বিকাল ৩:১০
বৃহস্পতিবার
২৫ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১২ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ছেলেরা যে ১০টি বিষয় দেখলেই মেয়েদের প্রেমে পড়ে যায়

ছেলেরা যে

বিপরীত লিঙ্গের প্রতি পুরুষেরা আকৃষ্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। এখানে মনে কৌতুহল জাগে পুরুষের মনে আকর্ষণ সৃষ্টি করা নারীদের সেই বিষয়গুলো কী? প্রশ্নটির জবাব দিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক সাময়িকী বোল্ডস্কাই। তাদের প্রতিবেদনে বলা নারীদের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা, যেগুলোতে ডুবে যায় পুরুষেরা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পুরুষের মন ভোলানো সেই ১০ বৈশিষ্ট্য—

শান্তভাব

পুরুষরা নাটকীয়তা ঘৃণা করে। আর এটি নারী সংশ্লিষ্ট হলে তো কথাই নেই। যেসব নারী শান্ত প্রকৃতির এবং আচারণগতভাবে বুদ্ধিমান তাদের বেশি পছন্দ করে পুরুষরা।

আত্মবিশ্বাস

নারীর আত্মবিশ্বাস পুরুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের মধ্যে আবেদন ও আর্কষণভাব খুঁজে পায় পুরুষরা। নারীর কথা বলা ও নিজেকে আলাদা করার ধরণই একটি বড় পার্থক্য গড়ে তোলে। এক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস বড় ভূমিকা পালন করে। আত্মবিশ্বাসহীন নারী থেকে আত্মবিশ্বাসী নারীকেই আপন করে নিতে চায় পুরুষরা।

বুদ্ধিমত্তা

নারীর বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা সব পুরুষকেই আকর্ষণ করে। পুরুষেরা আর্কষণ খুঁজে পায় যখন কোনো নারী যুক্তি দিয়ে অন্তর থেকে কথা বলে।

হাস্যরস

নারী ও পুরুষ উভয়ই হাস্যরসে আকৃষ্ট হয়। নারীরা যদি কোনো পুরুষকে হাসাতে নাও পারে, নিজের সামান্য হাসি ভোলাতে পারে পুরুষের মন। এটি পুরুষের কাছে উপভোগের। পুরুষের চোখে এটাই অনেক আকর্ষণীয়।

চোখ

নারীদের চোখ পুরুষের আকর্ষণের একটি বড় জায়গা। আর নীল চোখ হলে কথাই নেই। তারা এটা খুব বেশি খুঁজে থাকে।

আকর্ষণীয় মনোভাব

মনোভাব একজন ব্যক্তিকে পূর্ণ করে তোলে। একইভাবে নারীদের মনোভাব পুরুষকে আকৃষ্ট করে। ইতিবাচক মনোভাব বেশিই আকৃষ্ট করে পুরুষকে। এটাই সাধারণত পুরুষেরা নারীদের মধ্যে খোঁজে এবং তাদের দৃষ্টিগোচর হয়।

চুল

অনেক পুরুষ আছে যারা প্রথমেই মেয়েদের চুল দেখে। পুরুষরা চুলের প্রতি আকৃষ্ট হয়, যেহেতু চুল নারীর ব্যক্তিত্বকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলে। আকর্ষণীয় দেখাতে চুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব নারীর সুন্দর চুল আছে তাদের দিকে মনোযোগ যায় পুরুষের।

শারীরিক গঠন

নারীদের এই সম্পদ পুরুষকে আকৃষ্ট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব নারীরা তার শারীরিক গঠনের দিকে নজর দেয় তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয় পুরুষরা।

মানানসই পোশাক

ট্রেন্ডের সঙ্গে মানানসই পোশাক নারীদের বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে। মেয়েদের পোশাক নির্বাচনের ধারণাও পুরুষকে আকর্ষণ করে। কোনো অনুষ্ঠানে নারীদের একটু আলাদা পোশাক নজর কাড়ে সব পুরুষেরই।

রহস্যময় আচরণ

রহস্যময় নারী পুরুষদের আকৃষ্ট করে। সব রহস্য প্রকাশ হলে পুরুষদের কাছে নারীদের আকর্ষণ কমে আসে। তাই রহস্যময়ী নারীদের প্রতি বেশি আকর্ষণ অনুভব করে পুরুষরা।

আরএম-১৯/২৫/০৭ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

ছেলে হোন কিংবা মেয়ে, জেনে নিন হস্তমৈথুনের পাঁচ উপকারিতা

ছেলে হোন

হস্তমৈথুন কোনও রোগ বা অপরাধপ্রবণতা নয়, একদম স্বাভাবিক জৈবিক প্রবৃত্তি। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞের মতামত ও গবেষণা অনুযায়ী হস্তমৈথুনের পাঁচটি শারীরিক উপকারিতা দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।

১. নিয়মিত হস্তমৈথুন করলে ঘুম ভাল হয়। হস্তমৈথুনে শরীরে শক্তিক্ষয় হয়, ফলে বীর্যপাতের পরই ক্লান্ত লাগে। চোখ যেন জুড়ে আসে। চিকিৎসকরা তাই বলেন, হস্তমৈথুন অনিদ্রার ভাল ওষুধ।

২. হস্তমৈথুনের সময় পেলভিক জোনে বেশি রক্ত চলাচল করতে শুরু করে। সেখানকার পেশিগুলি সঞ্চালিত হয়। এটা শরীরের পক্ষে ভাল।

৩. নিয়মিত হস্তমৈথুন করলে বিছানায় বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায়। কারণ, হস্তমৈথুনের সময় পুরুষরা বুঝতে পারে কতক্ষণে বীর্যপাত হচ্ছে। সেই মতো স্টার্ট-স্টপ পদ্ধতি ব্যবহার করে বা স্কুইজ পদ্ধতি অবলম্বন করে বীর্যপাতে বিলম্ব ঘটানো সম্ভব। বিলম্বিত বীর্যপাত আদতে সেক্সের সময় বিছানায় বেশিক্ষণ টিকে থাকতে সাহায্য করে।

৪. হস্তমৈথুন করলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে। হস্তমৈথুনের সময় শরীরে ডিএইচইএ নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ হয়। এই হরমোনটি রোগ-জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শরীরকে গড়ে তোলে। পাশাপাশি, হস্তমৈথুনের সময় টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরের হাড় ও মাংসপেশি সবল হয়।

