সন্ধ্যা ৭:৩৭
শুক্রবার
১৯ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
৬ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

মামলায় হেরে নিজের সব সম্পত্তি হাতছাড়া হয় যে অভিনেত্রীর!

খুব ছোট বয়স থেকেই অভিনয়ে নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। মায়ের সৌজন্যে স্টুডিওই হয়ে উঠেছিল তার খেলার মাঠ। কখনও স্কুলে যাননি। অথচ অভিনয়-ব্যক্তিত্ব-মানসিকতায় সমসাময়িক অভিনেত্রীদের থেকে অনেকটাই অন্য রকম সারিকা। স্বাধীন এবং দৃঢ়চেতা তিনি। অথচ এই মানুষটিকেই পরবর্তীকালে নিজের উপার্জনের সমস্ত সম্পত্তি খোয়াতে হয়েছিল গৃহপরিচারিকার তথা কাজের বুয়ার কাছে।

তিনি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারিকা। জন্মগত নাম সারিকা ঠাকুর। শৈশবেই দেখেছিলেন বাবা মায়ের বিচ্ছেদ। স্ত্রী, সন্তানের দায়িত্ব নিতে রাজি ছিলেন না সারিকার বাবা। ফলে সারিকাকে ছোট থেকে অভিনয় শুরু করতে হয়। উপার্জনের চাপেই তিনি কোনওদিন স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি।

শিশুশিল্পী হিসেবে সারিকার প্রথম ছবি ‘মাঝলি দিদি’। ছবিতে মেজদিদির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মীনাকুমারী। তার মেয়ে হেমাঙ্গিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সারিকা। এরপর শিশুশিল্পী হিসেবে একাধিক ছবির প্রস্তাব পেতে শুরু করেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবে ছেলের চরিত্রেও অভিনয় করেছেন।

কিন্তু চেহারায় পরিবর্তন আসায় বেশি দিন শিশুশিল্পী হিসেবে কাজ করতে পারেননি তিনি। সারিকা বুঝতে পেরেছিলেন এবার অন্য চরিত্র খুঁজতে হবে। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই নায়িকা হয়ে যান তিনি। ১৯৭৫ সালে রাজশ্রী প্রোডাকশনের মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘গীত গাতা চল’-এ সচিনের নায়িকা হয়েছিলেন সারিকা। প্রথম ছবিতেই সচিন-সারিকা হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি।

সারিকা তার মায়ের সঙ্গেই থাকতেন। তিনি কোন ছবি করবেন কোনটা নয়, সবই সিদ্ধান্ত নিতেন তার মা। সচিনের সঙ্গে সারিকার সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। সারিকা বিয়েও করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু মায়ের হস্তক্ষেপে সেটা হয়ে ওঠেনি।

সারিকার জীবন পুরোপুরি মায়ের নিয়ন্ত্রণে চলছিল। যত সময় এগিয়েছে সারিকা ক্যারিয়ারে আরও উন্নতি করেছেন, আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। প্রচুর টাকাও উপার্জন করেছিলেন তিনি। কিন্তু সবই ছিল মায়ের অধীন।

সারিকার মা শুধু তাকে নিয়ন্ত্রণই করতেন না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের ওপর নির্যাতনও শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ। প্রথমে বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু মেয়ের বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খ্যাতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যেও সারিকাকে বিভিন্ন সময়ে হেনস্থা করতে শুরু করেছিলেন।

একবার প্রকাশ্যে অনুরাগীদের সামনেই চড় মেরেছিলেন মেয়ে সারিকাকে। সহ্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল সারিকার। ওই দিনই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন তিনি। মাত্র ২১ বছর বয়সে মায়ের ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে একা থাকতে শুরু করেন। কোনও টাকাপয়সা না নিয়ে একবস্ত্রে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। প্রথম কয়েক দিন নিজের গাড়িতে প্রায় ভবঘুরে জীবন কাটিয়ে ধীরে ধীরে থিতু হন একাকী জীবনে।

