রাত ৩:৩৭
শুক্রবার
২৬ শে এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি
১২ ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
spot_img

ছেলেকে পাশে নিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে অভিনেত্রী

দীর্ঘদিনের লিভ-ইন সম্পর্কের পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন টলিউড অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গোধূলি লগ্নে পরিচালক প্রেমিক রাতুল মুখার্জির সাতপাকে বাঁধা পড়েন তিনি।

অভিনেত্রীর বিয়েতে হাজির ছিলেন তার একমাত্র ছেলে রিয়ান। ছেলেকে পাশে রেখেই সাতপাক, শুভদৃষ্টি, সিঁদুর দান সবই সম্পন্ন করেন রূপাঞ্জনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিয়ের সেই ছবিও প্রকাশ করেছেন তিনি।

২০০৭ সালে রিজাউল হককে বিয়ে করেন রূপাঞ্জনা মিত্র। দু’জনের ঘর আলো করে জন্ম নেয় পুত্র রিয়ান। তবে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি সেই সম্পর্ক। ২০১৮ সালে ডিভোর্সের পথে হাঁটেন টালিগঞ্জের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।

এরপরই রাতুল মুখার্জির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান রূপাঞ্জনা। প্রায় ৬ বছরের লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন এই জুটি। ছেলে রিয়ানও মায়ের কাছেই বেড়ে উঠেছেন। রাতুলের সঙ্গেও তার বেশ ভালো সম্পর্ক।

বয়সে অভিনেত্রীর চেয়ে ছয় বছরের ছোট রাতুল। যে কারণে এই পরিচালকের সঙ্গে প্রেম নিয়ে কম কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়নি রূপাঞ্জনাকে। কিন্তু বয়সের ফারাক তাদের সম্পর্কের মাঝখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি কখনও।

এক সাক্ষাৎকারে রূপাঞ্জনা মিত্র বলেছিলেন— ‘আমি মিষ্টি একটি সম্পর্কে রয়েছি। এই সম্পর্ক আমার কাছে খুবই বিশেষ। রাতুল এবং আমার বয়সের ফারাক রয়েছে ঠিকই। তবে বয়স অনুপাতে ও অনেক ম্যাচিওর। এই সম্পর্ক পূর্ণতা পাক সেটা আমি চাই। বিয়ে করতেও আমার আপত্তি নেই।’

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মিরিকের ডন বস্কো চার্চে আংটি বদলটা সেরেছিলেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। চলতি মাসেই সেরে নিলেন বিয়ে। বিয়েতে লাল রঙের পাঞ্জাবী গায়ে মায়ের পাশে ছিলেন রিয়ান। বেশ হাসিখুশিই দেখা মিলেছে তাদেরকে।

‘পালক’ সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনায় হাতেখড়ি হয় রাতুল মুখার্জির। এ সিনেমায় শাশ্বত চ্যাটার্জি ও রূপাঞ্জনা মিত্র প্রধান চরিত্রে দেখা যায়। ‘বাঘ বন্দি খেলা’ শিরোনামের টিভি সিরিয়ালে যুক্ত ছিলেন রাতুল।

এসএ-০৪/২০/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে খোলামেলা রূপে হাজির নুসরাত!

রাজনীতি থেকে বেশ খানিকটা দূরত্বই বজায় রাখছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট পাননি তিনি। এরপরই যেন রাজনীতি থেকে দূরে সরে গেলেন এই তারকা।

যদিও নির্বাচনে টিকিট না পাওয়ায় এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি অভিনেত্রী। এমনকি তৃণমূলের হয়ে কোনও প্রচারেও নামেননি তিনি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নুসরাতের অবতার দেখে রীতিমতো ঘুম হারাম হলো ভক্তদের।

সমুদ্রের পাশে বিচের ধারে নীল বিকিনিতে হাজির হলেন অভিনেত্রী। সেই ছবিই প্রকাশ করলেন ইনস্টাগ্রামে। যা দেখেই হৈ হৈ রব নেটিজেনদের। কারণ কাগজে কলমে এখনও বসিরহাটের সাংসদ নুসরাত। আর সাংসদের বোল্ড অবতার দেখেই যেন বাক্যহারা নেটিজেনরা।

জানা গেছে, স্বামী যশকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন নুসরাত। নির্বাচনের টিকিট না পেলেও যেন খোশমেজাজেই রয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও নুসরাতর তৃণমূলের প্রার্থী না হতে পারা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।

কেন নুসরতকে প্রার্থী করা হল না এবারে? সন্দেশখালিতে ইডি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলার পর থেকে সামনে আসে এলাকার বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের নাম। শোনা যায়, এই শাহজাহানের বাহুবলেই ভোটে জিতে এসেছিলেন নুসরাত। অভিনেত্রীকে ভোটে জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। ভোটের সময় নাকি এলাকা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকতো এই শাহজাহানের উপরেই।