৫. অবসাদ দূর করতে হস্তমৈথুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। আজকালকার জটিল জীবনযাত্রায় অবসাদ থাকবেই। যদি মনে হয়, অবসাদের কারণে শরীর ম্যাজম্যাজ করছে বা মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে আছে, তা হলে অবশ্যই হস্তমৈথুন করুন। ফুরফুরে লাগবে। এর কারণ এন্ডোরফিন্স নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ।

সুতরাং, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হল, হস্তমৈথুন করুন। নিয়মিত করুন। এতে শরীরের কোনও ক্ষতি নেই। শুধু অবিবাহিত নয়, বিবাহিতরাও হস্তমৈথুন করতে পারে।

আরএম-১৮/২৫/০৭ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)

ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যায় সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হোসেন হত্যা মামলায় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ১০৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে ফারুক হত্যায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডে দণ্ডিত সাঈদীর বিচার শুরু হলো।

বৃহস্পতিবার রাজশাহী অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এনায়েত কবির সরকারের আদালত ১০৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।

এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ ৬০ আসামি। অনুপস্থিত ছিলেন ৪৭ জন। এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ১১০ জনকে। এদের মধ্যে তিনজন আগেই মারা গেছেন। বাকি ১০৭ জনের বিচার শুরু হলো। আদেশ শেষে ১২টা ৫ মিনিটে সাঈদীকে আদালত থেকে বের করা হয়।

এদিকে রাজশাহী আদালতে সাঈদীকে একনজর দেখতে আদালত প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশে ভিড় করেন স্থানীয়রা। আদালত অঙ্গনে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে দেখা যায় আদালত চত্বরে। রাজশাহী জামায়াত নেতারা ছাড়াও সাধারণ মানুষও ভিড় করেছেন আদালতের আশপাশে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী।

রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন ওই আদালতের এপিপি শিরাজী শওকত সালেহীন। আর আসামিপক্ষে মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্যানেল এ মামলা লড়ছেন।

জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে গত সপ্তাহেই রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। এর পর বিষয়টি গোপন রাখা হয়।

তবে বৃহস্পতিবারের হাজিরা উপলক্ষে আগের দিন বুধবার থেকেই আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হলে বিষয়টি প্রকাশ পায়।

অভিযোগ রয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল দখল নিয়ে ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা। ওই সংঘর্ষে শিবিরের ক্যাডাররা ছাত্রলীগ কর্মী ফারুককে হত্যা করে লাশ শাহ মখদুম হলের পেছনের ম্যানহলে ফেলে দেয়। ওই রাতে ছাত্রলীগের আরও তিন কর্মীর হাত-পায়ের রগও কেটে দেয় হামলাকারীরা।

পর দিন এ নিয়ে মতিহার থানায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ৩৫ শিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও অনেক শিবির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।

পরে ওই মামলার হুকুমের আসামি করা হয় জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ বেশ কয়েকজনকে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নিজামী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

২০১২ সালের ৩০ জুলাই রাজপাড়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে ফারুক হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘদিনেও মামলার বিচারকাজ শেষ হয়নি।

বিএ-০৩/২৫-০৭ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

জীবন থেকে ছয় মাস হারিয়ে ফেলেছি : দিশা

জীবন থেকে ছয়

শরীরচর্চা ভালোবাসেন দিশা পাটানি—এটা কারো অজানা নয়। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি তুমুল জনপ্রিয়, এটাও জানা কথা। সোশ্যালে দিশা যে ছবি বা ভিডিওই শেয়ার করুন না কেন, তা ভাইরাল হবেই। তবে শরীরচর্চার কারণেই মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন এ সুন্দরী। স্মৃতিও হারিয়ে ফেলেছিলেন। সে বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন দিশা।

সুপারস্টার সালমান খান অভিনীত ‘ভারত’ সিনেমার ‘স্লো মোশন’ গানে তাঁর সঙ্গে নেচে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন দিশা পাটানি। এ গানে হলুদ শাড়ি পরে চোখ ধাঁধিয়ে দেন দিশা। সিনেমার জন্য তাঁকে বহু স্টান্ট রপ্ত করতে হয়েছে। দিশা জানালেন, চোটের পর টানা ছয় মাস তাঁর কিছুই মনে ছিল না। কিন্তু কীভাবে ঘটেছিল এই দুর্ঘটনা?

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিড ডে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিশা পাটানি জানান, একবার প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় কংক্রিটের ধাক্কা লেগে মাথায় আঘাত লাগে তাঁর। তারপরই ছয় মাসের জন্য তাঁর স্মৃতি নষ্ট হয়ে যায়। দিশা বলেন, ‘আমার জীবন থেকে ছয় মাস যেন হারিয়ে গিয়েছিল। কিছুই মনে ছিল না আমার।’

‘তিন বছর আগে জিমন্যাস্টিকস শুরু করি। অল্প বয়সেই এসব শেখা ভালো, কারণ ২০ বছর থেকে শরীরে পরিবর্তন হওয়া শুরু করে,’ বলেন দিশা।

দিশা আরো বলেন, ‘জিমন্যাস্টিকসের জন্য সাহসীও হতে হয়। অনেক সময় ব্যয় করে আমি এই জায়গায় পৌঁছেছি। প্রতিদিন এগুলো অনুশীলন করতে হয়। আঘাত লাগলে তবেই কোথাও পৌঁছানো যায়।’

আঘাতের সঙ্গে দিশার সখ্য পুরোনো। ‘ভারত’-এ শুটিংয়ের সময়ও হাঁটুতে চোট পান তিনি। এক সাক্ষাৎকারে দিশা বলেন, ‘স্লো মোশন’ গানের শুটিংয়ের মাত্র এক সপ্তাহ আগে তিনি আক্ষরিক অর্থেই শয্যাশায়ী ছিলেন।

‘মনে আছে, রিহার্সেলের সময় হাঁটু ভেঙে গিয়েছিল। আমাকে অবিরাম জিমন্যাস্টিকস করে যেতে হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই গানের স্টান্ট দৃশ্যগুলো দেখেছেন। এসবের জন্য সত্যিই আমাকে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। শুটিংয়ের এক সপ্তাহ আগে আমার হাঁটু ভেঙে যায়। হাঁটতে পারছিলাম না, শুটিং শুরুর আগে আক্ষরিক অর্থেই বিছানায় পড়েছিলাম। সত্যিই আমার জন্য কঠিন সময় ছিল,’ বলেন দিশা।

