর ছাত্র আন্দোলন যাতে দেশের অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্যই কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কৌশলে বন্ধ করে দেয়া হলো! আর ২ সপ্তাহের বন্ধ আবার ২ বছরে গিয়ে ঠেকবে নাতো?

বি:দ্র: বানিজ্য মেলা কিন্তু যথারীতি খোলা আছে! ১০০ জন নিয়ে সব ধরনের সভা সমাবেশ করা যাবে!

নিখোঁজ বিমানের সন্ধান ৭৭ বছর পর

ভারতের প্রত্যন্ত হিমালয় এলাকায় পাওয়া গেল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নিখোঁজ হওয়া বিমান। ১৯৪৫ সালের প্রথম সপ্তাহে সি-৪৬ পরিবহন বিমানটি দক্ষিণ চীনের কুনমিং থেকে ১৩ যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন পথে ভারতের অরুণাচল রাজ্যের পার্বত্য এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়। ৭৭ বছর আগের এই ঘটনায় বিমানের সব আরোহী মারা গিয়েছিলেন।

এখন একটি অনুসন্ধানী দল এই বিধ্বস্ত বিমান শনাক্ত করেছে। অনুসন্ধান মিশনের প্রধান যুক্তরাষ্ট্রের অভিযাত্রী ক্লেটন কুহলেস বলেছেন, বিমানটি নিখোঁজ হওয়া নিয়ে পরে আর কোনো কথা শোনা যায়নি। তবে বিমানটির হতভাগ্য এক যাত্রীর সন্তানের অনুরোধের পর এই অনুসন্ধান শুরু করেন তারা।

বিল শেরার নামের ওই সন্তান এই অনুসন্ধানের জন্য কুহেলসকে দায়িত্ব দেন। শেরারের অফিসার বাবা এই বিমানটির যাত্রী ছিলেন। নিউইয়র্ক থেকে ই-মেইল বার্তায় শেরার এএফপিকে বলেন, ‘আমি শুধু বলতে পারি যে আমি আনন্দিত, শুধু জেনেছি তিনি কোথায় আছেন। এটা দুঃখজনক কিন্তু তারপরও আনন্দের।’

অনুসন্ধান মিশনের প্রধান জানান, স্থানীয় লিসু নৃগোষ্ঠীর একদল গাইড নিয়ে বরফশীতল নদীর হাঁটু ও গলা সমান পানি পেরিয়ে পর্বতের উচ্চতায় হিমায়িত তাপমাত্রায় তাদের ক্যাম্প করতে হয়েছিল। গত সেপ্টেম্বরে তুষার ঝড়ের সময় প্রাথমিক পর্যায়ে প্রকল্পের তিন গাইড হাইপোথার্মিয়ায় মারা যান।

দলটি শেষ পর্যন্ত গত মাসে একটি তুষার ঢাকা পর্বত চূড়ায় পৌঁছায়। যেখানে সেখানে বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখতে পান তারা। পরে বিমানটি শনাক্ত হয়। এই ধ্বংসাবশেষের মধ্যে মানুষের কোনো দেহাবশেষ পাওয়া যায়নি।

এসএইচ-০৯/২১/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে বাংলাদেশ

টানা দুই বছর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এক বিশ্বকাপ পার হতে না হতেই আরেকটির দামামা বেজে উঠেছে। শুক্রবার ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচিও ঠিক করে ফেলেছে আইসিসি, যেখানে বাংলাদেশ পড়েছে ভারত-পাকিস্তানের গ্রুপে।

শেষবারের ‘ফাইনাল’ যেন এবার টুর্নামেন্টের শুরুতেই দেখে ফেলবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই তাসমান প্রতিবেশি অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড।

ভারত-পাকিস্তানের বহুল আকাঙ্খিত লড়াই এবার ২৩ অক্টোবর, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। দুই দলই পড়েছে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ টু’তে। যেখানে আবার থাকছে বাংলাদেশও।

গত বিশ্বকাপে প্রথমপর্ব খেলতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। এবার আর সেই ঝামেলা থাকছে না। আগেই নিশ্চিত হয়েছে, গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ শেষে বিশ্বর্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আটে থাকায় সরাসরি সুপার টুয়েলভ খেলবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।

এবার সুপার টুয়েলভে ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও টাইগারদের প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দুুটি দলকে মোকাবেলা করতে হবে।

২৪ অক্টোবর হোবার্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবে ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ দল। ২৭ অক্টোবর সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মোকাবেলা করবে টাইগাররা।

