সন্ধ্যা ৬:০০
শুক্রবার
২৯ শে মার্চ ২০২৪ ইংরেজি
১৫ ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৯ শে রমজান ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

এবার ঢাকাই সিনেমায় হলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা

এবার ঢাকাই

বাংলাদেশের অনেক সিনেমাতেই বিদেশি তারকারা অভিনয় করেছেন। এবা বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘এডভোকেট সুরাজ’ এ অভিনয় করতে যাচ্ছে হলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা গ্রে। তিনি হলিউডের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ঘোস্ট হাউজ, হার্ড টার্গেট-২, ব্রাইস-৩ সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান এসএইচকে গ্লোবাল এর প্রযোজনায় ও কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক সি.বি. জামান এর পরিচালনায় ‘এডভোকেট সুরাজ’ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন শামস হাসান কাদির। তার বিপরীতে অভিনয় করবেন বলিউড অভিনেত্রী পূজা চোপড়া ও হলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা গ্রে।

ইতোমধ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে শামস হাসান কাদির ও পূজা চোপড়ার নাম ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত ক্যাটরিনা গ্রের নাম ঘোষণা দেয়নি।

এ প্রসঙ্গে এসএইচকে গ্লোবাল এর সি.ই.ও. ইমদাদুল ইসলাম যিকরান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের ‘এডভোকেট সুরাজ’ চলচ্চিত্রটিতে বেশ কয়েকন হলিউড ও বলিউডের শিল্পী অভিনয় করছেন। ক্যাটরিনা গ্রে ছাড়াও আরও কয়েক জনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর আগে শামস হাসান কাদির ও পূজা চোপড়া’র ও বলিউডের স্বনামধন্য কোরিওগ্রাফার মাস্টার স্বরূপের কথা জানিয়েছি। বাকি শিল্পীদের নাম শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা আমাদের বিদেশি শিল্পী-কলাকুশলীদের ওয়ার্ক মারমিট সহ অন্যান্য প্রসেসিং করছি। সেগুলি কমপ্লিট হলেই শুটিং শুরু করবো। বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য চলচ্চিত্রটিতে বেশ কিছু চমক থাকছে।’

উল্লেখ্য, ক্যাটরিনা গ্রে অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশক, পরিচালক এবং কাহিনীকার। হলিউডের প্রযোজনা-পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান গ্রে ফিল্মস এর কর্ণধারও তিনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে অভিনয়ের পাশাপাশি তার প্রযোজনা, পরিচালনায় নির্মিত ভৌতিক চলচ্চিত্র ‘ডেটাইম নাইটমোর’ মুক্তি পাবে।

আরএম-০৯/০৬/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

সাকিব থাকবেন বিপিএলে !

সাকিব আল হাসান এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে থাকবেন ঠিকই, তবে ব্যাট-বল হাতে নয়, রেকর্ডবুকের মাঝে।

বিপিএল এলেই সাকিবকে ঘিরে কত গল্প হতো, কত লেখা হতো। এবার যেন তার উল্টো। অথচ পুরনো রেকর্ডবুকে চোখ বুলালে এই সাকিব আল হাসানের নামটাই থাকবে এক থেকে পাঁচে। বোলিং বলি আর ব্যাটিং-সবখানেই খুঁজে পাওয়া যাবে তাকে। একাধিকবার টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছিলেন সাকিব।

বিপিএলে অদ্যাবধি যে কয়টা আসর মাঠে গড়িয়েছে, প্রায় সবকটিতেই উজ্জ্বল ছিলেন সাকিব। পরিসংখ্যানও সেই কথা বলছে। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সাকিবের নাম চারে। ২০১২ থেকে সবমিলিয়ে ৭৬ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১৪৮৩ রান করেছেন সাকিব। যেখানে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৬।

এ তো গেল ব্যাটিংয়ের কথা। বল হাতে আরও উজ্জ্বল সাকিব। বিপিএলে এখন পর্যন্ত সর্বকালের সেরা বোলার তিনি। বিভিন্ন দলের হয়ে ৭৬ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১০৬ উইকেট। যেখানে তার পরে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার ঝুলিতে আছে ৭৩ উইকেট। এক ইনিংসের সেরা বোলিংয়েও সাকিব আছেন তিনে। ২০১৭ বিপিএলে ঢাকার হয়ে রংপুরের বিপক্ষে ৩.৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট ঝুলিতে পুরেছিলেন সাকিব।