দিশা পাটানির আগামী সিনেমা ‘মালাঙ্গ’। সুপারহিট ‘আশিকি টু’র পরে ফের একসঙ্গে কাজ করছেন মোহিত সুরি ও আদিত্য রায় কাপুর। আদিত্য ও দিশা ছাড়াও এ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন অনিল কাপুর ও কুনাল খেমু।

আরএম-১৭/২৫/০৭ (বিনোদন ডেস্ক)

অডিও এখন মিউজিক ভিডিও

অডিও এখন

‘অডিও’ শব্দটি সঙ্গীত ভুবন থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। অন্তত লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশনা শুরু হওয়ার পর- এ কথা জোর দিয়ে বলা যায়। একক গানের প্রসারে শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, প্রকাশকসহ কম গানের সঙ্গে সংশ্নিষ্ট সবাই অডিওর বদলে ভিডিওকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

যদিও পূর্ণাঙ্গ মিউজিক ভিডিও প্রকাশের আগে কেউ কেউ লিরিক্যাল ভিডিও প্রকাশ করছেন, তবে স্বল্প সময়ের জন্য। অ্যালবাম প্রকাশনা স্থবির হয়ে যাওয়ায় গান প্রকাশের প্রধান মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ভিডিও। এতে অবশ্য দর্শক-শ্রোতা হতাশ নন, বরং সময়ের সঙ্গে গান প্রকাশের ধারা বদলে যাওয়ার বিষয়টি সহজ ও স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন তারা।

অবশ্য কেউ কেউ গানের সঙ্গে আলাদা করে ভিডিও নির্মাণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না। তাদের কথায়, গান দেখার নয়, শোনা এবং অনুভবের বিষয়। যখন কেউ গান শোনেন তখন তার মনের ক্যানভাসে আপনা-আপনি কিছু দৃশ্য ভেসে ওঠে। আলাদা করে তাই মিউজিক ভিডিও নির্মাণের প্রয়োজন নেই।

অডিওর স্থান মিউজিক ভিডিও দখল করে নেওয়া এবং তা কতটা দর্শক-শ্রোতার মাঝে প্রভাব ফেলছে? এমন প্রশ্নে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে। কিন্তু সবকিছুর পর এটাই সত্যি যে, অডিওর চাহিদা ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। বেশি নয়, গত দেড় বছরের গান প্রকাশের তালিকায় চোখ রাখলেই এর প্রমাণ পাওয়া যাবে। শুরু করা যাক সম্প্রতি সর্বাধিক সাড়া জাগানো মিউজিক ভিডিওর শিল্পী আসিফ আকবরের কথা দিয়ে।

গত দেড় বছরে ‘আগুন পানি’, ‘ফুঁ’, ‘নেই রেহাই’, ‘একটা গল্প ছিল’, ‘তোমাকে যেন ভুলে যাই’, ‘প্রথম দেখা’, ‘ও প্রিয় তুমি কেমন আছো’, ‘চুপচাপ কষ্টগুলো’, ‘তোকে বউ বানাবো’, ‘বস্‌’ এবং কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর স্মরণে গাওয়া ‘যেখানেই থাকো ভালো থাকো’সহ তার আরও বেশ কিছু একক গানের ভিডিও দর্শক-শ্রোতার মাঝে সাড়া জাগিয়েছে।

একইভাবে কর্নিয়ার সঙ্গে গাওয়া ‘কী করে তোকে বোঝাই’, ‘একবার ছুঁয়ে যা হৃদয়’, ‘মেঘ বলেছে’, ‘এলোমেলো জীবন’, ‘তোমার হাসি’; আঁখি আলমগীরের সঙ্গে গাওয়া ‘টিপ টিপ বৃষ্টি’, কনার সঙ্গে ‘মুছে দেব কান্না তোমার’, সালমার সঙ্গে গাওয়া ‘আই অ্যাম ইন লাভ’ দ্বৈত গানের ভিডিওতে আসিফ নিজেকে তুলে ধরেছেন নানা চরিত্রে।

অন্যদিকে হাবিব গানের পাশাপাশি অভিনয় করেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন ‘ঝড়’, ‘চলো না’, ‘আবার তুই’, ‘অবুঝপনা’, ‘রাজি’, ‘আনমনা মন’সহ অন্যান্য গানের ভিডিও প্রকাশ করে। একইভাবে তার সঙ্গীতায়োজনে লিজা ‘এক যমুনা’, পড়শী ‘আবাহন’ গানের সাদামাটা ভিডিও প্রকাশ করেও আলোচিত হয়েছেন।

গল্পপ্রধান ভিডিও নিয়ে অন্যান্য শিল্পীও দর্শকের মনোযোগ কেড়েছেন। ইমরানের ‘আমার কাছে তুমি’, ‘সব কথার এক কথা’, ‘কে তোমাকে এত ভালো বাসতে পারে’, ‘মনের বিপরীতে’, ‘মেঘেরই খামে’, ‘আজ ভালোবাসো না’, ‘তোর নামের ইচ্ছেরা’, ‘এমন একটা তুমি চাই’সহ পড়শীর সঙ্গে গাওয়া ‘আবদার’সহ বেশ কিছু মিউজিক ভিডিও দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলেছে। একইভাবে মিনারের ‘আমি এমনই’, ‘তবে’, ‘নিরুদ্দেশ’; পূজার সঙ্গে গাওয়া ‘স্বপ্নভেজা মেঘ’সহ বেশ কিছু গান দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছে।

এর বাইরে দলছুটের ‘মন দাবাড়ূ’, প্রীতম হাসানের ‘খোকা’, ‘আমি আমার মতো’, ‘নিশ্চুপ’, ‘রাজকুমার’, ‘৭০০ টাকার গান’, ‘গার্লফ্রেন্ডের বিয়া’সহ বেশ কিছু গানের ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ের দর্শকের হৃদয় জয় করেছে।

