বিকাল ৫:২৪
বৃহস্পতিবার
২৮ শে মার্চ ২০২৪ ইংরেজি
১৪ ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৮ ই রমজান ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

জার্মান রাষ্ট্রদূত ১০ সেকেন্ডে এক হাঁড়ি দই শেষ করলেন!

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার ঢাকার মিষ্টি দই খেয়ে মুগ্ধ হয়েছেন। মাত্র মাস খানেক হয়েছে রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার ঢাকায় এসেছেন।

এরই মাঝে কেউ তাকে মিষ্টি দই খাইয়ে মন জয় করে নিয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত নিজেই হাড়ি ভর্তি লোভনীয় দইয়ের ছবি টুইটারে পোস্ট করে লিখেছেন, “ঢাকায় মোটা হওয়া থেকে বাঁচার কোন সুযোগ নেই। জীবনে প্রথমবারের মতো কেউ মিষ্টি দই খাওয়ালো। কি যে সুস্বাদু!!”

এর কিছুক্ষণ পরই দইশূন্য খালি হাড়ির আরেকটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “১০ সেকেন্ড পরে”।

এর আগে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাকরখানি খেয়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেন। বাকরখানি খাওয়ার ছবিও তিনি শেয়ার করেছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে।

এসএইচ-১০/১২/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

হাঁটুপানি মাড়িয়ে এসে ক্লাস করলো ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ছাতুনামা মধ্যচর সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়টি অবশেষে সংস্কার করা হয়েছে। ১১ বছর আগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলটিতে আবার আগের মতো স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। তবে ক্লাসে আসতে শিক্ষার্থীদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।

রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, জরাজীর্ণ সেই টিনের ঘরটি সংস্কার করা হয়েছে। মেঝে মাটি দিয়ে উঁচু করা হয়েছে। ঘরটিকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এর দুটি ব্যবহার হচ্ছে ক্লাসরুম হিসেবে আর একটি করা হয়েছে শিক্ষকদের অফিসরুম। স্কুলের পাশে বসানো হয়েছে একটি টয়লেট। এছাড়া স্থাপন করা হয়েছে টিউবওয়েল।

এর আগে প্রাথমিক এই স্কুলটির নাজুক অবস্থা তুলে ধরে প্রতিবেদন ছাপানো হয় জাগোনিউজ২৪.কম-এ। এর পরপর বিষয়টি নজরে আসে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের।

স্কুলে আসতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মেঘনা, নাজনীন, মরিয়ম, পারভেজ, আরিফ বাদশা, শাহিনুরসহ অনেকেই। তাদের দাবি, বন্যা-কবলিত এ এলাকার স্কুলটির যেন দ্রুত উন্নয়ন হয়। কেননা স্কুলে আসার কষ্ট তাদের দীর্ঘদিনের। নৌকায় করে কিংবা পানিতে ভিজে স্কুলে আসতে হয় তাদের। স্কুলে আসা-যাওয়ার রাস্তাটিই এখন তাদের প্রথম চাওয়া।

স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লোপা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশে স্কুলটি সংস্কার করা হয়েছে। আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রথমদিন ক্লাসও হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, স্কুলটি এমন জায়গায় অবস্থিত যেখানে বছরের ছয় মাস পানি না পেরিয়ে স্কুলে আসা সম্ভব নয়। এবার এ স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে ২৬ জনের নাম নিবন্ধন করা হয়েছে। আশা করছি প্রত্যেকে ভালো করবে। তবে স্কুলে যাতায়াতের কষ্ট শুধু শিক্ষার্থীদের তা, শিক্ষকদেরও একই ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

এসএইচ-০৯/১২/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

বিশ্বকাপ ও আইপিএল নিয়ে যা বললেন সাকিব

টানা তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ দলের এবারের মিশন বিশ্বকাপ। তবে তার আগে দলের সেরা তারকা সাকিবের চোখ আইপিএলে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএলের বাকি অংশে যোগ দিতে কয়েক দিনের মধ্যেই দেশ ছাড়বেন তিনি।

