সকাল ৮:০৩
শুক্রবার
১৯ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
৬ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১০ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

পাইলস-অর্শ চিকিৎসায় হোমিও প্রতিবিধান

পাইলস-অর্শ

পাইলস রোগটির সাথে আমরা হাজার বছর ধরে পরিচিতি। এটা এক প্রকার ধাতুগত পীড়া। মলদ্বারের ভেতরে বা বাইরের চারপাশের শিরাগুলো ফুলে মটরদানা কিংবা আঙ্গুরের মতো কিংবা ছাগলের বাঁটের মতো ছোট ছোট টিউমার হলে তাকে অর্শ বা হেমোরয়েড বলে। অর্শ প্রধানত দুই প্রকার যথা— অন্তর্বলি ও বহির্বলি, এছাড়া এক প্রকার অর্শকে মিশ্রবলি বলে। যেটি উভয় স্থানে থাকে।

বয়স : ৩০-৬০ বছর বয়সের ভেতর এই রোগের প্রকোপ সব চেয়ে বেশি। ২০ বছর বয়সের নিচে পাইলস খুব একটা দেখা যায় না। পাইলস শনাক্ত করা খুব সহজ কাজ নয়। একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কেবল যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে পাইলস শনাক্ত করতে পারেন। কখনো কখনো টয়লেটে বসিয়ে কোথ দিতে হয়ে। আমাদের কাছে বিভিন্ন রোগী আসিয়া বলে আমার পাইলস। তখন রোগী লক্ষণ দেখি বুঝি পাই এনাল ফিশার, পলিপ অথবা ফিস্টুলা অর্থাৎ মলদ্বারের যেকোনো রোগকে সবাই পাইলস হিসেবে জানেন। কিন্তু এইখানে বিভিন্ন ধরনের রোগ হয়। এই রোগ মহিলাদের চেয়েও পুরুষের কিছুটা বেশি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ বা কোনো না কোনো সময় পাইলসের সমস্যায় ভোগেন।

কারণ : নানা কারনে অর্শ হতে পারে। প্রধান কারণ লিভারের মধ্যে এবং ধমনীতে রক্তাধিক্য হলে অর্শ হয়। এ ছাড়া অলস প্রকৃতির লোকের সারা দিন বসে বসে থাকা, ঘিয়ে ভাজা বা অধিক মসলা যুক্ত রান্না খাওয়া, অধিক কোথ দিয়ে পায়খানা করা। ঘন ঘন জোলাপের ওষুধ খাওয়া মলদ্বারের কৃমির অত্যচারের জন্য বারবার খোটলানো, কাম রিপুর উত্তেজনার কারণে এবং মা-বাবার এই রোগ থাকলে সন্তানেরও অর্শ হয়।

লক্ষণ : সময় সময় মলদ্বার চুলকায়। ধপ ধপ করে ব্যথা করে এবং জ্বালাপোড়া করে। কাটা পোটার মতো বেদনা এবং কোমরে বেদনা। মল ত্যাগকালে মলদ্বার থেকে রক্তস্রাব হয়। কোনো কোনো সময় রক্তস্রাব হয় না।

আনুষঙ্গিক চিকিৎসা : তিনটি বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে,

১. আহার ও ভ্রমণ সম্বন্ধে নিয়ম পালন ,

২. নিয়মিত পায়খানা পরিষ্কার হওয়ার ব্যবস্থা,

৩. অর্শের স্থানটিকে ভালোভাবে পরিষ্কার রাখা।

এলোপ্যাথিক চিকিৎসা : অর্শের কোনো সুচিকিৎসা হয় না। অস্ত্রোপচার ছাড়া কোনো গতি নেই। কিন্তু তাতেও রোগ নির্মূল হতে পারে না। অতএব প্রথম থেকেই অর্গানন অনুসরনকারী হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে পুরাতন রোগ বীজ রোগীর দেহে বর্তমান রোগের সৃষ্টি করেছে সেই ধাতুগত দোষ দূরিকরণার্থে উপযুক্ত ওষুধ সেবন না করলে শুধু অস্ত্রোপচার বা এলোপ্যাথি ওষুধ খেলে কোনো লাভ হবে না।

হোমিও প্রতিবিধান : রোগ নয়, রোগীকে চিকিৎসা করা হয়। আবার অনেক চিকিৎসক বের হয়েছে নিজেদের অর্শ-ভগন্দেরের চিকিৎসক বলে থাকে। কিন্তু ওইসব ডাক্তাররা রোগীদের ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। আবার মলম বা ক্রিম লাগাতে রোগীদের বলে। যেটা সাময়িক নিরাময়।