আসলে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিউজিক ভিডিও হয়ে উঠেছে সঙ্গীতপ্রেমীর চাহিদার অন্যতম উপকরণ। মিউজিক ভিডিওতে কত বৈচিত্র্য তুলে ধরা যেতে পারে, তার উদাহরণ দেখিয়েছেন নির্মাতারা।

তানিম রহমান অংশু, সৈকত নাসির, চন্দন রায় চৌধুরী, শাহরিয়ার ও প্রেক্ষাগৃহ টিম, কুমার নিবিড়সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় ও তরুণ নির্মাতা প্রমাণ করেছেন, মিউজিক ভিডিওতে বৈচিত্র্য তুলে ধরতে পারলে তা নাটক, চলচ্চিত্রের মতোই দর্শকের মনে ছাপ ফেলবে।

আসিফ, হাবিব, ইমরান, মিনার, পড়শী, লিজা, প্রীতম ছাড়াও অন্যান্য শিল্পী ও ব্যান্ড তাদের আয়োজন নিয়ে দর্শকের মনোযোগ কাড়তে পেরেছেন অনায়াসে।

বাপ্পা মজুমদারের ‘ঘুম জড়ানো’, তাহসানের ‘তুমিময় লাগে’, ‘কী হবে’; কনার ‘লাল শাড়ি’, ‘আইছে পহেলা বৈশাখ’, ইমরানের সঙ্গে গাওয়া ‘কে কত দূরে’, আকাশের সঙ্গে গাওয়া ‘খাঁটি সোনা’ গানগুলো ছিল আলোচনায়। অন্যদিকে সিলন মিউজিক লাউঞ্জের আয়োজনে হারানো দিনের গান গেয়ে সাড়া জাগিয়েছেন নিশিতা, মাহাদী, সালমা, লিজা, সাব্বির, স্বরলিপিসহ বেশ কয়েকজন তরুণ শিল্পী।

তাদের পাশাপাশি একইভাবে তরুণ শিল্পী আরমান আলিফের ‘অপরাধী’, ‘বেঈমান’, ‘নেশা’, ‘সর্বনাশ’, ‘কার বুকেতে মাথা রাখো’, ‘কাচের জানালা’ গানগুলো সঙ্গীতাঙ্গনে হাওয়া বদলের আভাস দিয়েছে।

অন্যদিকে কণ্ঠশিল্পী ধ্রুব গুহ ‘তোমার ইচ্ছা হলে’, ‘তোমার উঁকিঝুঁকি’র মতো মেলোডিনির্ভর গান ও চমকপ্রদ গল্পের মিউজিক ভিডিও দিয়ে এ বছরও আলোচনায় ছিলেন।

মিউজিক ভিডিও ছাড়াও এন্ড্রু কিশোর, সামিনা চৌধুরী, ন্যান্সি, ফাহমিদা নবীসহ বেশ কিছু শিল্পী একক গান প্রকাশ করে সঙ্গীতপ্রেমীদের প্রশংসা পেয়েছেন। কিন্তু সে গানগুলোর অডিও আলাদা করে প্রকাশের সুযোগ না থাকায় লিরিক্যাল ভিডিওর আশ্রয় নিতে হয়েছে প্রকাশকদের।

শুধু জনপ্রিয় ও তরুণ শিল্পী নন; কম-বেশি সবাই এখন ভিডিওর দিকেই ঝুঁকে পড়েছেন। একই কথা বলা যায় আলোচিত ও তরুণ অন্যান্য শিল্পীর বেলায়।

সৈয়দ আবদুল হাদী, কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী থেকে শুরু করে এফএ সুমন, বেলাল খান, কাজী শুভ, নদী, ঐশী, কিশোর, জয় শাহরিয়ার, তানযীব, তৌসিফ, শান, প্রতীক হাসানসহ মাহতিম শাকিব, টুম্পা, আতিক শামস, শেখ সাদীর মতো নবীন শিল্পীরাও মিউজিক ভিডিওর মাধ্যমে সম্ভাবনার স্বাক্ষর রেখেছেন।

কিন্তু একটা বিষয় স্পষ্ট, আগের মতো একাধিক গানের অ্যালবাম নয়, মাত্র একটি গানের ভিডিও প্রকাশ করেই শিল্পীরা সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সঙ্গীতাঙ্গনে পা রাখার পথটাও তাই প্রশত হয়ে উঠেছে।

কিন্তু একটি মাত্র গান দিয়ে দর্শক-শ্রোতার মনোযোগ কাড়তে পারাও কঠিন কাজ- এমন মত প্রকাশ করেছেন অনেকে। সে কারণেই মিউজিক ভিডিও তারকাবহুল ও নান্দনিক করে তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। যার সুবাদে মিউজিক ভিডিওর বাজেট যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে নির্মাণের বৈচিত্র্য তুলে ধরার প্রতিযোগিতা।

এ প্রসঙ্গে কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘গানের সুর-সঙ্গীতের পাশাপাশি গীতিকথার গল্পকে কত বৈচিত্র্যময়, রোমাঞ্চকর ও হৃদয়স্পর্শী করে তোলা যায়, তারই উদাহরণ মিউজিক ভিডিও। অ্যালবাম প্রকাশনা কমে যাওয়ায় একক গানের ওপর সঙ্গীতপ্রেমীদের নির্ভর করতে হচ্ছে। তাই প্রতিটি গান কতটা ভিন্ন আঙ্গিকে শ্রোতার কাছে পৌঁছানো যায়, তারই এক প্রচেষ্টার নাম মিউজিক ভিডিও।

এক সময় টিভি অনুষ্ঠানের জন্য গানের ভিডিও করা হতো। এখন যেহেতু মুঠোফোনের সুবাদে সবকিছু হাতের মুঠোয়, তখন আর শোনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। গান হয়ে উঠেছে শ্রোতা ও দর্শকের।’ কুমার বিশ্বজিতের এ কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর।

তিনি বলেন, ‘এখনকার মিউজিক ভিডিওগুলোকে ছোটখাটো চলচ্চিত্র বলা যায়। চলচ্চিত্রের মতোই নানা ধরনের গল্প নিয়ে ভিডিও নির্মিত হচ্ছে। আমার মতো অনেক শিল্পীকেও তাই গানের পাশাপাশি অভিনয়ও করতে হচ্ছে। যেহেতু আমরা মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য কাজ করি, তাদের আনন্দ দিতে এবং সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলতে নিজেকে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে হচ্ছে।’

