বিকাল ৩:০৬
বৃহস্পতিবার
২৫ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১২ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

যাত্রা শুরু করলো “কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস”

‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস’ নামে একটি আন্তনগর ট্রেন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে চলাচল করবে ট্রেনটি। একই সময়ে নতুন র‌্যাকে প্রতিস্থাপিত দুটি ট্রেনের চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বুধবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধন করেন। একই সময়ে রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের র‍্যাক প্রতিস্থাপন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের বাণিজ্যিক যাত্রা আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে। কুড়িগ্রামবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণ হওয়ায় জেলাজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নতুন ট্রেনটি চালু হলে দেশের প্রত্যন্ত এ অঞ্চলটির যাতায়াতে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে মনে করছেন কুড়িগ্রামবাসী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম থেকে যোগ দেন রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন। অনুষ্ঠানে ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান প্রমুখ।

কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম সরাসরি ট্রেনটি চালু হওয়ায় যাতায়াতে দীর্ঘদিনের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি মিলল কুড়িগ্রামের মানুষের। কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনটির জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে সদ্য আসা নতুন কোচ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ট্রেনটি সপ্তাহের প্রতি বুধবার ছাড়া ছয় দিনই সকাল ৭টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। আর ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে ৬টা ২০ মিনিটে কুড়িগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে। ট্রেনটি ১৪টি বগি নিয়ে যাতায়াতে রংপুর-বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর-জয়পুরহাট, সান্তাহার-নাটোর, মাধনগর-টাঙ্গাইল, মৌচাক-বিমানবন্দর এই ১০টি স্টেশনে যাত্রী উঠানামায় বিরতি থাকবে।

কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাত্রাকালে মোট ৬৫৭টি আসন সুবিধা এবং ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম যাত্রাকালে ৬৩৮টি আসন সুবিধা থাকবে। শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথ ১৮০৪ টাকা আসন ভাড়া নির্ধারিত হয়েছে।

বিএ-০৬/১৬-১০ (ন্যাশনাল ডেস্ক)

ব্রণের দাগ দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে গুঁড়া দুধের ম্যাজিক

ব্রণের দাগ

অসহ্যকর ব্রণের দাগ থেকে রক্ষা পেতে কত কিছুই না করছেন। অনেক মূল্যেও নিশ্চয় কিনছেন প্রসাধনী? কিন্তু তাতে হিতে বিপরীতই বেশি হয়। তাই আর নয় বাইরের প্রসাধনী, এবার ঘরেই মিলবে এর সমাধান।

ব্রণের দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে গুঁড়া দুধের প্যাক সত্যি খুবই কার্যকরী। তাই দেরি না করে গুঁড়া দুধের কয়েকটি সহজ প্যাক বানিয়ে নিতে পারেন বাসায়ই। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক গুঁড়া দুধের প্যাক তৈরি ও ব্যবহার পদ্ধতি-

> একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেসন, আধা চা চামচ গুঁড়া দুধ, একটি অ্যালোভেরা পাতার জেল, ১ চা চামচ টক দই, ১ চা চামচ লেবুর রস ও সামান্য পানি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। উজ্জ্বল ত্বক পেতে প্রতিদিন ব্যবহার করুন এই ফেসপ্যাক।

> ১ টেবিল চামচ ওটস ও ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধের সঙ্গে প্রয়োজন মতো গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ২ মিনিট ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। কোমল ত্বকের জন্য প্রতিদিন একবার ব্যবহার করুন এই প্যাক।

> সমপরিমাণ মুলতানি মাটি ও গুঁড়া দুধের সঙ্গে প্রয়োজন মতো গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে দূর হবে ব্রণের দাগ।

> ১ চা চামচ গুঁড়া দুধের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা চন্দনের তেল ও পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন ব্যবহারে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও সুন্দর।

আরএম-২০/১৬/১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

মাত্র দুই মিনিটেই চিনে নিন ফরমালিনযুক্ত বিষাক্ত মাছ

মাত্র দুই মিনিটেই

আজকাল বাজার ছেয়ে গেছে দূষিত বা ফরমালিনযুক্ত খাবারে। এর থেকে রেহাই পায়নি মাছও। তাইতো বিষাক্ত রাসায়নিকের ভয়ে বড় রুই, কাতলা এখন আর কেউ কিনতেই চান না। কিন্তু সব বড় রুই, কাতলাতেই কি ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো থাকে?