বিশ্বকাপের ভেন্যুগুলোতেই চলবে আইপিএল যুদ্ধ। কন্ডিশন, উইকেট সবই এক। তাই বিশ্বকাপের আগে আইপিএল কেমন কাজে লাগবে সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। শনিবার রাতে ঢাকায় একটি টাইলস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সময় সাকিব জবাব দিলেন সেই প্রশ্নের।

বললেন, ‘আশা করি আইপিএলে খেলা বিশ্বকাপে সাহায্য করবে। সেই অভিজ্ঞতা আমরা দলের সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারব; আমি পারব, মুস্তাফিজ পারবে। আটটি আইপিএল দলে আমরা দু’জন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, খেলোয়াড়দের ভাবনা কেমন, বিশ্বকাপ নিয়ে কীভাবে ভাবছে অন্য দেশের খেলোয়াড়রা— এসব সম্পর্কে ধারণা হবে, যা সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেব।’

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে সাকিব বললেন, ‘আমাদের প্রস্তুতিটি খুবই ভালো হয়েছে। গত তিনটি সিরিজ আমরা জিতেছি। উইকেট নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু জয়ের কোনো বিকল্প নেই। একটা দল যখন জিততে থাকে, জয়ের মানসিকতা থাকে, তা অন্য পর্যায়ের আত্মবিশ্বাস জোগায়।

অনেক ভালো খেলেও ম্যাচ হারলে আত্মবিশ্বাস থাকে না। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বিশ্বকাপে যেতে চাই। এখানকার উইকেট-কন্ডিশন ওখানে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। আমাদের জয়ের মানসিকতা তৈরি হয়েছে। আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে যাব।’

এসএইচ-০৮/১২/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করা প্রার্থীর চাকরির বাজারে কদর কম

বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে আছে বলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এক গবেষণায় দেখা দেখা গেছে৷ তারা বলছেন, তাদের ৬৬ ভাগ বেকার থাকেন৷

এই গবেষণার যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘‘তবে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করতে হবে৷ আমাদের আরো বহুদূর যেতে হবে৷ আর শিক্ষাবিদরা বলেছেন, অন্যান্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান তত ভালো নয়৷ তবে এর আরো অনেক কারণ আছে৷ চাকরিদাতারাও তাদের সাধারণ ধারণা থেকে মনে করেন তাদের মান খারাপ৷ তাই তারা অবমূল্যায়িত হন৷”

বিআইডিএস জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৫৪টি সরকারি ও বেসরকারি কলেজের ২০১৭ সালে অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করা এক হাজার ৬৩৯ জন শিক্ষার্থী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ২০২ জন এবং ২৩৩ জন চাকরিজীবীর মধ্যে এই জরিপ পরিচালনা করে মোবাইল ফোনে৷ জরিপে দেখা যায় স্নাতক পাশ করা শতকরা ৬৬ জন বেকার৷ যারা বেকার তাদের মধ্যে ৬২ ভাগই ব্যবসায় প্রশাসন থেকে পাস করা৷ যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের গড় বেতন ৩০ হজার টাকা৷

জরিপে এই পরিস্থিতির জন্য প্রধানত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানকে দায়ী করা হয়েছে৷ বলা হয়েছি তাদের আরো দক্ষ করে তুলতে হবে৷

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এখন ২৯ লাখের মত শিক্ষার্থী আছেন৷ আর অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দুই হাজার ২০০৷ এরমধ্যে ২৭৯টি সরকারি কলেজ৷ অনার্স পড়ানো হয় এমন সরকারি ও বেসরকারি কলেজের সংখ্যা ৫৫৭টি৷ বেসরকারি কলেজে অনার্সের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় কলেজের মান যাচাইয়ের জন্য সম্প্রতি ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে৷ কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর এব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ মনে করেন, ‘‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পাশ করা শিক্ষার্থীরা যে অনেক কম চাকরি পাচ্ছেন তার জন্য মান অবশ্যই একটি প্রধান কারণ৷ তবে সেজন্য ভালো শিক্ষক, অবকাঠামো এবং পরিবেশ প্রয়োজন৷ যে শহরে আসতে পারেনা সে গ্রামের একটি কলেজে অনার্স পড়ে৷ তার নিজের আর্থিক সক্ষমতাও কম৷ তেমনি এইসব কলেজে সরকারের বিনিয়োগও কম৷ আবার অনেকে প্রয়োজন না থাকলেও যেকোনো একটি বিষয়ে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষা নেয়৷ শিক্ষকদের মান নিয়েও প্রশ্ন আছে৷”