আঙুল উঁচিয়ে সেই উদযাপন, ব্যাট হাতে দৃষ্টিনন্দন সুইপ শট, কিংবা ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে বলটাকে সীমানাছাড়া করা-এসব দৃশ্যগুলো এবার বড্ড মিস করবেন সাকিবভক্তরা।

বিপিএলের ২২ গজে সাকিবকে দেখা না গেলেও এতসব রেকর্ডের কারণে ঠিকই মনে করতে হবে তাকে। হয়তো টিভি পর্দায় ভেসে উঠবে তার নাম, না হয় কোনো ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে শোনা যাবে। কিংবা কোনো একদিন গ্যালারিতে এক দর্শকের হাতে ছবি হয়ে বা কোনো প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনের মাঝে ফুটে উঠবেন চিরচেনা কোনো উদযাপনের ঢঙে। আবার কেউ সাকিবের রেকর্ড ভাঙলেও স্মরণ করতে হবে তাকে।

নিয়তির কী নির্মম পরিহাস যে সাকিব থাকতেন এবারের বিপিএলের অন্যতম আইকন, সে কি-না এখন বন্ধী! জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পাওয়ার পরও গোপন রেখে বোধ হয় নিজের পায়েই কুড়াল মারলেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

এক ভুল, একটা বছর কেড়ে নিল সাকিবের কাছ খেকে। লাল দাগ পড়ল ঝলমলে একটা ক্যারিয়ারের খাতায়। তবু আশায় বুক বাঁধতে হয়, স্বপ্ন বুনতে হয় আবারও নবরূপে সেই পুরনো সাকিবকেই দেখবে ক্রিকেটবিশ্ব। যেমনটা বিশ্বাস করেন তার সমর্থকরাও।

এসএইচ-১৭/০৬/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

মায়ের ইচ্ছায় বিয়ে করবো : অপু বিশ্বাস

মায়ের ইচ্ছায়

অনেকদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের বিয়ের গুঞ্জন। ঢালিউড কুইন খ্যাত এই নায়িকা দ্বিতীয়বারের মতো সংসার পাতবেন। ফেসবুক ও কিছু গণমাধ্যম নায়িকার বিয়ের গুঞ্জনে ঘি ঢেলেছে চিত্রনায়ক বাপ্পীকে জড়িয়ে। কিন্তু সব খবরকেই হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন নায়িকা। দাবি করেছেন, ‘খুবই দুর্বল গুজব’ বলে।

নতুন করে আবারও শুরু হয়েছে অপু বিশ্বাসের বিয়ের গুঞ্জন। তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে দ্বিতীয় বিয়ের কথা অস্বীকারও করেননি নায়িকা। তবে এখনই বিয়ে করছেন বিষয়টি এমন নয়।

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘বিয়ে হয়তো করতেও পারি কোনো একদিন। যদি করি তবে এবার মায়ের ইচ্ছায় বিয়ে করবো। তার মানে এই নয় যে, আমি এখনই বিয়ে করে ফেলছি বা বিয়ের জন্য পাত্র দেখা শুরু করে দিয়েছি। বিয়ে করলে সবাই জানতে পারবে।’

আপাতত একমাত্র পুত্র আব্রাম খান জয়কে ঘিরেই ভালো সময় কাটাচ্ছেন তিনি। ছেলের দেখাশোনা, পড়াশোনা সবকিছু সামলে যেটুকু সময় পান সেটুকু শোবিজ ব্যয় করেন। সিনেমা-বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন রকম শো-তে অংশ নেন।

শাকিব-অপু দম্পতির বিচ্ছেন হয়ে যায় গত বছর ১২ মার্চ। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ঢাকাই ছবির এক সময়ের হিট জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় তাদের সন্তান আব্রাম খান জয়ের। এখন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ‘ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা’তে প্লে-গ্রুপে পড়ে জয়।

সর্ব শেষ ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস। দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত এই ছবির নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। সিনেমাটি এখন মুক্তির অপেক্ষায়।

আরএম-০৮/০৬/১২ (বিনোদন ডেস্ক)