আসিফ আকবরের এ কথা যে একেবারে মিথ্যা নয়, তার প্রমাণ বহুবার পাওয়া গেছে। ‘আগুন পানি’ গানে তাকে দেখা গেছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার এক যুবকের চরিত্রে। আবার কর্ণিয়ার সঙ্গে গাওয়া ‘একবার ছুঁয়ে যা হৃদয়’ ও ‘কী করে তোকে বোঝাই’ দ্বৈত গান দুটিতে তিনি অভিনয় করেছেন অভিনেতা ও এক প্রেমিকের চরিত্রে।

অন্যদিকে ‘সাদা আর লাল’ গানে আসিফের চরিত্রে পাওয়া গেছে এক বলিউড অভিনেতার ছায়া। প্রীতম হাসানও তার ‘জাদুকর’ গানের নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন। কর্ণিয়াকে রক শিল্পীর চরিত্রে দেখা গেছে ‘তোমায়’ গানের ভিডিওতে। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী চরিত্রে সালমা অভিনয় করেছেন তার ‘আশায় আশায়’ গানের ভিডিওতে।

অন্যদিকে হাবিব ওয়াহিদকে ‘মিথ্যা’ গানে মানসিক রোগী, ‘চলো না’ গানে পর্যটক, ‘ঝড়’ গানে পাড়ার মাস্তান চরিত্রে দেখা গেছে। অন্যদিকে মমতাজকে নতুন রূপে দেখা গেছে ‘লোকাল বাস’ গানের ভিডিওতে। তিনি বলেন, “লোকাল বাস’ আমার অন্যান্য গান থেকে একেবারে আলাদা। তা ছাড়া এর ভিডিওতে নাটকীয় একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যে জন্য নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরা।”

মমতাজের মতো ‘রেশমি চুড়ি’ গানে নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরার চেষ্টা ছিল কণ্ঠশিল্পী কনার। তিনি এ গানে কণ্ঠশিল্পীর পাশাপাশি নিজেকে নৃত্যশিল্পী হিসেবেও তুলে ধরেছেন দর্শকের কথা ভেবে।

তার কথায়, ‘এখন মিউজিক ভিডিও নির্মাণে বাঁকবদল ঘটেছে। ভালো গান করার জন্য যেমন যথেষ্ট সময় নিয়ে কাজ করতে হয়, তেমনই ভিডিও নির্মাণে বড় বাজেট এবং সময় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। মিউজিক ভিডিওর দর্শক কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ায় প্রতিটি কাজই ক্রমে চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে।’

কনার এ কথার সঙ্গে একমত নির্মাতা তানিম রহমান অংশু। তার কথায়, মিউজিক ভিডিও নির্মাণ চলচ্চিত্র নির্মাণের চেয়ে কোনো অংশে কম চ্যালেঞ্জিং নয়। প্রতিটি গানের সঙ্গে নতুন গল্প, চরিত্রকে বিশ্বাসযোগ্য করে উপস্থাপন, এবং ভিডিওর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখা সহজ বিষয় নয়। তাই ভালো এবং ব্যতিক্রমী কিছু করার জন্য শিল্পী, নির্মাতা, মডেল- সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হয়।’

নির্মাতা সৈকত নাসির বলেন, ‘চার থেকে সাত মিনিট ব্যাপ্তির গানে একটি গল্প তুলে ধরা কঠিন কাজ। সে কাজটিই করতে হচ্ছে এখনকার মিউজিক ভিডিওতে। গল্প তুলে ধরা শুধু নয়; ভিডিও নান্দনিক করে তুলতেও এর পেছনে প্রচুর সময় দিতে হচ্ছে। গায়ক-গায়িকাকে দিয়ে অভিনয়ও করাতে হচ্ছে। কিন্তু সেটা এমনভাবে উপস্থাপন করতে হচ্ছে, যাতে কারও এটা মনে না হয়, গানের চরিত্রগুলোয় চেনা-জানা মানুষের ছায়া নেই। খেয়াল করলে দেখবেন, চলচ্চিত্রের মতো গানের ভিডিওতে কমেডি, অ্যাকশন, ফ্যামিলি ড্রামা থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকেও তুলে আনা হচ্ছে। এ কারণেই হয়তো একের পর এক মিউজিক ভিডিওর দর্শক সংখ্যা কোটি অতিক্রম করছে।’

শুধু সৈকত নাসির নন; সমকালীন শিল্পী, সুরকার, সঙ্গীতায়োজক, ভিডিও নির্মাতা, মডেল- সবার কথায় একটা বিষয় স্পষ্ট, গানের ভেতরে গল্প যদি নান্দনিকভাবে পর্দায় তুলে ধরা যায়, তাহলে তা অগণিত দর্শকের মন জয় করবে।

প্রকাশক ও কণ্ঠশিল্পী ধ্রুব গুহ বলেন, ‘গান যতটা শোনার, ততটাই দেখার বিষয় হয়ে উঠেছে এখন। যে জন্য অডিওর জায়গাটা পুরোপুরি দখল করে নিচ্ছে মিউজিক ভিডিও। এর প্রথম কারণ ভিডিওতে এখন অনেকে নানা ধরনের গল্প দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। যে কারণে অনেকে মিউজিক ভিডিওকে গানের ছবি বলেও উল্লেখ করছেন।

অ্যালবাম প্রকাশনা নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার কারণে একক গান হয়ে উঠেছে প্রকাশনার অন্যতম মাধ্যম। যে জন্য তা মিউজিক ভিডিও আকারে প্রকাশ করতে হচ্ছে। আর তা করতে গিয়েই ভিডিওতে বৈচিত্র্য তুলে ধরার এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এটাই অডিওকে বদলে ভিডিওর চাহিদা তৈরি করে যাচ্ছে।’

তার এ কথার সঙ্গে একমত পোষণ করে সিএমভির কর্ণধার শাহেদ আলী বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে শ্রোতার চাহিদা বদলে গেছে। ক্যাসেট ও সিডি প্লেয়ারের যুগ শেষ। এখন গান শোনার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে মোবাইল ফোন। যেখানে ভিডিও দেখার সুযোগ থাকছে।