কেরলের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফিসারিজ টেকনোলজির তৈরি এমন একটি ‘কিট’ রয়েছে, যার সাহায্যে মাত্র দুই মিনিটেই জেনে নেয়া যায়, কোন মাছটি রাসায়নিকের প্রভাবে বিষাক্ত বা দূষিত আর কোনটি নয়। কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অন্তর্গত এ সংস্থার তৈরি এই বিশেষ কিট-এর নাম ‘র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট’।

কীভাবে কাজ করে এই র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট?

এই ‘র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট’-এ রয়েছে একটি পেপার স্ট্রিপ, যেটি মাছের গায়ে ঘষে সেটির উপর ১ ফোঁটা কেমিক্যাল সলিউশন দিতে হবে। পেপার স্ট্রিপে এই কেমিক্যাল সলিউশন দেয়ার দুই মিনিটের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন আপনি। পেপার স্ট্রিপের রং যতটা পরিবর্তিত হবে, বুঝতে হবে ওই মাছটিও ততটাই দূষিত।

সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফিসারিজ টেকনোলজির গবেষকদের মতে, ফরমালিন এবং অ্যামোনিয়ার ব্যবহারে তৈরি এই ‘র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট’-এর দামও মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই থাকবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মাছের আমদানি-রফতানি বেশ সময় সাপেক্ষ। তাই দীর্ঘদিন মাছ ‘তাজা’ রাখতে ফরমালিনসহ অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ মেশানো হয়। ফরমালিন মেশানো মাছ খেলে কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।

সেই সঙ্গে বিকলাঙ্গতা এমনকি ক্যানসারেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই দেশের সর্ব সাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে পানির দরে বাজারে এই ‘র‍্যাপিড ডিটেকশন কিট’ আনার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব ফিসারিজ টেকনোলজির গবেষকরা।

আরএম-১৯/১৬/১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

হজম বাড়াতে কীভাবে হলুদ খাবেন?

হজম বাড়াতে

হলুদ বেশ পরিচিত একটি ভেষজ। গন্ধ, স্বাদ ও সোনালি রঙের জন্য একে মসলার রানি বলা হয়। সারা বিশ্বেই রান্নার ক্ষেত্রে কমবেশি হলুদ ব্যবহার করা হয়।

আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটি জার্নালের মতে, হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিফাঙ্গাল, অ্যান্টিকারসিনোজেনিক, অ্যান্টিমিউটেজেনিক ও প্রদাহরোধী উপাদান।

হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, আঁশ, নিয়াসিস, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিঙ্ক। এসব উপাদান থাকার কারণে হলুদ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা রোধে উপকার করে।

জানেন কি, হলুদ হজমের সমস্যা সমাধানেও বেশ কার্যকর? হ্যাঁ, বিষয়টি আসলেই সঠিক। হলুদ গ্যাস ও পেট ফোলা ভাবের সমস্যা কমাতে উপকারী। এটি পেটের প্রদাহও কমায়। কীভাবে হলুদ খেলে হজমের সমস্যা কমবে, সেটি জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি। আসুন জানি।

হজমের সমস্যা হলে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া রান্নায় নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করুন। এতে হজমের সমস্যা কমবে। তবে পিত্তের কোনো রোগ থাকলে কাঁচা হলুদ চিবিয়ে না খাওয়া বা হলুদের সাপ্লিমেন্ট না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও লিভার পরিষ্কারেও হলুদ বেশ কার্যকর। তাই খাদ্যতালিকায় নিয়মিত এ ভেষজটি রাখতে পারেন।