বেগুনের যতো গুণ

বেগুনের

অনেকে বলেন বেগুনের কোন গুণ নেই। এ কথা যারা বলেন তারা হয়তো জানেন না বেগুনের গুণ সম্পর্কে। পুষ্টিবিদদের মতে, বেগুন পুষ্টিতে ভরা একটা সবজি। আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য এই পুষ্টি খুবই জরুরি।

উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যার মতো একাধিক শারীরিক সমস্যা সমাধানে বেগুন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আসুন এবার বেগুনের কয়েকটি অজানা গুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক…

১) বেগুনে থাকা ফাইবার যে কোনও পেটের রোগের প্রকোপ কমতে সাহায্য করে।

২) বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের টক্সিক উপাদানের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বেগুনে থাকা ফাইবার কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রয়েছে।

৩) বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা শরীরে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের খাদ্যতালিকায় বেগুণ রাখতে পারলে উপকার পাওয়া যায়।

৪) বেগুনে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬সহ একাধিক উপকারী উপাদান যা শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৫) বেগুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-৬ আর ফ্লেবোনয়েড যা কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আরএম-০৭/০৬/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

কুরআনে অগ্নিসংযোগ যেভাবে প্রতিরোধ করলো ইলিয়াস (ভিডিও)

চোখের সামনে কুরআনে অগ্নিসংযোগের এ ঘটনা ঘটে গত নভেম্বর মাসে। দেশটিতে ইসলাম প্রিয় হয়ে উঠছে বা মুসলমানের সংখ্যা বাড়ছে এবং তা ঠেকাতে ইসলাম বিরোধী সংগঠন ‘স্টপ ইসলামাইজেশন অব নরওয়ে’ (এসআইএএন) ওইদিন সমাবেশের আয়োজন করে। এ সমাবেশের নেতৃত্বদানকারী লারস থরসেন দুই কপি কুরআন শরীফ নিয়ে সমাবেশে স্থলে নিয়ে আসেন। এবং মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় অগ্নিসংযোগ করা হবে।

তখন সেখানে প্রচুর পুলিশ থাকলেও এধরনের ন্যাক্করজনক ঘটনায় কোনো বাধা দিতে দেখা যায়নি তাদের। কুরআন শরীফের একটিতে আগুন দেয়া মাত্রই সমাবেশের পাশে থেকেই ইলিয়াস নামে এক সিরিয় যুবক দৌড়ে আসেন লাস থরসেনকে লক্ষ্য করে। সারাবিশ্বাস ইউটিউব ফুটেজে এ দৃশ্য দেখে ইলিয়াসের প্রশংসা করে এবং তাকে বীর বলে অভিহিত করে। আরেকটি কুরআন শরীফে আগুন দেয়ার আগেই ইলিয়াস এ প্রতিরোধ গড়ে তোলে একা এবং খালি হাতে। এখনো ইলিয়াসকে মুক্তি দেয়ানি নরওয়ে কর্তৃপক্ষ।

নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরে এ ঘটনা ঘটার আগেই স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে ওই সমাবেশ ঘোষণার পর সাবধান করে দেয়া হয়েছিল। এরপরও নরওয়ে কৃর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেনি। চোখের সামনে পবিত্র কুরআনে অগ্নিসংযোগ করতে দেখে ইলিয়াস নিশ্চুপ থাকতে পারেনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার এ প্রতিরোধের দৃশ্য বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। তুরস্ক, সৌদি আরব, পাকিস্তান নরওয়েতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইলিয়াসকে অনেকে ‘ দি মুসলিম হিরো’, ‘ দি ডিফেন্ডার অব কুরআন’ বলেও অভিহিত করে।

এদিকে ইলিয়াসের মুক্তির দাবিতে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স কমিটির কাছে দাবি জানানো হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে একজন মুসলমান হিসেবে ইলিয়াস তার চোখের সামনে কুরআনের অবমাননা সহ্য করতে পারেনি। এটা তার ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে করেছে। বরং যে ব্যক্তি কুরআনে আগুন দিয়েছে সে এক অমানবিক কাজ করেছে। মুসলমানরা কুরআনকে আল্লাহর বাণী বা আসমানি কিতাব হিসেবে বিশ্বাস করে। মুসলিমরা সন্ত্রাসী নয়।