থাকার জন্য মুম্বাইয়ে ঘর খুঁজছিলেন তিনি। যে সমস্ত ব্রোকারদের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল এ নিয়ে তারাই তাকে এমন একটি খবর দিয়েছিলেন যা একেবারেই অজানা ছিল সারিকার। তারা জানিয়েছিলেন, যে এলাকায় থাকার জন্য ঘর খুঁজছিলেন তিনি, সেখানেই নাকি ছয়টি ফ্ল্যাট কেনা রয়েছে তার! খোঁজ নিয়ে সারিকা জানতে পেরেছিলেন এত দিন উপার্জন করে যে টাকা তিনি মায়ের হাতে তুলে দিতেন সে সব দিয়েই তার মা নিজের নামে এই ফ্ল্যাটগুলো কিনেছিলেন।

সারিকা তখন এই নিয়ে মাকে কিছুই বলেননি। মায়ের মৃত্যুর পর তিনি ফ্ল্যাটগুলো নিজের অধিকারে নিতে যান, তখন আরেক সমস্যায় পড়েন। জানতে পারেন, সমস্ত সম্পত্তি তার মা এক কাজের বুয়ার নামে লিখে দিয়েছিলেন। শেষ জীবনে মায়ের দেখভাল করতেন ওই বুয়াই। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন সারিকা। কিন্তু কোনও সম্পত্তিই তিনি হাতে পাননি। তার উপার্জনের ওই সমস্ত সম্পত্তি সেই গৃহপরিচারিকা নিয়ে নেন।

পরবর্তীকালে অভিনয় সূত্রে সুপারস্টার কমল হাসানের সঙ্গে আলাপ সারিকার। ক্রমে আলাপ থেকে প্রণয়। তখন কমল হাসান আর বাণী গণপতির দাম্পত্যের বয়স এক দশকের কাছাকাছি। সব জেনেই কমলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সারিকা। দু’জনের কেউ তাদের সম্পর্ক গোপনও করেননি। কয়েক বছর লিভ ইন সম্পর্কে থাকার পর তারা বিয়েও করেন। দুই মেয়ে শ্রুতি এবং অক্ষরার জন্মও দেন তিনি। কিন্তু সবাইকে হতবাক করে তাদের ১৬ বছরের দাম্পত্য ভেঙে যায় ২০০৪ সালে।

কমলকে বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচ্ছেদের পর ফের নতুন করে অভিনয়ের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন। সারিকা বরাবরই সামনে তাকিয়ে চলতে পছন্দ করেন। ঘটে যাওয়া কঠিন সত্যকে আঁকড়ে বিষাদে ভাসতে রাজি নন তিনি। জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস-এও তাই সাফল্য পেয়েছেন। ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পারজানিয়া’ ছবিতে পার্সি মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার পান সারিকা। তার পরের কয়েক বছরে ‘ভেজা ফ্রাই’, ‘মনোরমা সিক্স ফিট আন্ডার’, ‘যাব তক হ্যায় জান’, ‘পুরানি জিন্স’, ‘বার বার দেখো’ ছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়।

সারিকা শুধুমাত্র অভিনেত্রীই নন, পাশাপাশি আজ তিনি একজন সফল কস্টিউম ডিজাইনার, সাউন্ড জিজাইনার এবং সহকারী পরিচালকও।

এসএইচ-০২/২২/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

৩৭ বছর আগের বোতলবার্তা

জাপানের টোকিওর পূর্বে চিবায় কোশি হাইস্কুলের ন্যাচারাল সায়েন্স ক্লাবের সদস্যরা ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে ৭৫০টি বোতল সমুদ্রে ছাড়েন। তাদের লক্ষ্য ছিল সমুদ্রের স্রোত নিয়ে অনুসন্ধান চালানো।

তারা বোতলের মধ্যে ইংরেজি, জাপানি ও পর্তুগিজ ভাষায় কিছু বার্তা লিখে দিয়েছিলেন। তাদের সেই বোতলবার্তা ছয় হাজার কিলোমিটার দূরে হাওয়াইতে খুঁজে পাওয়া গেছে।

সেখানে লেখা ছিল, কেউ যদি এই বোতল পান, তিনি যেন বার্তা প্রেরকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসব বোতল ফিলিপাইন, কানাডা ও আলাস্কার দিকে ভেসে যায়। এর আগে ২০০২ সালে ৫০তম বোতলটির সন্ধান পাওয়া যায় জাপানের দক্ষিণাঞ্চলে।

