সন্ধ্যা ৭:৫৪
শনিবার
২০ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
৭ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১১ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

‘আদম’ নির্মাতা আবু তাওহীদ হিরণ আর নেই

তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু তাওহীদ হিরণ মারা গেছেন। গেল বছরের ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া ‘আদম’ সিনেমার পরিচালক তিনি।

পরিচালক সমিতির উপ-মহাসচিব অপূর্ব রানা বলেন, আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বাসায় নির্মাতা আবু তাওহীদ হিরণ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তার পরিবার খুলনায় থাকেন। আমরা তার লাশ সেখানে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।

জানা গেছে, ভোরে হিরণ বাসার কেয়ারটেকারকে কল দিয়ে জানান, তিনি শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করছেন। কেয়ারটেকার দ্রুত পৌঁছলেও রুম ভেতর থেকে বন্ধ থাকার কারণে তিনি রুমে ঢুকতে পারেননি। পরে প্রতিবেশীর সহায়তায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে হিরণকে মৃত অবস্থায় পান।

আবু তাওহীদ হিরণ পরিচালিত ‘আদম’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন- ইয়াশ রোহান, ঐশী, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শহিদুজ্জামান সেলিম প্রমুখ। এছাড়া তার পরিচালনায় ‘রং রোড’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শেষ হয়েছে।

এসএ-০২/১৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

বিবাহবার্ষিকীতে রণবীরকে ভিন্নধর্মী শুভেচ্ছা আলিয়ার

দাম্পত্যের ২ বছর পার করলেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট। চলতি বছর পহেলা বৈশাখের দিনে দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করছেন কাপুর দম্পতি। শাশুড়ি নীতু কাপুর থেকে আলিয়ার মা সোনি রাজদান, দুজনেই সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা, আশীর্বাদ করেছেন। তবে এদিন আলিয়া নিজের প্রোফাইল থেকে যে ছবি শেয়ার করলেন, তার পর থেকে অনুরাগীদের শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন তারা।

২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল, এই দিনে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন রণবীর-আলিয়া। আর এই দুই বছর যে তারকাদম্পতির জীবন বেশ রোমাঞ্চকর কেটেছে, তা বলাই বাহুল্য। বিয়ের মাসখানেকের মধ্যেই ফুটফুটে কন্যা সন্তান এসেছে তাদের কোলে। স্বামী-স্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি এখন তারা খুদে রাহার মা-বাবার দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত। অন্যদিকে তারকাদম্পতির ঝুলিতেও একগুচ্ছ কাজ। এককথায়, রণবীর-আলিয়া বর্তমানে বলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’। তাই দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতে যেভাবে স্বামী রণবীরকে ভালোবাসা জানালেন আলিয়া তা নিয়ে এখন ইন্সটাতে চলছে আলোচনা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নামে প্রোফাইল খোলেননি রণবীর কাপুর। তাই যা সুসংবাদ কিংবা শুভেচ্ছা দেওয়া বা সিনেমার প্রচার, সবটাই আলিয়া তার প্রোফাইল থেকেই করেন। এবার দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীতেও রণবীরের সঙ্গে মিষ্টি ছবি শেয়ার করে শুভেচ্ছা জানালেন। লিখলেন, দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীর শুভেচ্ছা মাই লাভ। আজকের মতোই আরও বহু বছর তোমার সঙ্গে কাটব। সেই ছবির সঙ্গে এক বৃদ্ধ দম্পতির অ্যানিম্যাটিক ছবিও জুড়েছেন আলিয়া ভাট।

তারকাদম্পতিকে বিবাহ বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আয়ুষ্মান খুরানা, করণ জোহর, কারিনা ও কারিশমা কাপুরসহ অনেকেই।

এসএ-০১/১৫/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

সালমান খানকে হত্যার চেষ্টা? তদন্তে পুলিশ

সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ির বাইরে রোববার সকালে গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সকাল ৫টায় একটি মোটরসাইকেলে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিস্টার খানের বাড়ির বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং গুলি চালানো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