তবে শুধু মান নয়, চাকরি দাতাদের প্রচালিত ধারণাও এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. সিদ্দকুর রহমান৷ তিনি বলেন, ‘‘চাকরি দাতারা সাধারণভাবে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ছাত্রদের মান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করাদের চেয়ে ভালো৷”

তিনি বলেন, ‘‘এটা অনেকটা সত্যও কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান কলেজের শিক্ষকরা৷ আর এরমধ্যে বেসরকারি কলেজে শিক্ষক নিয়োগে ম্যানেজিং কমিটির নানা স্বজনপ্রীতি আছে৷”

তিনি আরেকটি কারণও বলেন৷ তা হলো, ‘‘এসএসসি ও এইচএসসিতে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট যারা করেন তারা তো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন৷ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হন তাদের অনেকের তো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিরই যোগ্যতা নাই৷”

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বিআইডিএস-এর জরিপ পদ্ধতি এবং ফলাফল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘মুঠোফোনের এই জরিপ ইনফর্মাল সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করেনি৷ আর মুঠোফোনের জরিপে বাস্তব চিত্র কতটুকু পাওয়া সম্ভব৷ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে অনেকেই ইনফরমাল সেক্টরে কাজ করেন৷ কেউ দেশের বাইরে যান কাজ নিয়ে৷”

তার মতে, ‘‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশুনার পশাপাশি পরিবারে হাল ধরে৷ তার সংগ্রামী সেই দিকটি তুলে না ধরে যেভাবে জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে তাতে তাদের মধ্যে হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে৷”

তবে তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো অনেক দূর যেতে হবে৷ মান আরো উন্নয় করতে হবে৷ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে৷ আমার অনেক শিক্ষক তো বেতনই পান না৷”

জরিপের সমন্বয়ক বিআইডিএস-এর সমন্বয়ক মিনহাজ মাহমুদ বলেন, ‘‘জরিপের ম্যাথোলডজিক্যাল একটা বিষয় থাকে৷ ইনফর্মাল সেক্টরে যারা কাজ করে তাদের ওপর জরিপ হয়নি৷ তবে আমরা দেখেছি অবস্থার উন্নয়ন করতে হলে তাদের কারিকুলাম চাকরির চাহিদা ভিত্তিক করতে হবে৷ আইসিটিসহ নানা প্রশিক্ষণ যুক্ত করতে হবে৷ যারা চাকরি দেন তারাও একথা বলেছেন৷ আমরা দেখেছি যারা চাকরি পান তাদের আইসিটিসহ নানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা আছে৷”

তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে

ফের বিয়ে করেছেন মাহি!

ব্যক্তি জীবন নিয়ে আবারও আলোচনায় ঢালিউড চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শোনা যাচ্ছে, দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন এ নায়িকা। পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর এ গুঞ্জন শোনা যায় মাহিকে নিয়ে। যদিও এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন তিনি।

বিয়ের ‍গুঞ্জনে এবার ঘি ঢেলেছেন মাহি নিজেই। ৬ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি। তাতে লিখেছিলেন, ‘১৩ সেপ্টেম্বর একটি সারপ্রাইজ দিব। ইনশাআল্লাহ।’ তবে কিসের সারপ্রাইজ দেবেন তা উল্লেখ করেননি।

এরপর জল্পনা বাড়তে থাকে মাহিকে নিয়ে। ফিল্মপাড়ার অনেকে মনে করেন, বিয়ে করেছেন মাহি। তা জানান দেবেন ১৩ সেপ্টেম্বর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাকিব সরকার নামের একজনকে বিয়ে করেছেন মাহি। তিনি ব্যবসায়ী ও গাজীপুরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এরই মধ্যে মাহিকে নতুন একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন রাকিব। এ নিয়ে গাজীপুর এলাকায় বিভিন্ন মহলে আলোচনাও হয়েছে বেশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাজীপুরের একটি সূত্র মাহি-রাকিবের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, রাকিবের সঙ্গে পরিচয়ের পর থেকেই একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতেন মাহি। বিয়ের পর মাহিকে গাড়ি দিয়েছেন রাকিব। একসঙ্গে চাপাইনবাবগঞ্জ ঘুরতে যাওয়ারও কথা ছিল তাদের।

