রাত ১:১৪
শুক্রবার
২৯ শে মার্চ ২০২৪ ইংরেজি
১৪ ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯ শে রমজান ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

৭ এপ্রিলের প্রতি টিকিটের বিপরীতে প্রায় ৫০০ বার চেষ্টা যাত্রীদের

ঈদযাত্রায় ট্রেনের আগামী ৭ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিটের জন্য প্রায় দুই কোটি মানুষ চেষ্টা করেছেন। এদিন ট্রেনে যাত্রীদের জন্য ঢাকা থেকে বরাদ্দ ছিল ৩২ হাজার ৫৯১টি টিকিট, এর মধ্যে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৮ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সকাল ৮ থেকে সাড়ে ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট ছাড়ার পিক আওয়ারে চেষ্টা হয়েছে ৮২ লাখ। আর বেলা ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলের টিকিট ছাড়ার পিক আওয়ারে ৭৪ লাখবার চেষ্টা করেছেন যাত্রীরা। তার মানে প্রতি টিকেটের বিপরীতে প্রায় ৫০০ বার চেষ্টা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রেলসেবা অ্যাপ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সহজ ডট কমের প্রধান নির্বাহী অফিসার সন্দ্বীপ দেবনাথ এ তথ্য জানিয়েছেন।

রেলওয়ে বলছে, এ বছর ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তনগর ৪২ জোড়া ট্রেনের টিকিট দুই পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ ঈদ উপলক্ষে এই অগ্রিম টিকিট সম্পূর্ণ অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে ৷ এবার মোবাইলে ওটিপি ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে টিকিট দেওয়া হচ্ছে ৷ ঈদযাত্রাকে সুশৃংখল রাখার জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ৷

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, ৮ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ। এই ঈদে ৩৩ হাজার ৫০০টি আন্তনগর ট্রেনের টিকিট প্রতিদিন অনলাইনে উন্মুক্ত করা হয়। একই সঙ্গে ঈদের সময় আটটি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এআর-০৩/২৮/০৩ (জাতীয় ডেস্ক)

মাহির ছেলের জন্মদিনে পরীমনির শুভেচ্ছা

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অভিনেত্রী পরীমনি। আজ মাহির ছেলে ফারিশের জন্মদিন।

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ছেলে মো. মোসাইব আরশ শামসুদ্দিন ফারিশ সরকারের আজ প্রথম জন্মদিন। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠালেন পরীমনি।

পরীমনি লিখেছেন— ‘হ্যাপি বার্থডে মানিক চাঁদ আমাদের। তুমি মায়ের চোখের মনি হয়ে থাকো ফারিশ বাবা। আমরা সবাই তোমাকে অনেক ভালোবাসি।’

গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন মাহি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই নায়িকা। ছেলেকে নিয়েও ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতে দেখা যায় এই অভিনেত্রীকে।

এখন নিজের লুক বদলাচ্ছেন অভিনেত্রী। ব্যস্ত হয়েছেন ক্যারিয়ার নিয়ে। এরই মধ্যে পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। মাহি বলেন, ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না। এর কারণও অবশ্য রয়েছে। বিয়ের পর বেশ কিছু সিনেমার প্রস্তাবই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনেরই দ্বিতীয় বিয়ে। তাদের ফারিশ নামে এক বছরের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। ৫ বছর সংসারের পর বিচ্ছেদ হয় তাদের।

এসএ-০২/২৮/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

‘বুবলী বেয়াদব নয়, তার সঙ্গে কাজ করা অনেক আরাম’

ঢাকাই সিনেমার দুই অভিনেত্রী পরীমনি ও বুবলীর ভার্চুয়াল যুদ্ধের মধ্যে এবার ঘি ঢাললেন পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী। চয়নিকা চৌধুরী প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে দিলেন বুবলীকে।