বিশ্বে ৫শ কোটি মানুষ আছে যারা ইসলামের অনুসারী নয় কিন্তু মুসলমানরা এ কারণে তাদেরকে কখনো আঘাত করে না। কারণ অন্যধর্মের প্রতি ইসলাম শ্রদ্ধা করতে শেখায়। এমনকি ইসলামের সমালোচনাকারীকেও মুসলমানরা কিছু বলে না কারণ এটি তার অধিকার।

কিন্তু কেউ যদি কুরআনকে অবমাননা করে এতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় তাহলে তা সহ্য করার মত নয়। কারো আশা করা ঠিক হবে না যে কুরআনে অগ্নিসংযোগ করা হবে এবং মুসলমানরা তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে। তাই ইলিয়াস যা করেছে তা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তার পূর্ণ অধিকার রয়েছে কুরআনকে রক্ষার। অবিলম্বে ইলিয়াসকে মুক্তি দেয়া হোক।

এসএইচ-১৬/০৬/১৯ (আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

চার ধরনের শারীরিক মিলন ইসলামে নিষিদ্ধ

চার ধরনের

সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়। এ দিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে আল কুরআনে।

আয়াতের অর্থ হলোঃ “যখন স্বামী -স্ত্রীকে ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।”

আর স্ত্রী যখন নিচে থাকবে এবং স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে থাকবে তখনই স্বামীর শরীর দ্বারা স্ত্রীর শরীর ঢাকা পড়বে। তাছাড়া এ পন্থাই সর্বাধিক আরামদায়ক। এতে স্ত্রীরও কষ্ট সহ্য করতে হয় না এবং গর্ভধারণের জন্যেও তা উপকারী ও সহায়ক।

বিখ্যাত চিকিতসা বিজ্ঞানী বু-আলী ইবনে সীনা তার অমর গ্রন্থ “কানুন” নামক বইয়ে এই পন্থাকেই সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ‘স্বামী নিচে আর স্ত্রী উপরে’ থাকার পন্থাকে নিকৃষ্ট পন্থা বলেছেন।

কেননা এতে পুংলিংগে বীর্য আটকে থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আনন্দঘন মুহুর্তটা পরবর্তিতে বেদনার কারণ হয়ে না দাড়ায়।

স্বামী-স্ত্রী সহবাসে উভয়ের বীর্য বাহির হওয়ার পর কিছু সময় নড়াচড়া না করে মিলিত অবস্থায় থাকতে হবে। অর্থাৎ স্ত্রী নীচে এবং স্বামী উপরে থাকবে। তাতে বীর্য জরায়ুতে ঠিক মত প্রবেশ করতে সুবিধা হয়। তা না হলে বীর্য বাহিরে পড়ে যেতে পারে। আর বীর্য বাহিরে পড়লে গর্ভ সঞ্চার হয় না। সহবাসের পর হালকা গরম পানি দিয়ে স্বামী স্ত্রীর দুই জনের যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলতে হয়। ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়া উচিৎ নয়। তারপর স্বামী স্ত্রী দুইজনে কিছু মধু সেবন করে নিবেন। তারপর দুই জনে ফরজ গোসল করে ফযরের নামাজ আদায় করে নিবেন।

সকল নেয়ামতের মধ্যে সবচাইতে তীব্র আনন্দের নেয়ামত স্বামী-স্ত্রীর সহবাস। স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীতেই জান্নাতের সুখের কিঞ্চিত নিদর্শন পেয়ে থাকে। আল্লাহ সহবাসের আহবায়ক করেছেন পুরুষ মানুষকে। সাধারণত স্ত্রী লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকে এবং সহজাতভাবে সহবাসের জন্য তাড়িত হয় না।

আরএম-০৬/০৬/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

চুরি করে আম খাওয়ার খেসারত শ্রমিকের

বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগের এক শ্রমিক বিমানে লাগেজ উঠানোর সময় ফলের ঝুড়ি থেকে চুরি করে ২টি আম খেয়ে নিয়েছিলো। এই অপরাধে তাকে ১লাখ টাকার বেশি অর্থ জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ ঘটনা ঘটেছে। আম চুরি করে আম খাওয়ার অপরাধে সোমবার এই সাজা ঘোষণা করেছে দুবাইয়ের এক আদালত।