গুঞ্জনের শুরুর দিকে এক সাক্ষাৎকারে মাহি রাকিবকে তার ‘ভালো বন্ধু’ উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘না, বিয়ে হয়নি, আমরা বন্ধু। শুধু বন্ধু নই, আমরা অনেক অনেক ভালো বন্ধু।’ বিয়ের গুঞ্জন প্রসঙ্গে রোববার জানতে চাইলে মন্তব্য করতে রাজি হননি মাহিয়া মাহি।

সারপ্রাইজে বিয়ের খবরটাই খোলাসা করবেন? উত্তরে মাহি সময় নিউজকে হেসে বলেন, ‘এখন বলে দিলে তো সারপ্রাইজ থাকবে না। বিয়ে নাকি সুন্নতে খৎনা সেটা কালই (১৩ সেপ্টেম্বর) বুঝতে পারবেন। একটা দিন অপেক্ষা করুন। আমি আজকে অনেক ব্যস্ত।’

মাহির নতুন বিয়ের গুঞ্জন শুরু হয় ১১ জুন। সে দিন নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন মাহিয়া মাহি। ছবিতে মেহেদী রাঙা হাত, নাকফুল আর কাতান শাড়িতে দেখা গেছে তাকে। ওই ছবির ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে গান, সিনেমা, সব জায়গায় অনুভব করতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ।’

এই পোস্টে রাকিব সরকার মন্তব্য করেছেন, ‘কে তুমি?’ উত্তরে মাহি লিখেছেন, ‘বউ’।

এদিকে রাকিব সরকারের ফেসবুকেও একাধিক ছবি দেখা গেছে মাহির সঙ্গে। সবমিলিয়ে মাহিয়া মাহির দ্বিতীয় বিয়ের খবরটি এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। তবে নেটিজেনরা অপেক্ষায় আছেন মাহির সারপ্রাইজের। কী সারপ্রাইজ দেবেন মাহি? তা জানা যাবে আগামীকালই।

বাক্সবন্দি ১৬ হাসপাতালের রোগনির্ণয় যন্ত্র!

দেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে থাকার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার সকালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, হাসপাতাল পরিচালকসহ ২১ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এসব হাসপাতালের যন্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও ভেন্টিলেটর যন্ত্র। পড়ে থেকে কোনো যন্ত্র নষ্টও হয়ে গেছে। কোনোটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম।

বেশির ভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জানায়, যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব। কোথাও কারিগরি সহায়তার অভাবে যন্ত্র বসানো যায়নি। আর এসব ঘটনার অনুসন্ধানের জন্যই রিট করেন ব্যারিস্টার মনোজ কুমার।

এর আগে গত ২৪ আগস্টে ‘১৬ হাসপাতালে ২৮টি যন্ত্র বাক্সবন্দি’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবদেন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৬ আগস্ট জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন মনোজ কুমার ভৌমিক। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের ১৬টি সরকারি হাসপাতালে ২৮টি রোগনির্ণয় যন্ত্র বাক্সবন্দি অবস্থায় পড়ে আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এক্স-রে, আলট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ও ভেন্টিলেটর যন্ত্র। পড়ে থেকে কোনো যন্ত্র নষ্টও হয়ে গেছে। কোনোটি নষ্ট হওয়ার উপক্রম।

বেশির ভাগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই জানিয়েছে, যন্ত্র অব্যবহৃত থাকার প্রধান কারণ সংশ্লিষ্ট লোকবলের অভাব। কোথাও কারিগরি সহায়তার অভাবে যন্ত্র বসানো যায়নি।