হিন্দুস্থান টাইমসের খবরে বলা হয়, মুম্বাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং গুলি চালানো ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

গত বছর, ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) থেকে জানানো হয়েছিল, মিস্টার খান ১০টি গ্যাংয়ের লক্ষ্যের তালিকায় শীর্ষে আছেন। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।

১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সালমানের। তারপর থেকেই তিনি চলে আসেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের বিষ নজরে। লরেন্সকে বলতে শোনা গেছে, এর আগেও তারা সালমান খানকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। ভাড়া করেছিলেন শার্প শ্যুটার।

বিষ্ণোইকে বলতে শোনা গেছে, তার বন্ধু, সম্পাত নেহরা, মিস্টার খানের বান্দ্রার বাড়ির দিয়ে নজরদারি চালাচ্ছিল। সালমানকে প্রাণে মারার জন্য যোগ্য পরিস্থিতি তৈরির জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল। হরিয়ানা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের হাতে ধরা পড়ে নেহরা। আপাতত সেও রয়েছে কারাগারে।

২০২২ সালে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন সালমান খান। যেখানে তাকে ও তার বাবা সেলিম খানকে মেরে ফেলার কথা লেখা হয়েছিল। এমনকি, কানাডা-ভিত্তিক পলাতক গ্যাংস্টার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল, সালমান খান রয়েছেন তাদের হত্যা তালিকায়।

প্রসঙ্গত, এই গোল্ডি ব্রারই ২০২২ সালের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পেছনে ছিলেন। গোল্ডি ব্রারের নাম ছিল কানাডার টপ ২৫ মোস্ট-ওয়ান্টেড পলাতকদের তালিকায়।

গোল্ডি সেই সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিল লরেন্সের কথা। বলেছিল, ‘আমরা ওকে মারব, আমরা ওকে মারবই মারব। ভাই সাব (লরেন্স বিষ্ণোই) বলেছিলেন ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাবা তখনই করুণা দেখাবেন যখন তিনি করুণাময় বোধ করবেন। সালমান খান যে বর্তমানে আমাদের টার্গেট এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা সফল হলে তো আপনি জানতেই পারবেন।’

এসএ-০৫/১৪/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

বুবলীর সাক্ষাৎকারে ‘বিরক্ত’ শাকিব খান, অভিমান অপু বিশ্বাসের

ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানকে নিয়ে দুই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর ‘লড়াই’র কথা কারোই অজানা নয়। শাকিবপত্নী হিসেবে দুই নায়িকাই স্বামীর প্রতি এখনো ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। যদিও শাকিব খান বরাবরই অপু-বুবলীকে নিজের জীবনের ‘অতীত’ বলে মন্তব্য করে গেছেন। তবে দুই সন্তানের কারণে এখনো যোগাযোগ হয় শাকিব-অপু ও শাকিব-বুবলীর মাঝে।

সম্প্রতি ঈদের আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বুবলী। যেখানে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, শাকিব খানের সঙ্গে এখনও বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি তার। এক্ষেত্রে দুজনেই সময় নিচ্ছেন।

শুধু তাই নয়, ওই সাক্ষাৎকারে বুবলী আরও বলেছেন- ‘শাকিব খানকে ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে আমার জীবনে ভাবতে পারি না। বুবলীর জীবনে রাজকুমার শাকিব। আমাদের ভবিষ্যত কী হবে সেটা হয়তো ভবিষ্যতই বলে দিবে। কিন্তু তার আগে আমাদের একটা কথা বলার জায়গা আছে। পারিবারিকভাবেও কথা বলার জায়গা আছে। কারণ সন্তানের জন্য হয়তো অনেক কিছুই মানিয়ে নিচ্ছি। তবে আমার একটা অভিমান-কষ্টের জায়গা তো থাকছে।’

বুবলীর এসব মন্তব্য নাকি ভালোভাবে নেননি শাকিব খান। দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। শাকিব খানের ঘনিষ্ঠজনের বরাত দিয়ে সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুবলীর ওই সাক্ষাৎকারের পর শাকিব বলেছেন- ‘এদের কোনো কাজ নেই? আমি তো সবকিছু আগেই পরিষ্কার করে দিয়েছি। তবুও কেনো নতুন করে এসব বিষয় নিয়ে ইস্যু বানায়?’

