বিকাল ৪:৩৩
শনিবার
২০ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
৭ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

সিরাজগঞ্জে গৃহবধূর চুল কেটে দেয়া সেই আ’লীগ নেতা কারাগারে

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গৃহবধূর চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রশিদকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার সকালে আত্মসমর্থন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুর রশিদ আজ সকালে উল্লাপাড়া আমলী আদালতে আত্মসমর্থন করেন।

গত ২৫ নভেম্বর উল্লাপাড়ার উধুনিয়ার গজাইল গ্রামে ২ সন্তানের জননীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ ও তার চার সহযোগী ওই গৃহবধূর চুল কেটে দেয়।

এ ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ঢাকা হাইকোর্টের একজন আইনজীবী আদালতের নজরে আনলে হাইকোর্ট বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জের ডিসি, এসপি, ইউএনও ও উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসির নিকট ঘটনার অগ্রগতির ব্যাখ্যা চান। এর পরেই পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন নড়ে চড়ে বসে।

বিএ-০৯/১০-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের গণহত্যার বিচার শুরু

নেদারল্যান্ডসের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায় শুরু হওয়া এ শুনানিতে প্রথমে মামলার বাদী গাম্বিয়া তাদের যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে। আজ তিন ঘণ্টা গাম্বিয়া তাদের যুক্তি তুলে ধরবে। খবর রয়টার্স ও গার্ডিয়ানের

আদালতে মিয়ানমারের পক্ষে উপস্থিত আছেন অং সান সু চি এবং গাম্বিয়ার পক্ষে দেশটির আইনমন্ত্রী আবুবকর ম্যারি তাম্বাদু।

আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের ১৫ জন বিচারক গাম্বিয়ার যুক্তি শুনছেন। বুধবার মিয়ানমার তাদের যুক্তিতর্ক তুলে ধরার সুযোগ পাবে। এরপর বৃহস্পতিবার গাম্বিয়া আবার তাদের যুক্তি তুলে ধরবে। ওই দিন মিয়ানমারও আবার যুক্তি তুলে ধরার সুযোগ পাবে।

হেগে মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে শুনানির সময় অং সান সু চি- ছবি এএফপি
শুনানিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অব্যাহত গণহত্যা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আদালতের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে গাম্বিয়া। তবে এই প্রাথমিক শুনানিতে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের কারও বক্তব্য শোনা হবে না। তিন দিনের শুনানি শেষে কবে রায় ঘোষণা করা হবে সে বিষয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি।

‘ওয়ার্ল্ড কোর্ট’ বা বিশ্ব আদালত হিসেবে পরিচিত আইসিজেতে গত মাসে মামলা করে গাম্বিয়া। এতে কূটনৈতিক ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ওআইসি। শুনানি শুরুর আগের দিন গাম্বিয়ার উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছে কানাডা এবং নেদারল্যান্ডস।

তিন দিনব্যাপী শুনানি চলাকালে জাতিসংঘের এই সর্বোচ্চ আদালতের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জল্পনা-কল্পনা চলছে, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অংশ হিসেবে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে।

আইসিজে’র ওয়েবসাইটে (www.icj-cij.org) শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। সারা বিশ্বের গণমাধ্যমকর্মীসহ বিপুলসংখ্যক আন্তর্জাতিক দর্শক এই শুনানি দেখছেন।

বিএ-০৮/১০-১২ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

দেশে মূর্খের শাসন চলছে বললেন ব্যারিস্টার মইনুল

দেশে মূর্খের শাসন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

মঙ্গলবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থাকে অস্তিত্বহীন করাই আমাদের সরকারের কাজ। দেশে মূর্খতার শাসন চলছে। আমরা যে লেখালেখি করে, রক্ত দিয়ে, সংগ্রাম করে, যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। আজ ভোটাধিকার হারিয়ে ফেলার মাধ্যমে সব হারিয়ে ফেলেছি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করে যে ক্ষমতায় আছে সেটা অনেক বড় লজ্জার ব্যাপার। কোনো দাবি আদায়ের মতো সরকার আমরা প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। আমরা চেষ্টা করেছি বিদ্যা দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে দেশ গড়ার। কিন্তু আজ মানুষের অধিকার নেই। মানুষকে বিচারহীনতায় ভুগতে হচ্ছে।

সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কোনো মর্যাদা পাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, মানুষকে তার মৌলিক অধিকার থেকে যে বঞ্চিত করে, সে ডাকাত। ভোট ডাকাতির চেয়েও বড় ডাকাতি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা।

ড. কামাল বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আর এই স্বাধীন দেশের মানুষ যেন তাদের অধিকার ভোগ করতে পারে সেজন্য মাত্র এক বছরের মধ্যে একটি সংবিধান প্রণয়ন করেছি। জনগণ ক্ষমতার মালিক, তাই তাদের আকাঙ্ক্ষাকে প্রাধান্য দিয়েই সংবিধান করেছি। কিন্তু আজ দেশে বাক স্বাধীনতা নেই। এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