এ সময় এক যাত্রীর ফলের ঝুড়িতে আম দেখে লোভ সামলাতে পারেননি ওই শ্রমিক। ঝুড়ি খুলে তিনি ২টি আম চুরি করে খেয়ে নেন। দুবাই বাজারে যার মুল্য ছিলো মাত্র ৬ দিরহাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৭ টাকা। ওই কর্মচারী ভেবেছিলেন আশেপাশে যখন কেউ নেই তখন তার এ চুরি আর কে দেখবে! কিন্তু তার ভাগ্যটা খারাপই বলতে হয়। সিসিটিভি ক্যামেরায় ঘটনাটি দেখে ফেলেন এক নিরাপত্তা কর্মী।

সঙ্গে সঙ্গে তিনি এ ঘটনাটি তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেন। এরপর তাকে আটক করা হয়। এমনকি তার বাড়িতেও সার্চ করা হয়। তবে, বাড়ি থেকে আর কোনো চুরির মাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। ধরা পরার পর প্রথমে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই শ্রমিক। পরে দুবাই পুলিশের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেন।

পুলিশকে জানান, খুব পানির তেষ্টা পাওয়ায় তিনি ফলের ঝুড়ি খুলে আম ২টি খেয়ে ফেলেন। তবে তিনি যাত্রীদের লাগেজ থেকে আর কিছু চুরি করেননি। এই ঘটনায় সোমবার তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেছে দুবাইয়ের এক আদালত।

এসএইচ-১৫/০৬/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

কোরআনের ভাষায় অভিশপ্ত যারা

কোরআনের

ভালো-মন্দ দুটোই আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন। তবে ভালো কাজ করতে তিনি বান্দাদের আদেশ দিয়েছেন। মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। কিছু মন্দ কাজ খুবই নিকৃষ্টমানের। এসব কাজ যারা করে আল্লাহ তাদের প্রতি লানত করেছেন; তাদের ধ্বংস কামনা করেছেন। কোরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ তাআলা সেসব মানুষের বিবরণ দিয়েছেন।

কোরআনের ভাষায় অভিশপ্ত যারা, কোরআনের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অভিশপ্তদের একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো :

ক. কাফির

খ. আল্লাহর কিতাব বিকৃতকারী

গ. মিথ্যুক

ঘ. সত্য ও ইসলামের প্রমাণ গোপনকারী

ঙ. মুনাফিক

চ. অত্যাচারী

ছ. আল্লাহর ব্যাপারে অপবাদদাতা

জ. আল্লাহর অঙ্গীকার ভঙ্গকারী

ঝ. সম্মানিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো এবং অপবাদ দেওয়া

ঞ. আল্লাহ ও রাসুলের অসন্তুষ্টিজনক কথা বলা

ট. আল্লাহর ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণ করা।

এই তালিকা দেখে নির্দ্বিধায় বলা যায়, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অস্বীকার করে তাদের জন্যই আল্লাহর অভিশাপ নির্দিষ্ট নয়। বরং মিথ্যুক, প্রতারক, মুনাফিক ও আল্লাহর ব্যাপারে খারাপ ধারণা পোষণকারীদের জন্যও তা প্রযোজ্য। তাদের পরিণামও হবে ভয়াবহ।

অভিশপ্তদের পরিণাম :

আল্লাহ যাদের অভিশাপ দিয়েছেন তাদের নিকৃষ্ট পরিণতির কথা কোরআনে তিনি উল্লেখ করেছেন। পার্থিব জীবনে আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন না। পরকালে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি এবং নিকৃষ্ট পরিণাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরাই তারা, যাদের আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন। আল্লাহ যাকে অভিশাপ দেন কখনো তুমি তার কোনো সাহায্যকারী পাবে না।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫২)

তিনি আরো বলেন, ‘আল্লাহ তাদের প্রতি রুষ্ট হয়েছেন। তাদের অভিশাপ দিয়েছেন। তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জাহান্নাম। তা কত নিকৃষ্ট আবাসস্থল!’ (সুরা : ফাতহ, আয়াত: ৬)

অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের আবাসস্থল হবে জাহান্নাম। তোমার কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ৩৪)

আরো ইরশাদ হচ্ছে, ‘তাদের জন্য রয়েছে অভিশাপ। তাদের জন্য রয়েছে নিকৃষ্ট আবাস।’ (সুরা : গাফির, আয়াত : ৫২)

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ তাদের দুনিয়া-আখিরাতে অভিশপ্ত করেন। তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত: ৫৭)

অন্য আয়াতে বলেন, ‘তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন জ্বলন্ত আগুন।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৬৪)