গত জুন মাসে হাওয়াই অঞ্চলে ৯ বছর বয়সী এক শিশু ৫১তম বোতলটি খুঁজে পায়। জাপানের স্কুলটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল জুন হায়াসি বলেন, আমি আশ্চর্য হয়েছি। ১৯ বছর আগে সবশেষ বোতলটি পাওয়া যায়। তাই ভেবেছিলাম বোতলগুলো হারিয়ে গেছে। আর কোনো বোতল পাওয়া যাবে, তা ভাবিনি। সব কটি ডুবে গেছে ভেবেছিলাম। ৫১তম বোতলটি খুঁজে পাওয়া সত্যিই রোমাঞ্চকর।

কেউ হয়তো ৫২তম বোতলটিও খুঁজে পাবেন। ৫১তম বোতলটি যে শিশু খুঁজে পেয়েছে, তার নাম অ্যাবি গ্রাহাম। জাপানের স্কুলের দুজন শিক্ষার্থী তাকে একটি চিঠি ও ছোট পতাকা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

এসএইচ-০১/২২/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সম্প্রচারে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে আট দিন

সৌর ব্যতিচারের কারণে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত আট দিন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সম্প্রচার কার্যক্রমে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) জানিয়েছে, প্রতিদিন সকালে (সকাল ৯টা ২৮ মিনিট থেকে ৯টা ৪৩ মিনিটের মধ্যে) এ সমস্যা হতে পারে।

বিএসসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌর ব্যতিচারের (সান আউটেজ) কারণে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সম্প্রচার কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটতে পারে।

২৯ সেপ্টেম্বর ৫ মিনিট, ৩০ সেপ্টেম্বর ১০ মিনিট, ১ অক্টোবর ১৪ মিনিট, ২ অক্টোবর ১৫ মিনিট, ৩ অক্টোবর ১৫ মিনিট, ৪ অক্টোবর ১৪ মিনিট, ৫ অক্টোবর ১২ মিনিট ও ৬ অক্টোবর ১০ মিনিটের জন্য এই সমস্যা হতে পারে।

প্রাকৃতিক কারণে ঘটিত এ সাময়িক বিঘ্নের জন্য বিএসসিএলের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

স্যাটেলাইট যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন স্যাটেলাইট, সূর্য ও আর্থ স্টেশন একই সমান্তরালে চলে আসে তখন সূর্যের প্রচণ্ড উত্তাপে একটি গোলমাল (নয়েজ) তৈরি। একে বলা হয় থার্মাল নয়েজ। এর কারণে স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীতে সিগন্যাল পৌঁছাতে কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়- এ বিষয়কে বলা হয় সান আউটেজ।

এ বিষয়ে সময় টেলিভিশনের সম্প্রচার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধান কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সেলিম জানান, ওই সময়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টিভি সম্প্রচার কিংবা ডাটা কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সেবা বিঘ্নিত হয়। এ রকমভাবে স্যাটেলাইট, সূর্য ও আর্থ স্টেশন একই সমান্তরালে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট পর্যন্ত অবস্থান করে থাকে। সাধারণত প্রতিটি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে এ ধরনের ঘটনা বছরে দুইবার ঘটে থাকে, তবে কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রমও হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ। এটি ১১ মে ২০১৮ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ।

এসএইচ-৩৩/২১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ক্লাস বাড়ছে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের

আগামী সপ্তাহ থেকে প্রাথমিক স্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসও সপ্তাহে দুই দিন করার কথা জানা গেছে। বর্তমানে এসব শ্রেণিতে সপ্তাহে এক দিন করে ক্লাস চলছিল।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মঙ্গলবার এ বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান আদেশ দিয়ে বিষয়টি জানানো হবে।

এর আগে গত সোমবার থেকে মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ক্লাস এক দিন করে বাড়িয়ে সপ্তাহে দুই দিন করা হয়। ওই সময় থেকেই প্রাথমিক স্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসও এক দিন করে বাড়ানোর কথা ভাবা হয়। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায়।

দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। আর অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে এক দিন করে হলেও এখন তা পর্যায়ক্রমে বাড়া নো কথা চিন্তা করা হচ্ছে।