আরএম-১৮/১৬/১০ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)

বিবাহিত জীবনে সুখী হওয়ার উপায়

বিবাহিত জীবনে

এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন এমআইটির অধ্যাপক দম্পতি অভিজিৎ ব্যানার্জি ও এস্তার ডুফলো। এই দম্পতি বিশ্বের শীর্ষ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের দারিদ্র্য বিমোচনের একটি মডেল নিয়ে ২০০৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত গবেষণা করেন।

২০১৫ সালে তাদের গবেষণার ওপর একটি প্রবন্ধ ছাপা হয় বিখ্যাত ব্রিটিশ সাময়িকী ইকোনমিস্টে। এরপর হইচই পড়ে যায় সারাবিশ্বে।শুধু তাদের গবেষণা নিয়েই নয় তাদের একসঙ্গে থাকাটাও একটা মাইলফলক। একে ‘কাপলগোল’ বলা যায়। নোবেল প্রাপ্তি এবং বিয়ে টিকিয়ে রাখার মতো দুটো কঠিন কাজ তারা একসঙ্গে করেছেন।

বিয়ে মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিবাহিত জীবন সুখে থাকাটা নির্ভর করে মূলত দম্পতির আচার-আচরণের ওপর। বিবাহিত জীবনে সুখে থাকার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হয় বলে মনে করেন মনোবিজ্ঞানীরা। এজন্য কিছু কাজ করা দরকার। যেমন-

১. সঙ্গীকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান:

সঙ্গীকে নিয়ে ভ্রমন করলে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে। এতে শারীরিক ও মানসিক শান্তি পাওয়া যায়। বুকিংডটকমের এক গবেষণা থেকে জানা যায়, সঙ্গীর সঙ্গে ভ্রমণের মধ্যে গোপন সুখ বজায় থাকে।১৭টি দেশের ১৭ হাজার দম্পতির মতামত নিয়ে এই গবেষণা প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, ৪৯ শতাংশ মানুষ জানিয়েছে, সঙ্গীর সঙ্গে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে তারা সুখ খুঁজে পান।

২. সঙ্গীর হাত ধরুন:

সঙ্গীর হাত ধরলে শরীরে লাভ হরমোনের নিঃসরণ ঘটে।ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীর হাত ধরলে স্ট্রেস কমে এবং নিজেকে নিরাপদ মনে হয়। শুধু তাই নয় হাত ধরার ফলে শারীরিক ব্যাথা-বেদনাও অনেক কমে। সঙ্গীর হাত ধরা হার্টের জন্যও ভালো।

৩. মনের কথা খুলে বলুন:

সঙ্গীকে মনের কথা খুলে বলুন। ভালো-মন্দ দুটো বিষয়ই সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করলে সম্পর্কে জটিলতার সৃষ্টি হবেনা।

৪. পরিবারকে সম্মান করুন:

সঙ্গীর পরিবারের সদস্যদের সম্মান করুন। রেগে গিয়ে কখনো পরিবার নিয়ে বাজে কথা বলবেন না।

৫. পেশার প্রতি সহনশীল হোন:

সঙ্গীর পেশাকেও শ্রদ্ধা করুন। একই পেশা হলে কখনো প্রতিযোগী না হয়ে সহযোগী মনোভাব বজায় রাখুন।

৬. হাসি-খুশি থাকুন:

সঙ্গীর সঙ্গে হাসি-খুশি থাকতে হবে। একে অপরের সঙ্গে ভালো মুহূর্ত কাটানোর ইচ্ছা থাকতে হবে।