দেশের বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাক্সবন্দি যন্ত্রগুলোর মধ্যে আছে ১৩টি এক্স-রে, ছয়টি ভেন্টিলেটর, চারটি আলট্রাসনোগ্রাম, একটি ইসিজি, একটি ল্যাপারোস্কপি, একটি কালচার ইনকিউবেটর, একটি হট এয়ার ওভেন ও একটি অটোক্লেভ মেশিন। ১৬ আগস্ট পর্যন্ত যন্ত্রগুলো এই অবস্থায় ছিল।

এসএইচ-০৬/১২/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অবাক কাণ্ড যুবকের

২১ বছরের তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এক ২৬ বছরের এক যুবক। কিন্তু ওই নারী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। আর তাই প্রতিশোধ নিতে তরুণীর বাড়িতে ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘সেক্স টয়’ পাঠাতে থাকে। শুধু তাই নয়, তরুণীর মোবাইল নম্বর পর্নো সাইটে আপলোড করেন।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে। ঘটনার মাসখানেক পর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম কুণাল অঙ্গলকার।

পুলিশ জানিয়েছে, কুণাল অঙ্গলকার নামে যুবকটি ওই তরুণীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সাড়া পায়নি। তাই মাসখানেক ধরেই ওই তরুণীর বাড়িতে ‘সেক্স টয়’ পাঠাচ্ছেন কুণাল। ই-কমার্স সাইট থেকে ক্যাশ অন ডেলিভারি পদ্ধতিতে তরুণীর বাড়িতে সেগুলো পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই তরুণী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বাড়িতে ‘সেক্স টয়’ আসা নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে মুম্বাইয়ের মালাড থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। পরে মুম্বাই পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে স্থানান্তরিত করা হয় এই মামলা।

মামলা পেয়ে মুম্বাইয়ের পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ কুরিয়ার সংস্থার মাধ্যমে অভিযুক্তের বাড়ির ঠিকানা বের করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কুরিয়ার সংস্থাকে নিজের নাম এবং বাড়ির ঠিকানা দেননি অভিযুক্ত। এরপর পুলিশ ভিপিএন সংক্রান্ত তথ্য জোগাড়ের চেষ্টা করে। তা করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, প্রতিবারই ‘সেক্স টয়’ পাঠানোর সময় আইপি অ্যাড্রেস পরিবর্তন করেছেন অভিযুক্ত। শেষমেশ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেয় পুলিশ।

এরপর পুলিশ তাকে খুঁজে বের করতে ভিপিএন সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতে থাকে। কিন্তু সেখানেও ধাক্কা খায় তারা। কেননা ছেলেটি যতবার মেয়েটির বাড়িতে সেক্স টয় পাঠাত, প্রতিবারই নিজের আইপি অ্যাড্রেস বদলে ফেলত। পুলিশ ওই এলাকার ৫০০ এর বেশি সাইবার প্রোভাইডারের স্ক্যান করে। তবে শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান ও অন গ্রাউন্ড ইনটেলিজেন্সের মাধ্যমে সাইবার সেল যুবকটিকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করে।

এসএইচ-০৫/১২/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

পরীমনি কাজে ফিরেছেন

ঢালিউডের লাস্যময়ী চিত্রনায়িকা পরীমনি কাজে ফিরেছেন। ইফতেখার শুভর ‘মুখোশ’ সিনেমার মাধ্যমে কাজে ফিরেছেন এ নায়িকা। গত মঙ্গল ও বুধবার সিনেমাটির ডাবিংয়ে অংশ নিয়েছেন পরীমনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুভ নিজেই। তিনি বলেন, ‘পরীমনির ডাবিংটা শেষ করতে পেরেছি। এখন অনেক হালকা লাগছে। একটু টেনশনে ছিলাম কিন্তু আত্মবিশ্বাস ঠিকই ছিল।’

ডাবিংয়ে পরীমনি কেমন ছিলেন? উত্তরে শুভ বলেন, ‘খুব স্বাভাবিক ছিল। আগে প্রাণবন্ত, প্রাণচঞ্চল ছিল। সবার সঙ্গে চিরচেনা রূপেই ছিলেন।’