কিন্তু পরে জঠিল আকার ধারণ করে। এরকম অনেক চিকিৎসক চট্টগ্রাম ফেনীসহ অনেক জায়গায় এসব রোগীর অপচিকিৎসা দিয়ে থাকে। এজন্য যেসব ডাক্তার নিজেদেরকে হানেমানের উত্তনসূরি বলে থাকে, তারা যেন রোগীর সঠিক লক্ষণ নির্বাচন করতে পারলে তা হলে হোমিওতে অর্শরোগীর চিকিৎসা আল্লাহর রহমতে দেয়া সম্ভব।

প্রাথমিকভাবে অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা যেসব মেডিসিন নির্বাচন করেন যেমন— এলুমিনা, এলো, আর্সেনিক এল, এন্টিম ক্রোড, এমন কার্ব, নার্কস ভোম, সালফার, ইস্কিউর্লাস হিপ, কলিন সোনিয়া, এসিডি নাইট্রেকাম ইত্যাদিসহ আরো অনেক ওষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে। এসব ওষুধ বিশেষজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক ছাড়া নিজে নিজে ব্যবহার করলে রোগ আরো জঠিল আকারে পৌঁছতে পারে।

আরএম-২২/২৯/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

চুলের খুশকি ও রুক্ষতা দূর করার দারুণ উপায়

চুলের খুশকি

শীতের সময়টাতে অন্য সবকিছুর থেকে চুলের যত্নে দিতে হয় বাড়তি নজর। এসময় শ্যাম্পু করলেও চুলের মসৃণতা সহজেই নষ্ট হয়। মাথার ত্বক শুষ্ক থাকায় খুশকি সমস্যায় ফেলে।

আবার আবহাওয়ার কারণেও চুলের নিজস্ব লাবণ্য নষ্ট হয়। চুলের মসৃণতা ধরে রাখতে ও রুক্ষতা কমাতে কতকিছুই না করতে হয়। অনেকেই আবার ভরসা করেন হেয়ার মিস্টের উপর। তবে বাজারের মিস্টগুলোতে রাসায়নিকের আধিক্য বেশি থাকে। ফলে তাৎক্ষণিক সমাধান দিলেও দীর্ঘদিন ব্যবহারে চুল ক্ষতগ্রস্ত হতে পারে।

চিন্তার কিছু নেই! বাড়িতে থাকা কিছু উপাদান দিয়ে নিজেই বানিয়ে নিন হেয়ার মিস্ট। এটি আপনার চুলে জট পড়া, খুশকি, রুক্ষতা কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়াও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াবে অভাবনীয় ভাবে।

গ্রিন টি মিস্ট

এই মিস্টের প্রধান উপকরণ চা পাতা। চায়ের লিকার এমনিতেই চুলের সেরা কন্ডিশনার। তাই চুলের রুক্ষতাকে কমানোর পাশাপাশি এই মিস্ট চুলকে নরমও করে। গ্রিন টি মিস্ট বানাতে আধা কাপ গ্রিন টি, এক কাপ পানি, দুই থেকে তিন ফোঁটা পিপারমিন্ট অয়েল, এক চা চামচ টি ট্রি অয়েল ও এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। এই মিশ্রণটি একটি পুরনো শ্যাম্পুর স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন।

টি ট্রি অয়েল অ্যান্টিফাঙ্গাল হওয়ায় খুশকির সমস্যাও দূর করবে। নারকেল তেল চুলে পুষ্টির জোগান দেবে। প্রতিদিন গোসলের পর মিস্ট লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। এতে আপনার চুলের লাবণ্য ও আর্দ্রতা দুটিই বজায় থাকবে।

অ্যালোভেরা মিস্ট

মাঝে মাঝেই চুলের আর্দ্রতা কমে গিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন অ্যালোভেরার হেয়ার মিস্টে। এটি বানাতে আধা কাপ অ্যালোভেরার রস নিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক কাপ পানি, এক চা  চামচ জোজোবা অয়েল ও এক চা চামচ নারকেল তেল ভালো করে মেশান। এবার এই মিশ্রণটি শ্যাম্পুর বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। গোসলের পর মিস্ট লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ব্যবহার করুন।

মনে রাখবেন, মিস্ট একবার তৈরি করে একটানা চার থেকে পাঁচ দিন ব্যবহার করতে পারবেন। যেকোনো একটি ব্যবহার করুন। একসঙ্গে দুটি ব্যবহার করবেন না।

আরএম-২১/২৯/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর, সম্পাদক আজগর

আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের প্রথম আনুষ্ঠানিক সম্মেলন শেষে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ১১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আজগর নস্কর এবং কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সাইফুল আলম মানিক।

