রাত ১০:৫৩
শুক্রবার
১৯ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
৬ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

চোখ উপড়ে ও জিহ্বা কেটে ৮০ বছরের বৃদ্ধকে হত্যা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পূর্ব বিরোধের জেরে মিলন সরদার (৮০) এক ব্যক্তিকে চোখ উপড়ে ও জিহ্বা কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার গৌরনগর গ্রামে কান্দাপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মিলন ওই এলাকার মৃত তালেব আলীর ছেলে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ জন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গৌরনগর গ্রামে আজইরা গোষ্ঠী ও সরকার গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত নানান বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তাদের বিরোধের জেরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার রাতে গ্রামে একটি মাহফিল চলছিল। সেই মাহফিল থেকে ফিরছিলেন সরকার গোষ্ঠীর মিলন সরদার সহ কয়েকজন। পথিমধ্যে আজইরা গোষ্ঠীর লোকজন হামলা করে মিলন সরদারসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে।

এসময় মিলন সরদারের চোখ উপড়ে ফেলা হয় এবং জিহ্বা কেটে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান মিলন সরদার। আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মিলন সরদার নিহত হয়েছে।

এর আগেও এই গ্রামে একাধিক হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরবর্তী সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এসএইচ-১২/১৬/২১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

আউট না দেওয়ায় আম্পায়ারের ওপর মেজাজ হারালেন কোহলি!

লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি। বেঁচে গিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট। এতেই মেজাজ হারালেন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাকে দেখা গেল অনফিল্ড আম্পায়ার নীতিন মেননের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে বাদানুবাদ করতে।

চেন্নাইয়ে তৃতীয় দিন খেলার শেষ লগ্নে এই ঘটনা ঘটে। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ঘটনা। সেই সময় বোলিং করছিলেন অক্ষর প্যাটেল। অক্ষরের স্ট্রেটারে বিভ্রান্ত হয়ে যান রুট।

সরাসরি তার প্যাডে বল লেগে উইকেটকিপারের কাছে পৌঁছয়। তবে লেগ বিফোর নয়, কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন কোহলিরা। সেই আবেদনে কর্ণপাত না করে আম্পায়ার নট আউট দেন।

টিম ইন্ডিয়া অধিনায়ক কোহলি সতীর্থদের সঙ্গে পরামর্শ করে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সেখানেই হটস্পটে দেখা যায়, ব্যাটের সঙ্গে বলের কোনও সংযোগই ঘটেনি। তাই কট বিহাইন্ডের আবেদন বাতিল হয়ে বেঁচে যান রুট।

তবে সমস্যা হল, বল ছিল ‘ইন লাইন’। তা দেখেই অনফিল্ড আম্পায়ার লেগ বিফোরের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। সেখানেই বোঝা যায়, বল রুটের প্যাডে লাগে। ব্যাটে সংযোগ হয়নি। আর বল স্ট্যাম্পে আছড়ে পড়ছে মিডল লাইন বরাবর। সেক্ষেত্রে লেগ বিফোর হতেই পারতেন তিনি। অদ্ভুতভাবে তৃতীয় আম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন।

এতেই ক্ষিপ্ত হন কোহলি। ডিআরএস সিদ্ধান্ত নিয়ে নীতিন মেননের সঙ্গে মাঠেই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে থাকেন কোহলি।

এসএইচ-১১/১৬/২১ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মানুষের খোঁজে প্রাণ গেল দুই কুমিরের!

সপ্তাহখানেক আগে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। ওল্টানো নৌকা আর নানা চিহ্ন দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তার ওপর কুমির আক্রমণ করেছিল। ওই ব্যক্তির পরিণতি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে এরপর হত্যা করা হয়েছে সেখানে বসবাসকারী বিশালাকার দু’টি কুমিরকে। সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর কুইন্সল্যান্ডে।

দ্য গার্ডিয়ানের তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে নালায় মাছ ধরতে গিয়েছিলেন ৬৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর থেকেই নিখোঁজ ওই বৃদ্ধ।

গত শুক্রবার দিবাগত রাতে খালের মধ্যে ওল্টানো নৌকা খুঁজে পান দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। নৌকাটির ক্ষয়ক্ষতি দেখে তারা ধারণা করেন, ওই ব্যক্তির ওপর কুমির আক্রমণ করেছিল।