বুবলী প্রসঙ্গে এই পরিচালক বলেন, ‘বুবলী খুবই ভদ্র ও বিনয়ী একজন মানুষ। অনেক বেশি সময় সচেতন। ভোর ৫টায় আসতে বললে ৪টায় চলে আসে। স্ক্রিপ্ট পড়ে আসে। বুবলীকে নিয়ে কাজ করতে খুবই আরাম পাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, বুবলী বেয়াদব নয়; যেটা আমার সব থেকে খারাপ লাগে। জোরে কথা বলে না। আমি ওর অসম্ভব একজন ফ্যান। একজন ডিরেক্টরের আরামের জায়গা— ভালো একজন আর্টিস্ট পাওয়া। বুবলী তেমনই একজন। কস্টিউম নিয়ে ভাবতে হয় না। খুবই সিনসিয়ার একজন শিল্পী।

‘প্রহেলিকা’ সিনেমার বিষয়ে চয়নিকা বলেন, ‘প্রহেলিকা’তে অভিনয় করে বুবলী বুঝিয়ে দিয়েছে ওর অভিনয়ের জাদু। ‘প্রহেলিকা’ বুবলীর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট আমি বলব। শুধু আমি নই, সুবর্ণা আপা থেকে শুরু করে সবাই বুবলীর প্রশংসা করেছে। আমি আরও অনেক কাজ করতে চাই বুবলীকে নিয়ে।

এর আগে অভিনেত্রী শবনম বুবলী তার ছেলে বীরের জন্মদিনে একটা ভিডিও পোস্ট দেন। সেই ভিডিও পুরোটাই কপি বলে পোস্ট দেন পরীমনি। কারণ মাস ছয়েক আগে তার সন্তান পুণ্যকে নিয়ে একই রকম ভিডিও পোস্ট করেছিলেন নায়িকা।

তবে পরীর এমন দাবির বিপরীতে পাল্টা পোস্ট দেন বুবলী। সেই আগুনে ঘি ঢেলে দেন পরীমনির কাছের এক নারী পরিচালক। তিনি ওই দিন ‘প্রহেলিকা’খ্যাত শবনম বুবলী ও তার সন্তানকে শুভকামনা জানিয়ে দেন আরেকটি আবেগঘন পোস্ট।

সেই পোস্টের পরেই চয়নিকার ওপর ক্ষিপ্ত হন পরীমনি এমনটাই ধারণা করছেন নেটিজেনরা। তবে এসবের মধ্যে শবনম বুবলী ও চয়নিকা চৌধুরীকে খুব হাসিখুশি ও উৎফুল্ল দেখা দেখা গেছে একটি জায়গায়।

এসএ-০১/২৮/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে কাজে ফিরল ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের আশ্বাসে দেশব্যাপী কর্মবিরতি আন্দোলন স্থগিত করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে দেশব্যাপী আন্দোলনরত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা বাড়ানোর দাবির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ একটি সভা শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নেতারা। সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় অন্যান্য ইন্টার্ন চিকিৎসক নেতাদের অনুমতি সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিতে ঘোষণা দেন মিটফোর্ড হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি আন্দোলন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকরাই একটি হাসপাতালের প্রাণ। তারা খেয়ে না খেয়ে হাসপাতালের রোগীদের সেবা করেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা রাউন্ড দিয়ে চলে গেলে এই ইন্টার্ন চিকিৎসকরাই রোগীদের নানারকম অসুবিধাগুলোর দেখভাল করেন। কাজেই তাদের দাবির যৌক্তিকতা বুঝে আমি নিজে ফাইল নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফাইল গ্রহণ করেছেন এবং অতি দ্রুত দেশের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য ভাতা বৃদ্ধির সুরাহা করতে উদ্যোগ নিবেন বলেছেন।

তিনি বলেন, আমি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতি এটাই বলতে চাই, তারা আন্দোলন না করে চিকিৎসা শিক্ষার কাজে মনোযোগ দিন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। তিনি ফাইল গ্রহণ করে ব্যবস্থা নিবেন বলেছেন। আমি বিশ্বাস করি, আমরা দ্রুততম সময়ে আপনাদেরকে ভালো খবর দিতে সক্ষম হব।

এর আগে দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় আন্দোলনের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিব, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, অধ্যক্ষ, পরিচালকসহ পেশাজীবি চিকিৎসক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়।