বাঙালি নির্যাতন সহ্য করবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতি নির্যাতন সহ্য করার জাতি না। আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করে, রক্ত দিয়ে যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের অধিকার আদায় করি। আমাদের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আন্দোলন করতে হবে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল হুদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক তালুকদার মনিরুজ্জামান মনিরের সঞ্চালনায় সভায় সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুল ইসলাম, সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত মো. মোফাজ্জাল করিম প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বিএ-০৭/১০-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

নাটোরে পুকুরে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় পুকুরে ডুবে ভাই ও বোনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো–কাউছার হোসেন ও মিম খাতুন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সিংড়া পৌর শহরের দমদমা-হাঁড়িগাড়ায় বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত পুকুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশু কাউছার হোসেন একই এলাকার শামীম হোসেনের ছেলে ও মিম খাতুন দিনমজুর মিঠুন আলীর মেয়ে। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো ভাইবোন।

স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম জানান, মঙ্গলবার সকালে শিশু দুটি সবার অজান্তে বাড়ির পাশে এন্তাজ আলীর একটি কচুরিপানাভর্তি পরিত্যক্ত পুকুরে পড়ে ডুবে যায়।

পরে বাড়ির লোকজন তাদের খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুকুরের কচুরিপানার মধ্যে একটি সেন্ডেল ভাসতে দেখে। পরে তাদের উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমাইয়া আকতার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় প্রতিবেশী ডলি বেগম জানান, শিশু কাউছার হোসেনের বাবা শামীম হোসেন একজন অন্ধ প্রতিবন্ধী এবং শিশু মিম খাতুন দিনমজুর মিঠুন আলীর ছোট মেয়ে। পরিবারের লোকজন কাজে ব্যস্ত থাকায় সবার অগোচরে তারা খেলার ফাঁকে পানিতে পড়ে ডুবে যায়।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর-এ আলম জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বিএ-০৬/১০-১২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)

রাজশাহী কলেজে বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন মেয়র লিটন

রাজশাহী কলেজের ১০ তলা বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কলেজের দক্ষিণ-পূর্বপাশে এই ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মেয়র। এই ভবনটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সংগ্রামে রাজশাহী কলেজের গৌরবউজ্জল ইতিহাস রয়েছে। আমি এই কলেজের শহীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সক্ষমতা অর্জন করছে, আমাদের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে, এর একটি উদাহরণ হচ্ছে এই ১০ তলা বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের নির্মাণ। রাজশাহীর সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রাজশাহী কলেজে এই প্রথম ১০ তলা একাডেমিক ভবন নির্মাণ হচ্ছে।

মেয়র বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে বতর্মান সরকার।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক, ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ ইলিয়াছ উদ্দিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. নাজনিন সুলতানা, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শিখা সরকার, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নার্গিস জাহান, প্রাণিবিদ্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ রবিউল আলম,ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মানিকসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, নির্মাতা প্রতিষ্ঠা মেসার্স সাব ট্রেডার্স এর প্রোপ্রাইটার আহসানুজ্জামান হাসান, রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈম প্রমুখ।

সাব ট্রেডার্স এর প্রোপ্রাইটার আহসানুজ্জামান হাসান বলেন, এই ভবনটি নির্মাণের সময়কাল ধরা হয়েছে ৩১ মাস। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ২৪ মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিএ-০৫/১০-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে প্রথমবার ভালুক শাবকের জন্ম, সিংহের ঘরেও নতুন অতিথি

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রথমবারের মতো ভালুক শাবকের জন্ম হয়েছে। ভালুকের পরিবারে নতুন শাবক জন্ম নেয়ায় পার্ক কর্তৃপক্ষ ভালুক ঘিরে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন।

এ ছাড়া একই পার্কে সিংহের পরিবারেও এসেছে নতুন শাবক। শনিবার ভালুক শাবকটির জন্ম হলেও পার্ক কর্তৃপক্ষ সোমবার সন্ধ্যায় খবরটি গণমাধ্যমে জানান।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, গত শনিবার কোর সাফারির আফ্রিকান সাফারি পার্কের ভালুকের বেষ্টনীর গর্তের ভেতর বাচ্চার শব্দ শোনা যায়। পরে দেখা যায় গর্তের মধ্যে একটি মা ভালুক বাচ্চা নিয়ে বসে আছে।