এদিকে বুবলীর ওই সাক্ষাৎকারের পর নাকি অভিমান করেছেন অপু বিশ্বাস। সম্প্রতি সময়ে শাকিব খান ও তার পরিবারের সঙ্গে এই নায়িকার সম্পর্ক বেশ ভালো। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও এখনও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে শাকিব-অপুর।

তবে বুবলীর সাক্ষাৎকারের পর ঈদের দিন সন্তান আব্রাহামকে সঙ্গে নিয়ে শাকিব খানের বাসায় যেতে চাননি অপু বিশ্বাস। তবে জল বেশি দূর গড়াতে দেননি শাকিব। অপুর শ্বশুর-শাশুড়িও ইতিবাচক ভূমিকা রাখেন। আর তাতেই মন গলে ঢালিউড কুইনের। পরে আব্রাহামকে সঙ্গে নিয়ে ঈদের দিন শ্বশুরবাড়িতে যান তিনি। এ দিন রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত শাকিব খানের বাসায় ছিলেন অপু বিশ্বাস। সবার সঙ্গে কাটিয়েছেন চমৎকার সময়।

ঈদে শ্বশুরকে অপু পাঞ্জাবি কিনে দিয়েছেন, শাশুড়িকে কিনে দিয়েছেন শাড়ি, ননদকে উপহার দিয়েছেন জামা। আর শাকিব খানকে নিজের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে পাঞ্জাবি উপহার দিয়েছেন।

অন্যদিকে রোজার শুরুতেই ছেলে আব্রাম খান জয়কে কেনাকাটার জন্য টাকা দিয়েছেন শাকিব, সেটা দিয়ে ছেলের জন্য কেনাকাটা করেছেন বলেও জানিয়েছেন অপু বিশ্বাস। একইসঙ্গে বাবা শাকিবকে ঈদ উপহার দিয়েছেন ছোট্ট জয়।

এসএ-০৪/১৪/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

টাইমস স্কয়ারের ডিজিটাল বোর্ডে মমতাজ ও জায়েদ খান

বাংলা নতুন বছরের শুরুতেই গানের প্রচারণায় চমক নিয়ে এলো টিএম রেকর্ডস। ঈদে প্রকাশিত ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজের ‘তেজপাতা’ ও পারভেজের গানে জায়েদ খানের পারফর্মেন্সে ‘বিড়ি’ গানটি ইতিমধ্যেই দেশে ও দেশের বাইরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

১৬ বছর পর নির্মাণে ফিরে এবার নতুন ম্যাজিক দেখালেন তাপস। নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে সহস্রকণ্ঠে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মাঝেই হাজারো বাঙালির উপস্থিতিতে গান দুটির প্রোমো প্রচারিত হয় টাইমস স্কয়ারের বিলবোর্ডে।

এসময় উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের মুহূর্মুহু করতালিতে অভিনন্দন জানানো হয়। নিজের গানের সম্মানজনক এমন আন্তর্জাতিক প্রচারণার মুহূর্তে মঞ্চে ছিলেন ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ।

পরবর্তীতে তিনি মঞ্চেও গানটি পরিবেশন করেন। গানের তালে আনন্দে মুখর প্রবাসী বাঙালিরা বর্ষবরণের উৎসবে মেতে ওঠেন।

টাইমস স্কয়ার ডিজিটাল বোর্ডে বাংলা গানের এমন সম্মানজনক প্রচারণার সঙ্গী হয়ে গানবাংলা ও টিএম রেকর্ডসের ফেসবুক পেজে প্রচারিত হয় মমতাজ, পারভেজ ও জায়েদ খানের উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া।