সভায় আলোচনা করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ওয়াহেদুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব), বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র নবনিযুক্ত ভিসি ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, স্বাচিপ মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল্লাহসহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজসহ অন্যান্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতাদের দাবিগুলোর মধ্যে বর্তমানে ভাতা ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩০ হাজার টাকা, প্রতিবছর এক হাজার টাকা করে ভাতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা রাখা, হাসপাতালে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা, চিকিৎসকদের ঝুঁকিভাতা রাখা, বকেয়া ভাতা পরিশোধ করাসহ অন্যান্য দারিসমূহ তুলে ধরেন।

এআর-০২/২৮/০৩ (জাতীয় ডেস্ক)

এক সপ্তাহে রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলার

সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে ৫৩ কোটি ডলারেরও বেশি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৭ মার্চ) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৪৫ কোটি ডলারে। যা গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ছিলো এক হাজার ৯৯৮ কোটি। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বর্তমানে মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৮১ কোটি ডলার। যা এক সপ্তাহ আগে ছিলো দুই হাজার ৫২৪ কোটি।

এক বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ছিল তিন হাজার ১০৭ কোটি ডলার। সে হিসাবে, এই সময়ে কমেছে ৬২৬ কোটি ডলার।

এআর-০১/২৮/০৩ (জাতীয় ডেস্ক)

ভুঁড়ি কমাতে পুদিনা পাতা যেভাবে খাবেন

পুদিনা পাতা কিন্তু বেশ উপকারী। বিশেষ করে গরমের সময়ে আপনাকে সতেজ রাখতে এর জুড়ি খুব কমই আছে। এর সুগন্ধটাই আপনাকে চনমনে করে দিতে যথেষ্ট। শরবত, চাটনি, বোরহানি কিংবা জিরাপানির সঙ্গে পুদিনা তো খাওয়া হয়ই, আপনি চাইলে আরও কিছু খাবারের সঙ্গে যোগ করতে পারেন। আসলে আপনার বাড়তি ভুঁড়ি কমাতে কাজ করবে এই পাতা। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-

পুদিনা ভেজানো পানি

প্রথমে পুদিনা পাতা কুচি কুচি করে পুদিনা কেটে নিন। এরপর সেই কুচি করা পাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। বেশিক্ষণ নয়, ৪-৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই যথেষ্ট। এরপর সেই সেই পানি পান করে নেবেন? না, এখনই নয়। পাতাসহ পানি রেখে দিন ফ্রিজে। এভাবে সারারাত রেখে দিন। পরদিন বের করে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এলে অল্প অল্প করে পান করে নিন। এর সঙ্গে লেবুর রস ও শসা মিশিয়েও পান করতে পারেন। এতে যেমন ভুঁড়ি কমবে তেমনই দিনভর সতেজ থাকবেন।

পুদিনা চা

চা তো প্রতিদিনই খাওয়া হয়, পুদিনার চা কখনো খেয়েছেন কি? আপনার ভুঁড়ি কমাতে দারুণ কার্যকরী এই চা। সেইসঙ্গে এটি হজমেও সহায়ক। সেজন্য আপনাকে প্রথমে পুদিনা পাতা পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর সেখান থেকে কিছু শুকনো পাতা নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। এভাবে ফোটাতে হবে মিনিট দশেক। এরপর চুলা বন্ধ করে দিন। নামিয়ে সামান্য মধু দিয়ে পান করুন। এই চা সকাল ও বিকালে পান করলে উপকার পাবেন।

পুদিনা ও দই

দই খেতে ভালোবাসেন নিশ্চয়ই? এর সঙ্গে সামান্য পুদিনা পাতা কুচি করে খেয়ে নিতে পারেন। এটি গরমের সময়ে পেটের জন্য বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। হজম ভালো হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করাও সহজ হবে। তবে মিষ্টি দই নয়, এক্ষেত্রে আপনাকে খেতে হবে টক দই। কারণ মিষ্টি দই খেলে তা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।

এসএ-১৭/২৭/২৪(লাইফস্টাইল ডেস্ক)

রাগ করা কি শরীরের জন্য ভালো?