মাধ্যমিকে যেদিন যেসব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে, সেদিন তাদের দুটি করে ক্লাস হচ্ছে। আর প্রাথমিকে তিনটি করে ক্লাস হচ্ছে। তবে শিশু শ্রেণি, নার্সারি ও কেজি শ্রেণির মতো প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শ্রেণিকক্ষের ক্লাস আপাতত বন্ধ রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে শিক্ষার নতুন কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রসার করা হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক বা বাণিজ্য এমন কোনো বিভাগ থাকবে না। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা রাখছি না আমরা।

শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘শিক্ষা: ২০৪১ সালের লক্ষমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মূল্যায়নের পদ্ধতি বদলে ফেলা হয়েছে। শুধু পরীক্ষা-পরীক্ষা-পরীক্ষাই করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের পুরো পড়ালেখা পরীক্ষার সনদের মধ্যে আটকে গেছে। পরীক্ষা কেন? একজন শিক্ষার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা দেখার জন্য। সেই দক্ষতা, যোগ্যতা দেখার তো আরও অনেক পদ্ধতি আছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার ভারে শিক্ষাজীবন কাটায় শিক্ষার্থীরা। এটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থায় জোর দিচ্ছি। সামগ্রিক মূল্যায়নের গুরুত্ব কমে যাবে। এতে করে কেবল পরীক্ষার আগে লেখাপড়া করার পরিবর্তে নিয়মিত শিক্ষায় মনোযোগী হবে শিক্ষার্থীরা।

এক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।

বলেন, আমাদের লক্ষ্য পড়াশোনার মধ্যে আনন্দ নিয়ে আসা। পড়াশোনা যাতে চাপে রূপ না নেয়।

এসএইচ-৩২/২১/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)

বিয়ে করে চাকরি হারালেন পোশাক শ্রমিক দম্পতি!

পরিবারের সম্মতি নিয়ে বিয়ে করলেও চাকরি হারালেন প্রাপ্ত বয়স্ক পোশাক শ্রমিক নবদম্পতি মোমিনুল ইসলাম শামীম ও লিমা আক্তার। আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন ওই নবদম্পতি।

শামীম কারখানার সুপারভাইজার হিসেবে প্রায় আট বছর যাবত কাজ করতেন। আর তার স্ত্রী লিমা চার মাস ধরে কাজ করছিলেন। তাদের দু’জনেরই বাড়ি রংপুর জেলায়। মঙ্গলবার কথা হয় ওই নবদম্পতির সাথে। এ সময় তারা জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর কারখানাটির পাশেই তাদের বাসস্থানে বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরদিন ১৮ সেপ্টেম্বর সকালে কারখানায় গেলে কাজ করা অবস্থায় তাদের ডেকে নিয়ে চাকরি ছেড়ে দিতে বলা হয়।
এ অবস্থায় তারা চাকরি ছাড়তে অস্বীকার করেন।

শামীম বলেন, ‘আমরা দু’জন বিয়ে করেছি। এটা কী আমাদের অপরাধ? বিয়ের পরদিন নিয়মিতভাবে দু’জনেই কারখানায় যাওয়ার একটু পরই আমাদের অ্যাডমিন (প্রশাসন বিভাগ) কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখানে নানাভাবে আমাদের অপমান করা হয়। শেষ মেষ চাকরি ছাড়তে দু’জনকেই রিজাইন লেটারে স্বাক্ষর দিতে বলা হয়। আমরা কেউ স্বাক্ষর দেইনি। তবে আমাদের পরিচয়পত্রগুলো (আইডি কার্ড) রেখে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ আট বছর যাবত আমি এ কারখানায় কাজ করছি। কখনো কারখানা কর্তৃপক্ষ আমার কাজের সমস্যা ধরতে পারেনি। হঠাৎ শুক্রবারে বিয়ে করার পর আমাকে ও লিমাকে ডেকে চাকরি ছাড়তে বলা হয়। আমার ও লিমার যত পাওনাদি পাই, তার কিছুই দেওয়া হয়নি।

