সন্ধ্যা ৭:৫৩
শুক্রবার
১৯ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
৬ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

দেশে ফিরছেন সাকিব, খেলবেন টেস্ট

গেল বারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ একদমই বাজে গেছে বাংলাদেশের। কোনো ম্যাচ না জিতে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে শেষ করতে হয়েছে মিশন। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ দিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন মৌসুম শুরু হবে টিম টাইগার্সের।

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ বাহিনী। টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানোর পর এখন শঙ্কা হোয়াইটওয়াশ এড়ানো নিয়েও।

এদিকে, টেস্ট খেলতে সোমবার দেশে আসছেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর আগে চোটের কারণে বিশ্বকাপের মাঝপথেই দল থেকে ছিটকে পড়ার পর খেলতে পারেননি পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজও। তবে টেস্টে তাকে নিয়ে আপাতত তেমন অনিশ্চয়তা নেই বলেই জানিয়েছে বিসিবি সূত্র।

জানা গেছে, সাকিব দলে যোগ দেওয়ার পরই টেস্ট স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে। এছাড়া দল তাকে নিয়েই মঙ্গলবার প্রথম টেস্ট খেলতে চট্টগ্রাম যাবে। একই বিমানে সঙ্গী হবে পাকিস্তান দলও।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। ২৬ নভেম্বর মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।

বাংলাদেশের ক্রিকেট আর সাকিব আল হাসান যেন সমার্থক। বিশ্বকাপে যে দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছিল সেই দুই ম্যাচেই সাকিবের ব্যাটে-বলে ভর করেই বৈতরণী পার করেছিল লাল-সবুজ বাহিনী।

বিশ্বকাপের মাঝপথেই চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সে সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘উইন্ডিজদের বিপক্ষে ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বাম হ্যামস্ট্রিংয়ের নিচের অংশে একটা চোট লাগে সাকিবের। ম্যাচটা কোনোমতে শেষ করতে পারলেও, পরে ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় আমরা তার ইনজুরি স্ক্যান করে দেখি। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার গ্রেড ওয়ান ইনজুরি ধরা পড়ে। আর এ কারণে আমরা তাকে খেলা থেকে বিরত থাকতে বলেছি।’

এদিকে, সাকিবকে নিয়ে আশা থাকলেও টেস্ট সিরিজে দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ দল। আসন্ন এই সিরিজ দিয়ে দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে দলে ফিরতে চাইলেও ইনজুরিতে সেই স্বপ্ন ভেস্তে গেছে।

এসএইচ-২৬/২১/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিল বাংলার মেয়েরা

মাহমুদউল্লাহ-মুস্তাফিজরা যা পারেননি, সেটিই করে দেখালেন সালমা-নিগার সুলতানারা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচেই রোববার পাকিস্তান নারী দলের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলার মেয়েরা।

জিম্বাবুয়েতে দারুণ সময় কাটছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে স্বাগতিকদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতে প্রস্তুতিটা ভালোভাবেই সেরেছিলেন বাংলার বাঘিনীরা। এবার তার সুফল পেলেন হাতেনাতেই।

রোববার হারারেতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ৪৯ রানের মধ্যেই পাঁচ পাঁচটি উইকেট শিকার করে নিজেদের সিদ্ধান্ত যে ঠিক ছিল সেটিরই প্রমাণ দেন বাংলার মেয়েরা। যদিও পাক ব্যাটার নিদা দার আর আলিয়া রিয়াজের ব্যাটে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায়।

নিদা দার ১১১ বলে ৮৭ এবং আলিয়া ৮২ বলে ৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের হয়ে ঋতু মণি ও নাহিদা আক্তার দুটি করে এবং সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদ একটি করে উইকেট লাভ করেন।

এদিকে, ২০২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১০ রানের মাথায় ওপেনার মুর্শিদা খাতুন সাজঘরে ফেরেন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ফারজানা আর শারমিন মিলে ৭০ রানের সময়োপযোগী ইনিংস খেলেন।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে বাংলাদেশ উইকেট হারালেও শেষ দিকে অভিজ্ঞ সালমা এবং রুমানার ব্যাটে ভর করে ৩ ‍উইকেট ও ২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দল।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস রুমানার। তিনি ৪০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন। এছাড়া পাকিস্তানের পক্ষে ওমাইমা সোহাইল এবং নাসরা সান্ধু দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া নিদা দার, আনাম আমিন এবং ফাতিমা সানা একটি করে উইকেট শিকার করেন।

পাকিস্তান ছাড়াও গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের অন্য তিন প্রতিপক্ষ থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও জিম্বাবুয়ে। ২৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র, ২৫ নভেম্বর থাইল্যান্ড ও ২৯ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা।

১০ দলের এই বাছাইয়ে দুই গ্রুপের সেরা তিন দলকে নিয়ে হবে সুপার সিক্স রাউন্ড। সেখান থেকে সেরা তিন দল মূল আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।

ইতোমধ্যে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

এসএইচ-২৫/২১/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

জড়িয়ে ধরে ভক্তের কান্না থামালেন বাঁধন

দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো দেশের ১১টি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ পরিচালিত ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। সিনেমাটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছের অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন।

এ অভিনেত্রী ট্টগ্রামের দর্শকদের সঙ্গে প্রদর্শনী দেখতে হাজির হয়েছিলেন নগরীর সিলভার স্ক্রিন প্রেক্ষাগৃহে।