৩০ অক্টোবর ব্রিসবেনে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। পরের দুটি ম্যাচ অ্যাডিলেইডে। ২ নভেম্বর ভারত এবং ৬ নভেম্বর পাকিস্তানের মোকাবেলা করবে রিয়াদ বাহিনী€ব

এদিকে আরেক গ্রুপ অর্থাৎ গ্রুপ ওয়ানে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, রানারআপ নিউজিল্যান্ড ছাড়াও থাকছে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দুটি দল।

টুর্নামেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ১৬ অক্টোবর থেকে। যেখানে প্রথমপর্বের ম্যাচে জিলংয়ের মাঠে নামিবিয়ার মোকাবেলা করবে শ্রীলঙ্কা। প্রথমপর্বের বাধা পার হতে হবে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও। এরপর সেরা ১২ দলকে নিয়ে ২৩ অক্টোবর থেকে সুপার টুয়েলভ।

টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল দুটি হবে সিডনি (৯ নভেম্বর) এবং অ্যাডিলেইডে (১০ নভেম্বর)। ১৩ নভেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের।

এসএইচ-০৮/২১/২২ (স্পোর্টস ডেস্ক)

টাকা ভাঙাতে গিয়ে লটারি কিনে কোটিপতি রংমিস্ত্রি

ভাগ্য যদি সহায় হয় তাহলে যে কেউ যেকোনো সময় কোটিপতি বনে যেতে পারেন। ভারতের কেরালা রাজ্যের এক ব্যক্তির সঙ্গে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে। ৫০০ রুপির একটি নোট ভাঙানোর জন্য লটারি কিনে রাতারাতি ১২ কোটি রুপির মালিক হয়ে যান তিনি। কেরালার ওই ব্যক্তির নাম সদানন্দন, তিনি পেশায় একজন রংমিস্ত্রি।

ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, ৫০০ রুপি নিয়ে বাজার করতে গিয়েছিলেন কেরালার কোট্টয়মের বাসিন্দা সদানন্দন ওলিপারাম্বিল। কিন্তু দোকানদার খুচরা না দেওয়ায় মহা বিড়ম্বনায় পড়েন তিনি। বাজারের কাছেই ছিল লটারির টিকিট বিক্রির একটি দোকান। সদানন্দন নোট ভাঙানোর জন্য কয়েক রুপি খরচ করে একটি লটারি কেনেন। এরপর তিনি অন্যান্য দিনের মতো বাজার করে বাসায় ফেরেন।

কিন্তু বিকেল গড়াতেই কোট্টয়ম এলাকায় হইচই পড়ে যায়। কারণ ওই এলাকারই একজন লটারির প্রথম পুরস্কার জিতেছেন। কিন্তু বিজয়ীকে সেটা তখনো কেউ জানতে পারেনি। সদানন্দন লটারির রেজাল্টের খবর শুনে আর দাঁড়িয়ে থাকেননি। বরং পকেটে রাখা টিকিটটি নিয়ে সরাসরি ওই লটারির দোকানের উদ্দেশ্যে চলে যান।

তখনো সদানন্দন আঁচ করতে পারেননি, যাকে নিয়ে এত হইচই সেই ব্যক্তি তিনি নিজেই। লটারির দোকানে টিকিটের নম্বর মেলাতেই আঁতকে ওঠেন সদানন্দন। ভালো করে আরও কয়েকবার টিকিটের নম্বর মেলান। মিলিয়ে দেখেন তার কেনা টিকিটই প্রথম পুরস্কার জিতেছে। যার মূল্য ১২ কোটি রুপি।

পেশায় রংমিস্ত্রি সদানন্দন যে জীবনের প্রথমবার লটারির টিকিট কিনে জিতেছেন এমন নয়। তিনি নিয়মিত লটারির টিকিট কিনতেন। তবে কোনোদিন খুব বেশি রুপি জিতেননি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সদানন্দন ১২ কোটি রুপি জিতলেও পুরো অর্থ তিনি পাবেন না। আয়কর কেটে প্রায় সাড়ে সাত কোটি রুপি হাতে পাবেন এই রংমিস্ত্রি।

এসএইচ-০৭/২১/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

অফিস চলবে অর্ধেক লোক নিয়ে

করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় অর্ধেক লোক নিয়ে অফিসের কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, এটা খুব শিগগির প্রজ্ঞাপন আকারে চলে আসবে। গণপরিবহনে যাতে ভোগান্তি না হয়, সে জন্য অর্ধেক লোক দিয়ে অফিস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে ৩৩ শতাংশ শয্যা ইতিমধ্যে পূর্ণ হয়েছে। পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। তাই, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল- কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বিয়ে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অংশ নিতে পারবে না। যারা অংশ নিবেন তাদের সবার টিকা সনদ থাকতে হবে।