আরএম-১৭/১৬/১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

বিয়ের আগেই হানিমুনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবিলা নূর

বিয়ের আগেই

ছোট পর্দার দর্শক নন্দিত অভিনেত্রী সাবিলা নূর। বেশ কয়েকবার তার বিয়ের গুঞ্জন উঠেছিলো। তবে সব কিছুকে পিছনে ফেলে চলতি মাসের শেষদিকে দীর্ঘদিনের প্রেমিককে বিয়ে করতে যাচ্ছেন সাবিলা। জানা গেছে, পাত্র বেসরকারি টেলিভিশনে কর্মরত।

নতুন খবর হলো বিয়ের আগেই হানিমুনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবিলা। আর এই খবর তিনি নিজেই জানিয়েছেন। সম্প্রতি এই অভিনেত্রী জানিয়েছেন স্বামীকে নিয়ে মরিশাসে হানিমুনে যাওয়ার কথা।

এর আগে, নেহাল সুনন্দের সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে সাবিলা জানিয়েছেন, বন্ধু তৌসিফের মাধ্যমে হবু বরের সঙ্গে সাবিলার পরিচয়, সেখান থেকেই প্রেম। এরপর গত এক বছর প্রেমের পর সম্প্রতি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন দুই পরিবার।

বিয়ে প্রসঙ্গে সাবিলার মা বলেন, চলতি মাসের ২৫ তারিখ আমার মেয়ের বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত হয়েছে। গায়ে হলুদ অনুষ্ঠিত হবে ২৪ তারিখ। আর নেহালের পারিবারিক আয়োজনে বৌভাত অনুষ্ঠিত হবে ২৭ তারিখ।

আরএম-১৬/১৬/১০ (বিনোদন ডেস্ক)

স্বামী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে কাঁদলেন নিহতের স্ত্রী

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় কৃষক হানিফ আলী হত্যা মামলায় তার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। এ সময় রায় শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত হানিফ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নিহত হানিফ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী দোলনা বেগম (৪২), ভেড়ামারা উপজেলার আরকান্দি গ্রামের লরু প্রমাণিকের ছেলে শ্যামল প্রামাণিক (২৭), একই গ্রামের মৃত বাদশা আলী মন্ডলের ছেলে আসমত আলী মন্ডল (৪৭) ও মৃত মিরাজ উদ্দিনের ছেলে মুকুল হোসেন (২৬)।

আদালত সূত্র জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি আধিপত্য নিয়ে উপজেলার আরকান্দি মন্ডলপাড়া গ্রামে মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারির ঘটনায় প্রতিপক্ষ ইয়াসিন আলী প্রামাণিক ও তার ছেলে ময়নুল প্রামাণিক গুরুতর আহত হন। ঘটনার সাতদিন পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াসিন আলীর মৃত্যু হয়। এতে আসামি মুকুলের ভাইসহ প্রায় ১৫ জনের নামে ভেড়ামারা থানায় মামলা করা হয়।

আসামি মুকুল তার ভাইকে হত্যা মামলা থেকে বাঁচাতে এবং ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হানিফ আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। তাছাড়া সম্পর্কে চাচা হওয়ায় হানিফ আলীর সঙ্গে আসামি মুকুলের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল।

এদিকে অপর আসামি আসমতের সঙ্গে হানিফ আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী দোলনার অনৈতিক সম্পর্ক থাকায় সেই সুযোগে তাদেরকেও হাত করে মুকুল। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে আরেক আসামি শ্যামলকে সঙ্গে নেয়। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল রাতে হানিফ আলী বাড়ি থেকে বাইরে বের হলে পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী আসামি মুকুল, শ্যামল, আসমত ও স্ত্রী দোলনা তাকে পার্শ্ববর্তী মাঠে গলা কেটে হত্যা করে।

ঘটনার পরের দিন নিহতের ১ম পক্ষের ছেলে আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে রহস্য উদ্ঘাটন করে চার আসামির বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ১৫ জুন আদালতে চার্জশিট দেয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আজ এই রায় দেন। মামলাটি পর্যবেক্ষণ মন্তব্যে বিজ্ঞ আদালত বলেন, সম্পত্তি ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব কলহের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