স্বাভাবিকভাবেই শেষ হয় সিনেমাটির প্রদর্শনী। সিনেমা দেখার পর হঠাৎ একপাশ থেকে হু হু করে এক ভক্তের কান্না ভেসে আসে। বাঁধভাঙ্গা কান্নারত ভক্তকে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন বাঁধন। তবুও যেন কান্না থামছিল না।

ওই ভক্ত বলে উঠেছিলেন, বাঁধন তার সামনে এটা বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। এরপর নায়িকা নিজেই হাত ধরে বসিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন ওই ভক্তকে।

ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবার বাংলাদেশ থেকে অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়ে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ এখন ইতিহাসের অংশ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস (অ্যাপসা) দ্বিতীয় সেরা সিনেমা হয়েছে এবং সেরা অভিনেত্রীর স্বীকৃতি পান বাঁধন। এ ছাড়া হংকং এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জিতেছে নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড।

‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমায় বাঁধন ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম, আফিয়ায়া জাহিন জায়মা, আফি তাবাসসুম বর্ণ, কাজী সামি হাসান, ইয়াছির আল হক, জোপারি লুই, ফারজানা বীথি, জাহেদ চৌধুরী মিঠু, খুশিয়ারা খুশবু অনি ও অভ্রদিত চৌধুরী।

এসএইচ-২৪/২১/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

জাপানি মা ও বাংলাদেশি বাবার সন্তানদের জিম্মা নিয়ে আদালতের রায়

জাপানি নাগরিক মা নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাবা ইমরান শরীফের তিন কন্যা সন্তানের মধ্যে দুই জন তাদের বাবার জিম্মায় থাকবে বলে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। মা বছরে তিন বার ১০ দিন করে মেয়েদের সাথে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন।

পৃথক রিটের শুনানি শেষে বরিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এরিকো এবং ইমরান তাদের তিন সন্তানকে নিয়ে জাপানে থাকলেও, চলতি বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারি বাবা মি. শরীফ তার তিন মেয়ের মধ্যে বড় দুই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

পেশায় চিকিৎসক তাদের জাপানি মা গত ১৮ই জুলাই, ছোট মেয়েটিকে নানির কাছে রেখে টোকিও থেকে ঢাকায় আসেন।

এরপর এবং দুই মেয়েকে নিজের জিম্মায় পেতে ১৯শে অগাস্ট হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই রিট আবেদনে সন্তানদের অবস্থান জানাতে অস্বীকৃতি এবং তাদের সাথে দেখা করতে না দেয়ার অভিযোগও আনা হয়।

এই খবর নিয়ে সে সময় ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল।

রিটের শুনানি শেষে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বছরে তিনবার মায়ের জাপান থেকে সন্তানদের সাথে দেখা করতে আসার এবং থাকার সমস্ত খরচ বাবাকে বহন করতে হবে।

এর বাইরেও মা চাইলে যেকোনো সময় তার সন্তানদের সাথে দেখা করতে বাংলাদেশে আসতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে সমস্ত খরচ মায়ের নিজেকেই বহন করতে হবে।

সেইসঙ্গে সপ্তাহে দুইবার মেয়েদের সাথে ভিডিও কলে মায়ের যোগাযোগের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

গত জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত জাপানি এই মায়ের বাংলাদেশে থাকাকালীন যে খরচ হয়েছে সেই বাবদ সন্তানদের বাবাকে আগামী সাত দিনের মধ্যে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

যেকোন সময় উভয় পক্ষ আদেশ প্রতিপালন সংক্রান্ত অসুবিধার সম্মুখীন হলে, তারা আদালতের সামনে আসতে পারবেন।

দুই পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, আদালতে মামলাটি চলমান থাকবে। মূলত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে এই আদেশ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।

রিটে অভিযোগ করা হয় যে, টোকিওতে স্কুল বাসে করে বাড়ি ফেরার পথে তিন কন্যার মধ্যে বড় দুইজনকে তার অগোচরে অন্য কোথাও নিয়ে যান তাদের বাবা।

মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি মেয়েদের জন্য পাসপোর্ট করান এবং এরপর ২১শে ফেব্রুয়ারি তাদের নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।

রিট আবেদনে ওই জাপানি মা আরও অভিযোগ করেন যে তিনি ঢাকা এসে পৌঁছানোর পর মায়ের সাথে দুই মেয়েকে সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয় ঠিকই, কিন্তু সে সময় তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে, চোখ বাঁধা অবস্থায় তাকে একটি গাড়িতে করে অজ্ঞাত কোন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেভাবেই পাঁচ মাস পর কন্যা সন্তানদের সাক্ষাত পান তিনি।

উল্লেখ্য, ১২ বছর ধরে বিবাহিত এই দম্পতি টোকিওতে বসবাস করতেন। তাদের তিন কন্যা সন্তান রয়েছে।

এ বছরের জানুয়ারি মাসে জাপানের আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন শিশুদের বাবা। জাপানি নারীর আইনজীবী শিশির মনির এসব কথা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন।

তবে তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোন বিচ্ছেদ হয়নি। তারা সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী আছেন বলে বাবার পক্ষের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন,”বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হয়েছিলেন জাপানি মা নাকানো এরিকো। তার স্বামী চাইছিলেন সন্তানদের মুসলিম রীতিতে বড় করতে। সেটি নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয়।”

এর আগে সন্তানদের জিম্মা নিয়ে জাপানেও আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন নাকানো এরিকো।

পরে জাপানের একটি পারিবারিক আদালত সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মে মাসে মায়ের অনুকূলে রায় দিয়ে দুই কন্যা সন্তানকে তার কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেয়।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেন এরিকো। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে টোকিও থেকে এতদিন তিনি বাংলাদেশে আসতে পারেননি।