শাহজাহানকে কেন্দ্র করে সন্দেশখালি যখন উত্তাল তখন একবারের জন্যও সেখানে যাননি নুসরাত জাহান। এমনকি কেন জাননি, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও সন্তোষজনক উত্তর দিতে দেখা যায়নি তাকে। যেসব কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।

যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, ‘নুসরাত জাহানের সন্দেশখালির মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত ছিল। একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার যাওয়া দরকার ছিল।’

সে কারণেই কি তৃণমূল ‘রিস্ক’ নিলেন না এবার? বাদ পড়লেন নুসরত? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা তেমনটাই। নুসরাতের বদলে এবার বসিরহাটের প্রার্থী হচ্ছেন ‘ঘরের ছেলে’ নুরুল ইসলাম।

এসএ-০৩/২০/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

‘জীবনে অনেক ভুল করেছি’—হঠাৎ কী হলো পরিণীতির?

বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কিছু কথা বলেছেন যা শুনে রীতিমতো চমকে উঠেছেন তার অনুরাগীরা। এতে তিনি বলেন, ‘জীবনে অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। লোকের প্রচুর ভুল কথাও শুনেছি!’

রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই নিজেকে যেন একটু বেশি গুটিয়ে ফেলেছেন পরিণীতি। ব্যক্তিগত জীবনকে রেখেছেন আড়ালেই। এমনকি, কয়েকদিন আগেই রটে যায় পরিণীতি নাকি অন্তঃসত্ত্বা। তবে সেই গুঞ্জনকে নিজেই উড়িয়েছেন।

সাক্ষাৎকারে পরিণীতি বলেন, ক্যারিয়ারের শুরুতেই আমি অনেক ভুল করেছি। প্রচুর ভুল পরামর্শ মেনে চলেছি। আসলে, তখন ঠিক বুঝতাম না। লোকে বলত, ওই অভিনেত্রী ওরকমটা করেছে, তোমাকেও সেরকমটা করতে হবে। আর আমিও সেটা মেনে নিতাম। তবে এখন বুঝতে পারি। তাই প্রযোজক ও পরিচালকদের বলতে চাই, এখন আমাকে কাস্ট করুন, আমার বর্তমানটা দেখে, অতীত দেখে নয়।

২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর গোধূলি লগ্নে পাঞ্জাবি রীতি রেওয়াজ মেনে উদয়পুরে রাজকীয় বিয়ে সেরেছেন পরিণীতি ও রাঘব চাড্ডা। ‘আম আদমি’ সাংসদের সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রীর হাই প্রোফাইল বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে ভারতজুড়ে চর্চা চলেছিল।

এদিকে ওটিটিতে মুক্তি পাওয়া ‘চমকিলা’য় অভিনয় করে ফের খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া। চিত্রসমালোচক থেকে শুরু করে দর্শক সবাই পরিণীতির অভিনয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

এসএ-০২/২০/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

লিভ-ইন থাকাকালীন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, লারা দত্তের রঙিন জীবন

উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের মেয়ে লারা দত্ত। ২০০০ সালের শুরুতেই মিস ইউনিভার্স খেতাব জিতে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন যিনি। নিজের মুকুটে এই পালক যুক্ত হওয়ার পরে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কাজ করেছেন শাহরুখ, সালমান খানের মতো বড় বড় তারকাদের সঙ্গে।

২০০৩ সালে ‘আন্দাজ’ ছবি দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় লারার। বলিউডের পাশাপাশি একাধিক আঞ্চলিক সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। পাশাপাশি খেলাধুলাতেও দক্ষ ছিলেন লারা। জাতীয় স্তরে বাস্কেট বলে অংশগ্রহণ করেছিলেন অভিনেত্রী।

এইসবই তো গেল লারার প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের গল্প। ব্যক্তিজীবনেও নানা কারণে আলোচিত ছিলেন এই অভিনেত্রী। ক্যারিয়ার শুরুতেই সম্পর্কের কারণে একাধিকবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন লারা।

দীর্ঘ ৯ বছর ভূটানিজ মডেল কেলি দোরজির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী। বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর সময় থেকেই লিভ-ইনে ছিলেন লারা। আর সেই লিভ-ইন সম্পর্ক থাকাকালীনই অপর একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

যেটা তার প্রেমিক জেনে ফেলার পরই বিচ্ছেদ ঘটে দুজনের মাঝে। এরপর ২০০৮ সালে বলিউড অভিনেতা দিনো মোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান লারা। সেই প্রেমও বেশিদিন টেকেনি। ২০০৯ সালেই আলাদা হয়ে যান এই জুটি।

দু’বার ব্যর্থ প্রেমের পর গলফ খেলোয়াড় টাইগার উডসের সঙ্গেও লারার নাম জড়িয়ে পরে। যে সম্পর্ক নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। এরপর টেনিস খেলোয়াড় মহেশ ভূপতির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান লারা৷ যিনি ছিলেন বিবাহিত।