তাই দর্শক-শ্রোতা চান, স্বল্প সময়ের ব্যাপ্তির কোনো গল্পের চিত্রায়ণ। এটা নাটক বা সিনেমায় সম্ভব নয়। যে জন্য গানের ভিডিও এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’ শিল্পী, সুরকার, গানের প্রকাশক, মিউজিক ভিডিও নির্মাতাদের এমন মন্তব্য থেকে এটাই স্পষ্ট, গান প্রকাশের এখন অন্যতম মাধ্যম মিউজিক ভিডিও। অডিও অনেকে শোনেন, কিন্তু ভিডিওর চাহিদা যত বাড়ছে তাতে ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে অডিও প্রকাশনা। গানের ভুবনে এখন তাই ভিডিওর জয় জয়কার।

আরএম-১৬/২৫/০৭ (বিনোদন ডেস্ক)

জামালপুরে খেলতে গিয়ে নৌকা ডুবে ২ বোনসহ নিহত ৫

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার বানের পানিতে খেলতে গিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় দুই বোনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আলনার কালিকাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সুবর্ণা (১৮) ও তার বোন ঝুমা (১০)। এই দুজন কালিকাপুর গ্রামের খবিরউদ্দিনের মেয়ে। অন্য তিনজন হলো- জান্নাত বেগম (১০) রতশি (১০) ও অন্তরা (১৬)। তাদের বাড়িও একই এলাকায়। শেষের তিনজন সুবর্ণার খালাতো বোন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজেদুর রহমান জানান, বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আলনা ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে নিখাই বিলে বানের পানিতে নৌকা নিয়ে খেলতে যায় ৯ তরুণী ও শিশু।

এ সময় নৌকাটি উল্টে পানিতে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও দুই বোনসহ পাঁচজন নিখোঁজ হয়। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মরদেহ থানায় নেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি।

বিএ-০১/২৫-০৭ (আঞ্চলিক ডেস্ক)

কুরবানির যে বিষয়গুলো জেনে নেয়া জরুরি

কুরবানির যে

কুরআনের বর্ণনায় কুরবানি আল্লাহর জন্য নির্ধারিত একটি মহান ইবাদত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘(হে রাসুল) আপনি বলুন, নিশ্চয় আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু শুধুমাত্র বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।’

কুরবানির গুরুত্ব জানতে বিশ্বনবির সে হাদিসটিই যথেষ্ট, তিনি বলেছেন, ‘সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি কুরবানি করে না, সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে।’ (মুসতাদরেকে হাকেম)

কুরআন ও হাদিসের আলোকে কুরবানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আর তা সামর্থ্যবানদের আদায় করা ওয়াজিব। যে ব্যক্তি কুরবানি আদায়ে সক্ষম থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করবে না, সে ওয়াজিব তরকে গোনাহগার হবে।

কুরবানির সময়

কুরবানি আদায় করার জন্য নির্ধারিত দিনক্ষণ ঠিক করা রয়েছে। মোট তিনদিন কুরবানি করা যায়। জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবানি করা যায়। তবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে কুরবানি করাই উত্তম।

যাদের জন্য কুরবানি ওয়াজিব

জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত এ ৩ দিন যার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে, তার জন্য কুরবানি করা ওয়াজিব।

দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা বা ভরন-পোষণ, খোরাকীর প্রয়োজনে আসে না এমন অতিরিক্ত কিংবা পতিত জায়গা-জমি, বাড়ি-গাড়ি, আসবাবপত্রসহ অন্যান্য সম্পদ নিসাব হিসেবে গণ্য। আর তা যদি সাড়ে ৭ ভরি সোনা কিংবা সাড়ে ৫২ ভরি রূপার মূল্যের সমান হয় তবে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব।

যদি এককভাবে সোনা-রূপা অথবা টাকা নিসাব পরিমাণ না থাকে কিংবা প্রয়োজনের অতিরিক্ত একাধিক বস্তু, সোনা, রূপা ও টাকা একত্রিত করলে সাড়ে ৫২ ভরি রূপা কিংবা সাড়ে ৭ ভরি সোনার দামের সম পরিমাণ হয় তবে ওই ব্যক্তির জন্যও কুরবানি করা আবশ্যক।

যে সব পশুতে কুরবানি করা যাবে

যেসব পশু দিয়ে কুরবানি করা যাবে তাহলো- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। তবে এসব পশু হতে হবে গৃহপালিত। তবে হরিণ কিংবা বন্য পশু দ্বারা কুরবানি করা যাবে না।

পশুর বয়স

যেসব পশুতে কুরবানি করা যাবে, তার জন্য রয়েছে সর্বনিম্ন নির্ধারিত বয়স। আর তাহলো-

> উট : ৫ বছরের হতে হবে।

> গরু ও মহিষ : ২ বছরের হতে হবে।

> ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা : কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে।

তবে ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু দেখতে এমন সুস্বাস্থ্য ও সুঠাম দেখা যায় যে, ১ বছরের মতো মনে হয় তবে তা দ্বারাও কুরবানি করা যাবে। তা কোনোভাবেই ৬ মাসের কম হলে চলবে না।
আর ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে তা দ্বারা কোনো অবস্থাতেই কুরবানি করা যাবে না।’

পশুতে অংশীদার

>> উট, গরু, মহিষ : সর্বোচ্চ ৭ মিলে একটি পশু কুরবানি দিতে পারবে। এর বেশি নয়। তবে নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য কুরবানির জন্য এককভাবে কুরবানি দেয়ার বিকল্প নেই।

>> ছাগল, ভেড়া ও দুম্বারে ক্ষেত্রে একাধিক ভাগে কুরবানি দিলে হবে না। তা এককভাবে আদায় করতে হবে।

যে পশুতে কুরবানি নয়

গরু, মহিষ, উট, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা দিয়ে কুরবানি করতে হয়। আর তা দেখতে সুন্দর, সুস্থ ও সুঠাম দেহের অধিকারী হলে আরো উত্তম। তবে যে পশু দিয়ে কুরবানি বৈধ নয়। তাহলো-

– কুরবানির স্থানে হেটে যেতে পারবে না এমন পশু দিয়ে কুরবানি করা বৈধ নয়।

– কোনো পশুর যদি দাঁত না থাকার কারণে খাবার গ্রহণ করতে না পারে তবে তা দ্বারাও কুরবানি বৈধ নয়।