শুক্রবার ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া সহ-সভাপতি পদে ৫ জনের নাম ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এরমধ্যে একজন নারী রয়েছেন। এরা হলেন: আবুল বাসার, আবদুল গফুর, মুহাম্মদ আলম, নূরে আলম রহু এবং নাসরিন সুলতানা।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আবদুল আলিম, টিপু সুলতান, রফিকুল ইসলাম রফিক।

এর আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মৎস্যজীবী লীগের শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে। আমাদের প্রতিটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে। কিন্তু এখানে মনে হচ্ছে এই সংগঠনে কর্মীর চেয়ে নেতা বেশি। সত্যিকার অর্থে মৎস্যজীবীদের প্রতিনিধি পিছনে পড়ে আছে।

কাদের বলেন, ঢাকায় বসে যারা নেতৃত্ব করেন, তারা মঞ্চ দখল করে আছেন, এটা কিন্তু ঠিক নয়, এভাবে সংগঠন টিকবে না। সত্যিকারে যারা মৎস্যজীবী তারা প্রতিনিধিত্ব করতে না পারলে, এ ধরনের লীগ করার, এ ধরনের দোকান খোলার কোনো প্রয়োজন নেই। মৎস্যজীবী লীগে সত্যিকার অর্থে মৎস্যজীবীদের প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃত্ব দরকার। কোনো চাঁদাবাজের দোকান আমরা খুলতে চাই না। মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কেনো সম্পর্ক নেই, ঢাকায় বসে কার্ড বানিয়ে জায়গায়-জায়গায় গিয়ে চাঁদাবাজি করবে এমন নেতার দরকার নেই।

তিনি আরও বলেন, কাজেই এবার সবাইকে সাবধান থাকতে হবে, মাদক-সন্ত্রাস, জমি দখলের সঙ্গে, চাঁদাবাদের সঙ্গে জড়িতরা এ সংগঠনে থাকতে পারবে না। আমি স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, মৎস্যজীবীর নামে যারা মৎস্যজীবীর ওপরে যারা ক্ষমতার দাপট দেখাবে তাদের আমরা নেতৃত্বে রাখব না।

এরপরই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কার্যকরী তিন পদ সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য প্রস্তাবনা আহ্বান করেন। সেখানে সভাপতি পদে ৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৮ জনের নামের প্রস্তাব আসে।

এরপর প্রথম অধিবেশন শেষ করে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর ঘোষণা দেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের নিজের মধ্য থেকে নেতৃত্ব নির্বাচনের আহ্বান জানান। কিন্তু তারা নিজেদের মধ্যে সমন্বয়ে ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শে মৎস্যজীবী লীগের নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করেন।

বিএ-০৩/২৯-১১ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

পান্তা ভাতে এতো গুণ!

পান্তা ভাতে

রাতে রান্না করা ভাত যেন নষ্ট না হয় এবং পরের দিনও খাওয়া যায় তার জন্য গ্রাম এলাকায় ভাতে পানি দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে তৈরি হয়ে যায় পান্তা ভাত।ভাত সংরক্ষণের একটি পদ্ধতি হলো পান্তা।

পহেলা বৈশাখে তো এই পান্তা খাওয়ার উৎসব শুরু হয়ে যায়। শহরের মানুষেরা এই পান্তা ভাত খায় ঐতিহ্য হিসাবে কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানি না এই অতি পরিচিত পান্তা ভাতের উপকরিতা সম্পর্কে। আসুন জেনে নিই পান্তা ভাতে কী কী উপকারিতা রয়েছে।

আমরা যে সাধারন চাল সিদ্ধ করে ভাত রান্না করি তার মধ্যে ফাইটিক এসিড থাকে যা বিভিন্ন খনিজ লবন যেমন-লৌহ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংকইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং যা এইসমস্ত খনিজ লবণকে দেহে শোষনে বাধা দেয়। কিন্তু যখন ভাতকে সারা রাত ভিজিয়ে রাখা হয় তখন ভাতের শর্করা গাঁজনের ফলে লেকটিক এসিড তৈরি হয় যা ভাতের সকল খনিজ লবণকে হাজার গুণ বাড়িয়ে দেয়।

১০০ গ্রাম ভাতকে ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে পান্তাভাত তৈরি করলে তাতে লৌহ বা আয়রনের পরিমাণ ৩.৪ মিলিগ্রাম থেকে ৭৩.৯১ মিলিগ্রাম হয়। যাদের রক্তস্বল্পতা আছে তাদের জন্য পান্তাভাত খুবই উপকারি।