অবশেষে জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে তিনি মেয়েদের নিয়ে যেতে ঢাকায় আসেন।

জুলাই মাসে ঢাকায় এসে রিট করার পর তাদের বাবাও সন্তানদের জিম্মায় পেতে বাংলাদেশের পারিবারিক আদালতে রিট করেন।

এছাড়া জাপানে থাকা ছোট মেয়ের জিম্মা দাবি করেও গত মাসে মি. শরীফ রিট আবেদন করেছিলেন। তবে ওই আবেদন আদালত সাথে সাথেই খারিজ করে দেয় বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে শরীফের পক্ষের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম বলেছেন, শিশুদের বাংলাদেশি এবং মার্কিন এই দুই ধরনের পাসপোর্ট রয়েছে এবং বাংলাদেশে আসার পর বাচ্চাদের জিম্মায় পেতে সেখানে পারিবারিক আদালতে ইমরান শরীফও মামলা করেন।

এসএইচ-২৩/২১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

রেডিও ডিবেট চ্যাম্পিয়নশীপ সমাপ্ত : বিজয়ী রুয়েট

রেডিও পদ্মা ৯৯.২ এফ এম এবং সিসিডি বাংলাদেশের আয়োজনে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি সহনশীলতা এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র প্রতিষ্ঠায় রেডিও ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার বিকেলে রাবিতে আয়োজিত এ রাউন্ডে সরকারি দল রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রুয়েট বিরোধী দল রাজশাহী কলেজকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়।

বিচারক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ডঃ রবিউল ইসলাম, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাসরিন ইসলাম ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আযাদ এবং স্পিকার ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গ্রুপ অব লিবারেল ডিবেটার্সের সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন।

প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের হাতে প্রধান অতিথি হিসেবে পুরস্কার তুলে দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুল খালেক।

সভাপতিত্ব করেন সিসিডি বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন ওয়ালিউর রহমান বাবু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মামুন আব্দুল কাইউম ও রেডিও পদ্মা ৯৯.২ এফ এমের স্টেশন ম্যানেজার শাহানা পারভীন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজনে সহযোগিতা করছে ডাইভার্সিটি ফর পিস ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ।

বিতর্ক চ্যাম্পিয়নশিপে ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২৪টি দল অংশগ্রহণ করে।

এ ডিবেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হয়েছিল ২২ অক্টোবরের ওয়ার্কশপের মাধ্যমে। এরপর ২৫ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত রেডিও পদ্মায় প্রচার করা হয় এর প্রথম ও দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমি ফাইনাল রাউন্ড।

এসএইচ-২২/২১/২১ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

চতুর্থ ধাপে ইউপিতে নৌকা পেলেন যারা

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। রোববার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনটি পৌরসভা এবং চতুর্থ ধাপে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়।

পৌরসভা নির্বাচনে রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার আটঘরিয়া পৌরসভায় মো. শহিদুল ইসলাম রতন, ঢাকা বিভাগের নরসংদীর রায়পুরা পৌরসভায় মোহাম্মদ মাহবুব আলম শাহীন এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ পৌরসভায় মোহাম্মদ ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন।

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউপিতে মো. আবুল হোসেন, বেংহারীবনগ্রামে মো. আবুল কালাম আজাদ (আবু), চন্দনবাড়িতে মো. নজরুল ইসলাম প্রধান, বোদা সদর ইউপিতে মো. মসিউর রহমান, সাকোয়ায় মো. হাফিজুর রহমান, পাঁচপীরে অজয় কুমার রায়, কাজলদিঘীকা লিয়াকগঞ্জে মো. আব্দুল মোমিন, বরশশীতে মো. মউর রহমান, মাড়েয়াবামনহাটে আবু আনছার মো. রেজাউল করিম, ময়দানদিঘীতে মো. আব্দুল জব্বার নৌকা পেয়েছেন।

আরও যারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা হলেন- আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউপিতে মো. দেলোয়ার হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া ইউপিতে মো. মনিরুল হক, আখানগরে মো. রোমান বাদশাহ, আকচায় সুব্রত কুমার বর্মন, বালিয়ায় মো. নূর এ আলম ছিদ্দিকী, আউলিয়াপুরে মো. আতিকুর রহমান, চিলারংয়ে হৃষীকেশ রায় (লিটন), রহিমানপুরে মো. খেলাফত হোসেন, রায়পুরে মো. নূরুল ইসলাম, জামালপুরে এস এম এমদাদুল হক, মোহাম্মদপুরে মো. সোহাগ, সালন্দরে মো. মাহবুব আলম, গড়েয়ায় মো. রইছ উদ্দীন, রাজাগাঁওয়ে মো. খাদেমুল ইসলাম, দেবীপুরে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, নারগুনে মো. সেরেকুল ইসলাম, জগন্নাথপুরে মো. আলাউদ্দীন, শুখানপুখুরীতে মো. আনিছুর রহমান, বেগুনবাড়ীতে মো. বনি আমীন, রুহিয়া পশ্চিমে অনিল কুমার সেন ও ঢোলারহাটে সীমান্ত কুমার বর্মন (নির্মল)।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আলোকঝাড়ী ইউপিতে মো. মকছেদুল গনি শাহ, ভেড়ভেড়ীতে মো. হাফিজুল হক, আঙ্গারপাড়ায়, গোলাম মোস্তফ, খামারপাড়ায় মো. সাজেদুল হক, ভাবকীতে মো. শফিকুল ইসলাম ও গোয়ালডিহিতে মো. আইনুল হক শাহ্।
কাহারোল উপজেলার ডাবর ইউপিতে সত্যজিৎ রায়, রসুলপুরে সঞ্জয় কুমার মিত্র, মুকুন্দপুরে এ কে এম ফারুক, তারগাঁওয়ে আবু সাহিন মো. মনোয়ারুজ্জামান, সুন্দরপুরে শরীফ উদ্দিন আহমেদ ও রামচন্দ্রপুরে মো. আতাউর রহমান বীরগঞ্জ উপজেলার শিবরামপুর ইউপিতে সত্যজিৎ রায়, পলাশবাড়ীতে মো. মোস্তাক আহাম্মদ সিদ্দিকী, শতগ্রামে মতিয়ার রহমান, পাল্টাপুরে মো. আবদুর রহমান, সুজালপুরে মহেষ চন্দ্র রায়, মোহাম্মদপুরে মো. ওয়াহেদুজ্জামান, সাতোরে মো. জাকির হোসেন, মোহনপুরে মো. তাইজুল ইসলাম ও মরিচায় মো. আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী।