এর পর থেকেই পার্কের কর্মকর্তারা গর্তের মধ্যেই মা ভালুককে খাবার দিচ্ছেন। মা ভালুক বাচ্চার প্রতি খুব বেশি সতর্ক থাকে ও হিংস্রতা দেখায়। তাই গর্তের ভেতর অবস্থান করা ভালুকের কয়টি বাচ্চা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তা ছাড়া তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কাছে যাওয়া হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই বাচ্চার সংখ্যা জানতে চেষ্টা করা হবে। ভালুক সাধারণত একসঙ্গে এক থেকে তিনটি বাচ্চার জন্ম দেয়। ভালুকের পালে প্রথমবারের মতো বাচ্চার জন্ম হওয়ায় নতুন সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।

তবিবুর রহমান আরও জানান, সিংহ পরিবারেও নতুন অতিথির আগমন ঘটেছে। সোমবার দুপুরের দিকে সিংহের বেষ্টনীতে মা সিংহকে বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। সিংহ শাবকের জন্মের সময় সাধারণত চোখ ফুটে না।

এদের চোখ ফুটতে ৩-১১ দিন সময় লাগে। নতুন জন্ম নেয়া শাবকটির চোখ ফুটে গেছে, দেখে মনে হচ্ছে শাবকটির বয়স অন্তত ১৫ দিন। জন্মের সময় এদের ওজন ১-৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এ সময় সিংহ শাবককে জঙ্গলের আড়ালে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখে এবং সেখানে অন্য সঙ্গীদের পর্যন্ত যেতে দেয় না।

শাবকরা ১০-১৫ দিনে হাঁটতে শেখে। ৪-৫ মাস বয়স থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্য খাবার খাওয়ানো শেখানো হয়। এরা প্রায় বছর দুয়েক পর্যন্ত মায়ের কাছাকাছি থাকে। এদের প্রধান খাদ্য গো মাংস ও প্রতি শুক্রবার জীবিত খরগোস দেয়া হয়।

এদিকে সদ্য জন্ম নেয়া ভালুক ও সিংহ শাবকের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।

এ নিয়ে পার্কে সিংহের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬টিতে। তবে নতুন শাবকটি পুরুষ না মাদী তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত সাফারি পার্কে ১১টি সিংহ শাবকের জন্ম হয়েছে। তবে বিভিন্ন ধাপে এ পার্ক থেকে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানায় চারটি সিংহ সরবরাহ করা হয়েছে।

বিএ-০৪/১০-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

পাথরবোঝাই ট্রেনে এলো ফেনসিডিল

ভারত থেকে আমদানি করা পাথর বহনকারী ওয়াগান ট্রেনে অভিনব কায়দায় রাখা ২৩৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।

সোমবার রাত ৮টার দিকে ফেনসিডিলের চালানটি উদ্ধার করা হয়। যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ভারত থেকে বাংলাদেশগামী পাথর বহনকারী ভারতীয় ট্রেনে ফেনসিডিল নিয়ে আসছে এ খবরের ভিত্তিতে সোমবার রাতে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে ভারত থেকে বাংলাদেশগামী পাথর বহনকারী ভারতীয় ট্রেনের একটি বগি (বগি নং-৩০০৫৯৮/৬০০৫৮) তল্লাশি করে পাথরের নিচে রাখা প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। পরে সেগুলো খুলে তার মধ্যে ২৩৫ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল পাওয়া যায়। এ সময় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও কাস্টমস উপস্থিত ছিল। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

বিএ-০৩/১০-১২ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, কী করবেন?

হঠাৎ গ্যাস

প্রায় ঘটছে গ্যাসের চুলায় বিস্ফোরণের ঘটনা। সাভারের আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন আরও তিন শ্রমিক। মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার খেজুর বাগান এলাকায় ন্যাচারাল ভিলেজ সোয়েটার লিমিটেড নামে ওই পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্যাসের চুলা বিস্ফোরণে প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। যেহেতু সিলিন্ডারের গ্যাস খুব বেশি চাপে তরল করে প্রবেশ করানো হয়, তাই এটির বিস্ফোরণও খুব মারাত্মক হয়। এর বিস্ফোরণ হলে শকওয়েভ ছড়িয়ে পড়ে। এ শকওয়েভ শরীরের যেখানেই লাগুক না কেন, তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আসুন জেনে নিই সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে কী করবেন?