বাংলা গানকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেয়ার অঙ্গিকার নিয়ে যাত্রা শুরু করে টিএম রেকর্ডস। বছরের শুরুতেই আন্তর্জাতিক মানের প্রচারণার মধ্য দিয়ে সে অঙ্গিকার প্রতিধ্বনিত হল নিউইয়র্কের প্রধান কেন্দ্রস্থলে।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মমতাজ বলেন, এটি আমার জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের। ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না হাজারো দেশি বিদেশি মানুষের সামনে বাংলা গানের এমন অভূতপূর্ব প্রচারণা।

এ প্রসঙ্গে টিএম নেটওয়ার্ক এর মুখপাত্র রুদ্র হক বলেন, টাইমস স্কয়ারে এমন সময় টিএম রেকর্ডসের গান দুটি প্রচারিত হল যখন হাজারো বাঙালি সহস্র কণ্ঠে বর্ষবরণ করছে। এটি একটি বিরল গৌরবময় মুহূর্ত। কেননা এত বাঙালির উপস্থিতিতে এত বৃহৎ পরিসরে টাইমস স্কয়ারে ইতিপূর্বে কখনো বাংলাদেশি কন্টেন্ট প্রচারিত হয়নি।

টিএম রেকর্ডসের কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস গান দু’টির কথা সুর, সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি মিউজিক ভিডিও দুটি নির্মাণ করেন।

কিংবদন্তি শিল্পী আযম খান , আইয়ুব বাচ্চু, জেমস, হাসানসহ অসং্খ্য জনপ্রিয় শিল্পীর সেরা মিউজিক ভিডিওগুলোর নির্মাতা তাপস ১৬ বছর পর নির্মাণে ফিরলেন।

ইতিমধ্যেই পারভেজ সাজ্জাদের কণ্ঠে জায়েদ খানের ‘বিড়ি’ গানটি সোস্যাল হ্যান্ডেলে ভাইরাল হয়ে গেছে। মমতাজের ‘তেজপাতা’ গানটি ফিরছে সকলের মুখেমুখে।

এসএ-০৩/১৪/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

লোকে বলে আমাকে নাকি ঠিক ‘মুসলমান’ মনে হয় না : মীর

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা মীর আফসার আলী। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘মীরাক্কেল’-এর মীর নামেই পরিচিত যিনি।

অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার না হলেও সঞ্চালনা, উপস্থাপনা ও রেডিও জকি হিসেবেও নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন এই তারকা। দুই বাংলাতেই মীরের রয়েছে সমান ভক্তসংখ্যা।

সম্প্রতি ঈদে আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়েছিলেন মীর। যেখানে কথা বলেছেন ব্যক্তিজীবনের বিভিন্ন প্রসঙ্গে। সাক্ষাৎকারের শুরুতেই মীর জানান, লোকে নাকি বলে তাকে ঠিক ‘মুসলমান’ মনে হয় না।

এই অভিনেতার কথায়, ‘ধর্ম মানেই মন্দিরে গিয়েই পুজা করতে হবে বা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে হবে, এমনটা আমি মানি না। আমি প্রকৃতির মাঝে গিয়েও মানসিকভাবে অন্য জায়গায় পৌঁছে যেতে পারি। মসজিদে গিয়ে ইমাম সাহেবের পিছনে বসে যখন নমাজ পড়ি, সেই সময় মুখে কোরআন থেকে কী বলছি, তার চেয়ে বেশি জরুরি মনে হয় এত ভাইয়েরা একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিজদাহ করছেন। এই দৃশ্যটাই আমার খুব ভালো লাগে।’

মীর বলেন, অনেকে বলেন, আমাকে নাকি ঠিক ‘মুসলমান-মুসলমান’ মনে হয় না। অভিনেতার মুখে এটা শুনে আনন্দবাজারের প্রশ্ন ছিল, সেটা আবার কী?