গত শনিবার খালটিতে ধরা পড়ে একটি চার মিটার লম্বা কুমির। হত্যার পর তার পেটে নিখোঁজ ওই ব্যক্তির শরীরের কিছু অংশ খুঁজে পাওয়া যায়।

এরপর রোববার রাতে হিনচিনব্রুক দ্বীপের কাছে ধরা পড়ে তিন মিটার লম্বা আরও একটি কুমির। সেটিকেও হত্যা করেছেন অস্ট্রেলীয় পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিভাগের কর্মকর্তারা।

সোমবার স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হত্যা করা দ্বিতীয় কুমিরের ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছে। পরীক্ষা শেষে এ সংক্রান্ত সব তথ্য তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হবে।

কুইন্সল্যান্ডে কুমিরের আক্রমণে মানুষ হতাহতের ঘটনা নতুন কিছু নয়। চলতি মাসেই অস্ট্রেলীয় অঙ্গরাজ্যটিতে আরও দুজন কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়েছেন। অবশ্য তারা দু’জনই প্রাণে বেঁচে গেছেন।

এসএইচ-১০/১৬/২১ (অনলাইন ডেস্ক)

ঢাকা-সিলেট চার লেন তৈরীতে কিলোমিটারপ্রতি খরচ ৮২ কোটি টাকা

ঢাকা-সিলেটের দুই লেনের ২০৯ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে চার লেনের মহাসড়কে উন্নীত করা হবে। এ কাজে ব্যয় হবে মোট ১৭ হাজার ১৬১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে গড় খরচ পড়বে ৮১ কোটি ৯৮ লাখ টাকার বেশি। এশিয়ান হাইওয়ে, বিমসটেক করিডোর এবং সার্ক হাইওয়ে করিডোরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই সড়ক চার লেন হলে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও চীন সুবিধা পাবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর উন্নয়ন’ নামের বিশাল বাজেটের এ প্রকল্পটি মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। প্রকল্পটির মোট খরচের মধ্যে সরকার দেবে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি ৮৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। বাকি ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৮ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সড়কটি নির্মাণ করবে সরকার।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ বলেন, ‘প্রকল্পটি আগামীকাল (মঙ্গলবার) একনেকে উঠছে। এটি ১৭ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প ছিল। সেখান থেকে পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভায় আড়াইশ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। পরামর্শক ও অন্যান্য আরও কিছু খাত থেকে কমেছে। কিন্তু আরেক জায়গায় আমরা নতুন কম্পোনেন্টও যোগ করে দিয়েছিলাম। সেটা হলো, নারায়ণগঞ্জে জাপানিজ অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে, সেখান (অর্থনৈতিক অঞ্চল) থেকে হেভি ট্রাফিক মুভমেন্ট হবে। তারা যেন হাইওয়েতে সরাসরি উঠতে পারে সেজন্য একটা কম্পোনেন্ট আমাদের সুপারিশের প্রেক্ষিতে তারা (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) যোগ করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুরোধ করে দিয়েছিল, এটা দেয়ার জন্য। সেখানে আবার ১৪০ কোটি টাকা লাগবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতি মিটারে ৮ লাখ টাকা খরচ হবে। প্রতি কিলোমিটারে ৮১ কোটির কম খরচ হওয়ার কথা। যাই হোক, সমসাময়িক অন্যান্য যেসব চার লেনের প্রকল্প আছে সেগুলোর সঙ্গে তুলনা করে দেখেছি, এটার খরচ ঠিক আছে।’

প্রকল্প সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় ঢাকা (কাঁচপুর) থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০৯ দশমিক ৩২৮ কিলোমিটার সড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হবে। এই চার লেনের উভয় পাশে ধীরগতির যান চলাচলের জন্য ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৬৬টি সেতু, ৩০৫টি কালভার্ট, ৭টি ফ্লাইওভার বা ওভারপাস, ৬টি রেলওভার ব্রিজ এবং ২৬ ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।