লিমা আক্তার বলেন, চার মাস যাবত কারখানায় সহকারী অপারেটর হিসেবে কাজ করি। কখনো শুনিনি যে বিয়ে করলে আর চাকরি করা যায় না! আমরা এক অফিসের ভেতরে দুই জন বিয়ে করেছি, এটাতে তো আরও অফিস খুশি থাকার কথা। উল্টো আমাদের দু’জনকে বের করে দেওয়া হলো কারখানা থেকে।

এসব বিষয়ে ওই কারখানার প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ বলেন, শামীম আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। তার কারণে কারখানার কর্ম পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। মূলত তিনি একজন সুপারভাইজার। তিনি তার দায়িত্বে থাকা শ্রমিককে কী করে বিয়ে করেন? এ কারণে তাকে ও তার বর্তমান স্ত্রী লিমাকে চাকরি ছাড়তে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা তা না করে উল্টো রাগ করে কারখানা থেকে বেব হয়ে গেছেন। এখন চাকরি না ছাড়লে তো আর পাওনাদি পাবেন না তারা।

জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বলেন, একজন ব্যক্তি কাকে বিয়ে করবেন, কখন বিয়ে করবেন সেটা কি কোম্পানি থেকে জেনে নিয়ে বিয়ে করতে হবে? এই অধিকার তো বাবা-মাও রাখেন না। আর ওই কারখানার শ্রমিক কারখানার অনুমতি ছাড়া বিয়ে করার অপরাধে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই চাকরিচ্যুত করলেন কারখানা মালিকপক্ষ। এটা অন্যায়।

এসএইচ-৩১/২১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

কোহলিদের নিয়ে দীপিকার ১১ বছর আগের টুইট ভাইরাল!

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর (আরসিবি) ম্যাচ মানেই দর্শক আসনে বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। বছর দশক আগে এটাই ছিল স্বাভাবিক ছবি।

আরসিবির অন্যতম অনুরাগী ছিলেন এ অভিনেত্রী। ওই সময় আরসিবিকে নিয়ে নানা পোস্টও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন দীপিকা। সেই ১১ বছর আগে দীপিকার করা একটি টুইট হঠাৎ করেই ভাইরাল হয়েছে। কেন?

সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) বিরুদ্ধে মাত্র ৯২ রানে শেষ হয়ে যায় আরসিবির ইনিংস। তার পরেই দীপিকার ১১ বছর আগে করা ওই টুইট ভাইরাল হয়েছে। ২০১০ সালের ১৮ মার্চ টুইটটি করেছিলেন দীপিকা। টুইটে বলিউড অভিনেত্রী লেখেন, ‘৯২!!! এটা একটা স্কোর? চলো আরসিবি, তোমাদের সঙ্গে প্রতিটা মুহূর্ত সরাসরি দেখছি।’

সেই দিন রাজস্থান রয়্যালস এবং আরসিবির মধ্যে ম্যাচ ছিল। রাজস্থান প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯২ রানে শেষ হয়ে যায়। কোনো উইকেট না হারিয়ে অনায়াসেই সেই রান তুলে নিয়েছিল আরসিবি। সোমবার যদিও দিনটা আরসিবির ছিল না। ৯২ রানে অল আউট হয়ে যান কোহলিরা। এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০ ওভারে সেই রান তুলে জয় নিশ্চিত করে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

কলকাতার বিরুদ্ধে হারলেও লিগ টেবিলে তিন নম্বরেই রয়েছে আরসিবি। আট ম্যাচে ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে তারা। নক আউট পর্বে যেতে হলে প্রথম চারের মধ্যে থাকতেই হবে কোহলিদের। এবারের আইপিএলেই আরসিবিকে শেষবারের মতো নেতৃত্ব দেবেন তিনি। ভারতের টি২০ দলের নেতৃত্ব ছাড়ার পর আরসিবির নেতৃত্ব ছাড়ার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি।

এসএইচ-৩০/২১/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

চট্টগ্রাম নগরীতে দিনে ১৫ ডিভোর্স!