বিএ-০৫/১৬-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

যৌবনের উম্মাদনায় মানুষ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবে যেভাবে

যৌবনের উম্মাদনায়

তরুণ যুবকদের মাঝে বয়ঃসন্ধিক্ষণে এক ধরনের কামনা বাসনা বা হতাশা কাজ করে। যারা যৌবনের সব কামনা-বাসনা ও হতাশা থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে সক্ষম তারাই সফলকাম। টগবগে যুবকের সে সময়ের কোনো ইবাদতই আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।

তাই প্রতিটি যুবকের জন্যই নির্মল চরিত্রের অধিকারী হতে প্রয়োজন কুরআন-সুন্নাহর জ্ঞান। যৌবনের কামনা-বাসনার অপরাধগুলো মানুষের শারীরিক রোগের ন্যায়। সঠিক দিক-নির্দেশনায় এসব অপরাধমূলক রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।

মানুষ যেমন অসুস্থ হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে তেমনি কোনো যুবক যদি চারিত্রিক সমস্যায় পতিত হয়, তার জন্যও রয়েছে চিকিৎসাস্বরূপ বিশ্বনবির সেরা উপদেশ। যে উপদেশ গ্রহণে যে কোনো যুবকই হয়ে উঠবে উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী।

সে কারণেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাপ কাজে নিমজ্জিত সব ব্যক্তিকেই রোগী হিসেবে চিহ্নিত করতেন। যার যে উপদেশ প্রয়োজন তাই তিনি প্রদান করতেন। হাদিসে এ রকম অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। যেমনটি ব্যভিচারের ক্ষেত্রেও রয়েছে।

শুধু তা-ই নয়, যদি কারো কোনো অসুবিধা বা সমস্যা নিজের (বিশ্বনবির) মধ্যে থাকতো তবে তিনি আগে সে কাজের সমাধান নিজের মধ্যে বাস্তবায়ন করতেন, তারপর অন্যকে তা থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিতেন।

যুবকদের অবৈধ চারিত্রিক কামনা-বাসনা থেকে দূরে রাখতে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক কুরাইশ যুবককে নসিহত পেশ করেছেন। এ উপদেশটি বর্তমান সময়ের জন্যও খুবই উপযোগী। হাদিসে সে ঘটনার বর্ণনাটি এভাবে এসেছে-

একবার এক কুরাইশ যুবক রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে ব্যভিচারের অনুমতি প্রার্থনা করে। উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম যুবকের কথায় রেগে গিয়ে তাকে শাস্তি দিতে উদ্যত হলেন। কিন্তু বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।

তিনি শান্ত চিত্তে যুবককে আরও কাছে টেনে নিলেন। তারপর (যুবককে প্রশ্ন রেখে) বললেন-

‘তুমি কি তোমার মায়ের জন্যে এটা (ব্যভিচার) মেনে নেবে?

যুবক উত্তর দিলেন, ‘না’,।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘(অন্য) লোকেরাও এটা তাদের জন্যে অনুমোদন করবে না।’

অতঃপর তিনি যুবককে আলাদা আলাদা করে বারবার তার কন্যা, বোন ও চাচির জন্য (ব্যভিচার) অনুমোদনের বিষয়ে প্রশ্ন করেন। আর প্রতিবারই যুবক ‘না’বোধক উত্তর দিতে থাকে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিবারই বলতে থাকেন যে, (অন্য) ব্যক্তিরাও তাদের জন্য এটা (ব্যভিচার) অনুমোদন করবে না।’

তারপর তিনি যুবকের হাত ধরে বললেন, ‘আল্লাহ্ তার (যুবকের) পাপ ক্ষমা করুন। তার অন্তর পবিত্র করুন এবং তাকে সহিষ্ণু করুন (ব্যভিচারের কামনার বিরুদ্ধে)।’ (মুসনাদে আহমদ, তাবরানি)