অভিশপ্ত হওয়ার কারণ :

কুফর : আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অস্বীকার করার নাম কুফর। কাফিরদের জন্য রয়েছে আল্লাহর অভিশাপ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা কুফরি করে এবং কাফিররূপে মারা যায় তাদের প্রতি আল্লাহ, সব ফেরেশতা ও মানুষের অভিশাপ।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৬১)

মিথ্যাবাদিতা : মিথ্যা কথা বলা খুবই জঘন্য কাজ। মিথ্যুকদের আল্লাহর অভিশাপ অনিবার্য। আল্লাহ বলেন, ‘তোমার কাছে জ্ঞান আসার পর যে ব্যক্তি এ বিষয়ে তোমার সঙ্গে তর্ক করে তাকে বলো, এসো, আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের, আমাদের নারীদের এবং তোমাদের নারীদের, আমাদের নিজেদের এবং তোমাদের নিজেদের। তারপর আমরা বিনীত আবেদন করি এবং মিথ্যুকদের দিই আল্লাহর অভিশাপ।’ (সুরা আলে-ইমরান, আয়াত : ৬১)

হত্যা ও খুনাখুনি : হত্যা ও খুনাখুনি আল্লাহ মোটেও পছন্দ করেন না। তাই তিনি হন্তারককে অভিশপ্ত বলেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘ইচ্ছা করে কেউ কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আল্লাহ তার প্রতি রুষ্ট হবেন। তাকে অভিশাপ দেবেন। তার জন্য প্রস্তুত রাখবেন মহাশাস্তি।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৯৩)

বিশ্বাসঘাতকতা : বিশ্বাসঘাতকতা এক অমার্জনীয় অপরাধ—আল্লাহর কাছেও, মানুষের কাছেও। তাই বিশ্বাস ভঙ্গকারী অভিশপ্ত। আল্লাহ বলেন, ‘অঙ্গীকার ভাঙার জন্য আমি তাদের অভিশাপ দিয়েছি। তাদের হৃদয় কঠোর করেছি। তারা শব্দগুলোর আসল অর্থ বিকৃত করে। তাদের যা উপদেশ দেওয়া হয়েছিল তার একাংশ তারা ভুলে গেছে। তাদের মধ্যে অল্পসংখ্যক ছাড়া সবাইকে তুমি সর্বদা বিশ্বাসঘাতকতা করতে দেখবে। তাদের ক্ষমা করো এবং উপেক্ষা করো। আল্লাহ সৎ লোকদের ভালোবাসেন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ১৩)

মুনাফিকি : দুমুখো কপট মানুষ খুবই ইতর প্রকৃতির লোক। তাই মুখে ঈমান রেখে অন্তরে কুফরি গোপন করা মুনাফিকদের আল্লাহ অভিশাপ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মুনাফিক নারী-পুরুষ ও কাফিরদের আল্লাহ জাহান্নামের আগুনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। সেটাই তাদের জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাদের অভিশাপ দিয়েছেন। তাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী শাস্তি।’ (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৬৮)

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা : মানুষকে আল্লাহ সামাজিক জীব হিসেবেই সৃষ্টি করেছেন। সমাজের ভারসাম্য রক্ষায় এ বন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আত্মীয়-স্বজনের প্রতি সুসম্পর্ক বজায় রাখার তাগিদ ইসলামে অপরিসীম। তাই এ সম্পর্ক ছিন্ন করা অভিশপ্ত হওয়ার অন্যতম কারণ। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকার করার পর যারা তা ভাঙে, যে সম্পর্ক আল্লাহ অক্ষুণ্ন রাখতে আদেশ দিয়েছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে, তাদের জন্য রয়েছে অভিশাপ এবং তাদের জন্য রয়েছে মন্দ নিবাস।’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ২৫)

সাধ্বী নারীদের অপবাদ দেওয়া : নারীর অধিকার রক্ষায় ইসলাম কঠোর আইন প্রণয়ন করেছে। তাদের সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলাকে ইসলামে অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে। যথাযথ প্রমাণ ছাড়া কোনো নারীর প্রতি কেউ অভিযোগের আঙুল তুললে তার জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। অপবাদদাতা ব্যক্তিকে আল্লাহ অভিশপ্ত ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘সাধ্বী, সরলমনা ও ঈমানদার নারীদের প্রতি যারা অপবাদ দেয় তারা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশপ্ত। তাদের জন্য রয়েছে মহা শাস্তি।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ২৩)