রাগ, ক্রোধ, ক্ষোভকে কখনো ভালো চোখে দেখা হয় না। রাগী মানুষকে সবাই যেন একটু এড়িয়েই চলতে চায়। যার রাগ বেশি, তার বদনামও বেশি। কিন্তু রাগও যে একটি আবেগ, তা আমরা বেশিরভাগ সময়েই ভুলে যাই। অন্যসব আবেগের মতো এটি নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ কষ্টকর। তাই কখনো কখনো রাগ প্রকাশ হয়ে গেলেই যে তা খারাপ, এমনটা মনে করার কারণ নেই। রাগ কি শরীরের জন্য ভালো? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

অনেক সময় আমরা অনেককিছু সহ্য করে নিই। নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই চলতে থাকে ভেতরে ভেতরে। কিন্তু আমরা বাইরে তা প্রকাশ করতে পারি না। এতে আমাদের মন ধীরে ধীরে বিমর্ষ হয়ে যেতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে শরীরেও। এর বদলে কখনো কখনো রাগ প্রকাশ করাই ভালো। এতে সহ্যের সীমা পার হতে হবে না। আমাদের শরীর ও মন কষ্টও পাবে না।

আমাদের ছোটবেলা থেকেই শেখানো হয় যে রাগ এবং অন্যান্য নেতিবাচক আবেগগুলো খারাপ এবং অন্যের কাছে কখনোই প্রকাশ করা উচিত নয়। কিন্তু অন্যান্য নেতিবাচক আবেগের মতো রাগ ক্ষতিকর নয়। বরং এটি পুষে রাখাই ক্ষতিকর। বরং রাগ হলে তা প্রকাশ করাই উত্তম। এটি একটি স্বাস্থ্যকর আবেগ।

রাগ ধরে রাখলে তা ধীরে ধীরে অস্বস্তিও বাড়িয়ে তোলে। অন্য কারও ওপর জমতে থাকে বিতৃষ্ণা। এরপর একদিন না একদিন তা বিস্ফোরিত হয়ই। তাই রাগ ধরে না রেখে যে কারণে বা যার ওপর রাগ জমেছে তাকে বলে দেওয়াই ভালো। এতে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে সহজেই। কিন্তু রাগ জমিয়ে রাখলে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

রাগ করলেই যে ভীষণ ঝগড়া করতে হবে কিংবা মুখ দেখাদেখি বন্ধ করতে হবে বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। বরং রাগ মানে হলো যে বিষয়টি আপনার পছন্দ নয় তা বুঝিয়ে দেওয়া। সেটি ভদ্রভাবেই করা যেতে পারে। এমনটাই স্বাস্থ্যকর। রাগ চেপে রাখলে সেখান থেকে মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই রাগ হলে তা ভদ্রভাবে প্রকাশ করুন।

এসএ-১৬/২৭/২৪(লাইফস্টাইল ডেস্ক)

পহেলা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা

বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপনে ভুভুজেলা বাঁশি না বাজানো, ফানুস বা আতশবাজি না ফুটানোসহ ১৩ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো-

১. দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানসমূহে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকবৃন্দ সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

২. রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগ স্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেওয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।

৩. বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

৪. বাংলা একাডেমি ও বিসিক থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

৫. রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশে যে সকল অনুষ্ঠান হবে তা সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

৬. বর্ষবরণ অনুষ্ঠানগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে।

৭. নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনার বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে।

৮. নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানসমূহে ও সারাদেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। মেডিকেল টিম থাকবে।

৯. বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/ পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

১০. বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো নিষিদ্ধ থাকবে।

১১. নববর্ষে দেশের কারাগারগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন
‘ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না’

১২. কোন ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না।

১৩. বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এআর-০৩/২৭/০৩ (জাতীয় ডেস্ক)

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় কী পরিবর্তন হবে?

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএসসি) উভয় পক্ষের মধ্যে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে সফলভাবে একটি প্রস্তাব পাস করেছে।

প্রস্তাবটিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি ‘অবিলম্বে বলবৎ’ করা উচিত এবং ‘একটা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে রমজান মাসের প্রতি সব পক্ষেরই শ্রদ্ধা দেখানো উচিত’।

এখন এই প্রস্তাবনা মেনে চলা বাধ্যতামূলক কি না, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের মাঝে বিতর্ক রয়েছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২৭২৮ নং প্রস্তাবে সকল জিম্মিকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছিল কারা?