জবাবে মীর আফসার আলী বলেন, ‘সে রকম ভাবে আমি নামাজ পড়ি না। নিয়মিত মসজিদে যাই না। আমার মনে আছে একটা ঘটনা। আমাদের বাড়িতে ডোকরার দুর্গাপ্রতিমা আছে, সেটা কোনো কারণে ভিডিওর মাধ্যমে অনুরাগীদের নজরে পড়ে যায়। ব্যস, ট্রোলিং-সমালোচনা শুরু। মুসলমানের বাড়িতে দুর্গাপ্রতিমা কেন থাকবে? সেই প্রশ্ন ছুঁড়তে শুরু করেন সকলে।’

মীর এসবকে খুব একটা পাত্তা দেন না। তিনি বলেন, ‘মানুষ সব ক্ষেত্রেই কথা বলবে। এড়িয়ে যাওয়ার মধ্যেই শান্তি। এসব দেখা এখন ছেড়ে দিয়েছি।’

আর কী ছাড়লেন? জবাবে মীর বলেন, ‘রেডিওতে পরিবর্তন। কোথাও মনে হচ্ছিল, একই পঞ্জাবি গান ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বাজছে। বাংলা গান বাজবে না। ভিডিও আর রিল করতে করতেও আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম। বিষয়টা এমন নয় যে, আমি নতুন কিছুকে গ্রহণ করতে চাই না। আমি সারাক্ষণ নতুন কিছুকেই গ্রহণ করে চলেছি। বাড়িতে একুশ বছরের মেয়ে আছে। সে বলে দেয়, কী করব, কী করব না। কিন্তু ভাবনার দিক থেকেই সমস্যা। যারা গানবাজনা করেন তারা বলেন, রেডিও গান বাজাতে চাইছে না। আর যারা রেডিওর দেখভালের দায়িত্বে, তারা বলেন- তেমন গানই তৈরি হচ্ছে না। এসবের মধ্যে আমার নিজস্ব মান-অভিমান তৈরি হল। খারাপ লাগল। ছেড়ে দিলাম।’

এসএ-০২/১৪/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

দীর্ঘদিনের লিভ-ইনের পর বয়সে ছোট প্রেমিককে বিয়ে করছেন রূপাঞ্জনা

দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কের পর চলতি মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। আগামী ১৯ তারিখ প্রেমিক রাতুল মুখোপাধ্যায়ের গলায় মালা দেবেন তিনি।

গত বছরই পাহাড়ে গিয়ে ছেলেকে সাক্ষী রেখে রাতুলের সঙ্গে আংটি বদল করেন রূপাঞ্জনা। এরপরই তাদের বিয়ে নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। সম্প্রতি অভিনেত্রী জানালেন চলতি মাসের ১৯ তারিখে রাতুলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন।

গত ৬ বছর ধরে রূপাঞ্জনা রাতুলের সঙ্গে লিভ-ইন সম্পর্কে রয়েছেন। তাদের প্রেম নিয়ে টলিপাড়ায় কম চর্চা নেই। এমনিতেই রূপাঞ্জনার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ভিন ধর্মে। তবে সেই সংসার টেকেনি। ছেলে রিয়ানকে নিয়ে আলাদা হয়ে যান অভিনেত্রী। এরপরই রাতুলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান।

তবে বয়সে ছোট রাতুলের সঙ্গে প্রেম নিয়ে কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি রূপাঞ্জনাকে। রাতুল রূপাঞ্জনার চেয়ে ৬ বছরের ছোট। কিন্তু বয়সের ফারাক তাদের সম্পর্কের মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কখনও।

ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে-করতেই আলাপ রূপাঞ্জনা-রাতুলের। সিরিয়ালে অভিনয় করতেন রাতুল। রূপাঞ্জনার সঙ্গে সেখান থেকেই আলাপ, বন্ধুত্ব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা গড়ায় প্রেমে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই বিয়ের পিঁড়িতেও বসবেন দুজন।

বর্তমানে রাতুল পুরোদস্তুর পরিচালনাতে মন দিয়েছেন। ‘পালক’, ‘ইকিরমিকির’-এর মতো সিনেমা পরিচালনা করেছেন তিনি। রূপাঞ্জনা-পুত্র রিয়ানের সঙ্গেও রাতুলের খুব ভাল সম্পর্ক।