রাসুল (সা.)-কে কষ্ট দেওয়া : শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর প্রিয়তম বান্দা। তাঁর অনন্য-অতুলনীয় আখলাক-শিষ্টাচারের নজির সৃষ্টির ইতিহাসে আর নেই। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলা আল্লাহর অভিশাপ-অসন্তুষ্টির অন্যতম কারণ। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ও রাসুলকে যারা পীড়া দেয়, আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশাপ দেন। তাদের জন্য তিনি প্রস্তুত রেখেছেন লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৭)

আল্লাহর অভিশাপ থেকে বাঁচতে হলে, জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই এসব মন্দ কাজ পরিত্যাগ করতে হবে। নিজেকে রাঙাতে হবে ইসলামের আলোয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাঁর অভিশাপ থেকে রক্ষা করুন। দুনিয়া ও আখিরাতে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের তাওফিক দিন। আমিন।

আরএম-০৫/০৬/১২ (ধর্ম ডেস্ক)

বাংলাদেশি ভক্তদের সাথে ভারত আর্মির প্রতারণা

ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের নিয়ে গড়া একটি সংগঠন ভারত আর্মি। সম্প্রতি টুইটারে সেরা অলরাউন্ডারদের নিয়ে করা একটি পোলে সাকিব আল হাসানকে যোগ করে বাংলাদেশি ভক্তদের থেকে ব্যাপক সাড়া পায় তারা। টুইটারের পোলটিতে সাকিব আল হাসান বিপুল ব্যবধানে অন্যন্য অলরাউন্ডারদের থেকে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বেন স্টোকসকে বিজয়ী ঘোষণা করে সমালোচনার মুখে পড়ে ভারত আর্মি।

সেরা অলরাউন্ডারের পোলে সাকিব ছাড়াও এই পুরষ্কারের জন্য এইবার মনোনয়ন দেওয়া হয় কেন উইলিয়ামসন, বেন স্টোকস ও স্টিভ স্মিথকে। শুরুর দিকে বেন স্টোকসই এগিয়ে ছিলেন ভোটে। তবে হঠাৎ করেই এই পোলের খবর বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। সকলকে বেশ অবাক করে দিয়েই এই পোলে সাকিব দ্রুত গতিতে এগোতে থাকেন ভোট সংখ্যায়। ভোট শেষ হওয়ার সময় প্রায় ১৪ হাজার ভোটের ৮২ ভাগ ভোট পেয়ে এতে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেন সাকিব আল হাসান।

হঠাৎ করেই ভোটের সময় শেষ হওয়ার একদিন পর ভারত আর্মি ঘোষণা দেয় তাদের এই পুরস্কারে ভোট ছাড়াও দেখা হবে খেলোয়াড়দের স্পোর্টসম্যান স্পিরিট, ধারাবাহিকতা ও দলের জন্য পারফরম্যান্স কতটুকু কাজে লেগেছিল সেটিও। এই ঘোষণা সবার জন্য অবাক করে দেওয়া ব্যাপারই ছিলো। অবশ্য ২০১৯ সালে সাকিব যথেষ্ট ধারাবাহিক ছিলেন স্টোকসের মতো, তার বিরুদ্ধে যেই জুয়াড়ির সাথে আলাপ গোপনের অভিযোগ সেটিও হয়েছিলো গত বছর ২০১৮ সালে।

বলা যায় খেলোয়াড়ের নীতি নৈতিকতার দিক দিয়েও এই বছর সাকিব কোন ভুল করেননি। ভোটেও সাকিব ছিলেন স্টোকসের তুলনায় বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে। তাই ধারণা করা হচ্ছিলো এই পুরস্কার সাকিবই পাবেন। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বৃহস্পতিবার ভারত আর্মি ঘোষণা দেয় তাদের এই পুরস্কারের বিজয়ী ইংল্যান্ডের বেন স্টোকস।

বাংলাদেশের ভক্তদের মনে প্রশ্ন উঠতেই পারে ভোট শেষ হওয়ার পর কেনো এই ঘোষণা দেওয়া হলো যে শুধু ভোট নয় খেলোয়াড়দের আচরণ, নীতি নৈতিকতারও উপরে নির্ভর করবে এই পুরস্কার জয়? যদি সাকিব ক্রিকেটের স্পিরিটের বিপক্ষে এই বছর কিছু করেই থাকেন তাহলে কেনোই বা এই চারজনের ছোট তালিকায় সাকিবের নাম রাখা হলো?