ইফতেখার শুভ আরও বলেন, ‘মোশাররফ করিম ও জিয়াউল রোশানের ডাবিং বাকি আছে। তারপর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ করে আসছে ডিসেম্বরে মুক্তির পরিকল্পনা আছে। যদি পরিস্থিতি ভালো থাকে, তৃতীয় ঢেউ যদি না আসে তাহলে ডিসেম্বরে মুক্তির চিন্তা করছি।’

ডাবিংয়ের ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন পরীমনি। ছবিতে বেশ প্রফুল্ল দেখা যাচ্ছে তাকে। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘কাজই জীবন, জীবনই কাজ।’

এদিকে রাশিদ পলাশের পরিচালনায় ‘প্রীতিলতা’ সিনেমায় অভিনয় করছেন পরীমনি। শিগগিরই এ সিনেমার বাকি অংশের চিত্রায়ণ শুরু হবে। রাশিদ পলাশ জানান, সামনে পরীমনির জন্মদিন। জন্মদিনের পর তাকে নিয়ে শুটিং সেটে চলে যাবে ইউনিট।

রাশিদ পলাশ বলেন, ‘পরীমনির মানসিক অবস্থা এখন আগের থেকে অনেকটাই ভালো। তারপরও নার্সিং করতে হচ্ছে। তবে আমাদের বিশ্বাস, সব কাটিয়ে উঠতে পারব। আমরা টানা শুটিং করার পরিকল্পনা করেছি। ২০ দিন টানা চট্টগ্রামে শুটিং হবে। তারপর আবার ঢাকায় কাজ হবে।’

এসএইচ-০৪/১২/২১ (বিনোদন ডেস্ক)

শ্রেণিকক্ষে ময়লা, অধ্যক্ষসহ মনিটরিং টিম সাময়িক বরখাস্ত

করোনা মহামারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার দিন শ্রেণিকক্ষে ময়লা পাওয়ায় আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওই অধ্যক্ষের নেতৃত্বে গঠিত মনিটরিং টিমের সদস্য শিক্ষকদেরও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

রোববার সকালে ওই স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে তাদের সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

পরে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে কোনো অনিয়ম পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‌‘আমরা আজকে এখানে এসেছি জানিয়ে। আমরা প্রায়শই জানিয়ে না জানিয়ে সব জায়গায় যাবো। কোথাও যদি কোনো নিয়মের ব্যত্যয় দেখি তাহলে সংশ্লিষ্ট যারা থাকবেন শিক্ষক কর্মকর্তা বা আমার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হোন তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

দীপু মনি বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবার সচেতনতা এক রকম নয়। যারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে যাবেন, তাদের একটু সচেতন থাকতে হবে। স্কুলের প্রতিটা আনাচে-কানাচে খুঁজে দেখতে হবে। কোথাও যেন ময়লা না থাকে। যতটা ভালো পারা যায়, আমরা চেষ্টা করছি।’

বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য প্রত্যেক জেলায় একটি কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, ‘পরে এর নম্বরগুলো প্রচার করা হবে। যে কেউ এসব নম্বরে ফোন করে যদি জানান, যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোনো রকম সমস্যা আছে; আমরা তা সমাধানে ব্যবস্থা নেবো।

এসএইচ-০৩/১২/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)

ইউনিফর্ম ও ফি আদায় নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন

ইউনিফর্ম এবং ফি আদায়ের ক্ষেত্রে স্কুলগুলোকে কড়াকড়ি না করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

দেড় বছর পর বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রথম দিনে রবিবার সকালে দীপু মনি ঢাকার বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেন।

আজিমপুর গার্লস স্কুল ও কলেজ পরিদর্শন শেষে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ যদি আবারো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে না রেখে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার বিকল্প হাতে রয়েছে।

এর আগে স্কুল খোলার ঘোষণা দেয়ার সময় বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছিল।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার কারণে সব শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে।

তবে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি এবং সরকারি শর্ত মানা হচ্ছে কিনা তা নজরদারিতে আনতে কর্তৃপক্ষ আকস্মিক পরিদর্শনে যাবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া যেসব বিষয়ে তিনি তথ্য দেন সেগুলো হচ্ছে-

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শুধু করোনা নয় বরং তার সাথে ডেঙ্গুরও মৌসুম চলছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার সময় এডিস মশা বেশি কামড়ায়।