গত দেড় বছরের বেশির ভাগ সময় করোনা পরিস্থিতির জন্য ঘরবন্দী ছিল মানুষ। তার আগের বছরগুলোতে ব্যস্ত থাকা লোকগুলোর কাছে সুযোগ আসে পরিবারকে সময় দেওয়ার। কিন্তু টানা ঘরে থাকতে থাকতে হিতে বিপরীত হয়। অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যায় সাংসারিক নানা জটিলতা। এর মধ্য দিয়ে ভাঙছে সংসার।

অবশ্য গত কয়েক বছর ধরেই সারা দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছিল বিয়েবিচ্ছেদের ঘটনা। ব্যতিক্রম ছিল না চট্টগ্রামও। তবে করোনাকালের কঠিন সময়ে বৃদ্ধির গতি ছিল বেশি।

যেমন চলতি বছরের প্রথম সাড়ে আট মাসে নগরে দৈনিক ১৫টি বিয়েবিচ্ছেদের আবেদন জমা পড়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সালিসি আদালতে। যা ২০২০ সালে ছিল ১৩টি। ওই বছরও করোনার জন্য বেশিরভাগ সময় ঘরবন্দী থাকতে হয়েছে লোকজনকে।

এর আগে ২০১৪ সালে দৈনিক ৮টি, ২০১৫ সালে ৯টি, ২০১৬ সালে ও ২০১৭ সালে ১০টি করে, ২০১৮ সালে ১১টি এবং ২০১৯ সালে ১২টি আবেদন জমা পড়েছে। চলতি বছরের এখনও সাড়ে তিন মাস বাকি। ধারণা করা হচ্ছে, এ সংখ্যা আরও বাড়বে।

করোনাকালে বাধ্য হয়ে ঘরবন্দী থাকার সময় স্বামী-স্ত্রীর দোষ-ত্রুটি সহজেই একে অপরের চোখে পড়ছে। অন্য ব্যস্ততা না থাকায় পরস্পরের দোষ-ত্রুটি ভুলে থাকার মাধ্যমে সমঝোতার পথও এসময় সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে বেড়েছে বিচ্ছেদের ঘটনা। অবশ্য মানসিক চাপের পাশাপাশি করোনাকালে অর্থনৈতিক সংকট ও সামাজিক চাপও সংসার ভাঙার জন্য দায়ী।

সিটি কর্পোরেশনের সালিসি আদালতে ২০১৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ৩ হাজার ২৬৮ জন আবেদন করে। চলতি বছর প্রথম আট মাসেই তা ছাড়িয়ে গেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন হাজার ৫৭২ জন আবেদন করেন। অর্থাৎ গড়ে প্রায় ১৫টি আবেদন পড়েছে। ওই ধারা অব্যাহত থাকলে সাত বছরের ব্যবধানে বিয়ে ভাঙার হার প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

এছাড়া ২০১৫ সালে তিন হাজার ৪৮৬ জন, ২০১৬ সালে তিন হাজার ৯৬১ জন, ২০১৭ সালে তিন হাজার ৯২৮ জন, ২০১৮ সালে চার হাজার ৩৩১ জন, ২০১৯ সালে ৪ হাজার ৫৫০ জন এবং ২০২০ সালে চার হাজার ৮৫৪ জন আবেদন করেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সালিশি আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস বলেন, নানা কারণে সংসার ভাঙছে। উচ্চ, মধ্য ও নিম্নবিত্ত- সব ক্ষেত্রেই সংসার ভাঙার ঘটনা ঘটছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বিয়েবিচ্ছেদের প্রবণতা বেশি।

তিনি বলেন, মাদকাসক্তি, মোবাইল ফোনে আসক্তি, বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই মূলত বিয়েবিচ্ছেদের হার ও প্রবণতা বাড়ছে। মানুষের মধ্যে সহনশীলতা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাবেও বিয়েবিচ্ছেদ ঘটছে। এছাড়া, অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও বিয়ে ভাঙার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। বরপক্ষের যৌতুকের চাপ ও কনেপক্ষের দেনমোহরের চাপও এর জন্য দায়ী।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সালিশি আদালতে জমা দেওয়া বিয়েবিচ্ছেদের আবেদনগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিয়েবিচ্ছেদে ইচ্ছুক স্বামী বা স্ত্রীকে তার সিদ্ধান্তের কথা লিখিতভাবে প্রথমে সিটি করপোরেশনের মেয়রকে জানাতে হয়। যাকে তালাক দিতে ইচ্ছুক তাকেও সেই নোটিশ পাঠাতে হয়। আবেদন পাওয়ার পর মেয়র নোটিশটি সালিশি আদালতে পাঠিয়ে দেন।