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউপিতে মো. আনোয়ারুল হক সরকার, বালাপাড়ায় মো. জহুরুল ইসলাম ভুঁইয়া, ডিমলা সদর ইউপিতে মো. আবুল কাসেম সরকার, নাউতারায় মো. সাইফুল ইসলাম খালিশা চাপানীতে মো. আতাউর রহমান সরকার, ঝুনাগাছ চাপানীতে মো. মোজাম্মেল হক, পূর্ব ছাতনাইতে মো. আব্দুস ছাত্তার সরকার (বুলু)।

সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউপিতে জিকো আহমেদ, কাশিরাম বেলপুকুরে মো. গোলাম রকিব সোহন, বাঙ্গালীপুরে মো. শাহাজাদা সরকার, বোতলাগাড়ীতে মো. আবদুল হাফিজ ও খাতামধুপুরে মোছা. হাসিনা বেগম।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউপিতে মো. আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল, গড্ডিমারীতে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, সিঙ্গিমারীতে মো. মনোয়ার হোসেন, টংভাঙ্গায় মো. সেলিম হোসেন, সিন্দুর্ণায় মো. নুরুজ্জামান, পাটিকাপাড়ায় মো. মজিবুল আলম, ডাউয়াবাড়ীয় মো. মশিউর রহমান, নওদাবাসে এ কে এম ফজলুল হক, গোতামারীতে মো. মোজাম্মেল হক, ভেলাগুড়িতে মো. শফিকুল ইসলাম, সানিয়াজানে মো. আবুল হাসেম তালুকদার ও ফকিরপাড়ায় মো. নুরল ইসলাম।

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার কুতুবপুর ইউপিতে মো. আতিয়ার রহমান, গোপালপুরে মো. শামছুল আলম, লোহানীপাড়ায় মো. ডলু শাহ্, কালুপাড়ায় মো. আব্দুল মান্নান সরকার, বিষ্ণুপুরে মো. ফিন্দিউল হাসান চৌধুরী, রাধানগরে মো. কামাল উদ্দিন, গোপীনাথপুরে মো. লুৎফর রহমান, রামনাথপুরে মোছা. মোহছিনা বেগম, মধুপুরে মো. নূর আলম ও দামোদরপুরে মো. আজিজুল হক সরকার।

গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউপিতে মো. মোহাইমিন ইসলাম, কোলকোন্দে মো. সোহরাব আলী, বড়বিলে মো. শহীদ চৌধুরী, গংগাচড়া সদর ইউপিতে মো. মাজহারুল ইসলাম লেবু, লক্ষীটারীতে মো. জুয়েল রানা, গজঘন্টায় মো. লিয়াকত আলী, মর্ণেয়ায় মো. মোছাদ্দেক আলী, আলমবিদিতরে মো. হারুন অর রশিদ ও নোহালীতে মো. আবুল কালাম আজাদ।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউপিতে মো. আব্দুল জলিল সরকার, দলদলিয়ায় মো. লিয়াকত আলী, দুর্গাপুরে মো. খায়রুল ইসলাম, পান্ডুলে মো. তহসীন আলী, বুড়াবুড়ীতে মো. আসাদুজ্জামান খন্দকার, ধরনীবাড়ীতে মো. আব্দুল গফফার, ধামশ্রেণীতে সিরাজুল হক সরকার, গুনাইগাছে মো. আব্দুর রউফ, বজরায় মো. রেজাউল করিম আমিন, তবকপুরে মো. মোখলেছুর রহমান, হাতিয়ায় মো. শায়খুল ইসলাম, বেগমগঞ্জে মো. আকতার হোসেন ও সাহেবের আলগায় লূৎফা বেগম প্রধান।

রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপিতে রবীন্দ্র নাথ কর্মকার, ছিনাইয়ে মো. সাদেকুল হক, রাজারহাটে মো. এনামুল হক, বিদ্যানন্দে মো. তাইজুল ইসলাম, উমরমজিদে মো. জহুরুল ইসলাম তালূকদার, নাজিমখানে মো. আব্দুল মালেক ও চাকিরপশারে মো. আব্দুস ছালাম।