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ১৪টি রাষ্ট্র প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। কেউই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়নি, শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র এবার ভোটদান থেকে বিরত ছিল।

যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু ভেটো দেয়নি, বরং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা করেছে।

এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের তিনটি খসড়া প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং মোট দু’বার ভেটো দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

আগে তারা বলেছিল যে ওই প্রস্তাবগুলো জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি সুনিশ্চিত করবে না অথবা প্রস্তাবগুলোতে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের ৭ই অক্টোবরের হামলার বিষয়ে যথাযথ নিন্দা জানানো হয়নি।

সর্বশেষ প্রস্তাবটি নিরাপত্তা পরিষদের ১০ অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষে মোজাম্বিক উপস্থাপন করে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ এরদান অবশ্য এই প্রস্তাবকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

ভোটাভুটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুপস্থিতিতে ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া কী?

গাজায় আগ্রাসনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ তাদের ও মিত্র দেশ ইসরায়েলের মাঝে তীব্র উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেন: “দুঃখজনকভাবে আজও এই পরিষদ ৭ই অক্টোবরের গণহত্যার নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, এটি লজ্জার।”

তবে তিনি এটি উল্লেখ করেছেন যে প্রস্তাবটি হামাসের দ্বারা ইসরায়েলিদের অপহরণের বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেছে।

নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের জিম্মি করাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এই প্রস্তাবে জিম্মি করার জন্য নিন্দা জানানো হয়েছে, স্মরণ করা হয়েছে যে এটি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”

“জিম্মিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদকে শুধু কথা বললে চলবে না, বরং পদক্ষেপ নিতে হবে, সত্যিকারের পদক্ষেপ নিতে হবে”, তিনি বলেন।

এদিকে ইসরায়েলের দু’জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওয়াশিংটনে পূর্বনির্ধারিত যে সফর করার কথা ছিল, সেটি বাতিল করে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সহায়তা

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছিলেন, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত ওই বৈঠকটি হবে।

পরবর্তীতে অবশ্য মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বৈঠক হয়।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মি কিরবি বলেন, “আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে এটা স্পষ্ট করে দিতে চাইব যে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে থাকবে।”

তিনি বলেন, প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো না দেওয়ার সিদ্ধান্তের অর্থ এই নয় যে “আমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) নীতিতে পরিবর্তন হয়েছে”।

সেই সঙ্গে, তিনি আরও বলেছেন যে তার দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি কারণ প্রস্তাবে হামাসের যথাযথ নিন্দা করা হয়নি।

“আমাদের নীতিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। কিছুই না,” সাংবাদিকদের বলেন মি কিরবি।

তবে মি নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করার যে অবস্থান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের, তারা সেটি পরিত্যাগ করেছে।

“দুঃখজনকভাবে, যুক্তরাষ্ট্র নতুন প্রস্তাবে ভেটো দেয়নি”, ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

কেন কিছু দেশ আগে গাজা প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল?

গত অক্টোবর মাসে ও সবশেষ গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া দু’টি প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল রাশিয়া ও চীন।

শুক্রবার জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আনা প্রস্তাবটিতে ‘চরম রাজনীতিকরণ’ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রস্তাবটিতে গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের রাফাহ শহরে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে ইসরায়েলের প্রতি একপ্রকার কার্যকর সম্মতি ছিল। অথচ সেখানকার ২৩ লাখ বাসিন্দার অর্ধেকেরও বেশি অস্থায়ী তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে।”

“এটি ইসরায়েলকে যা খুশি করার অধিকার দেবে এবং এর ফলে পুরো গাজা ও তার জনগণকে ধ্বংস ও নির্বাসনের মুখোমুখি হতে হবে”, বৈঠকে বলেছিলেন জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া।

জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন আবার বলেছিলেন, রাফায় ইসরাইলের পরিকল্পিত সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করতে ব্যর্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, চীন একটি বিকল্প প্রস্তাবকে সমর্থন করে।

কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, চীন-রাশিয়ার তৈরি খসড়া পরিস্থিতির দাবি মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে।

“বর্তমানে এটি যেভাবে আছে, তা ওই অঞ্চলে সংবেদনশীল কূটনীতিকে সমর্থন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আরও খারাপ যেটা … এটি আসলে হামাসকে আলোচনার টেবিলে থাকা চুক্তি থেকে সরে আসার অজুহাত দিতে পারে”, বলেন তিনি।

এই প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক?

