সকাল ৯:৫৮
শনিবার
২০ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
৭ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ভালো আছেন খালেদা জিয়া, জ্বর নেই

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অনেকটাই ভালো বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা। ১৩ তম দিনে পার হলেও তার শরীরে জ্বর নেই। শ্বাস-প্রশ্বাসের স্যাচুরেশন স্বাভাবিক রয়েছে। তার খাবারের রুচি আগের মতো আছে বলে জানিয়েছেন তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন।

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘অন্য দিনের চেয়ে তিনি ভালো বোধ করছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। এই অবস্থায় তার যে চিকিৎসাটা চলছে, সেটাই চলবে। ১৪তম দিন পার হলে মেডিকেল বোর্ডের আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা আছে, সেগুলো করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের রুটিন চেকআপের পর এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, বুধবার দুপুর পর্যন্ত ম্যাডামের জন্য একটা ক্রুশিয়াল টাইম। কারণ, তার করোনা আক্রান্তের ১৪তম দিন শুরু হবে। গত প্রায় ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় ধরে তার শরীরে কোনো জ্বর আসেনি। তার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক আছে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন খুবই ভালো আছে। খাবার রুচি আগের মতই আছে। কাশি, গলাব্যথা কখনোই ছিল না, সেটি এখনও নেই। এ অবস্থায় উনার চিকিৎসা যা চলছে সেটাই চলবে। বুধবার পার হওয়ার পর আবার মেডিকেল বোর্ড বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ছেলে তারেক রহমান সার্বক্ষণিক মা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার খোঁজ-খবর রাখছেন জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, চিকিৎসার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন ডা. জোবাইদা রহমান। খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান ডা. জাহিদ।

খালেদা জিয়া করোনার টিকা নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনা নেগেটিভ আসার পর চার সপ্তাহ হওয়ার আগ পর্যন্ত টিকা নেওয়া সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া একজন বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। তার আরও কিছু রোগ আছে। সে বিষয় মাথায় রেখে এখন আমরা যে ক্লোজ অবজারভেশন করছি, সেটা অব্যাহত রাখতে হবে। এই পুরো মাসটা তার স্বাস্থ্যের দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আপনারা জানেন অনেক রোগীর দুই-তিন সপ্তাহেও নেগেটিভ রিপোর্ট আসে না। অনেক ক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ হতে চার সপ্তাহও লাগে। কাজেই করোনার গতি প্রকৃতি কোন দিকে যায়, প্রত্যেকটা জিনিস আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। কখনও আমাদের ঢিলেমি করলে চলবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ডা. আল মামুন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া ইউংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান।

উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়া করোনা আক্রান্ত হন। গত ১৫ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করা হয়। সিটি স্ক্যান শেষে ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, সিটি স্ক্যান রিপোর্ট অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে করোনার সংক্রমণ খুবই সামান্য। যে কারণে তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন। এরপর থেকে চিকিৎসকরা তার বাসায় গিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।

এসএইচ-১৫/২১/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

করোনায় তরুণদের সংক্রমণ ও মৃত্যু উদ্বেগজনক

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে তরুণদের সংক্রমণের হার বেড়েছে। বিভিন্ন কাজকর্মে ঘরের বাইরে ও জনসমাগমস্থলে তরুণদের বেশি যেতে হয়, তাই করোনায় তরুণদের সংক্রমণ বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হযে তরুণদের মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেও মনে করছেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে মঙ্গলবার দেশে করোনায় আক্রান্ত আরও ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৫৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বয়সভিত্তিক একটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৪০ বছর। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর এবং ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষ রয়েছে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ।

করোনাভাইরাসে যুবকদের আক্রান্তের কারণ জানতে চাইলে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আক্রান্তদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং যুবকরাই বেশি। খেটে খাওয়া কর্মক্ষম ব্যক্তিদের অধিকাংশই তরুণ এবং যুবক। প্রায় প্রতিটা পরিবার তরুণ এবং যুবকদের আয় রোজগারের ওপর নির্ভরশীল। তাই অধিকাংশ তরুণ এবং যুবকদের জীবিকার জন্যে কাজেকর্মে বাইরে যেতেই হয়। তাই তারা আক্রান্তও বেশি হচ্ছেন।

হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, লকডাউন বা অন্য সময়েও তরুণ এবং যুবকদের বাইরে বা ভিড়ের মধ্যে বেশি যেতে হয়। বিভিন্ন অফিসের কাজেও তারা বেশি যুক্ত বয়স্কদের থেকে। ফলে এই বয়সীরা সংক্রমণের স্বীকার বেশি হচ্ছে। এছাড়াও যুবক এবং তরুণরা যখন নিজেদের বাসা বাড়িতে ফেরেন, তখন তাদের পরিবারের বয়স্করাও আক্রান্ত হন। আমরা দেখছি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে এখনও ষাটোর্ধ্ব মানুষের সংখাই বেশি।

এ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, আমরা দেখছি অপেক্ষাকৃত তরুণ, যুবক এবং কম বয়সীরাও বর্তমানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। ফলে মোট জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ অংশ তরুণ এবং যুবক থাকার ফলে করোনায় জনসংখ্যার দিক থেকে আমরা যে সুবিধাজনক একটি জায়গায় ছিলাম সেই জায়গাটাও আক্রান্ত হতে যাচ্ছে, যা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত বিপদ এবং উদ্বেগজনক।

এসএইচ-১৪/২১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার

ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু চেয়ার। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন এবং আরও বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এখানে ভর্তি হতে উৎসাহিত করা হচ্ছে এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যকার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ বিষয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পিসি জোশি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের অর্জনের অংশ হিসেবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়াশোনা করতে উৎসাহিত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন জোশি।

পিসি জোশি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমাদের প্রচুর শিক্ষার্থী রয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি ফেলোশিপ সরবরাহ করা হলে, তাদের সংখ্যা বাড়তে পারে।

এ ছাড়া, ২০২০ সালে ২১ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন বলেও জানান উপাচার্য পিসি জোশি।

এসএইচ-১৩/২১/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)

৯০ টাকার স্যালাইন ৩০০ টাকা

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরা। গড়ে প্রতিদিন ৯০ থেকে ১০০ জন করে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে ৫০০।

গত শুক্রবার রাত থেকে এ হাসপাতালে স্যালাইন না থাকায় বাধ্য হয়ে বাইরে থেকে সেলাইন কিনতে হচ্ছে রোগীদের। আর এ সুযোগে ফার্মেসিগুলো নানা অজুহাতে ৯০ টাকার স্যালাইন ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠছে।

রোগীরা বাধ্য হয়েই চড়া দামে সেলাইন ক্রয় করে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। এ ছাড়া বেডের চেয়ে রোগীর সংখ্যা অধিক হওয়ায় এসব ডায়রিয়া রোগীর ঠাঁই হচ্ছে হাসপাতালের ফ্লোরে।

রোগীদের চাপ বেশি থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে নার্স ও ডাক্তারা। গতকাল সকালে সরেজমিনে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

বোরহানউদ্দিন হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, গড়ে প্রতিদিন ৯০ হতে ১০০ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। কোনো কোনো দিন ১২০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে প্রায় ৭০০-এর বেশি ডায়রিয়া রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ৬ মাসের ডায়রিয়া স্যালাইন ১ মাসেই শেষ হয়ে গেছে।

শুক্রবার থেকে ডায়রিয়ার স্যালাইন নেই। হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ৫০টি কিন্তু রোগী ভর্তি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ জন। তাই ফ্লোরে কাগজ বিছিয়ে রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।

এসএইচ-১২/২১/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

বিশেষজ্ঞরা টিকা মজুতের ‘পক্ষে নন’

মাত্র ছয় মাস মেয়াদের অক্সফোর্ডের টিকা একবারে বড় চালান এনে মজুতের পক্ষে নন বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ধাপে ধাপে এনে দূরদর্শিতার প্রমাণ দিচ্ছে সরকার। এ অবস্থায় মজুত ২৫ লাখ শেষ হওয়ার আগেই পরবর্তী চালান হাতে পাওয়ার আশা বাংলাদেশের।

২১ জানুয়ারি উপহার হিসেবে ভারতের দেয়া ২০ লাখ ডোজের মাধ্যমে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের প্রথম ধাপে নাম লেখায় বাংলাদেশ। এর চার দিনের মাথায় ২৫ জানুয়ারি সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা বাংলাদেশের প্রথম টিকার চালান আসে বেক্সিমকো ফার্মার হাত ধরে।

ওই সময় বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, পর্যায়ক্রমে টিকা পাওয়া যাবে।