১০০ গ্রাম ভাতে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ ২১ মিলিগ্রাম থাকে যা পান্তা ভাতে ৮৫০ মিলিগ্রাম হয়ে যায়। যাদের হাড় ক্ষয় রোগ বা দেহে ক্যলসিয়ামের অভাব আছে তারা খেতে পারেন পান্তা।

পান্তা ভাতে পটাসিয়াম বেড়ে ৮৩৯ মিলিগ্রাম হয়। ফলে যাদের হৃদরোগ আছে বা যাদের উচ্চ রক্ত চাপ আছে তাদের জন্য পান্তা উপকারী।

পান্তা ভাতে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে ৪৭৫ মিলিগ্রাম থেকে ৩০৩ মিলিগ্রাম হয়। জিংকের পরিমাণও বেড়ে যায় অনেক গুণ। যেকোন মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

সকালের নাস্তার জন্য খুবই ভাল খাবার পান্তা। কারণ পান্তাভাত শরীরের অম্ল ও ক্ষারের সমতা রক্ষা করে। শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এক কাপ চা বা কফির চেয়ে শরীরের জন্য অনেক ভাল একপ্লেট পান্তা ভাত।

পান্তা ভাত ভিটামিন বি৬ এবং বি১২ এর ভাল উৎস যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে এবং অন্য কোন খাবারে এত সহজে এত পরিমাণে এই ভিটামিন পাওয়া যায় না।

পান্তা ভাতে প্রচুর উপকারি ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় যা হজমে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে শক্তি যোগায়।

পান্তাভাত কোলাজেন তৈরি করে যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি রক্ষা করে এবং নতুন কোষ তৈরি করে।

পান্তা ভাত আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে।

পান্তা ভাত পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

পান্তাভাত যদি লাল চালে ভাতের হয় তাহলে তার পুষ্টিগুণ আার বেশি হয় সাদা চালের পান্তা থেকে আবার বসা ভাত অর্থাৎ মার না ফেলে যে ভাত রান্না করা হয় সেই ভাতের পান্তর পুষ্টিগুণ মার ফেলা ভাতের পান্তা থেকে বেশি হয়।

আরএম-২০/২৯/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

ব্যাকটেরিয়ানাশক সাবানের ক্ষতিকর দিক

ব্যাকটেরিয়ানাশক

হাত ধোয়ার জন্য আমরা ব্যাকটেরিয়ানাশক সাবান ব্যবহার করি। তবে আপনি জানেন কী এই ব্যাকটেরিয়ানাশক সাবান সাধারণ সাবানের তুলনায় খুব বেশি উপকারী নয়। এসব সাবানে থাকতে পারে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান।

অনেকেই হয়তো জানেন না ভালো করার চেয়ে খারাপও করতে পারে ‘অ্যান্টি-ব্যকটেরিয়াল’ সাবান।

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্যাকটেরিয়ানাশক সাবানের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

আসুন জেনে নিই ব্যাকটেরিয়ানাশক সাবানের ক্ষতিকর দিক-

অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান বা যেকোনো পরিষ্কারক প্রসাধনীর গায়ে ‘অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল’ লেখা থাকার মানে হলো এতে বিশেষ একটি রাসায়নিক উপাদান রয়েছে। রাসায়নিক উপাদান যোগ করা হয়েছে শুধুই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই রাসায়নিক উপাদান হয় ‘ট্রাইক্লোসান’ বা ‘ট্রাইক্লোকারবান’।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সব সাবানই জীবাণু ধ্বংস করে। তাই ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসের জন্য সাবানে আলাদা উপাদান যোগ করার কোনোই প্রয়োজন নেই। বরং এসব উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশন (এফডিএ) এসব সাবান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর তাদের পণ্য যে নিরাপদ এবং তার বাড়তি কার্যকারিতার প্রমাণ দর্শানোর নির্দেশ জারি করে রেখেছে। কারণ যে রাসায়নিক উপাদান সাবানে যোগ করা হয় তার যথেষ্ট ক্ষতিকর দিক রয়েছে।

পরীক্ষাগারে এই রাসায়নিক উপাদানগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তারা কাজ করে ‘এন্ডোক্রাইন ডিজরাপ্টার’ হিসেবে। অর্থাৎ হরমোনের স্বাভাবিক কার্যাবলিকে তারা প্রভাবিত করে।

এসব সাবানের অতিরিক্ত ব্যবহার করলে ‘অ্যান্টি-বায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ অর্থাৎ সকল ‘অ্যান্টি-বায়োটিক ওষুধ শরীরে সঠিকভাবে কাজ করবে না।