জাতিসংঘ সনদের ২৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা বর্তমান সনদ অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সম্মত।”

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা আছে: “জাতিসংঘে পাশ হওয়া প্রস্তাবগুলোর মাঝে যেগুলো নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেয়ে থাকে, সেগুলো মেনে চলার আইনি বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে।”

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২৭২৮ নম্বর প্রস্তাবকে বাধ্যতামূলক নয় বলে বর্ণনা করেছে।

তাদের যুক্তি, ওই প্রস্তাবে “যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে” কথাগুলির পরিবর্তে বরং “যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করা হয়েছে” অভিব্যক্তিটি ব্যবহার করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও সাংবাদিকদের বলেন, “এটি একটি বাধ্যতামূলক প্রস্তাব নয়।”

কিন্তু জাতিসংঘের অন্য কর্মকর্তারা বলছেন উল্টো কথা।

জাতিসংঘে চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মানা বাধ্যতামূলক।

২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মার্ক লায়াল-গ্রান্ট বিবিসি রেডিও-র ‘ফোর পিএম’ প্রোগ্রামে বলেন যে, “এই প্রস্তাবনা পাসের অর্থ ইসরাইল এখন মূলত পরবর্তী ১৫ দিনের জন্য সামরিক অভিযান বন্ধ রাখতে একটি বাধ্যবাধকতার অধীনে থাকবে।”

তিনি যোগ করেছেন, এই প্রস্তাবনাটি আইনত ইসরায়েলের জন্য বাধ্যতামূলক, কিন্তু হামাসের জন্য নয়। কারণ ফিলিস্তিনি গ্রুপটি একটি রাষ্ট্র নয়।

জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেন যে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনাগুলো আন্তর্জাতিক আইন, “সুতরাং, এগুলো আন্তর্জাতিক আইনের মতোই বাধ্যতামূলক।”

জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়ের অধীনে প্রস্তাবনাটিকে বাধ্যতামূলক করা সম্ভব?

সদস্য দেশগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রস্তাব মানতে বাধ্য করার অন্যতম শক্তিশালী হাতিয়ার জাতিসংঘ সনদের সপ্তম অধ্যায়।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হেইতিতে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য বহুজাতিক পুলিশ বাহিনী পাঠাতে এটি ব্যবহার করা হয়েছিলো।

লেবাননের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল (এসটিএল) গঠনেও অধ্যায় সাতকে ব্যবহার করা হয়েছিল।

২০০৫ সালে লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির হত্যাকাণ্ড এবং ২০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের তদন্ত ও বিচারের সময় এটির ব্যবহার হয়েছিলো।

২০০৬ সালে এই সপ্তম অধ্যায়ের অধীনেই ইরানকে অন্যান্য দেশে অস্ত্র সরবরাহ করা থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং এ বিষয়ে দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।

প্যাট্রিক জোহানসনের নর্ডিক জার্নাল অফ ইন্টারন্যাশনাল ল’তে প্রকাশিত লেখা অনুযায়ী : নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ‘একটি সপ্তম অধ্যায় প্রস্তাবনা’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে যদি ‘বিবেচনাধীন পরিস্থিতি মানুষের শান্তির জন্য হুমকি, শান্তি লঙ্ঘন বা আগ্রাসনের মতো ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়’।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক রিয়াদ মনসুর এই অধ্যায়টি ব্যবহার করানোর জন্য চেষ্টা করেছেন।

“আমরা নিরাপত্তা পরিষদে এসেছি। এখন তারা বলছেন এটি বাধ্যতামূলক নয়। সেটা আমরা মানছি না … নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাধ্যতামূলক।”