আদালতে মেয়রের পক্ষে নিযুক্ত থাকেন স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ)। আদালত বিবাহবিচ্ছেদ কার্যকর করার আগে স্বামী-স্ত্রী দুই পক্ষকে তিন মাসে তিনবার নোটিশ দেন। দুই পক্ষের কোনো পক্ষ বা দুই পক্ষই হাজির হলে সমঝোতার চেষ্টা করেন আদালত। কিন্তু সমঝোতা না হলে আইন অনুযায়ী, ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হয়ে যায়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সালিশি আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) জাহানারা ফেরদৌস আরও বলেন, করোনাকালে বিচ্ছেদের হার বেড়েছে। এর অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। করোনার কারণে দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে হয়তো একে অন্যের দোষ-ত্রুটি মেনে নিতে পারছেন না। এ কারণেও বিয়ে ভাঙছে। বাস্তবতা হলো মানুষের মধ্যে সহনশীলতা অনেক কমে গেছে। অনেক সময় তালাকের আবেদন করলেও দুই পক্ষকে বুঝিয়ে সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেটার হার খুবই কম।

করোনাকালে বিয়েবিচ্ছেদ বাড়ছে মূলত চারটি কারণে, এমনটিই বলছেন বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

তিনি বলেন, অর্থ সংকট, বাল্যবিয়ে, বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারের কারণে সমাজে বিয়েবিচ্ছেদ বাড়ছে। এ প্রবণতা সামনে আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন এ সমাজবিজ্ঞানী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। করোনাকালে শহর থেকে মানুষ গ্রামে ছুটছে। সেখানে গিয়ে মেয়েদের নিদিষ্ট বয়সের আগেই বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অল্প বয়সে সংসার জীবনে মানিয়ে নিতে পারছে না মেয়েরা। ফলে বিয়েবিচ্ছেদ বাড়ছে। মেয়েরা বাল্যবিয়ের কারণে মনস্তাত্ত্বিক দূরত্ব কাটিয়ে উঠতে পারছে না।

উচ্চবিত্ত হোক আর নিম্নবিত্ত হোক, সব আবেদনের ভাষা প্রায় একই। নারীদের বিয়েবিচ্ছেদের আবেদনের প্রধান কারণগুলো হচ্ছে, যৌতুকের জন্য নির্যাতন, অন্য নারীর সঙ্গে স্বামীর সম্পর্ক বা দ্বিতীয় বিয়ে, মতের বনিবনা না হওয়া, শাশুড়ির সঙ্গে দ্বন্দ্ব, স্বামীর মাদকাসক্তি, চাকরি করতে না দেওয়া বা স্বাবলম্বী হতে বাধা দেওয়া ইত্যাদি।

পুরুষের বিয়েবিচ্ছেদের আবেদনের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে, অন্য পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক, সংসারে মানিয়ে না চলা, স্বামীর কথা না শোনা, যৌথ পরিবারে থাকতে না চাওয়া, সন্তান না হওয়া, শ্বশুর ও স্বামীর নিকটাত্মীয়ের প্রতি সম্মান না দেখানো ইত্যাদি। অনেক ক্ষেত্রে দেনমোহরের লোভেও বিয়ের কয়েক মাস না যেতেই স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

আবেদনের পর সমঝোতার মাধ্যমে সংসার টিকে যায়, এমন উদাহরণ খুবই কম। আবেদনকারীদের অধিকাংশই নারী। মাদকাসক্তি, মোবাইল ফোনে আসক্তি, বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই মূলত বিয়েবিচ্ছেদের হার ও প্রবণতা বাড়ছে। মানুষের মধ্যে সহনশীলতা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাবেও বিয়েবিচ্ছেদ ঘটছে। এছাড়া, অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও বিয়ে ভাঙার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। বরপক্ষের যৌতুকের চাপ ও কনেপক্ষের দেনমোহরের চাপও এর জন্য দায়ী।

এসএইচ-২৯/২১/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

আয়া পদে চাকরি নিলেন এমএ পাস নারী!