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজলার কামদিয়া ইউপিতে মো. মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী বাবলু, কাটাবাড়ীতে জোবায়ের হাসান মো. শফিক মাহমুদ, শাখাহারে মো. তাহাজুল ইসলাম, রাজাহারে মো. আবদুল লতিফ সরকার, সাপমারায় মো. সামীম রেজা, দরবন্তে আবু রুশদ মো. শরিফুল ইসলাম, তালুককানুপুরে মো. মাসুদ রানা, নাকাইয়ে মো. মোকছেদুল আমীন, হরিরামপুরে মো. জাহিদুল ইসলাম মন্ডল, রাখালবুরুজে মোছা নুরজাহান বেগম, ফুলবাড়ীতে শান্তনু কুমার দেব, গুমানীগঞ্জে মানিক, কোচাশহরে মো. আবু সুফিয়ান মন্ডল, শিবপুরে মো. সেকেন্দার আলী মন্ডল, মহিমাগঞ্জে মো. রেজওয়ানুর রহমান ও শালমারায় মো. আনিছুর রহমান। পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপিতে মো. মাহাবুবুর রহমান ও বরিশালে মো. শামীম মিয়া।

রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট উপজেলার ধলাহার ইউপিতে মো. কোরবান আলী, দোগাছীতে মো. সামসুল আলম, ভাদসায় মো. ছরোয়ার হোসেন, মোহাম্মদাবাদে মো. আতাউর রহমান, পুরানাপৈলে মো. খোরশেদ আলম, আমদইয়ে মো. শাহানুর আলম সাবু, বম্বুতে মোল্লা শামসুল আলম, জামালপুরে মো. হাসানুজ্জামান মিঠু ও চকবরকতে মো. শাহজাহান।

বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার কাহালু সদর ইউপিতে মো. এনামুল হক (মিঠু), বীরকেদারে এস এম আকরাম হোসেন, মুরইলে মো. হারেজ উদ্দীন, কালাইয়ে মোঃ আজহার আলী, মালঞ্চায়, মো. আব্দুল হাকিম, নারহট্টে মো. রুহুল আমিন তালুকদার (বেলাল), পাইকড়ে মো. মিটু চৌধুরী ও জামগ্রামে মো. মনোয়ার হোসেন।

নন্দীগ্রাম উপজেলার নন্দীগ্রাম ইউপিতে মো. মখলেছুর রহমান (মিন্টু), ভাটগ্রামে মো. জুলফিকার আলী, ভাটরায় মো. মোরশেদুল বারী ও থালতামাঝগ্রামে মো. হাফিজুর রহমান। বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউপিতে মো. শফিকুল ইসলাম।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ উপজেলার ভোলাহাট উপজেলার ভোলাহাট ইউপিতে মোহা. আব্দুল খালেক, গোহালবাড়ীতে মোহা. ইয়াসিন আলী, দলদলীতে মো. আনিসুর রহমান ও জামবাড়ীয়ায় মো. পিয়ারুল ইসলাম. নাচোল উপজেলার কসবা ইউপিতে মো. আজিজুর রহমান ও ফতেপুরে মো. ইসমাইল হক, নাচোলে মো. কাবুল হোসেন ও নেজামপুর মো. নজরুল ইসলাম।

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আহসানগঞ্জ ইউপিতে মো. আক্কাছ আলী প্রামানিক, ভোঁপাড়ায় মো. নাজিম উদ্দিন মন্ডল, বিশায় মো. মান্নান মোল্লা, হাটকালুপাড়ায় মো. আব্দুস শুকুর সরদার, কালিকাপুরে মো. নাজমুল হক প্রামানিক, মনিয়ারীতে মো. খায়রুল ইসলাম, পাঁচুপুরে মো. আফছার প্রামানিক ও সাহাগোলায় মোছা. শামসুন নাহার।

মহাদেবপুর উপজেলার মহাদেবপুর ইউপিতে মো. সাঈদ হাসান, রাইগাঁয় মো. আরিফুর রহমান সরদার, চান্দাশে এস এম নুরুজ্জামান, হাতুড়ে মো. মোশারফ হোসেন, সফাপুরে মো. ময়নুল ইসলাম, চেরাগপুরে শিবনাথ মিশ্র, ভীমপুরে মো. হাসান আলী মন্ডলে এনায়েতপুরে মো. মেহেদী হাসান মিঞা, উত্তরগ্রামে মো. বজলুর রশীদ ও খাজুরে মো. বেলাল উদ্দীন।

ধামইরহাট উপজেলার ধামইরহাট সদর ইউপিতে মো. কামরুজ্জামান, ইসবপুরে মো. মাহফুজুল আলম, আলোমপুরে মো. ওসমান গনী, আড়ানগরে মো. শাহজাহান আলীতে আগ্রাদ্বিগুনে মো. ছালেহ উদ্দীন, জাহানপুরে মো. গোলাম কিবরিয়া, খেলনায় মো. নাজমুল হোসেন ও উমারে মো. ওবায়দুল হক সরকার।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউপিতে আলহাজ মো. শফিউল আলম, শলুয়ায় মো. আবুল কালাম আজাদ, সরদহে মো. হাসানুজ্জামান, নিমপাড়ায় মো. মনিরুজ্জামান, চারঘাটে মো. ফজলুল হক ও ভায়ালক্ষিপুরে মো. আ. মজিদ প্রাং।

বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউপিতে ডি এম বাবুল মনোয়ার, বাউসায় মো. শফিকুর রহমান ও আড়ানীতে মো. রফিকুল ইসলাম, দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া ইউপিতে মো. সাইফুল ইসলাম, কিসমতগণকৈড়ে মো. আবুল কালাম আজাদ, পানানগরে মো. আজাহার আলী, দেলুয়াবাড়ীতে মো. আহসান হাবিব, বালুকায় মো. আকতার আলী ও জয়নগরে মো. মিজানুর রহমান।

নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ ইউপিতে এস এম,মোফাজ্জল হোসেন, ডাহিয়ায় মো. মামুন সিরাজুল মজিদ, ইটালীতে মো. আরিফুল ইসলাম, কলমে মো. মইনুল হক চুনু, চামারী মো. রশিদুল ইসলাম, হাতিয়ান্দহে মো. মোস্তাকুর রহমান, লালোরে মো. নজরুল ইসলাম, শেরকোল, মো. লুৎফুল হাবিব, তাজপুরে মো. মিনহাজ উদ্দিন, চৌগ্রামে মো. জাহেদুল ইসলাম, ছাতারদিঘীতে মো. আব্দুর রউফ সরদার ও রামানন্দখাজুয়ায় মো. ইদ্রিস আলী।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুরে এস এম, হাসেবুল হক (হাসান), গাড়াদহে মো. সাইফুল ইসলাম, পোতাজিয়ায় মো. আলমগীর জাহান, রুপবাটিতে মো. আব্দুল মজিদ মোল্লা, গালায় মো. আব্দুল বাতেন, বেলতৈলে সরকার মোহাম্মদ আলী, খুকনীতে মো. মুল্লুক চাঁদ, কৈজুরীতে মো. সাইফুল ইসলাম, নরিনায় মো. আবু শামিম ও জামালপুরে মো. সুলতান মাহমুদ।

চৌহালী উপজেলার সদিয়া চাঁদপুরে মো. জাহাঙ্গীর আলম, উমারপুরে মো. আব্দুর রাজ্জাক, খাষকাউলিয়ায় মো. আবু ছাইদ, বাঘুটিয়ায় মো. আবুল কালাম, স্থলে মো. নজরুল ইসলাম, ঘোরজানে মো. আকতারুজ্জামান সরকার ও খাষপুকুরিয়ায় মো. আবু দাউদ।

কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউপিতে মো. আবদুল মালেক খাঁন, ঝাঐলে মো. আলতাফ হোসেন (ঠান্ডু), জামতৈলে মো. মোকবুল হোসেন ও রায়দৌলতপুরে মো. আ. রশিদ আকন্দ।

পাবনার পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউপিতে মো. উম্মাত আলী, দাপুনিয়ায় মোছা. আম্বিয়া খাতুন, মালঞ্চিতে মো. আব্দুল আলিম, দোগাছিতে মো. আলতাব হোসেন, হিমায়েতপুরে মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, ভাঁড়ারায় মো. আবু সাঈদ খান, চরতারাপুরে রবিউল হক (টুটুল), আতাইকুলায় খোন্দকার আতিয়ার হোসেন, গয়েশপুরে মো. সামসুল মন্ডল ও সাদুল্লাপুরে মো. রইস উদ্দিন খাঁন।

আটঘরিয়া উপজেলার মাজপারায় মো. ইন্তাজ আলী খান, চাঁদভায় মো. সাইফুল ইসলাম, দেবোত্তরে আবু হামিদ মো. মোহাঈম্মীন হোসেন চঞ্চল, একদন্তে মো. মহসিন আলী মোল্লা ও লক্ষ্মীপুরে আনোয়ার হোসেন।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউপিতে মো. নূর-উন-নবী মন্ডল, অষ্টমনিষায় সুলতানা জাহান, পার ভাঙ্গুড়ায় মো. হেদায়তুল হক ও দিলপাশারে অশোক কমার ঘোষ।

খুলনা বিভাগের কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলার গোপগ্রামে মো. আলমগীর হোসেন, শিমুলিয়ায় আব্দুল মজিদ খাঁন, জয়ন্ডীহাজরায় মো. আব্দুর রাজ্জাক, বেতবাড়ীয়া, মো. বাবুল আখতার, ওসমানপুরে মো. আনিচুর রহমান৷ জানিপুরে মো. হবিবর রহমান ও আমবাড়ীয়ায় মো. মনিরুজ্জামান বিশ্বাস, খোকসায় মো. আবদুল মালেক ও শোমসপুরে মো. বদর উদ্দিন খান।

কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউপিতে সাদিয়া জামিল, শিলাইদহে মো. সালাহ্উদ্দীন খান তারেক, জগন্নাথপুরে শেখ ফারুক আজম, সদকীকে মিনহাজুল আবেদীন দ্বীপ, নন্দলালপুরে মো. নওশের আলী বিশ্বাস, চাপড়ায় মনির হাসান, বাগুলাটে মো. আজিজুল হক নবা, যদুবয়রায় মো. মিজানুর রহমান, চাঁদপুরে মো. সোহরাব উদ্দিন মিয়া, পান্টিতে মো. কামরুজ্জামান ও চরসাদীপুরে মো. তোফাজ্জল হোসেন।

চুয়াডাঙ্গার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউপিতে মো. আবুল কালাম আজাদ, মোমিনপুরে মো. আব্দুল্লাহ-আল মামুন, কুতুবপুরে আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান ও পদ্মবিলায় মো. আলম।

ঝিনাইদহের ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউপিতে মো. শফি উদ্দীন আহমেদ, মধুহাটিতে মো. আলমগীর আজাদ, সাগান্নায় মোজাম্মেল হোসেন শেখ, হলিধানীতে মো. আবুল হাসেম, কুমড়াবাড়ীয়ায় মো. আশরাফুল ইসলাম, গান্নায় আতিকুল হাসান মাসুম, মহারাজপুরে আরিফ আহমেদ, পোড়াহাটিতে মো. শহিদুল ইসলাম হিরন, হরিশংকরপুরে আব্দুল্লাহ আল মাসুম, পদ্মাকরে সৈয়দ নিজামুল গনি, দোগাছিতে মো. ইসহাক আলী জোয়ার্দ্দার, ফুরসুন্দিতে মো. শহিদুল ইসলাম শিকদার, ঘোড়শালে মো. পারভেজ মাসুদ, কালীচরণপুরে কৃষ্ণ পদ দত্ত ও নলডাঙ্গায় মো. রেজাউল করিম।

যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগে মো. মফিজ উদ্দিন, সুন্দলীতে বিকাশ রায়, চলিশিয়ায় মো. মশিউর রহমান, পায়রায় মো. হাফিজুর রহমান বিশ্বাস, শ্রীধরপুরে মো. নাসির উদ্দীন, বাঘুটিয়ায় অর্জুন সেন, শুভরাড়ায় মো. ইদ্রিস আলী শেখ, সিদ্দিপাশা ইউপিতে খান, এ, কামাল হাচান।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার গয়েশপুরে মো. আব্দুল হালিম মোল্যা, আমলসারে সেবানন্দ বিশ্বাস, শ্রীপুর সদরে মো. মসিয়ার রহমান, শ্রীকোলে কাজী তারিকুল ইসলাম, কাদিরপাড়ায় মো. লিয়াকত আলি বিশ্বাস, দ্বারিয়াপুরে আব্দুস সবুর, সবদালপুরে পান্না খাতুন ও নাকোলে হুমাউনুর রশিদ।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার নলদীতে মো. আবুল কালাম আজাদ মিয়া, লাহুড়িয়ায় মোসা. ফাতেমা বেগম, শালনগরে মো. লাবু মিয়া, নোয়াগ্রামে মুন্সী জোসেফ হোসেন, লক্ষীপাশায় কাজী বনি আমীন, জয়পুরে মো. সাইফুল ইসলাম সুমন, লোহাগড়ায় নাজমিন বেগম, দিঘলিয়ায় নীনা ইয়াছমিন, মল্লিকপুরে মো. শহিদুর রহমান শহীদ, কোটাকোলে হাচান আল মামুদ, ইতনায় শেখ সিহানুক রহমান, কাশিপুরে মো. মতিয়ার রহমান।

খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমায় বিধান রায়।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীতে মো. শমসের আলী ঢালী, নুরনগরে মো. বখতিয়ার আহমেদ, মুন্সীগঞ্জে অসীম কুমার মৃধা, বুড়িগোয়ালিনীতে ভবতোষ কুমার মন্ডল, আটুলিয়ায় গাজী কামরুল ইসলাম, পদ্মপুকুরে এস এম আতাউর রহমান, গাবুরায় জি, এম, শফিউল আযম লেনিন, কৈখালীতে জি, এম, রেজাউল করিম ও রমজান নগরে মো. শাহনুর আলম। তালা উপজেলার কুমিরায় শেখ আজিজুল ইসলাম।

বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার রাঙ্গাবালী ইউপিতে মু. সাইদুজ্জামান মামুন, ছোটবাইশদিয়ায় এ, বি, এম, আবদুল মান্নান, চালিতাবুনিয়ায় মু. জাহিদুর রহমান ও চরমোন্ডাজে এ. কে. সামসুদ্দিন।

কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপিতে মো. বাবুল মিয়া, টিয়াখালীতে সৈয়দ মশিউর রহমান, চাকামইয়াতে মো. হুমায়ন কবির।

ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলায় মো. শাহাজাদা তালুকদার, কাচিয়ায় আ. রব কাজী, হাসাননগরে মো. আবেদ, টগবীতে মো. জসিম উদ্দিন হাওলাদার, পক্ষিয়ায় মো. আবুল কালাম, বড়মানিকায় জসিমউদ্দিন, কুতুবায় নজমুল আহাসান। তজুমুদ্দিন উপজেলার সোনাপুরে মেহেদী হাসান।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দিতে গাওসেল আলম খান (লাল), দুর্গাপাশায় মো. হানিফ তালুকদার ও নিয়ামতিতে মতিউর রহমান (বাদশা)। বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশায় মো. দেলোয়ার হোসেন। হিজলা উপজেলার ধূলখোলায় এ কে এম জসীম উদ্দিন নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন।

এসএইচ-২১/২১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

হিরো আলমের সিনেমায় মুনমুন

এক সময়ের আলোচিত ও বিতর্কিত চিত্রনায়িকা মুনমুন। আর সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত তারকা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।

এবার এই দু’জন এক হলেন এক সিনেমায়। ‘বউ জামাইয়ের লড়াই’ নামের এক সিনেমার শুটিং শুরু করেছেন তারা। এটি নির্মাণ করছেন বাবুল রেজা। আর প্রযোজক হিসেবে আছেন হিরো আলম নিজেই।

এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘পরিচালক মালেক আফসারী সাহেবের আমন্ত্রণে আমি ও মুনমুন আপা একটি লাইভ অনুষ্ঠান করেছিলাম।

সে সময়ই মনে হয়েছিল, আমার সিনেমায় মুনমুন আপাকে নেবো। আমি লাইভেই কথা দিয়েছিলাম। সেই কথা রাখলাম।’

সাভারের ডিপজলের বাড়িতে গতকাল শনিবার থেকে সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে। এতে হিরো আলম-মুনমুন ছাড়াও অংশ নিয়েছেন গাঙ্গুয়া, নতুন অভিনেত্রী নুসরাত, জারা জেরিন প্রমুখ।

এসএইচ-২০/২১/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

দীপ্ত টিভির সংবাদ পাঠিকার বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা

বেসরকারি চ্যানেল দীপ্ত টিভির সংবাদ পাঠিকা ডা. তৃনা ইসলামের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে একটি মামলা করেছেন তার স্বামী এরশাদ উজ জামান। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে খিলগাঁও থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলায় স্বামী সংগীত শিল্পী এরশাদ উজ জামান অভিযোগ করেন, ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর বাদীর সঙ্গে আসামি তৃনা ইসলামের ইসলামী শরিয়ত মােতাবেক পাঁচ লাখ টাকা দেনমােহর ধার্যে বিবাহ হয়৷ ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট ভিকটিমের ঘরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিবাহের পর থেকে তারা দীর্ঘদিন সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন।

হঠাৎ আসামি তৃনা ইসলাম তাহার চিকিৎসক পেশা পরিবর্তন করে সংবাদ পাঠিকা পেশায় যোগদান করেন। এরপর থেকে মামলার আসামি সংসারের প্রতি উদাসীন দেখাতে থাকেন। সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মামলার আসামি তার জীবনযাপনের নিরাপত্তা স্বরূপ আসামিকে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দিতে বলেন।

সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর মামলার আসামি বাদীকে জানায়, তাকে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক হিসেবে ব্যাংক ডিপােজিট না করে বৈবাহিক সম্পর্ক রাখবেন না এবং বিভিন্ন প্রকার মামলা মােকদ্দমা করে বাদীকে হেনস্থা করবে বলে হুমকি প্রদান করেন। বাদী যৌতুক প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানালে আসামি বাদীকে জানায়, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের অর্থাৎ বৈবাহিক সম্পর্কের দাবি নিয়ে যেন আসামির নিকট বাদী না যায় মর্মে সাফ জানিয়ে দেন।

উল্লেখ্য, ধর্ষণ এবং ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টেলিভিশনের হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে গত ৪ নভেম্বর একটি মামলা করেন ডাক্তার তৃনা ইসলাম।

এসএইচ-১৯/২১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

বৈদ্যুতিক শকে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ফেনীতে দুই বছর আগে প্রতিবন্ধী অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যায় এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। রোববার দুপুরে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ বেগম জেবুন্নেছা এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মো. ইয়াসিন (৩৫) ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহমেদ জানান, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর অটোরিকশাচালক ইয়াসিনের সঙ্গে উপজেলার শিবপুর গ্রামের মোস্তফার মেয়ে শিরিনা আক্তারের বিয়ে হয়। শিরিনা শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।

বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে নগদ দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দেয় শিরিনার পরিবার। কিন্তু তারপরও ইয়াসিন ফের যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে শিরিনার ওপর নির্যাতন চালান। নির্যাতনের বিষয়টি বাবার বাড়িতে জানালে তার ওপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন।

বিয়ের সাড়ে তিন মাস পর ২০১৯ সালের ৬ মার্চ রাতে যৌতুকের জন্য তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিরিনার দুই হাতে ও পেটে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৭ মার্চ ইয়াসিনসহ অজ্ঞাত আরও তিন-চারজনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন শিরিনার মা।

পরে স্বামী ইয়াসিন, শ্বশুর আহসান উল্যা ও শাশুড়ি ফিরোজা বেগমকে আটক করে পুলিশ। ইয়াসিন হত্যার দায় স্বীকার করে ২০১৯ সালের ৮ মার্চ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি ইয়াসিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ওই বছরের ১০ নভেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন হয় বলে জানান হাফেজ আহমেদ।

এসএইচ-১৮/২১/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

গণক স্বামীকে জীবন্ত কবর দিলেন স্ত্রী!

নাগরাজ ছিলেন স্বঘোষিত গণক। হঠাৎ একদিন স্ত্রীর কাছে দাবি করে বসলেন, তাকে যদি জীবন্ত কবর দেওয়া হয় তবে তিনি অমরত্ব লাভ করবেন। স্বামীর কথা মতো স্ত্রী লক্ষ্মী তাকে বসা অবস্থায় জীবন্ত কবর দেন। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভারতের তামিলনাড়ুতে ঘটেছে এ ঘটনা।

ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, নাগরাজ তামিলনাড়ুর করুণানিধি নগরের বাসিন্দা। সৃষ্টি কর্তার সঙ্গে কথা বলেছেন বলে দাবি করতেন তিনি। আরও দাবি করতেন, তিনি দৈব আশীর্বাদ পেয়েছেন। এরপর নিজের বাড়ির উঠানে একটি মন্দির বানান। ভবিষ্যত জানতে লোকজনকে সেখানে আমন্ত্রণ জানান নাগরাজ।

গত ১৬ নভেম্বর বুকে ব্যথা অনুভব করেন নাগরাজ। তিনি স্ত্রীকে ডেকে বলেন, জীবিত থাকা অবস্থাতেই তাকে যেন সমাধিস্থ করা হয়। পরের দিন ঘরের পেছনে মাটি খুঁড়ে তাকে জীবন্ত কবর দেন স্ত্রী।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত শুক্রবার কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরেন নাগরাজের মেয়ে থামি ঝারাসি। পেশায় যিনি একজন প্রযুক্তিবিদ। বাড়িতে ফিরে বাবাকে দেখতে না পেয়ে তার কথা জিজ্ঞেস করেন। এসময় জানতে পারেন তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছে। থামি স্থানীয় পেরাম বক্কম থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ নাগরাজের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

পেরাম বক্কম থানা পুলিশ জানিয়েছে, সমাধিস্থ করার সময় নাগরাজ জীবিত ছিলেন নাকি মারা গিয়েছিলেন তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএইচ-১৭/২১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)