যদিও এর আগেই সময়মতো টিকা আসা না আসা নিয়ে নানা কথা রটে বেশকিছু গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ঠিক তখনই সেরামের বাংলাদেশের এজেন্ট বেক্সিমকো জানিয়েছিল, ধাপে ধাপে হলেও সময় মতো তিন কোটি ডোজ পাবে বাংলাদেশ।

সব শঙ্কা কাটিয়ে দেশজুড়ে এখন চলছে টিকাদান কর্মসূচি। মঙ্গলবার অধিদপ্তরের হিসেবে এরই মধ্যে ৫৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮৫ জন নিয়েছেন করোনার টিকার প্রথম ডোজ। আর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে ১৬ লাখ ৭৮ হাজার ১৮৯ জনকে। অর্থাৎ ধাপে ধাপে আসা এক কোটি দুই লাখের মধ্যে প্রয়োগ হয়েছে ৭৪ লাখ ২৩ হাজার ২৭৪ ডোজ, এখনো মজুত আছে ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ৭২৬। তবে এরই মধ্যে আবারো মিশ্র প্রতিক্রিয়া মানুষের মাঝে। গণমাধ্যমের খবরেও তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।

তবে এ মুহূর্তে যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ হচ্ছে তা প্রস্তুত হয়েছে ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ আর মেয়াদ ৩ জুন, ২০২১ পর্যন্ত। তাই মজুত নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, সরকারের ধাপে ধাপে আনার প্রক্রিয়ার কারণেই মজুত প্রক্রিয়া সঠিক নিয়মেই হচ্ছে।

বিএসএমএমইউয়ের অতিরিক্ত পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. নাজমুল করিম বলেন, একবারে আনাটা ঠিক নয়, ভাগে ভাগে আনাটাই সঠিক, কারণ এতে মজুত করাটা সহজ। হাসপাতালটির উপ-পরিচালক ডা. মো. খোরশেদ আলমও একই কথা জানান।

ভ্যাকসিন নিতে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে ৭১ লাখ ৫০ হাজার ৮৭৩ জন।

এদিকে, ভারতের বাইরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সরবরাহের জটিলতার অবসান হয়েছে। টিকা ক্রয় এবং বিতরণের সঙ্গে যুক্ত থাকা ইউনিসেফের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ৮০টি দেশে সরবরাহের জন্য আগামী মে মাসেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

এতে বাংলাদেশেরও টিকা পাওয়া নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এ পর্যন্ত ৭৬টি দেশে সাড়ে ৬ কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা রফতানি করেছে। বাংলাদেশও সেরামের কাছ থেকে কোভিড টিকা আমদানি করছে।

এসএইচ-১১/২১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

ভ্যাকসিন নেয়ার পরও করোনা হলে ঝুঁকিমুক্ত তারা

ভ্যাকসিন দেয়ার পর করোনায় আক্রান্তের শঙ্কা থাকলেও তা স্বাস্থ্যগতভাবে পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রামের একদল গবেষক। টিকা নেয়া অবস্থায় আক্রান্তদের শ্বাসকষ্ট যেমন থাকবে না তেমনি অতিরিক্ত অক্সিজেনেরও প্রয়োজন পড়বে না। প্রথম দফায় ভ্যাকসিন দেয়ার পর করোনায় আক্রান্ত ২০০ জনের ওপর গবেষণা শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত তিন মাসে সিভাসু ল্যাবে ৬ হাজার ১৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে এক হাজার ৭৫২ জন করোনা পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ২০০ জন পাওয়া গেছে যারা ৭ ফেব্রুয়ারির পর করোনার প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছিলেন। গড়ে ভ্যাকসিন নেয়ার ৩২ দিনের মধ্যেই তারা আক্রান্ত হন।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, করোনা হলেও আইসিইউ লাগেনি এবং অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতালে যাওয়ার প্রবণতা কম ছিল। আমরা মনে করি, যারা ভ্যাকসিন নেননি তারা নেবেন।

গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, আক্রান্ত ২০০ জনের মধ্যে ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ১৬৫ জনকে হাসপাতালেই আসতে হয়নি। বাকি ৩৫ জন হাসপাতালে গেলেও মারাত্মক কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি ছিল না। এমনকি ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ হিসাবে ১৭৭ জনের কোনো শ্বাসকষ্ট যেমন ছিল না তেমনি ৯২ শতাংশ হিসাবে ১৮৪ জনের অক্সিজেন প্রয়োজন হয়নি।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা দলের সদস্য প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী বলেন, যারা টিকা দিয়েছেন তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হলেও তারা সিভিয়ার পর্যায়ে যাননি।