তাই সাধারণ সাবান, যাতে কোনো ‘অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল’ উপাদান নেই, সেগুলোই নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত। অনেক সাবানের গায়ে ‘অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল’ লেখা না থাকলেও তাতে ‘ট্রাইক্লোসান’ বা ‘ট্রাইক্লোকারবান’ থাকতে পারে।

তাই সাবান কেনার প্যাকেটের গায়ের উপকরণের তালিকা দেখে নিতে হবে।

আরএম-১৯/২৯/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

সকালের নাস্তায় যা খেলে শিশুর পরীক্ষার ফল ভালো হয়

সকালের নাস্তায়

সকালের নাস্তা নিয়মিত খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভালো। সকালের নাস্তা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে, সারাদিন সতেজ ও সজীব থাকতে, শরীর সুস্থ রাখতে এবং ক্লান্তি দূর করতে সকালের নাস্তার জুড়ি নেই।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু নিয়মিত সকালের নাস্তা করে তারা পরীক্ষায় ভালো ফল করে।

শিশুদের পরীক্ষার ফলের সঙ্গে সকালের নাস্তার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা তা নিয়ে গবেষণা করে যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। স্কুল ও কলেজের ২৯৪ শিক্ষার্থীকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়।

গবেষণায় দেখা যায়, ২৯ শতাংশ শিক্ষার্থী সকালের নাস্তা না খেয়েই ক্লাস করে, ১৮ শতাংশ মাঝে মাঝে নাস্তা করে এবং ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়মিত নাস্তা করে ক্লাস করে।

গবেষক ক্যাটি অ্যাডলফাস গবেষণা শেষে জানান, যেসব শিক্ষার্থী নাস্তা খেয়ে ক্লাসে যায়, তারা পরীক্ষায় ১০.২৫ পয়েন্ট বেশি নম্বর পেয়েছে।

সকালের নাস্তা ছাড়াও সামাজিক-অর্থনৈতিক, লিঙ্গ, বয়স এবং বিএমআইয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফল কিছুটা নির্ভর করে।

সকালের নাস্তায় শিশুকে কী খাওয়াবেন?

পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য সকালের নাস্তা নিয়মিত খেতে হবে।

নাস্তায় সবজি খিচুড়ি, ডিম, আটার রুটি, দই, সালাদ, ফলসহ প্রোটিন এবং আঁশযুক্ত খাবার বেশি রাখতে পারেন। এ ছাড়া লবণ ও চর্বিযুক্ত খাবার কম খাওয়াবেন।

আরএম-১৮/২৯/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

এবার জীবন বাজি রেখে হেলপারদের সঙ্গে লড়লেন চবি ছাত্রী!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে চলন্ত বাসে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। তবে খালি বাসে হেলপার ও কন্ডাক্টরের সঙ্গে জীবন বাজি রেখে লড়ে নিজেকে রক্ষা করেছেন ওই ছাত্রী।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।

তবে পুলিশ এখনও পর্যন্ত জড়িতদের কাউকে আটক করতে পারেনি।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে নগরীর ২ নম্বর গেইট এলাকায় আসার পথে সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে ওই ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হন।

গত ২৭ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটলেও গতকাল বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী স্ট্যাটাস দিলে বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসে।

সেদিনের পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওই ছাত্রী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, আর পাঁচটা মেয়ের মতো আজ আমিও মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছি! পটিয়া গিয়েছিলাম বোনের বাসায় বেড়াতে…সাধারণত ট্রেনেই আসা-যাওয়া করি আমি; বাসে বমিটিংয়ের প্রবলেম থাকার কারণে ওঠাও কম হয়।

দুলাভাইয়ের বাসা মুন্সেফবাজার, গলি থেকে বের হলেই নাকি বাস পাওয়া যায় উনি বলেছিলেন, নতুন ব্রিজ কিংবা টার্মিনালের বাস। বাসা থেকে নেমে রিকশা নিয়ে মেইন রাস্তা অব্দি আসলাম। নেমে দাঁড়াতে দাঁড়াতেই একটা ‘সোহাগ’ এর বড় বাস আসছিল। হাত নাড়ালাম। থামলো, বাস এ অতটা ভিড় ছিল না বললেই চলে, তবে খালিও কিন্তু ছিল না।

আমি কন্ডাক্টরকে জিজ্ঞেস করলাম বহদ্দারহাট যাবে কি-না! উনি বললো যাবে, উঠলাম। জানালার পাশের সিট খুঁজছিলাম, মানুষ কম থাকলেও সবাই মোটামুটি জানালার পাশেই বসে ছিল। অতঃপর সিট না পেয়ে এক আন্টির পাশে গিয়েই বসলাম আমি।