ঢাকা (কাঁচপুর) থেকে সিলেটের পীর হাবিবুর রহমান চত্বর পর্যন্ত সড়কের মোট দূরত্ব ২২৩ দশমিক ২২৮ কিলোমিটার। কিন্তু ১১ দশমিক ৫৬ কিলোমিটার সড়ক (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত) ‘আশুগঞ্জ (নদীবন্দর)-সরাইল-দরখার-আখাউড়া (স্থলবন্দর) সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের আওতায় বাস্তিবায়ন হচ্ছে এবং ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ভৈরব সেতু চার লেনবিশিষ্ট হওয়ায় তা বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে সড়কের মোট ২০৯ দশমিক ৩২৮ কিলোমিটার চার লেন করা হবে বলেও জানিয়েছে সূত্র।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, টেকসই সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী জাতীয় মহাসড়কের উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনের পাশাপাশি বিদ্যমান সড়কগুলো ক্রমান্বয়ে চার লেনে উন্নীত করার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে এডিবির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় দেশব্যাপী ১ হাজার ৭৫২ কিলোমিটার মহাসড়কের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে। এর আওতায় ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট-তামাবিল মহাসড়কটিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কটি এশিয়ান হাইওয়ে (এইচ-১ ও এইচ-২), বিমসটেক করিডোর (করিডোর-৩) এবং সার্ক হাইওয়ে করিডোরের (এসএইচসি-৫) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ বিশেষ করে ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও চীনের সাথে যোগাযোগের জন্য ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সড়কটি উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের সাথে রাজধানীসহ অন্যান্য অঞ্চলের যোগাযোগের প্রধান করিডোর হওয়ায় তা চার লেনে উন্নীত করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে উদ্যোগী মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

এসএইচ-০৮/১৬/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

কৃষক আমির হোসেন শূন্য থেকে কোটিপতি

সবজি চাষ করে নিজ প্রচেষ্টায় শূন্য থেকে কোটিপতি হয়েছেন গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের কৃষক আমীর হোসেন। দৃঢ় বিশ্বাস আর একান্ত প্রচেষ্টায় মাত্র ৬ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ শুরু করে কোটি টাকার ওপরে সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।

এমন সফলতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদকসহ তিনি পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা। সবজির পাশাপাশি মাল্টা চাষে সফতলার পর এখন তিনি উচ্চ ফলনশীল পেয়ারা চাষেও দেখছেন সম্ভাবনার আলো।

জানা যায়, গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের কৃষক আমির হোসেন যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তখনই তার দিনমজুর বাবা মোজাহার ব্যাপারী মারা যান। ফলে দরিদ্র পরিবারের সন্তান আমির হোসেন বাধ্য হয়ে লেখাপড়া ছেড়ে একটি হোটেলে শ্রমিকের কাজ নেন। কিন্তু তাতেও জুটত না দুই বেলার খাবার।

৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৬ শতক জমিতে ১০০টি পেঁপের চারা লাগান আমির হোসেন। ওই জমিতেই সাথী ফসল হিসেবে চাষ করেন আদা। ছয় থেকে সাত মাসের চেষ্টায় পেঁপে ও আদা বিক্রি করে তার আয় হয় ১৫ হাজার টাকা। এভাবে শুরু হয় বিভিন্ন সবজি চাষ।

বছর খানেক চলার পর সবজি বিক্রির টাকা জমিয়ে এক বিঘা জমি বর্গা নেন। সেখানেও একই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেন তিনি। অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা খাটিয়ে সফল চাষি হিসেবে জমি কিনতে শুরু করেন। এভাবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।

বর্তমানে প্রতি বছর উৎপাদন খরচ বাদে তার আয় হয় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। তার কৃষি কাজে সহযোগিতা করেন স্ত্রী করিমন বেগম।

আমীর হোসেনের এক ছেলে ও দুই মেয়ে। সবার বড় ছেলে আয়নুর রহমান স্নাতক পাসের পর বর্তমানে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত। বড় মেয়ে লিপি বেগম এইচএসসি পর্যন্ত পড়ার পর বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে আরাফা আক্তার এ বছর বগুড়ায় স্নাতকে অধ্যায়নরত। সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসারের সব খরচ আসে ফল ও সবজি বিক্রির টাকা থেকেই।

সফলতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে আমির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমানে আমি দুই বিঘা জমিতে মাল্টা, এক বিঘা জমিতে কলা, ১০ শতক জমিতে গেন্ডারী আখ, ৫ শতক জমিতে নবরত্ন কচু, ১০ শতক জমিতে লেবু, ৪০ শতক জমিতে গোল আলু ও এক বিঘা জমিতে শিম চাষ করছি। এসব জমিতে সাথী ফসল হিসেবে হলুদ, আদা, কচু, টমেটো ও মিস্টি কুমড়া চাষ করেছি। একটি জমিতে একাধিক ফসলেই কৃষকরা দেখতে পারবে সফলতার মুখ।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক শামছুল আজাদ বলেন, আমি প্রতি মাসে একবার আমির ভাইয়ের বাড়িতে আসি কৃষি বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ নিতে। আমির ভাইয়ের পরামর্শ নিয়ে আমি বিভিন্ন সবজির চাষ করে সফল হয়েছি।

সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের সবেক ইউপি সদস্য ফরমান আলী বলেন, আমি আমির ভাইয়ের বাগান দেখে অবাক হলাম। আমি কখনো কল্পনাও করতে পারিনি একজন কৃষক কখনো এত সফলতা অর্জন করেন। আমির ভাইয়ের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আগামীতে কচু ও গেন্ডারী আখের চাষ করব।

সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আরশাদ আজিজ রোকন বলেন, একটি জমিতে একসঙ্গে ৪টি ফসল চাষের সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় কৃষক আমির হোসেনের ভাগ্যে মিলেছে বিভিন্ন পুরস্কার। তিনি আমার ইউনিয়নের গর্ব। মাঝে মাঝেই জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা আসেন তার ফসল দেখতে। তার সাক্ষাৎকার নিতে আসেন বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরাও। ফলে এ ইউনিয়নটি দেশ-বিদেশে পরিচিত হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, আমির হোসেন কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার। ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার তুলে দেন। আমরা নিয়মিত কৃষি বিভাগ থেকে আমির হোসেনের ফল ও ফসলখেত পরির্দশনসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, একটি জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন করে কৃষক আমির হোসেন সফলতা এনেছেন। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কারও। এখন ফল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তিনি মালটা চাষে সফতলার পরে তিনি পেয়ারা চাষ শুরু করেছেন। তার ফসল উৎপাদনে পরামর্শ ও সহযোগিতা অব্যাহত আছে।

এসএইচ-০৭/১৬/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

সরকারি-বেসরকারি ভবনে ৭ মার্চ উড়বে জাতীয় পতাকা

এখন থেকে ৭ মার্চ সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে কূটনৈতিক মিশনে উড়বে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা, ১৯৭২’ সংশোধন করে ৭ মার্চকে পতাকা উত্তোলন দিবসের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশোধিত বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারির পর সোমবার তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেয়া ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। পরে এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেয় ভাষণের দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ হিসেবে ঘোষণা’ এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন পালন সংক্রান্ত পরিপত্রেরে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তবে এ দিবসটির ক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

দিবসটি উদযাপনের উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে বিষয়ভিত্তিক বণ্টনের আওতায় প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতা থাকার পরিপ্রেক্ষিতে দিবস উদযাপনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত এবং দিবসটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও সচেতনতা আগামী প্রজন্মের মধ্যে যথাযথভাবে সঞ্চারণের লক্ষ্যে এসব কর্মকাণ্ডে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও সংযুক্ত করতে হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।

পতাকা বিধিমালার ৪(১) বিধিতে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত দিবস এবং উপলক্ষে বাংলাদেশের সর্বত্র সরকারি ও বেসরকারি ভবনসমূহে এবং বিদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের অফিস ও কনস্যুলার পোস্টসমূহে নিম্নরূপ পদ্ধতিতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করতে হবে- মহানবীর জন্ম দিবস (ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী), ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যেকোনো দিবস।

এসএইচ-০৬/১৬/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ক্ষোভে ফুঁসছে মিয়ানমার

আরও এক বার দেশজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। কিন্তু মায়ানমারে গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন তাতে থামেনি। উল্টে আজ তা আরও বড় আকার নিয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দেশ শাসনের ভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছে সেনাবাহিনী। শুরুতে মূলত সমাজমাধ্যমে গণবিক্ষোভ ঠেকাতে দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল সেনা। প্রবল সমালোচনার জেরে পরে তা চালু করা হয়। আজও ফের সেই রাস্তায় হেঁটেছেন সেনা কর্মকর্তারা।

সকাল থেকেই বিভিন্ন শহরে বন্ধ করে দেয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। আজকের ঘটনায় সেনার প্রতি সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই বিক্ষোভের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইয়াঙ্গন ও তার আশপাশের শহরগুলো। নেট পরিষেবা বন্ধ করার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত সমাজমাধ্যমের লাইভ স্ট্রিমিংয়ে দেখা গেছে বিশাল বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এখানে। রাস্তায় চলছে সেনার সাঁজোয়া গাড়ি।