বর্তমান সময়ে ধর্ষণের অপরাধ প্রবণতা কমাতে এবং বিপদগামী যুবকদের সচেতন করে তুলতে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হাদিসের এ আবেদন তুলে ধরা জরুরি। যার ফলে সমাজ ধর্ষণ জিনা-ব্যভিচার মুক্ত হবে।

যুবক-তরুণদের কোনো সমস্যায় হতাশ হওয়া যাবে না। যে কোনো সমস্যা ইসলামের আলোকে শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তাইতো বান্দাকে এ ঘোষণা জানিয়ে দিতে বিশ্বনবিকে আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেন-

(হে রাসূল! আপনি) বলুন, হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের সব গোনাহ ক্ষমা করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৫৩)

সুতরাং যুবক যত বড় অপরাধীই হোক না কেন কিংবা যত অপরাধেই জড়িত হোক না কেন, ইসলামের উদাত্ত আহ্বান হলো- সর্বাবস্থায় কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশ ও উপদেশ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা। আর তাতে জীবন হবে সফল ও স্বার্থক।

সে কারণেই বান্দাকে অন্যায় থেকে ফিরে থাকার সতর্কতামূলক নির্দেশও বিশ্বনবিকে জানিয়ে দিতে বলেছেন-
‘তোমরা তোমাদের পালনকর্তার দিকে ফিরে আস এবং তোমাদের কাছে আজাব আসার আগেই তাঁর নির্দেশ মেনে চল। তারপর (শাস্তি আসার পর) তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না।’ (সুরা যুমার : আয়াত ৫৪)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব যুবককে কুরআনের নির্দেশ মেনে চলার পাশাপাশি হাদিসের উপদেশ গ্রহণ করার তাওফিক দান করুন। নির্মল ও নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-১৫/১৬/১০ (ধর্ম ডেস্ক)

গোয়াল ঘরে ৫ মাস শেকল বাঁধা মা, উদ্ধার করলো প্রশাসন

৭৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা মা খবিরুন্নেসাকে পাঁচ মাস ধরে গোয়াল ঘরে আটকে রেখেছেন ছেলে।

মানসিক সমস্যার অভিযোগ এনে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্নার চরধুপতি এলাকার বাচ্চু।

খবর পেয়ে বাচ্চুর গোয়ালঘর থেকে অসহায় ওই মাকে উদ্ধার করে মেয়ের জিম্মায় দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, খবিরুন্নেসার স্বামী আবদুল হামিদ খান মারা গেছেন বছর দুয়েক আগে। দুই ছেলে ও তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে। তাদের প্রত্যেকেরই আছে আলাদা সংসার।

বাবা মারা যাওয়ার পরে সহায়-সম্পত্তি সব ভাগ বাটোয়ারা করে নিলেও মায়ের দায়িত্বটা সেভাবে কেউ নেননি। ফলে আজ এ ঘর, কাল ও ঘর করে করে শেষ পর্যন্ত তার ঠাঁই হয় গোয়াল ঘরে।

মানসিক সমস্যার অভিযোগ এনে গত পাঁচ মাস ধরে গোয়াল ঘরেই তাকে বেঁধে রাখা হয় শেকল দিয়ে।

অমানবিক এই খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বৃদ্ধাকে গোয়াল ঘর থেকে উদ্ধার করে এক মেয়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

অসুস্থতার অজুহাতে খবিরুন্নেসাকে ছেলেরা ৫ মাস ধরে গোয়াল ঘরে আটকে রাখেন। অথচ কানে একটু কম শুনলেও তারা তাকে স্বাভাবিকই জানতেন।

তাদের অভিযোগ মূলত জমিজমা ভাগ বাটোয়ারা হওয়া ছেলেদের কেউ বৃদ্ধ মায়ের দায়িত্ব নিতে রাজি নন বলেই এমন আচরণ করেছেন। ওই গোয়াল ঘরেই দিনে একবার তাকে খাবার দেওয়া হতো।