– গোড়া থেকে ভাঙা শিং-এর গরু যদি মস্তিষ্কে আঘাত পায় তবে তা দ্বারাও কুরবানি বৈধ হবে না।

– কুরবানির পশুর কান বা লেজ যদি অর্ধেকের বেশি কাটা থাকে তা দিয়েও কুরবানি বৈধ নয়।

অসিয়তের কুরবানি

কোনো ব্যক্তি যদি তার পক্ষ থেকে কুরবানির অসিয়ত করে আর টাকা পয়সা থাকে তবে তার কুরবানি আদায় করা ওয়াজিব। অসিয়তকারী যদি মৃতব্যক্তিও হয় তবে তার কুরবানি আদায় করাও আবশ্যক। তবে মৃতব্যক্তির অসিয়তের কুরবানির গোশত ওয়ারিশরা খেতে পারবে না। গরিব-অসহায়দের দান করে দিতে হবে।

আর মৃতব্যক্তির অসিয়ত না থাকলে যদি ওয়ারিশ মৃতব্যক্তির নামে কুরবানি দেয় তবে তা নফল কুরবানি হিসেবে পরিগণিত হবে। আর তার গোশত নিজেরাও খেতে পারবে এবং আত্মীয়-স্বজনরাও খেতে পারবে।

অন্য ব্যক্তির কুরবানি

কোনো ব্যক্তির ওপর যদি কুরবানি ওয়াজিব হয়। কিন্তু কুরবানি দেয়ার কোনো অনুমতি না থাকে তবে ওই ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিত অন্য কেউ কুরবানি দিলে তা আদায় হবে না। অবশ্যই সে ব্যক্তির কুরবানি করতে হলে অনুমতি নিতে হবে।

আর যদি কোনো স্বামী বা পিতা তার স্ত্রী কিংবা সন্তানের অনুমতি না নিয়ে তাদের নামে কুরবানি দেয় তবে তা আদায় হয়ে যাবে। তবে অনুমতি নিয়ে কুরবানি আদায় করা উত্তম।

কুরবানির হাড়, গোশত ও চর্বি বিক্রি

যে বা যারা কুরবানি আদায় করবে, তাদের জন্য এ কুরবানির পশুর হাড়, গোশত ও চর্বি ইত্যাদি বিক্রি করা বৈধ নয়। যদি কেউ নিজ কুরবানির গোশত বা চর্বি বিক্রি করে তবে এ অর্থ সাদকা করে দিতে হবে। তবে যদি কোনো টোকাই কিংবা অসহায় ব্যক্তি বাড়ি বাড়ি গিয়ে গোশত, হাড় কিংবা চর্বি সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে ওটা তাদের জন্য বৈধ। কুরবানিদাতার জন্য নয়।

কুরবানির পশুর গোশতে থেকে পারিশ্রমিক

কুরবানির পশু থেকে কোনো গোশত কর্মচারি কিংবা কাজের লোককে তাদের পরিশ্রমিক হিসেবে দেয়া যাবে না। গোশত, হাড় কিংবা চর্বি ও চামড়া কোনো কিছুই পারিশ্রমিক হিসেবে দেয়া যাবে না। তবে এসব লোকদেরকে কুরবানির গোশত খাওয়ানো যাবে।

নির্ধারিত দিনে কুরবানি করতে না পারলে

কোনো ব্যক্তি যদি কোনো কারণে ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো কারণে কুরবানির পশু সংগ্রহ করতে না পারে কিংবা কোনো কারণে পশু থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করতে না পারে তবে সে ব্যক্তি কুরবানির পশু না কিনে সে অর্থ গরিব-অসহায়দের সাদকা করে দেবে।

আর যারা পশু ক্রয় করা সত্ত্বেও কুরবানি করতে পারেনি তারা ওই পশু জীবিত সাদকা করে দেবে।

মুসাফিরের জন্য কুরবানি

যে ব্যক্তি কুরবানির দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব নয়। তবে কুরবানি থেকে বিরত থাকার নিয়তে কুরবানির সময় সফর করা বৈধ নয়।

গরিব-অসহায়দের কুরবানি

গরিব কিংবা অসহায় ব্যক্তির উপর কুরবানি করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানির নিয়তে কোনো পশু ক্রয় করে তবে তা কুরবানি করা ওয়াজিব।

কুরবানির দিন কখন কুরবানির সময়

অবশ্যই ঈদের নামাজের পর কুরবানি আদায় করা। যদি কেউ ঈদের নামাজের আগে কুরবানি করে তবে তার কুরবানি পুনরায় আদায় করতে হবে।

কুরবানির উদ্দেশ্যে কেনা পশু দ্বারা উপকার গ্রহণ

কুরবানির উদ্দেশ্যে ক্রয় করা কোনো পশু থেকে উপকার নেয়া যাবে না। যেমন- দুধগ্রহণ করা, হাল-চাষ করা, পরিবহন হিসেবে ব্যবহার করা কিংবা পষম কাটা ইত্যাদি। যদি কেউ একান্তই উপকার গ্রহণ করে তবে সুবিধা গ্রহণ সমমূল্য সাদকা করে দিতে হবে।

ঋণ করে কুরবানি

কুরবানি ওয়াজিব এমন ব্যক্তিও ঋণ করে কুরবানি দিলে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে সুদের উপর ঋণ নিয়ে কুরবানি করা যাবে না।

কুরবানি আদায়ের ক্ষেত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চলা সবার জন্যই জরুরি। আর তা মেনে চললে কারো কুরবানিই নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ নিয়ম-কানুন মেনে কুরবানি আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

আরএম-১৫/২৫/০৭ (ধর্ম ডেস্ক)

টাইগারদের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার চূড়ান্ত স্কোয়াড

টাইগারদের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেছে লঙ্কান বোর্ড। আর এই স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে নিরোশান ডিকওয়েলা, দানুস্কা গুনাথিলাকা, লক্ষ্মণ সান্দাকান এবং লাহিরু মাদুশাংকাকে।

তামিমদের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি এই চার ক্রিকেটার।

এদিকে ডিকওয়েলা, গুনাথিলাকা, সান্দাকান এবং মাদুশাংকাকে বাদ দেয়া হলেও স্কোয়াডে থাকছেন শিহান জয়সুরিয়া, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, আকিলা ধনঞ্জয়া, আমিলা আপনসো এবং লাহিরু কুমারা। এছাড়াও অবসরের দ্বারপ্রান্তে থাকা লাসিথ মালিঙ্গার পরিবর্তে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলবেন দাশুন শানাকা।