গণমাধ্যমকর্মীরা জানিয়েছেন, সোমবার ইয়াঙ্গনের উত্তরে মেকিনা শহরে বিক্ষোভকারীদের হটাতে প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। পরে গুলিও চলে। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে পথে নামার জন্য ৪০০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সেনার নির্দেশ উপেক্ষা করে আজ ইয়াঙ্গনের উত্তরে বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র-ছাত্রী। ধরপাকড় চলছে সাংবাদিকদের উপরেও।

মিয়ানমারের নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকার যাতে কেড়ে না নেয়া হয়, তার জন্য সেনাকে আরও এক বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস। সেনাবাহিনী যাতে কোনও ভাবেই সংঘর্ষে না জড়ায় সেই আর্জি জানিয়েছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশগুলোর প্রতিনিধিরাও।

কারফিউ উপেক্ষা করে তাদের দেশটির নাগরিকেরা যাতে রাস্তায় না বের হয়, সেই আর্জি জানিয়েছে আমেরিকার সরকার। মিয়ানমারে জাতিসংঘের প্রতিনিধি টম অ্যানড্রুজ সেনা কর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘সব কিছুর জন্য আপনাদেরই দায়ী করা হবে’।

এদিকে, আজই শেষ হচ্ছে এনএলডি নেত্রী সুচি-র গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ। তাকে আজ মুক্তি দেওয়া হবে কি না নিশ্চয়তা নেই।

এসএইচ-০৫/১৬/২১ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

গুড়ে রাসায়ানিক ব্যবহার করায় বাড়ছে ক্যান্সারের ঝুঁকি

শীতে গুড়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নাটোরের লালপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদন বেড়ে গেছে। আখ ও খেজুরের রসের পরিবর্তে গুড় তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে চিনি, ক্ষতিকর রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্য। এই গুড় খেলে পেটের বিভিন্ন অসুখসহ ক্যান্সারও হতে পারে বলছেন চিকিৎসকরা। জেলা প্রশাসন ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানেও থামছে না ক্ষতিকর গুড় উৎপাদন।

জানা গেছে, শীতে গুড়ের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নাটোর সদর, নলডাঙ্গা, বাগাতিপাড়া, লালপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক কৃষক ব্যস্ত আখের ও খেজুরের গুড় উৎপাদনে। নাটোরে উৎপাদিত খাঁটি গুড়ের কদর দেশ জুড়ে থাকায় লালপুরের কিছু অসাধু গুড় উৎপাদনকারী তৈরি করছেন ক্ষতিকর গুড়। আখের রস ও খেজুরের রসের পরিবর্তে চিনি, ক্ষতিকর রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে তৈরি করছেন গুড়।

স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব আখের ও খেজুরের গুড় খোদ প্রস্তুতকারীও খেতে ভয় পান। ক্ষতিকর গুড় উৎপাদনকারীদের দাবি করেন, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে এই গুড় সরবরাহ করেন।

আসল ও ভেজাল গুড় চিনতে না পারায় ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।

ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধে নাটোর জেলা প্রশাসন ও র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সোমবার লালপুরে ৫ হাজার কেজি ক্ষতিকর গুড় ধ্বংস করা হয়।

তবে ভেজাল গুড় উৎপাদনকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি জানান জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক।

নাটোর সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান জানান, ক্ষতিকর রঙ ও রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে তৈরি গুড় খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের অসুখসহ ক্যান্সারও হতে পারে। আর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহরিয়াজ জানান, ভেজাল গুড় উৎপাদন বন্ধ করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

লালপুর উপজেলায় প্রায় অর্ধশত মানুষ ভেজাল গুড় উৎপাদনের সাথে জড়িত বলে জানা গেছে।

এসএইচ-০৪/১৬/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে?

দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণহারে টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। শুরুতে নানা ধরনের আশঙ্কার কারণে অনেকেই টিকা নিতে আগ্রহী ছিলেন না। কিন্তু তারপর দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রথমদিনে টিকা গ্রহণের সংখ্যাটা কিছুটা কম থাকলেও দিন যেতে যেতে প্রতিদিনই তা বেড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ড যৌথভাবে বিশ্বজুড়ে এক জরিপ পরিচালনা করেছে। যেখানে দেখা গেছে বাংলাদেশে ৬৪ শতাংশের মতো মানুষ করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহী।

জানুয়ারির শেষের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউট একটি জরিপের রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেখানে দেখা গিয়েছিল যে ৩২ শতাংশের মত মানুষে করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে আগ্রহী।

শুরুতে টিকা নেওয়ার আগ্রহ কম থাকলেও পরে কেন এই আগ্রহ বাড়ল সেটার কারণ খুঁজে বের করে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদনে কয়েকটি বিষয়ে সামনে নিয়ে এসেছে। সেগুলো হলো-

১। টিকা নেওয়ার পর তেমন মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি।

২। সরকার এখন সবার জন্য টিকা বিনামূল্যে দিচ্ছে, কিন্তু একটা সময় এটি বিনামূল্যে নাও দিতে পারে।

৩। প্রতিদিনই টিকার নেওয়ার সংখ্যা বাড়ছে, এতে অনেকেই আগ্রহ হয়ে টিকা গ্রহণ করছে।

৪। টিকা কর্মসূচী শুরু হওয়ার পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ইতোমধ্যে টিকা নিয়েছেন। এতে অনেকেই আগ্রহ নিয়ে টিকা গ্রহণ করছেন।

৫। বাইরে কোথাও ভ্রমণ করতে হলে করোনা টিকার সনদ দেখাতে হতে পারে, এ কারণে অনেকেই টিকা গ্রহণ করছেন।

এদিকে সোমবার দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ করোনার টিকা গ্রহণ করে। এদিন মোট দুই লাখ ২৬ হাজার ৬৭৮ জনকে করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া তথ্যানুযায়ী, এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকাগ্রহণের রেকর্ড।

সোমবার টিকাগ্রহণকারীর মধ্যে পুরুষ রয়েছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ১৫৫ জন এবং নারী ৭৯ হাজার ৫২৩ জন। এ সময়ে ২৯ জন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) রিপোর্ট করেছেন।

সোমবার পর্যন্ত দেশব্যাপী চলমান গণটিকাদান কার্যক্রমে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জনে দাঁড়িয়েছে। যার মধ্যে পুরুষ সাত লাখ ৭৩ হাজার ৬২৪ জন ও তিন লাখ ৫৯ হাজার ৮৭ জন নারী। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে রোববার পর্যন্ত এইএফআই রিপোর্ট করেছেন ৪৫৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬২ হাজার ৭৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নয় হাজার ৪৫৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ হাজার ৭৪৪, রাজশাহী বিভাগে ২৪ হাজার ৬০জন, রংপুর বিভাগে ২১ হাজার ৬১৮ জন, খুলনা বিভাগে ২৭ হাজার ৭১০ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ১৩১ এবং সিলেট বিভাগে ১৬ হাজার ২২৭ জন টিকা নিয়েছেন।

বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট টিকাগ্রহণকারী ১১ লাখ ৩২ হাজার ৭১১ জনের মধ্যে- ঢাকায় তিন লাখ দুই হাজার ৭০৫ জন, ময়মনসিংহে ৫০ হাজার ৭৩০, চট্টগ্রামে দুই লাখ ৭০ হাজার ৯৫৯, রাজশাহীতে এক লাখ ২৮হাজার ৭৬৩, রংপুরে এক লাখ ছয় হাজার ৬৩৪, খুলনায় এক লাখ ২৮ হাজার ১৫৯ জন, বরিশালে ৫১ হাজার ৫২৩ এবং সিলেট বিভাগে ৯৩ হাজার ২৩৮ জন টিকা নেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরদিন ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর সরকারি পাঁচটি হাসপাতাল এবং পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।

এসএইচ-০৩/১৬/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

অভিজিৎ হত্যাকান্ডে ৫ আসামির মৃতুদণ্ড, ফারাবীর যাবজ্জীবন

মুক্তমনা ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। পাশাপাশি ফারাবীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে হত্যা করতেই জঙ্গিরা অভিজিৎকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে বলে পর্যবেক্ষণে জানান আদালত।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।

১১ এপ্রিল ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান। মামলায় ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ২৮ জন সাক্ষ্য দেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. আরাফাত রহমান ও শফিউর রহমান ফারাবি।

এদের মধ্যে মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির শুরু থেকেই পলাতক।

এসএইচ-০২/১৬/২১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)