প্রথম থেকে ৩ নং চেয়ারে। বাস চলছে। কন্ডাক্টর ছিলেন দুজন। একজন দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিল আরেকজন টাকা তুলছিল।

কিছুক্ষণ পর একজন আসে, বলে ভাড়া দেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম কত? জিজ্ঞেস করে কই যাবেন? আমি বললাম: মামা আমি ২নং গেইট যাবো, কোথায় নামলে সুবিধে হয়, উনি বললেন টার্মিনাল। আমি বললাম তাহলে টার্মিনাল এর ভাড়াই নেন।
উনি ৬০ টাকা নিলো, আর জিজ্ঞেস করলো একা কি-না, আমি বললাম জি। ভেবেছিলাম হয়তো ভাড়ার জন্য, বা ভাড়া নেয়ার জন্য জিজ্ঞেস করেছে।

এরপর থেকে উনি বারবার তাকিয়ে ছিল আমার দিকে, আমি অত পাত্তা না দিয়েই আবারো কানে হেডফোন গুজে বসে ছিলাম।

আমার পাশের আন্টি নতুন ব্রিজ নেমে যায়, আমি জানালার পাশে গিয়ে বসি। এরপর বহদ্দারহাট কি-না জানি না, একটা জায়গায় এসে বাস দাঁড়ায় এবং অনেকজন নেমে যায়, আমি উঠে নেমে যাচ্ছিলাম কন্ডাক্টর বলে আপনি না ২নং যাবেন?

আপনাকে ওখানেই নামাই দিবো বসেন, আমি দরজার পাশে প্রথম সিটে আবারো বসলাম। বাস ড্রাইভার মিরর দিয়ে বারবার তাকাচ্ছিল আমার দিকে, আমার সন্দেহ হতে থাকে, আমি পিছে তাকাই দেখি একটা মানুষও নাই।
আমি বললাম ভাই আমাকে নামাই দেন আমি ২নং গেইট যাবো না। যিনি দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন উনি দরজাটা খুব তাড়াতাড়ি আটকে দেন। আমি চিল্লাই উঠে বললাম- ড্রাইভার বাস থামান আমি নামবো, উনি এমন ভান করছিলো যেন উনি আমাকে শুনতেই পাচ্ছে না।

আমি ৯৯৯ টাইপ করছিলাম, এ সময় কন্ডাক্টর এসে আমার ব্যাগ নিয়ে নেয়। আমি ব্যাগ আটকানোর জন্য উনার সঙ্গে টানাটানি করছিলাম আর সারাক্ষণ চিৎকার করছিলাম জানালা দিয়ে। কন্ডাক্টর আমাকে ধাক্কা দেয় আমি দরজার সঙ্গে খুব জোরে বাড়ি খাই। আমি পা দিয়ে দরজায় লাথি মারছিলাম, আর চিৎকার করছিলাম।

আমার হিজাব টানছিল দুজন কন্ডাক্টরের একজন। আমি কান্না করে করে লাথি মারছিলাম দরজায় আর নিজেকে বাচাঁনোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করছিলাম। রাস্তার কিছু মানুষ ব্যাপারটি হয়তো নোটিশ করেছিল, আমি জানি না। ড্রাইভার বলে ছেড়ে দে, সুবিধা নাই।

বাস থামায় আমি জিনিস নিয়ে নেমে পুলিশ বক্স খুঁজছিলাম, ইভেন আমি চিনিও না জায়গাটা। বাসের নম্বর দেখতে পারিনি সবকিছু ঝাপসা মনে হচ্ছিল। একটা রিকশা নিলাম আর বাসায় আসলাম। আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি সুস্থ এবং আমার ক্ষতি করতে পারেনি।

জানি না হয়তো সুবিধে পায়নি বলে এই যাত্রায় আমি বেঁচে গেছি কিন্তু অন্যদিন সুবিধে পেলে হয়তো অন্য একটি বোনের বা মায়ের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যাবে।

এদেশে মেয়েদের অনেক সম্মান! অনেক বেশিই। আলহামদুলিল্লাহ_আমি_সুস্থ_আছি_ ।’

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী জানান, ঘটনাটি চান্দগাঁও থানা এলাকায়। ইতিমধ্যে ওই থানায় পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে। আমার বাবা পুলিশের সঙ্গে এটি নিয়ে কাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত ওই বাস বা চালক, হেলপার কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম জানান, জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

বিএ-০২/২৯-১১ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

মুখের আকার অনুযায়ী টিপ বাছুন

মুখের আকার

বাঙালি নারীর সাজে পূর্ণতা আসে কপালের একটা ছোট্ট টিপে। কিন্তু কোন আকারের টিপ আপনার মুখের সঙ্গে সবচেয়ে সুন্দর মানাবে, তা জানেন কি?