তিনজনে ৬ বছর ধরে একসঙ্গেই বসবাস করছেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিরিকের ডন বস্কো চার্চে আংটি বদলটা সেরেছিলেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। চলতি মাসেই বসবেন বিয়ের পিঁড়িতে।

রাজারহাটে একটি হোটেল ভাড়া করে সেখানেই হবে গ্র্যান্ড ওয়েডিং। সামাজিক প্রথা মেনেই বিয়ে করবেন এই জুটি। এরই মাঝে প্রথম আইবুড়ো ভাত সম্পন্ন করেছেন অভিনেত্রী। এখন শুধু কয়েকটা দিনের অপেক্ষা।

এসএ-০১/১৪/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

প্রেমের সম্পর্কে ভালো থাকতে কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি

প্রেমে পড়া কয়েক মুহূর্তের বিষয়। কিন্তু সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা সবচেয়ে কঠিন। নিয়ম করে ফোনে কথা বললে আর সঙ্গীকে উপহারে ভরিয়ে দিলেই সম্পর্ক মজবুত করা যায় না। প্রেম এমন এক অনুভূতি, যা আবেগের সংমিশ্রণে তৈরি হয়। সম্পর্কের স্থায়িত্ব শুধু ভালোবাসার ওপর নির্ভর করে না। ভালবাসা ছাড়াও সম্পর্ক মজবুত করতে প্রয়োজন আরো বেশ কিছু বিষয়।

১. সম্পর্ক ভালো রাখতে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস রাখাটা প্রয়োজন। সম্পর্কে ওঠা-নামা থাকবেই। তবে বিশ্বাসের ভিত যদি দৃঢ় হয় তা হলে সম্পর্ক হবে অমলিনঅ

২. যেকোনো সম্পর্কে পরস্পরের প্রতি সম্মান থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। একে অপরের পছন্দ, ভালোললাগা আলাদা হতে পারে। অস্বাভাবিক কিছু নয়। পরস্পরের পছন্দ, অপছন্দ, উপলব্ধিগুলো এড়িয়ে না গিয়ে বরং কখনও কখনও সেগুলোরও স্বাদ নিন। একসঙ্গে দু’জনের পছন্দগুলো ভাগাভাগি করে নিন।

৩. যেকোনো সম্পর্কে বন্ধুত্ব থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। এটি সুস্থ সম্পর্কের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। দু’জনের ভালো লাগা, মন্দ লাগা, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, উদ্বেগ, আনন্দ, চিন্তা— সব কিছুই একে অপরের কাছে মন খুলে প্রকাশ করুন। সম্পর্কে কোনোও জড়তা রাখবেন না। সম্পর্ক সহজ করে তুলতে কোনোও কিছু চেপে না রেখে মন খুলে বলে দিন। এমনকি, সঙ্গীর কোনো আচরণেও যদি খারাপ লাগে তা-ও জানিয়ে দিন। রাগ পুষে রাখলে শুধু জটিলতাই বাড়বে। কিছু লাভ হবে না।

৪. প্রেমে পড়লে যে কেউ একটি নিশ্চিন্ত আশ্রয় খোঁজেন। চান একটি ভরসার কাঁধ। আপনি আপনার সঙ্গীর সেই ভরসার জায়গা হয়ে উঠুন। একে অপরের খারাপ সময়ে মানসিক জোর দিন।

এসএ-১০/১৩/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

ইরান-ইসরায়েল কার সামরিক শক্তি কেমন

অবৈধ দখলদার ইসরায়েলে সরাসরি হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এরপরই এই হামলার জবাব দিতে পরিকল্পনা সাজায় তেহরান। তবে ইসরায়েল হুমকি দিয়েছে, যদি তাদের ওপর ইরান কোনো ধরনের হামলা চালায় তাহলে তারাও ইরানে পাল্টা হামলা চালাবে।

ইরান ও ইসরায়েলের এমন পাল্টাপাল্টি হুমকিতে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের যুদ্ধ লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কারণ ইরান যেমন সামরিকভাবে শক্তিশালী। ঠিক একইভাবে ইসরায়েলও এক্ষেত্রে বেশি শক্তিশালী।