পিরোজপুরের নাজিরপুরে শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়া পদে চাকরি করছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পাস করা সাবরিনা আক্তার।

তিনি স্থানীয় সাইদুল ইসলাম শিকদারের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের শেখমাটিয়া গ্রামের ওমেদ আলী শেখের কন্যা। এমন বিরল ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দাস জানান, গত ১৯ জুলাই ওই নারী তার বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (আয়া পদ) হিসেবে চূড়ান্তভাবে মনোনীত হন। পরে জানতে পারেন তিনি ২০১৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) পাস করেছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহিদুল ইসলাম বলেন, ওই নারী তার জীবিকার তাগিদে শিক্ষাগত যোগ্যতার সর্বোচ্চ তথ্য গোপন রেখে আবেদন করেন ও চাকরিতে নির্বাচিত হওয়ার পর তা আমরা জানতে পারি।

এ বিষয়ে সাবরিনা আক্তার বলেন, জীবিকার তাগিদে চাকরি নিয়েছি। আমি আমার পদ ও পেশাকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে কাজ করতে চাই।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. কাউয়ুম হোসেন বলেন, ওই নারীর নিয়োগের বেশ কিছুদিন পর তার শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য আমার কাছে আসে।

এসএইচ-২৮/২১/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুল-কলেজ খুলে দিয়েছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় পিছিয়ে যাওয়া চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ১০ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শুরু করার পরিকল্পনা করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।

এবিষয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত এমন পরিকল্পনা আছে। তবে এখনো পরীক্ষা শুরুর কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ঠিক হয়নি। পরিস্থিতির কারণে এ পরিকল্পনায়ও কিছু ব্যত্যয় হতে পারে।

করোনার কারণে এ বছর শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা হবে। পরীক্ষার সময় ও নম্বর কমিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ে কোনো পরীক্ষা হবে না। জেএসসি ও সমমান এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘বিষয় ম্যাপিং’ করে আবশ্যিক ও চতুর্থ বিষয়ের নম্বর দেওয়া হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সূত্রমতে, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ২২ লাখের মতো। আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ১৪ লাখের কিছু বেশি। গতবারের চেয়ে এবার এইচএসসি ও সমমানে পরীক্ষার্থী বেড়েছে।

করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছর এসএসসি-এইচএসসি সহ কোনো সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তখন পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, মহামারি করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে দফায় দফার বন্ধ বাড়িয়ে চলতি মাসের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়।

এসএইচ-২৭/২১/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)

চুড়ি-ফিতা বিক্রেতা মৌসুমী!

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আরিফা পারভিন মৌসুমী। ফিল্ম ক্যারিয়ারে দুই যুগ পার করেছেন। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। পর্দায় গল্পের প্রয়োজনে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে তাকে। এবার তিনি সেজেছেন চুড়ি-লেইসফিতা বিক্রেতা।

মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন পরিচালিত ‘ভাঙন’ সিনেমায় তাকে এই চরিত্রে দেখা যাবে।২০২০-২১ অর্থ বছরে সিনেমাটি সরকারি অনুদান পায়।

একটি রেলস্টেশনে এসে জড়ো হওয়া কিছু প্রান্তিক ও ছিন্নমূল মানুষের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি।

সম্প্রতি ‘ভাঙন’ সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে। গত ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর শুটিংয়ে অংশ নেন মৌসুমী। আগামী ৬ অক্টোবর থেকে এফডিসিতে এর দৃশ্যধারণ শুরু হবে বলে জানান নির্মাতা। মৌসুমী ছাড়াও এই সিনেমায় আরো আছেন ফজলুর রহমান বাবু, প্রাণ রায়, মির্জা আফরীন, খলিলুর রহমান কাদেরীসহ অনেকে।

এ ছাড়াও মৌসুমী যুক্ত হয়েছেন ‘দেশান্তর’ নামের আরেকটি সিনেমায়।এটিও সরকারি অনুদানের সিনেমা।এটি পরিচালনা করছেন আশুতোষ সুজন।

এসএইচ-২৬/২১/২১ (বিনোদন ডেস্ক)