জেনে নিন:

• মুখ ডিমের গড়ন হলে লম্বা টিপ পরতে পারেন

• মুখের আকৃতি ছোট, তারা অতিরিক্ত লম্বা টিপ না পরলেই ভালো করবেন

• পানপাতার মতো মুখ হলে যেকোনো আকারের ও আয়তনের টিপ বাছতে পারেন

• তবে যাদের কপালটা একটু বেশিই বড়, তারা অতিরিক্ত বড় টিপ পরবেন না, তাতে কপালের দিকেই বেশি চোখ যাবে

• মুখ যদি চারকোনা আকৃতির হয়, তা হলে মাঝারি আকারের গোল টিপ বেছে নিন

• শাড়ি বা সালোয়ার কামিজ হোক বা ওয়েস্টার্ন পোশাক এবং মোটামুটি সবার মুখের সঙ্গেই ছোট একটি গোল টিপ মানায়।

আরএম-১৭/২৯/১১ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

ক্যান্সার ও উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধে ব্রকলির ভূমিকা

ক্যান্সার

ব্রকলি মানব দেহের স্বাস্থ্য গুণাগুণের জন্য খুবই বিখ্যাত। ব্রকলিতে উচ্চ মাত্রায় নিউট্রিয়েনট রয়েছে। তাছারা এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, আয়রন, পটাসিয়াম। পাশাপাশি এটি অন্যান্য সবজির তুলনায় বেশি প্রোটিন বহন করে।

এই সবুজ সবজিটি কাচাও খাওয়া যায়, আবার রান্না করেও খাওয়া যায়। কাঁচা ব্রকলিতে ৯০% পানি, ৭% কারবস, ৩% প্রোটিন এবং ফ্যাট থাকে না বললেই চলে। ব্রকলিতে ক্যালোরি খুব কম পরিমাণে থাকে।

এছাড়া, ব্রকলিতে ফাইবার এবং শর্করা রয়েছে। ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি স্বাস্থ্যকর ডায়েটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শুধু তা-ই নয়, ফাইবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ওজন হ্রাস করে সহায়তা করে।

প্রোটিন আমাদের স্বাস্থ্য উন্নত রাখতে কার্যকর ভুমিকা রাখে। প্রোটিন আমাদের দেহের রক্ষণাবেক্ষণ এবং আমাদের দেহ বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ভুমিকা রাখে।

ব্রকলিতে অনেক ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলস রয়েছে।

ভিটামিন সি, এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং আমাদের ত্বক ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

ভিটামিন কে, ব্রকলিতে অনেক বেশি পরিমাণে ভিতামিন কে রয়েছে। এই ভিটামিন আমাদের রক্ত সঞ্চালন এবং আমাদের হাঁড় মজবুত করতে সহায়তা করে।

পটাসিয়াম, একটি প্রয়োজনীয় খনিজ, পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য উপকারী।

আয়রন, আমাদের দেহে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যেমন লোহিত রক্তকণিকায় অক্সিজেন পরিবহন করে থাকে।

এছাড়াও ব্রকলি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে থাকে, কলেস্টেরল নিচে রাখতে কাজ করে এবং আমাদের দৃষ্টি ঠিক রাখতে কাজ করে থাকে।

আরএম-১৬/২৯/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

ভেজাল দুধ খেলেই গর্ভপাতের আশঙ্কা

ভেজাল দুধ

শরীরে আমিষের চাহিদা পূরণে দুধের ভূমিকা অপরিহার্য। তবে আসল দুধ আমরা কতটুকু পাচ্ছি? বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দুধের সঙ্গে মেশানো হচ্ছে স্টার্চ, ডিটার্জেন্ট, ইউরিয়া, সিন্থেটিক মিল্ক সহ নানা কৃত্রিম উপাদান।

এছাড়াও নানাবিধ কেমিক্যাল, যেমন- সোডিয়াম কার্বোনেট, ফর্মালিন এবং অ্যামোনিয়াম সালফেট বাচ্চাদের শরীরে প্রবেশ করতে করতে নানাবিধ জটিল রোগকে ডেকে আনছে।

শুধু তাই নয়, এমন ভেজাল দুধ খাওয়ার কারণে হবু মায়েদের গর্ভপাতের আশঙ্কাও বাড়ছে চোখে পরার মতো। তাই এখন থেকেই যদি সাবধান হাওয়া না য়ায়, তবে ভিষণ বিপদ! এখন প্রশ্ন হলো, খালি চোখে কীভাবে বুঝবেন, আপনার কেনা দুধ আসল না-কি ভেজাল আছে?