১. রান্নার পর অবশ্যই গ্যাসের চুলা বন্ধ রাখতে হবে। আর গ্যাস জ্বালিয়ে রাখলে যদি রান্নাঘরের জানালা বন্ধ থাকে, তবে সারা ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। হতে পারে গ্যাস বিস্ফোরণ।

২. সিলিন্ডার লিক হচ্ছে কিনা, তা নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। এটি করার জন্য পানিতে সাবানের গুঁড়া মিশিয়ে ফেনা তৈরি করুন। এবার ফেনা হোসপাইপ, রেগুলেটর, ভাল্ব ইত্যাদিতে লাগান। যদি দেখেন সাবান-পানির ফোঁটা বড় হচ্ছে, তা হলে বুঝবেন লিক হচ্ছে গ্যাস। দ্রুত ব্যবস্থা নিন।

৩. রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই চুলা বন্ধ করে ঘুমাতে হবে। এটি অভ্যাসে পরিণত করলে আপনি ও আপনার পরিবার থাকবে নিরাপদে।

৪. রান্নার আগে ও পরে রান্নাঘরের জানালা বন্ধ রাখবেন না। জানালা বন্ধ রাখলে গ্যাস জমে হতে পারে বিস্ফোরণ।

৫. সিলিন্ডারের গ্যাস খুব বাজে গন্ধযুক্ত। লিক হলে খুব উৎকট গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তাই এমন উৎকট গন্ধ পেলে আগুন তো জ্বালাবেন না, উল্টো বাসার বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দিন।

৬. সিলিন্ডার উচ্চচাপ ও তাপের এলাকায় রাখবেন না। রান্না তুলে দিয়ে অন্য কাজে যাবেন না। এতে খাবারে আগুন ধরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হতে পারে। রান্না করার সময় কাপড় নিয়ে সাবধান হন। কারণ কাপড়ে আগুন লেগে পুড়ে যেতে পারে।

সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পরে যা করবেন

১. গ্যাসের বিস্ফোরণের পর যত দ্রুত সম্ভব আক্রান্তদের খোলা জায়গায় নিতে হবে। বিশেষ করে যেখানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা আছে। এ ছাড়া আক্রান্তদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। কারণ অক্সিজেন দেয়ার দরকার হতে পারে।

২. সিলিন্ডারের গ্যাস বিস্ফোরণের ফলে যদি শরীরের কোনো স্থানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, তবে ২০ মিনিট ধরে পানি ঢালুন। কাপড়ে লাগলে কাপড়গুলো খুলে ফেলুন।

৩. গ্যাস বিস্ফোরণের পর পানির ঝাপটা দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। শরীরে আগুন লাগলে দ্রুত কাপড় খুলে ফেলুন। মাটিতে গড়াগড়ি দিন। পুড়ে গেলে দ্রুত হাসপাতালে নিন। যদি শরীরে ফোস্কা পড়ে, তা তুলে ফেলবেন না। হাসপাতালে নিয়ে যান দ্রুত।

আরএম-২৩/১০/১২ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

খাওয়ার পরই পেট ফুলে ফেঁপে যাচ্ছে?

খাওয়ার পরই

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ছোট বড় প্রায় সবাই ভুগে থাকেন। মূলত ফাস্ট ফুডসহ বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক বাড়ায় এ সমস্যায় পড়ছেন সবাই। ব্যস্ত জীবনযাত্রার এই যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এসব থেকে রেহাই পেতে ওষুধই কি ভরসা! অবশ্যই না। ঘরোয়া কিছু উপায়ই পারে বুক জ্বালা, পেট ফুলে ফেঁপে ওঠার সমাধান করতে-

শসা : পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী শসা। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।

দই : হজম শক্তি বৃদ্ধিতে দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।

পেঁপে : পাপায়া নামক এনজাইম রয়েছে পেঁপেতে। যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।

কলা ও কমলা : পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে কলা ও কমলা। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।

আদা : সবচেয়ে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান আদা। পেট ফাঁপা এবং গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।

ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।

দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে পেটের গ্যাস দূরে থাকবে।

জিরা : পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে জিরা অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।

লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমি বমি ভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।

পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমি ভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।

মৌরির পানি : মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।

আরএম-২২/১০/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

৯২৪১ কোটি ব্যয়ে ৭ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ৯ হাজার ২৪১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে ৪ হাজার ৩১৫ কোটি ১ লাখ এবং ঋণ সহায়তা আসবে ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সরকারের ২১তম একনেক সভায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এই সভা হয়।

একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘পাকিস্তানের ইসলামাবাদে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধন)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের চারটি প্রকল্প যথাক্রমে ‘কক্সবাজার জেলার রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৯ ও ১১৩) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প, ‘ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে মুন্সিগঞ্জের হাসাড়া পর্যন্ত জেলা মহাসড়ক (জেড-৮২০৩) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প,

‘ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়কের (এন-৭০৪) কুষ্টিয়া শহরাংশ চারলেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্প এবং ‘নাগেশ্বরী-কাশিমপুর-ফুলবাড়ী-কুলাঘাট-লালমনিরহাট জেলা মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্প; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা, মাদারীপুর ও রংপুর জেলার তিনটি কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) (প্রথম সংশোধন)’ অনুমোদন দেয়া হয়।

বিএ-০২/১০-১২ (ন্যাশনাল ডেস্ক)