সরকারি বিধিনিষেধ সবাইকে মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এগুলো কার্যকরের চেষ্টা চলছে। সংক্রমণ যাতে কমে সে জন্য এই সিদ্ধান্ত। পরিবার, দেশ ও নিজের সুরক্ষার জন্য আমাদের নিয়মগুলো মানতে হবে। সরকার বিধিনিষেধ দেয় যাতে আমরা তা মেনে চলি।

মন্ত্রী বলেন, যেখানে খেলাধুলা আছে সেখানে টিকা সনদের পাশাপাশি টেস্টের সনদও লাগবে। এগুলো বইমেলায়ও দেখাতে হবে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বইমেলা পেছানো হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতোই আমরাও চলমান পরিস্থিতির বাইরে নই।

নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব প্রশাসনের জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাইবো তারা যেন আরও নজরদারি বাড়ান। জনগণের দায়িত্ব আরও বেশি। নিজেদের সুরক্ষায় এটি নিজেদেরই পালন করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়।

টিকার লক্ষ্যমাত্রা ৭০ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার কথা বলে এসেছি। তা কিন্তু ৭০ ভাগের মধ্যে। অনেকে (প্রবাসী) বাইরে থাকেন। সবমিলিয়ে আমরা ১৫ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছি। হাতে এখনো নয় কোটি টিকা আছে। আমরা জনসনের তিন লাখ ৩৭ হাজার ডোজ টিকা পেয়েছি। আরও আসবে।

এসএইচ-০৬/২১/২২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

এক কলমের দাম ২৭ হাজার টাকা

জাসটাস, জাপানি কোম্পানি পাইলট করপোরেশনের তৈরি একটি কলম। দাম ২৭ হাজার টাকা। পাওয়া যাচ্ছে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়। যদিও বেশি দামের কারণে এখনো বিক্রি হয়নি এটি।

২০৫ রকমের কলম নিয়ে যে প্যাভিলিয়ন সাজিয়েছে পাইলট, সেখানে সৌখিন এমন কালি-কলমের পাশাপাশি মিলছে কম দামের দরকারি ও কৌতূহলী কলম। বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, মেলায় দামি কলমের ক্রেতা তেমন না থাকলেও শিশুদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে পাইলটের ম্যাজিক পেন।

পাইলট করপোরেশনের আরএসএম হায়াতুর রহমান বলেন, সর্বনিম্ন ২০ টাকা থেকে শুরু করে ২৭ হাজার টাকা দামের পণ্য পর্যন্ত আমরা এনে থাকি। এ পর্যন্ত মেলায় ৮ হাজার টাকা দামের পর্যন্ত বিক্রি করতে পেরেছি।

কলমের এই বিশাল ভাণ্ডার কাছে টানছে শিশু-কিশোরদের। বড়দেরও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ছেলেবেলায় নানা রঙের বল পয়েন্টে লেখার স্মৃতি।

দর্শনার্থীরা বলছেন, সাধারণত পাইলটের কলমের দাম অনেক বেশি হয়। তবে এখানে একটু কম।

মেলায় এসে বিজ্ঞান শেখার আনন্দেও মেতে উঠছে শিশু-কিশোর। বুদ্ধি বিকাশের নানা কৌশল শেখার উপকরণ কিনে খুশি তারা।

শিশু-কিশোররা বলছে, প্র্যাকটিক্যালি করলে অনেক মজা লাগে, বুজতে অনেক সহজ হয়। বিক্রেতারা বলছেন, যদিও প্রাথমিক পর্যায়ের বিষয় এগুলো, তবুও এগুলো শিশু-কিশোরদের মেধার বিকাশ ঘটাবে।

মানসিক বিকাশে সহায়ক এমন পণ্য বা উপকরণের স্টল-প্যাভিলিয়নের সংখ্যা আগামী দিনেও আরও বাড়ানোর পরামর্শ দর্শনার্থীদের।

এসএইচ-০৫/২১/২২ (অনলাইন ডেস্ক)

শিক্ষার্থীরা হতাশ হলেও খুশি অভিভাবকরা

আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণায় কিছুটা হতাশ শিক্ষার্থীরা। তবে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সন্তানদের সুরক্ষার কথা ভেবে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