দ্য ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অ্যাথোরিটি অব ইন্ডিয়া (এই এস এস এ আই) এসব ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোকে মান্যতা দিয়েছে। তাই আর দেরি না করে নিজের এবং পরিবারের বাকি সদস্য়দের শরীরের কথা ভেবে এখনই জেনে নিন ভেজাল দুধ চেনার সহজ কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে-

পরীক্ষা ১: আজকাল দুধে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে বনস্পতি বা ডালডা মেশানো হয়। আপাত দৃষ্টিতে এই দুই উপাদান ক্ষতিকারক মনে না হলেও একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, বেশি মাত্রায় ডালডা বা বনস্পতি জাতীয় উপাদান শরীরে প্রবেশ করলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, ডলডায় উপস্থিত ট্রান্স ফ্যাটের কারণে ব্রেস্ট এবং ইন্টেস্টাইনের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

তাই তো এই ধরণের ভেজাল দুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে একেবারেই ভাল ন। কিন্তু প্রশ্ন হল, বুঝবেন কীভাবে যে দুধে ডালডা বা ওই জাতীয় কোনো উপাদান মেশানো আছে? একটা সহজ উপায় আছে বৈকি! ১ চামচ দুধ নিয়ে তাতে ২ চামচ হাইড্রোক্লরিক অ্যাসিড এবং ১ চামচ চিনি মেশান। কিছু সময় পরে যদি দেখেন মিশ্রণটি লাল রঙের হয়ে গেছে তাহলে বুঝবেন ওই দুধে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে ডালডা মেশানো ছিল।

পরীক্ষা ২: দুধকে অনেকক্ষণ তাজা রাখতে অনেকেই এতে ফরমালিন নামে একটি উপাদান মিশিয়ে থাকেন। এই ফরমালিনের প্রভাবে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। যেমন- চোখ থেকে পানি পরা, গলায় এবং নাকে জ্বালা করা, কাশি, মাথা ঘোরা, ত্বকে মারাত্মত জ্বালা ভাব প্রভৃতি। এক্ষেত্রে মাত্র ১০ এম এল দুধে ২-৩ চামচ সালফিউরিক অ্যাসিড মিশিয়ে নিন। কিছু সময় পরে যদি দেখেন মিশ্রণটির উপরের দিকে নীল রঙের মতো গোলাকার অবয়ব তৈরি হয়েছে তাহলে সেই দুধ একেবারেই খাওয়া চলবে না।

পরীক্ষা ৩: পরিমাণ মতো দুধ একটা বাটিতে নিয়ে অল্প আঁচে কম করে ২-৩ ঘন্টা ধীরে ধীরে ফোটাতে থাকুন। এমনটা করলে দেখবেন, নিদির্ষ্ট সময়ের পর দুধটা আর তরল থাকবে না। সেটা খোয়া ক্ষীরে পরিণত হয়েছে। তখন যদি দেখেন ক্ষীরটা খুব শক্ত হয়ে গেছে, তাহলে বুঝবেন দুধটা ভেজাল ছিল। আর যদি দেখেন ক্ষীরটা একটু তেল তেলা মতন হয়েছে, তাহলে বুঝতে হবে সেই দুধে কোনো ভেজাল উপাদান মেশানো ছিল না।

পরীক্ষা ৪: দুধে অনেকে নানা ধরনের স্টার্চও মিশিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে ৫ এম এল দুধ নিয়ে তাতে ২ চামচ নুন ফেলে দেখুন তো দুধটা নীল রঙের হয়ে যাচ্ছে কিনা। যদি দেখেন এমনটা হচ্ছে, তাহলে মনে কোনো সন্দেহ রাখবেন যে ওই দুধটা ভেজাল।

পরীক্ষা ৫: আজকাল দুধে নানা ধরণের কেমিকেল, এমনকি সাবান মিশিয়েও দুধকে ঘন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই ধরণের দুধকে সাধারণত ‘ক্যামিকেল দুধ’ বলে চিহ্নিত করে থাকেন চিকিৎসকেরা। এমন দুধ ফোটালেই হালকা হলুদ বর্ণের হয়ে যায়। এবার থেকে তাই দুধ ফোটানোর সময় যদি দেখেন দুধের সাদা ভাব ধীরে ধীরে বদলে ফ্যাকাসে হলুদ রঙের হয়ে গেছে তাহলে ভুলেও সেটি মুখে তুলবেন না।

আরএম-১৫/২৯/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)