তিনি বলেন, “ইসরাইল যদি তা বাস্তবায়ন করতে না পারে, তাহলে নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব হচ্ছে অধ্যায় সাতকে ব্যবহারের মাধ্যমে তাদেরকে পরিষদের প্রস্তাব মেনে চলতে বাধ্য করা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”

ব্রাসেলস-ভিত্তিক থিংকট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের মায়া উঙ্গার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি আইনি কাঠামোর ওপর নির্ভর করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছে যা হয়তো কেউ কেউ মেনে নিতে পারে।

তিনি সিএনএনকে বলেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে যে “সিদ্ধান্ত” বা সপ্তম অধ্যায়ের “আহ্বান” শব্দটি ব্যবহার না করলে প্রস্তাবনাটি বাধ্যতামূলক হবে না।

এই প্রস্তাবনা কি দোহাতে মধ্যস্থতা আলোচনায় কোনও প্রভাব ফেলবে?

মঙ্গলবার কাতার বলেছে যে দোহায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান আলোচনায় এই প্রস্তাবের তাৎক্ষণিক কোনও প্রভাব পড়বে না।

উপসাগরীয় দেশটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে মধ্যস্থতা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

“আমরা আলোচনায় তাৎক্ষণিক কোনও প্রভাব দেখতে পাইনি। জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের আগে আলোচনা যেভাবে চলছিল, এখনও সেভাবেই চলছে,” কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন।

যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল কাতার থেকে তাদের আলোচনাকারী দলকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাতার এই বিবৃতি দিয়েছে।

এর আগে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছিলো, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির বিষয়ে সর্বশেষ প্রস্তাবটি হামাস প্রত্যাখ্যান করায় ইসরায়েলের যে প্রতিনিধি দল কাতারে আট দিন ধরে আলোচনা করছিলো, তারা দোহা ত্যাগ করেছে।

এআর-০২/২৭/০৩ (সূত্র: বিবিসি বাংলা)

কলকাতা বিমানবন্দরে এক বিমানকে ধাক্কা দিলো আরেক বিমান

ভারতের কলকাতা বিমানবন্দরে দুটি বিমানের মধ্যে ছোট একটি সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানকে ধাক্কা দেয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ইন্ডিগোর ধারভাঙ্গাগামী বিমানটি চলন্ত অবস্থায় ছিল। তখন এটি রানওয়েতে প্রবেশের জন্য অপেক্ষারত ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বিমানকে ধাক্কা মারে। এতে ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানের ডানা ভেঙে মাটিতে পড়ে যায়। অপরদিকে ইন্ডিগোর বিমানের ডানার উপরের অংশ ভেঙে যায়।

বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এ ঘটনার পর ভারতের বেসরকারি বিমান চলাচল অধিদপ্তর (ডিজিসিএ) ইন্ডিগো এ৩২০ ভিটি-আইএসএস মডেলের বিমানটির দুই পাইলটকে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে এবং বিশদ তদন্তের নির্দেশ দেয়। ইন্ডিগোর বিমানটিতে ১৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে শিশু ছিল চারজন।

এই সংঘর্ষের কারণে কলকাতা এবং ধারভাঙ্গায় চলাচল করা ইন্ডিগো ৬ই ৬১৫২ ফ্লাইটটি বিলম্ব হয়। এ সময় যাত্রীদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয় এবং অন্য আরেকটি বিমানে করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়।

ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের এক মুখপাত্র দুর্ঘটনা সম্পর্কে বলেছেন, “অপর একটি বিমানের উইংটিপের (ডানার উপরের অংশ) সঙ্গে আমাদের একটি বিমানের ঘষা লাগে। যেটি স্টেশনারি অবস্থায় ছিল এবং চেন্নাইয়ে যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়েতে প্রবেশের অপেক্ষায় ছিল। বিমানটি পরবর্তীতে বে-তে ফিরে যায় এবং অধিকতর তদন্তের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরা এ ব্যাপারে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছি। এই ঘটনার জন্য যেসব অতিথি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমরা তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।”

এসএ-১৫/২৭/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)