তবে খবিরুন্নেসার দুই ছেলে ও তাদের পরিবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ছোট ছেলে বাচ্চু দাবি করেন, তিনি মায়ের ঠিকমতোই ভরণ-পোষণ দিচ্ছেন। মায়ের মাথায় সমস্যা আছে বলে বেঁধে রাখা হয়েছে।

গৌরিচন্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বৃদ্ধা খবিরুন্নেসাকে যথাসাধ্য সহায়তা দেওয়া হবে।

এছাড়াও তার ভরণ-পোষণ যাতে নিশ্চিত করা হয় সে ব্যাপারে ছেলেদের ডেকে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। এ সময় চেয়ারম্যান ওই বৃদ্ধাকে ২০০০ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা দেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি চরম অমানবিক। এটি সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় ছাড়া কিছু না।

আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে মেয়ে তাসলিমার জিম্মায় দিয়ে ছেলেদের ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছি। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে বৃদ্ধ মাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

ছেলেরা যাতে তার মায়ের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ না করতে পারেন তার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিএ-০৪/১৬-১০ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

যে ৫ কারণে বাড়ে পেটের চর্বি, কী করবেন? (ভিডিওসহ)

যে ৫ কারণে

পেটের অতিরিক্ত চর্বি খুবই খারাপ। অতিরিক্ত চর্বির কারণে আপনি নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস, রক্তচাপের মতো জটিল অসুকগুলো সহজে আপনাকে আক্রান্ত করতে পারে।

তাই পেটে অতিরিক্ত চর্বি থাকলে তা কমিয়ে ফেলতে হবে। আসুন জেনে নেই পেটের অতিরিক্ত চর্বি কেন হয়, আর চর্বি কমাতে কী করবেন?

১. তৃষ্ণা পেলে অনেকেই কোমল পানীয় পান করে থাকেন। এতে অত্যাধিক ক্যালোরি ও চিনি রয়েছে যা শরীরে মেদ বাড়িয়ে দেয়।

২. অনিদ্রার কারণেও বাড়তে পারে পেটের মেদ।

৩. পেটের চর্বি কমাতে গিয়ে অনেকেই খাওয়া কমিয়ে দেন। চিকিৎসকদের মতে, বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকলে পেটে চর্বি জমে।

৪. অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার কারণে পেটে চর্বি জমে যায়। তাই অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।

৫. বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেকক্ষণ বসে থাকলে পেটে চর্বি জমে যায়। প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর পর নিজের সিট থেকে উঠে খানিকক্ষণ হাঁটাচলা করা ভালো।

পেটে চর্বি জমে গেলে কী করবেন?

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, তেঁতুলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ রয়েছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তেঁতুল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও কমে। পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে খেতে পারেন তেঁতুল-পুদিনা শরবত। আসুন জেনে নেই কীভাবে তৈরি করবেন তেঁতুল-পুদিনা শরবত।

তেঁতুল-পুদিনা শরবত

উপকরণ

তেঁতুলের কাঁথ এক টেবিল চামচ, চিনি আধা চা চামচ, বীট লবণ সামান্য। পুদিনার শুধু পাতা আট-দশটি, জিরাগুঁড়া সামান্য, পানি পরিমাণমতো, কয়েকটুকরা বরফ।

প্রণালী

পাকা তেঁতুল ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর এতে পরিমাণমতো পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন প্রায় ১০ মিনিট। পরে হাত দিয়ে চটকিয়ে ছেকে তৈরি করুন তেঁতুলের কাঁথ। পুদিনার পাতা ভালো করে ধুয়ে এর সঙ্গে বীট ও চিনি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে তাতে তেঁতুলের কাঁথ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে আবার ব্লেন্ড করে নিন। অতঃপর সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

আরএম-১৪/১৬/১০ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)