এর আগে, বাংলাদেশের বিপক্ষে ২২ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। এবার প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে ১৮ সদস্যের চূড়ান্ত দল নির্বাচন করেছে তারা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার চূড়ান্ত স্কোয়াডঃ দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), কুশল পেরেরা, আভিস্কা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, লাহিরু থিরিমান্নে, শিহান জয়সুরিয়া, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দাশুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, আকিলা ধনঞ্জয়া, আমিলা আপনসো, লাসিথ মালিঙ্গা, নুয়ান প্রদীপ, কাশুন রাজিথা, লাহিরু কুমারা, থিসারা পেরেরা, ইসুরু উদানা।

এসএইচ-০৩/২৫/১৯ (স্পোর্টস ডেস্ক)

কুকুরের হৃদয়ের টান

কোনো গল্প নয়। একদম সত্য ঘটনা। একই সঙ্গে শিক্ষনীয়ও বটে। যে মালিক তাকে বাড়ি থেকে বের করে দূরে রেখে এসেছিল, সেখান থেকে অন্তত ২০০ কিলোমিটার দৌড়ে ফের নিজের মালিকের কাছেই ফিরে এল পোষ্য কুকুর। অবাক হলেও এটাই কঠিন বাস্তব।

জানা গেছে, এক বছরের বুলম্যাসটিফ প্রজাতির মারুকে যখন মালিকের বাড়ির সামনে পাওয়া গিয়েছে, তখন সে ক্লান্ত ও আহত। আহত হয়েও সে মালিকের অপেক্ষায় বাড়ির কাছের একটি কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। আসলে পশু হলেও তারও হৃদয় আছে।

কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটিয়ে ছিলেন পোষ্যের মালিক?‌ খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাড়িতে কুকুর রাখলে তা থেকে অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই মারুকে রাশিয়ার নভোসিবিরস্কের ট্রেনে তুলে দিয়েছিলেন মালিক।

কিন্তু অচিনস্কের কাছের একটি স্টেশনে ট্রেন থামতেই জানালা দিয়ে তীব্র গতিতে লাফিয়ে বেরিয়ে পড়ে মারু। তারপর রাশিয়ার কান্ট্রিসাইডের ভয়াবহ জঙ্গলের ভেতর দিয়ে রেললাইন ধরে দৌড় শুরু। গন্তব্য মালিকের বাড়ি।

যে ক্যানেলে মারুর জন্ম সেখানেই তাকে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন মালিক। মারুকে ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়ার খবর তাদের কাছেও পৌঁছেছিল। কিন্তু ট্রেন থেকে মারু হারিয়ে যাওয়ার পর তারা ফেসবুকে ছবি দিয়ে খবর চেয়ে পোস্ট করেছিলেন।

মারুকে খোঁজাও শুরু হয়। কিন্তু আড়াই দিন পর সোশ্যাল মিডিয়াতেই ফের জানা যায় মারু তার মালিকের বাড়িতে ফিয়ে গেছে।

ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রুটে মারু যে জঙ্গল পাড়ি দিয়েছিল সেই জঙ্গল ছিল অত্যন্ত বিপজ্জনক। সেখানে ভাল্লুক এবং নেকড়ের ভয় ছিল। কিন্তু নিজের প্রাণের মানুষের কাছে ফিরে গেছে মারু। শুধু মাত্র ভালবাসার টানে। ‌‌এটাই ভালবাসা। হৃদয়ের টান।‌‌

এসএইচ-০২/২৫/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)

যা খেলে ভালো থাকে নারীর শরীর

ফল খান নিয়ম

পিরিয়ডের সময় একজন নারীকে শরীরের প্রতি খুবই যত্নশীল হতে হবে। এ সময় সব ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। আর পিরিয়ডের সময় শারীরিক কষ্ট কমাতে ডায়েটের দিকেও নজর রাখা প্রয়োজন। এই সময় কী ধরনের খাবার খাওয়া হচ্ছে, তার উপর শরীরের ভালো-মন্দ অনেকাংশেই নির্ভর করে।

পিরিয়ড কি?

প্রতি চন্দ্রমাস পরপর হরমোনের প্রভাবে পরিণত মেয়েদের জরায়ু চক্রাকারে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায় এবং রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অংশ যোনিপথে বের হয়ে আসে তাকেই ঋতুচক্র বলে। মাসিক চলাকালীন পেট ব্যথা, পিঠ ব্যথা, বমি বমি ভাব হতে পারে। আর এই মাসিক ঋতুচক্র প্রতি মাসে হয়। এটাই হচ্ছে পিরিয়ড।

পিরিয়ডের সময় পেটেব্যথা, পেশিব্যথা, আয়রনের ঘাটতি, শারীরিক অস্বস্তি, বমিভাবসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে কিছু খাবার রয়েছে যা এ সময়ে খাওয়া জরুরি। সবুজ শাকসবজি, দই, কলা ও চকলেট খা্ওয়া যেতে পারে।

১. পিরিয়ডের সময় সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। এ সময় আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। সবুজ শাকসবজিতে আয়রন। তাই পালংশাক, কচু, কাঁচকলা খেতে পারেন।

২. পিরিয়ডের সময় দই খেলে শরীর ভালো থাকবে। দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম পেশিকে শিথিল করতে সাহায্য করে। দই হজম ভালো করতেও উপকারী।

৩. কলাতে থাকা পটাশিয়াম, বি৬ ও অন্যান্য ভিটামিনও শরীরে শক্তি জোগায়। তাই পিরিয়ডের সময় কলা খান।

৪. এ সময় চকলেট খেতে পারেন। তবে সেটি দুধ চকলেট না হয়ে ডার্ক বা কালো হওয়া ভালো।

৫. স্যামনের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১২, ওমেগা-৩ ও ৬১২ ফ্যাটি এসিড। এসব উপাদান পেশিকে শিথিল রাখতে সাহায্য করে এবং পেশিব্যথা কমায়।তাই স্যামন খেতে পারেন।

৬. পিরিয়ডের সময় কাঠবাদাম, অ্যাভাক্যাডোও খাওয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে।

আরএম-১৪/২৫/০৭ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)