কেনই বা স্টোকসের জয়ের কথা ঘোষণা করার সময়ই এটি বড় করে মনে করিয়ে দেওয়া হলো পুরস্কার শুধু ভোটের উপর নির্ভর করেনা, পুরস্কার খেলোয়াড়দের ‘ক্রিকেটীয় স্পিরিট’ প্রদর্শনের উপরও নির্ভর করে।তাহলে শুধু বাংলাদেশী দর্শকদের বিপুল ভোট পাওয়ার জন্যই শুধু সাকিবকে রাখা হয়েছিলো এই ভোটে? তাদের এই ভোটের খবর বেন স্টোকসের আইপিএল ক্লাব রাজস্থান রয়েলস ও পরবর্তীতে স্টোকস জয়ের পর ইংল্যান্ডের ভক্তদের সংগঠন বার্মি আর্মি তাদের টুইটার পেইজে শেয়ার করে জানায়।

তাই ভক্তদের মনে এমন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয় যে স্টোকসকে জিতানোর জন্যই কি ভারত আর্মির শেষে এসে তাদের নিয়ম স্মরন করিয়ে দেওয়ার বৃথা চেষ্টা? তাদের টুইটার পেইজে বাংলাদেশি ভক্তদের অসন্তোষ দেখা গিয়েছে এই রকম প্রতারণা মূলক ভোটের জন্য।

এসএইচ-১৪/০৬/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

কিডনির শত্রু কাঁচা লবণ

কিডনির

বাংলাদেশে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর অনেক মানুষ মারা যায়। আর কিডনি রোগের চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যত্ন নেয়া উচিত।

মানুষের শরীরে দুটি কিডনি থাকে যেগুলো শরীরের পানির ভারসাম্য রক্ষা করে এবং বিভিন্ন দূষিত পদার্থ ছেঁকে ফেলে। এই কিডনি যদি আপনার শরীরের কাজ না করে তবে আমরা বলে থাকি কিডনি নষ্ট হতে চলেছে। আর কিডনি কাজ না করলে শরীরে নানাবিধ সমস্যা দেখা দেবে।

তাই কিডনি ভালো রাখাতে হলে খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে আপনার কিডনি অসুস্থ হয়ে পড়বে।

আসুন জেনে নেই কিডনি ভালো রাখতে হলে যেসব খাবার না খাওয়া ভালো।

প্রচুর পানি পান করুন

প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি বা তরল খাবার খাওয়া উচিত। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে পানি খাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে কিডনিতে পাথর হয় না এবং এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ঠিক থাকে।

কাঁচা লবণ খাবেন না

মানুষের শরীরে প্রতিদিন মাত্র ১ চা চামচ লবণের চাহিদা থাকে। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত কাঁচা লবণ খাওয়া পরিহার করার অভ্যাস করুন।

চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার

গরুর মাংস, শুকরের মাংস ইত্যাদি খেলে কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এমনকি চিপস, ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার, ইন্সট্যান্ট নুডলস এবং লবণ দিয়ে ভাজা বাদামও কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

উচ্চ রক্তচাপ

৪. রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে থাকলে কিডনির সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই কিডনি ভালো রাখতে রক্তচাপ সবসময় ১৩০/৮০ অথবা এর কম রাখার চেষ্টা করুন। তাই কাঁচা লবণ খাওয়া যাবে না।

ব্যথানাশক ওষুধ

কম বেশি প্রায় সব ওষুধই কিডনির জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধগুলো কিডনির জন্য একেবারেই ভালো নয়। নিয়ম না জেনে নিজে ওষুধ খাবেন না।

কোমল পানীয়

অনেকে কোমল পানীয় বা বিভিন্ন রকমের এনার্জি ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকেন। এ ধরনের পানীয় কিডনির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ধূমপান ও মদ্যপান

ধূমপান ও মদ্যপানের কারণে ধীরে ধীরে কিডনিতে রক্ত চলাচল কমে যেতে থাকে এবং এর ফলে কিডনির কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়।

আরএম-০৪/০৬/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)