সামরিক দিক দিয়ে ইসরায়েল কতটা শক্তিশালী

প্রতিরক্ষা তথ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইন্ডেক্স’ গত বছর তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বিশ্বের শক্তিশালী ২০টি দেশের অন্যতম একটি।

ওই সময় তারা জানিয়েছিল, ইসরায়েলের ২৪১টি যুদ্ধবিমান, ৪৮টি অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং ২ হাজার ২০০ ট্যাংক রয়েছে।

যুদ্ধবিমানের মধ্যে রয়েছে এফ-৩৫। যেটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক রণ বিমান।

এছাড়া ইসরায়েলের রয়েছে ১ হাজার ২০০টি কামান ইউনিট। যার মধ্যে রয়েছে ৩০০টি এমএলআরএস।

দখলদার ইসরায়েলের কাছে আরও রয়েছে সাতটি যুদ্ধজাহাজ এবং ছয়টি অ্যাটাক সাবমেরিন। এরমধ্যে রয়েছে আইএনএস ড্রাকন নামের একটি সাবমেরিন। যেটি দিয়ে পারমাণবিক হামলা চালানো যাবে।

ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় যে সামরিক শক্তি, সেটি হলো আয়রন ডোম। এটি একটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আয়রন ডোমে ১০টি ব্যাটারি থাকে। যেগুলোর প্রত্যেকটিতে থাকতে চারটি লঞ্চার। একটি ব্যাটারি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থাপন করা যায়। আর এমন একটি ব্যাটারি দিয়ে অন্তত ৬০ কিলোমিটার অঞ্চল রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য বস্তু আটকে দিতে সক্ষম।

ইরানের সামরিক শক্তি কেমন

বিশ্বের অন্যতম সামরিক শক্তিধর হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইরানকে। দেশটি বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরির ক্ষেত্রে অন্য যে কোনো দেশের এগিয়ে আছে। ইরান মূলত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের দিকেই সবচেয়ে বেশি মনযোগ দিয়েছে।

এছাড়া ইরানের রয়েছে স্পিডবোডের বিশাল বহর এবং ছোট ছোট সাবমেরিন। এসব স্পিডবোড এবং সাবমেরিন ব্যবহার করে তারা পারস্য উপসাগর এবং হরমুজ প্রণালীতে জাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমনকি বিশালাকৃতির জাহাজ জব্দ করতে পারে।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর চেয়ে ইরানের কাছে সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ক্রুজ ও জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের কাছে যেসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সেগুলো ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

সাম্প্রতিক সময়ে ইরান সবচেয়ে বেশি শক্তি সঞ্চার করছে ড্রোনের দিক দিয়ে। তাদের কাছে এমনও ড্রোন আছে যেগুলো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। আর এসব ড্রোনের বিশেষত্ব হলো এগুলো খুবই নিচ দিয়ে উড়তে পারে। ফলে এসব ড্রোন রাডারে ধরা পড়ে না।

ইরান তাদের ড্রোনগুলো মাটির নিচে অথবা পাহাড়ের ভেতর সুড়ঙ্গ তৈরি করে সংরক্ষিত করে রাখে। এছাড়া এসব ড্রোন ঘাঁটির কাছে থাকে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরান নিজেদের প্রযুক্তিতে এসব ড্রোন তৈরি করে। এমনকি গত কয়েক বছর ধরে তারা রাশিয়া এবং সুদানের কাছে এসব ড্রোন বিক্রিও করেছে।

ইরানের যুদ্ধবিমানগুলো বেশ পুরোনো। ইসলামিক বিপ্লবের আগে শাহ শাসনের সময় এসব বিমান কেনা হয়েছিল। তবে ইরানের আকাশ শক্তি খুবই কম। তাদের কাছে বর্তমানে যেসব যুদ্ধবিমান রয়েছে সেগুলোর বেশিরভাগই সাবেক শাসক শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলেভির আমলের। অর্থাৎ এসব বিমান কেনা হয়েছিল ১৯৪১ থেকে ১৯৭৯ সালের মধ্যে। তবে ইসলামিক বিপ্লবের পর ১৯৯০ সালের দিকে ইরান রাশিয়ার কাছ থেকে কিছু যুদ্ধবিমান কিনেছিল বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