সে কারণে শিক্ষার্থীদের পুরো হাতা জামা, ফুল প্যান্ট-পাজামা পরে আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

এ কারণে স্কুল ইউনিফর্ম সম্ভব না হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বেশি কড়াকড়ি না করার আহ্বান জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “গত দেড় বছরে অনেক শিক্ষার্থী ইউনিফর্মের তুলনায় বড় হয়ে গেছে, এছাড়া এই মুহূর্তে স্কুল ইউনিফর্ম সব অভিভাবকের পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নাও হতে পারে”।

শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষকে ফি আদায়ে মানবিক হতে হবে”।

তিনি বলেন, যেসব ফি নেয়াটা প্রয়োজন সেই ফি-ই এখন আদায় করা যাবে। এ তবে এখানে যদি কোন শিক্ষার্থী ফি দিতে অপারগ হয় তাহলে সেখানে মানবিক আচরণ করতে হবে।

করোনাভাইরাসের কারণে কোন শিক্ষার্থীর পরিবারে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে গেলে, ফি পরিশোধের বিষয়ে তাদেরকে কিস্তিতে পরিশোধ করা যায় কিনা সেটি বিবেচনায় নিতে” শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুরোধ করেন তিনি।

“এক্ষেত্রে অমানবিক আচরণ করা যাবে না। মানবিক আচরণ করে যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত নিতে হবে”।

তবে স্কুল পরিচালনা, শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রভৃতিও শিক্ষার্থীদের বেতনের উপর নির্ভর করে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অভিভাবকদেরও এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে”।

অন্যান্য খরচের সাথে যাতে স্কুলের বেতনও দেয়া সম্ভব হয় সে বিষয়ে অভিভাবকদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকতে হবে।

যাদের একদিন ক্লাস হবে তাদের কিছুটা ক্ষতি হবে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখোমুখি ক্লাস একদিন হলেও তাদের অ্যাসাইনমেন্ট চলবে, অনলাইনে ক্লাস চলবে, টেলিভিশন ক্লাস চলবে।

“এক্ষেত্রে পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিস্থিতি হলে তাদের অবশ্যই পরীক্ষা নেয়া হবে”, বলেন দীপু মনি।

শিক্ষার্থীরা যে ‘গ্যাপ’ বা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তা কিভাবে পূরণ করা হবে সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে যে সিলেবাস কমানো হবে, নাকি চলতি শিক্ষাবর্ষকে বাড়ানো হবে নাকি পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে অতিরিক্ত ক্লাস বা রেমেডিয়াল ক্লাস করিয়ে সেটি পুষিয়ে নেয়া হবে।”

এ বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

স্কুলের ভেতরে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের প্রবেশ করতে দেয়া না হলেও অনেক অভিভাবকই সন্তানকে স্কুলে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করতে থাকেন। এ বিষয়টি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেছেন, অভিভাবকরা যাতে স্কুলের বাইরে অপেক্ষা না করেন।

আর যাদেরকে অপেক্ষা করতেই হবে বা ফেরত যেতে পারবেন না তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরস্পর থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

“অভিভাবকরা যদি সবাই এভাবে বাইরে এভাবে ভিড় করেন তাহলে এটাই স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হবে,” বলেন তিনি।

এক্ষেত্রে সামাজিকভাবে নজরদারি করা হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের বিষয় বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

গত ২৬শে অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সাথে বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে মধ্য অক্টোবরের কথা জানানো হয়েছিল।

স্কুল যেহেতু খোলা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আগে খোলা যায় কিনা সে বিষয়ে আবারো বৈঠকে বসার কথা জানান তিনি।

এরইমধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়ে গেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনাবাসিক শিক্ষার্থীদেরও কমপক্ষে এক ডোজ টিকা দেয়ার পর ক্যাম্পাসে ফেরাতে চান বলে জানান মন্ত্রী।

সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে তবে এক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন বলেও জানানো হয়।

এছাড়া ১২ বছরের উপরে শিক্ষার্থীদের টিকার ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু জটিলতা এবং সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে পর্যায়ক্রমে তাদেরকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এসএইচ-০২/১২/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)