করোনার প্রথম দিকের ঢেউয়ে টানা দেড় বছর বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর ধীরে ধীরে মুখরিত হচ্ছিল ক্যাম্পাসগুলো। চলছিল সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষাও।

তবে ফের করোনার সংক্রমণ বাড়ায় হুমকির মুখে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা। প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, এমন সিদ্ধান্তের কারণে আবারও সেশনজট ও বেকারত্বের কবলে পড়বেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিক্ষার্তীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই কর্তৃপক্ষ যেন আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত না করে। অনলাইনের মাধ্যমে যেন কার্যক্রম চালু রাখে। সব পরীক্ষা এবং শিক্ষা কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে।

তবে অভিভাবকরা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলছেন, সন্তানদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তারা। এখন তা অনেকটা দূর হবে। কারণ বাচ্চারাই তো আমাদের জীবন। তাই করোনার সময়ে বাচ্চারা বাসায় থাকুক, সেটাই চাই।

শিক্ষকরা বলছেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও, যথাসম্ভব অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস ও পরীক্ষা চালু রাখার চেষ্টা করা হবে।

শিক্ষার্থীদের সবাইকে করোনার টিকা গ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

এসএইচ-০৪/২১/২২ (শিক্ষা ডেস্ক)

ঢাবির ক্লাস-পরীক্ষা অনলাইনে, খোলা থাকবে হল

করোনাভাইরাস সতর্কতায় আগামী ২ সপ্তাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শ্রেণি কার্যক্রম (ক্লাস-পরীক্ষা) অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার ঢাবির উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, ‘ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে সরকারি বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আমি ফোনে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলেছি। সেসময় আমরা প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী ২ সপ্তাহ ঢাবির শ্রেণি কার্যক্রম (ক্লাস-পরীক্ষা) অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।’

‘এই সময়ে ঢাবির আবাসিক হলগুলো বন্ধ করা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থানের আহ্বান জানানো হচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।

অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চলবে। হলগুলোর সার্বিক করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, ঢাবির করোনা পরীক্ষা ল্যাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে জানান, গত ১০ দিনে পরীক্ষায় ঢাবির ৪৪ জন শিক্ষার্থী ও ৩০ জন শিক্ষকের করোনা পজিটিভ এসেছে।

উল্লেখ্য, করোনা সতর্কতায় আগামী ২ সপ্তাহ (২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশের সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এসএইচ-০৩/২১/২২ (শিক্ষা ডেস্ক)

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মো. আতাউর রহমানের পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই বার্তায় বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীতে জানানো হবে।’

আজ সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ মহামারির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিক এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনা সতর্কতায় আগামী ২ সপ্তাহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত অর্ধেক জনবল দিয়ে চলবে। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগির তা কার্যকর করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাণিজ্য মেলা, বইমেলা, স্টেডিয়ামে টিকা ও করোনা টেস্টের সনদ নিয়ে যেতে হবে। সামাজিক অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি যেতে পারবে না এবং তাদেরও টিকার সনদ থাকতে হবে।’

২ সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা কিংবা বন্ধ রাখার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব মো. সাবিরুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে; সামাজিক-রাজনৈতিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ১০০-র বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।

এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবে তাদের অবশ্যই টিকা সনদ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর সার্টিফিকেট আনতে হবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমূহে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টিকা সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবেন।

বাজার, শপিংমল, মসজিদ, বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশনসহ সবধরনের সমাবেশে অবশই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনিটর করবে।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলে দেওয়া হয়।

এসএইচ-০২/২১/২২ (শিক্ষা ডেস্ক)

দু সপ্তাহের জন্য সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে আগামী দুই সপ্তাহের জন্য সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন মালেক।

এদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা নতুন বিধি-নিষেধ সম্বলিত এক প্রজ্ঞাপণেও স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি স্কুলের সংক্রমণ হার বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছে এবং তারা ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য। এটা আশঙ্কাজনক।”

“সে কারণে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে তাঁর সম্মতি সাপেক্ষে স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।”

মালেক জানান, “দুই সপ্তাহ পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

সংক্রমণ ঠেকাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পাশাপাশি যে কোনো সামাজিক, রাজনৈতিক বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একশো জনের বেশি জনসমাগম করা যাবে না উল্লেখ করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এসব অনুষ্ঠানে যারা অংশ নেবেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে টিকা সনদ সাথে রাখতে হবে এবং আগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর টেস্টের রিপোর্ট সাথে রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এসএইচ-০১/২১/২২ (শিক্ষা ডেস্ক)