এছাড়া ইরানের ট্যাংক এবং সাঁজোয়া যানগুলোও বেশ পুরোনো। ইরানের নৌবাহিনীর কাছে বর্তমানে দুটি বড় যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এসএ-০৯/১৩/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

১২ মিনিটে ইসরায়েলে পৌঁছাতে সক্ষম ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র

সামরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ইরান বিভিন্ন ধরনের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরি করেছে। তাদের এই কার্যক্রম পশ্চিমা দেশগুলোকে সবসময় আতঙ্কিত করেছে।

দখলদার ইসরায়েলের ওপর এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। গতকাল শুক্রবার সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে এ তথ্য জানান যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা। মূলত সিরিয়ায় অবস্থিত কনস্যুলেটে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার বদলা নিতে দখলদার ইসরায়েলের ওপর সরাসরি হামলার ছক কষছে তেহরান।

ইরান যদি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তাহলে কী হবে না হবে তা নিয়ে ইসরায়েলে জল্পনা-কল্পনা চলছে।

এর মধ্যে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ইরানের কাছে যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে সেটি ইরান থেকে ইসরায়েলে পৌঁছাতে মাত্র ১২ মিনিট সময় লাগবে। আর তাদের ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর সেটি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে দুই ঘণ্টার মধ্যে। ইরানের কাছে যেসব ড্রোন রয়েছে সেগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৯ ঘণ্টা।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের সূত্রমতে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের কাছেই সবচেয়ে বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজকে জানিয়েছেন, ইরান ১০০ ড্রোন এবং কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারা সতর্কতা দিয়ে বলেছেন, যদি ইরান এই আকারে হামলা চালায় তাহলে এটি ঠেকানো ইসরায়েলের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

ইরানের কাছে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে কোনগুলো ইসরায়েলে পৌঁছাতে পারবে, গত সপ্তাহে সেটির একটি গ্রাফিক্স তৈরি করেছে ইরানি বার্তাসংস্থা ইসনা। এতে তারা বলেছে, ইরানের ৯টি ড্রোন সরাসরি ইসরায়েলে আঘাত হানতে পারবে।

যার মধ্যে রয়েছে ‘সেজিল’ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র। যেটি ঘণ্টায় ১৭ হাজার কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারে এবং এটি ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভূলভাবে আঘাত হানতে পারবে।

আরেকটি হলো ‘খেইবার’ ড্রোন। এটি ২ হাজার কিলোমিটার দূর পর্যন্ত যেতে পারে। অপর আরেকটি ড্রোন হলো ‘হাজ কাশেম’। এই ড্রোন ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরের বস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

গত বছরের আগস্টে ইরান জানিয়েছিল, তারা ‘মোহাজের-১০’ নামের একটি ড্রোন তৈরি করেছে। যেটি ২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এবং একটানা ২৪ ঘণ্টা আকাশে উড়তে সক্ষম। এই ড্রোনটি শুধুমাত্র এত দূর যেতে পারে শুধ তাই নয়; ড্রোনটি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারবে ৩০০ কেজি বিস্ফোরক।

গত বছরের জুনে নিজ প্রযুক্তিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কথাও জানিয়েছিল ইরান। একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের চেয়ে পাঁচগুণ দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা আর্মস কন্ট্রোল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ইরানের স্বল্পপাল্লার এবং মাঝারিপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে— শাহাব-১, যেটির আনুমানিক দূরত্ব ৩০০ কিলোমিটার। জোলফাঘর- ৭০০ কিমি, শাহাব-৩, ৮০০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার এবং এমাদ-১, যেটি ২ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে।

সূত্র: ইরনা, টাইমস অব ইসরায়েল

এসএ-০৮/১৩/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)