৯১ শতাংশ রোগীর কোনো রকম কাশি কিংবা হাঁচি ছিল না। সে সঙ্গে ৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ রোগীর স্বাদ ও ঘ্রাণে কোনো পরিবর্তন হয়নি। আক্রান্ত সব রোগীরই অক্সিজেন স্যাচুরেশন ছিল ৯৭-এর মধ্যে। এ অবস্থায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত এবং ভারতের সেরামের মাধ্যমে পাওয়া এ টিকাকে অনেকটা নিরাপদ হিসেবে দেখছেন গবেষণা দলের সদস্য ডা. ত্রিদীপ দাশ।

প্রথম ডোজ নেয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। ৪৮ বছর বয়সী এ ব্যক্তি আগে থেকেই কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিভাসুর গবেষক দল। এ ছাড়া আক্রান্তদের অধিকাংশই আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকের রোগী ছিলেন।

এসএইচ-১০/২১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী দেখল বিশ্ব

বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডব কোনোভাবেই থামছে না। দিন দিন আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে এ ভাইরাস। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের তালিকা। মহামারি এ ভাইরাসের নতুন নতুন ধরন মানুষের মনে আতঙ্ক বাড়িয়ে দিয়েছে। করোনার টিকা আবিষ্কার হলেও এখনও আতঙ্কে বিশ্ববাসী।

এরই মধ্যে বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ ৫৭ হাজার এবং আক্রান্ত হয়েছে ১৪ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ ৮ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া মারা গেছেন আরও ১৩ হাজার ৯০৫ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৯০৫ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৫ জন। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৫৭ হাজার ৫৪১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ কোটি ৩৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ কোটি ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ১৫৭ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৮২ হাজার ৪৫৬ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৫৬ লাখ ৯ হাজার ৪ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৫৭০ জন।

আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিল এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার ৮৮৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৩০ জনের।

আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯২০ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছেন এক লাখ এক হাজার ৫৯৭ জন।

আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৭ লাখ ১৮ হাজার ৮৫৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৬ হাজার ৩০৭ জন।

এদিকে আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, তুরস্ক সপ্তম, ইতালি অষ্টম, স্পেন নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।

এসএইচ-০৯/২১/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ১০টায় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দলীয় ৪২ রানে ১ উইকেট হারায়। ১২ ওভার  শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৬। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশে ডানহাতি তরুণ ওপেনার সাইফ হাসান রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন। দলের নিয়মিত ওপেনার সাদমান ইসলাম স্কোয়াডে থাকলেও তার জায়গায় সাইফকে নামানো হয়।

পাল্লেকেলে টেস্টে বাংলাদেশের একাদশে রয়েছেন: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হাসান, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ ও ইবাদত হোসেন।

প্রথম টেস্টের জন্য ঘোষণা করা হয় ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল। ২১ সদস্যের প্রাথমিক দল থেকে ছোট করে ১৫ সদস্যের একাদশ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়ছেন খালেদ আহমেদ, নাঈম হাসান, মুকিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, শুভাগত হোম, নুরুল হাসান। তবে দলে সুযোগ পেয়েছেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। মূলত পেস নির্ভর দল গড়ার ভাবনাতেই বাদ দেওয়া হয়েছে নিয়মিত মুখ নাঈম হাসানকে। শ্রীলঙ্কায় দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরমেন্স বিবেচনায় এ দল ঘোষণা করা হয়।

এদিকে, এদিকে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অংশ নিতে শ্রীলঙ্কা সফর থেকে ছুটি নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ফলে তাকে ছাড়াই শ্রীলঙ্কা সফরের প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। এছাড়া দলে রাখা হয়নি বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমানকেও। তিনি রাজস্থানের হয়ে আইপিএলে খেলছেন।

১৫ সদস্যের বাংলাদেশ দল: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, আবু জায়েদ চৌধুরী, তাইজুল ইসলাম, নাজমুল হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, ইবাদত হোসেন চৌধুরী, সাইফ হাসান, ইয়াসির আলী চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম।

এসএইচ-০৮/২১/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

বাংলাদেশে করোনার টিকা উৎপাদনের প্রস্তাব দিল রাশিয়া

বাংলাদেশের স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যালগুলোর সহযোগিতায় করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। দেশটি তাদের তৈরি ‘স্পুটনিক-ভি’ টিকা বাংলাদেশে উৎপাদন করতে চাচ্ছে।

সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি জানান, প্রস্তাব অনুযায়ী রাশিয়া প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে আর বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো ‘স্পুটনিক’ টিকা উৎপাদন করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী বিপুল চাহিদার প্রেক্ষিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে টিকা রফতানি করার মতো পর্যাপ্ত উৎপাদন সক্ষমতা না থাকায় মস্কো বাংলাদেশে টিকাটি উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে।’

করোনা টিকা চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া এ প্রস্তাব দেয় উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে ভ্যাকসিনের সহ-উৎপাদনে তাদের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছি। যদিও এখনও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। সবকিছু ঠিক থাকলে- এটা তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হবে এবং আশা করা যায় যে, এটা অপেক্ষাকৃত ভালো হবে।’

সম্প্রতি ভারত রাশিয়ান স্পুটনিক-ভি টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পরায় টিকার অপ্রতুলতার কারণে এই অনুমোদন দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।

চীনের ভ্যাকসিনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন না থাকায় বাংলাদেশ এর আগে চীনের ভ্যাকসিনের ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহ দেখায়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। আমরা ভ্যাকসিনটি পেতে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে চীন বাংলাদেশকে জানিয়েছে যে, তারা ইতোমধ্যেই তাদের ভ্যাকসিনটি অন্যান্য দেশে সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় ডিসেম্বরের আগে তারা আর কোনো ভ্যাকসিন রফতানি করতে পারবে না।’

মোমেন বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে আগামী মাসে ৮০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেবে বলে জানিয়েছে। আমরা ওই ভ্যাকসিনগুলো পাব বলে আশাবাদী।

এসএইচ-০৭/২১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

কমছে নমুনা পরীক্ষা : অজান্তেই অন্যদের সংক্রমিত করছেন

সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সর্বোচ্চ ঝুঁকি বাড়লেও প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে গেছে। আক্রান্ত অনেকেই শনাক্তের বাইরে থেকে গেছেন। এ কারণে অনেকে নিজের অজান্তেই অন্যদের সংক্রমিত করছেন।

এমন পরিস্থিতে সরকারিভাবে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা উচিত বলে মত দিয়েছেন জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি। পাশাপাশি বেসরকারি ল্যাবে পরীক্ষার ফি কমানোর সুপারিশ করেছেন তারা। গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে অনুষ্ঠিত ৩১তম সভায় কমিটির সদস্যরা বলেন, ‘সংক্রমণ রোধে দ্রুততম সময়ে করোনা আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করার বিকল্প নেই। কিন্তু সম্প্রতি দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমে গেছে। প্রত্যেক শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে নমুনা সংগ্রহের বুথ স্থাপন করা জরুরি।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল এক লাখ ৫৬ হাজার ৩৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে ৬ থেকে ১২ এপ্রিল পরীক্ষা করা হয়েছিল তিন লাখ ৪৬ হাজার ১৩৫টি নমুনা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা ৫৫ শতাংশ কমেছে।

গত বছরের ২১ জানুয়ারি নমুনা পরীক্ষা শুরুর পর থেকে চলতি মাসে প্রথমবারের মতো দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৩০ হাজার অতিক্রম করে। গত সপ্তাহে দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ২০ হাজারের আশেপাশে ছিল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ পজিটিভ বেশি হওয়ার অর্থ হলো অনেকেই শনাক্তের বাইরে থাকছেন। যারা নিজেদের অজান্তেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন। বাংলাদেশে প্রতি হাজারে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এটি সবচেয়ে কম।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলেন, ‘পজিটিভি ফলাফলের হার সাত থেকে ছয় শতাংশে নেমে না আসা পর্যন্ত দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়াতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে সঙ্গ–নিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে। পজিটিভ ফলাফলের দ্বিগুণ বা তারও বেশি নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে।’

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এরপর থেকে পজিটিভ ফলাফলের হার গত সপ্তাহে বেড়ে ২৩ শতাংশ হয়েছে। আজ মারা গেছেন ৯১ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ১০ হাজার ৫৮৮তে দাঁড়িয়েছে, যা দেশে মোট শনাক্তের এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এসএইচ-০৬/২১/২১ (অনলাইন ডেস্ক)