বিবাহ বহির্ভূত সেই সম্পর্কে জড়িয়ে তার গলাতেই মালা দেন অভিনেত্রী। সে সময় এক সাক্ষাৎকারে মহেশের স্ত্রী মডেল শ্বেতা দাবি করেন, বিবাহবিচ্ছেদের আগেই লারাকে বিয়ে করেন শ্বেতা৷

যদিও সেই দাবিতে লারার বিয়েতে কোনো বাঁধা হয়নি। বরং মহেশ ভূপতির সঙ্গেই বর্তমানে সংসার করছেন এই নায়িকা। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।

এসএ-০১/২০/২৪(বিনোদন ডেস্ক)

মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী

মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে এবং ১৫০ জন বাংলাদেশি ফিরবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ২৮৫ জন সদস্যকে মিয়ানমারের জাহাজে নৌপথে ফেরত যাওয়ার ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিল জাহাজযোগে তাদের ফেরত নিতে সম্মত মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৫০ জন বাংলাদেশিও একই জাহাজে ফেরত আসবে। তবে জাহাজের যাত্রা সমুদ্র ও মিয়ানমারের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।

গ্রিসে অনুষ্ঠিত নবম আওয়ার ওশান কনফারেন্সে যোগদান শেষে দেশে ফিরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ গ্রন্থিত ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এ কথা জানান। এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পিআইবির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

তিনি বলেন, মৃত্যুঞ্জয়ী শেখ হাসিনা সব প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বারবার মৃত্যু উপত্যকা থেকে ফিরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিচলিত হননি, জনগণের সংগ্রামের কাফেলাকে এগিয়ে নিয়েছেন, দেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদা ও সম্মানের আসনে আসীন করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব বর্তমান বিশ্বে বিরল। তিনি শুধু দেশেরই নন, তিনি আজ বিশ্বনেতা। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু তারই নন, তার সন্তানদেরও প্রেরণা। ভারতের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে ধরে তাকে নিজের প্রেরণা বলে উল্লেখ করেছেন। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আরব বিশ্বে একজন শেখ হাসিনা থাকলে হয়তো গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করা যেতো।

হাছান বলেন, শুধু তাই নয়, যে কোনো বিশ্বসভায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা যোগ দিলে তিনিই মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘ভুবনজোড়া শেখ হাসিনার আসনখানি’ প্রবন্ধ সংকলন প্রণয়নের জন্য গ্রন্থকার জাফর ওয়াজেদকে ধন্যবাদ জানান।

বিএনপি আবার বিদেশি দূতাবাসে ধর্না দিচ্ছে -এমন প্রশ্নের উত্তরে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যে কোনো কিছুতেই বিদেশিদের কাছে ধর্না দেওয়া বিএনপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দুর্বলতা। বাংলাদেশে ক্ষমতার উৎস জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গেলে বিদেশিরা তো বিএনপিকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না। আর আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী। জনগণই ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। ফলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য সার্কাসের মতো মনে হয়।’

 
এআর-০৩/১৯/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

রাজশাহীতে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল আরোহী ৩ তরুণের

রাজশাহীর পবায় বালুবাহী ডাম্প ট্রাকের চাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কে দামকুড়া থানার মুরারিপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-পবা উপজেলার নতুন কসবা গ্রামের লাল মোহাম্মদের ছেলে আসিফ ইকবাল (১৯), একই উপজেলার সুত্রাবন এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে মো. সুইট (৩১) ও লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ি গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫)। তাজুল একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে রাজশাহীতে থাকতেন।

দুর্ঘটনায় আহত দুজন হলেন-পবার আলীমগঞ্জ গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে জুলহাস উদ্দিন (৩২) ও নতুন কসবা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে রিমন হোসেন (৩৫)।

দামকুড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর জানান, দুটি মোটরসাইকেলে এই পাঁচজন আরোহী ছিলেন। মুরারিপুর এলাকায় বালুবাহী একটি ডাম্প ট্রাক দুটি মোটরসাইকেলকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দুজন। অন্য তিনজনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরও একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুজন চিকিৎসাধীন। আহত দুজনের মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। অপরজন সামান্য আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মোটরসাইকের দুটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া ট্রাকটিকে শনাক্ত করার কাজ চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এআর-০২/১৯/০৪ (নিজস্ব প্রতিবেদক)

দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

দেশের ওপর বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহের তীব্রতা বাড়তে পারে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। এমন অবস্থায় দেশে তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক সতর্কবার্তায় জানিয়েছেন, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

অন্য এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শনিবার সকাল থেকে রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থয়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

রোববার সকাল থেকে সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আর বর্ধিত পাঁচ দিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও জানানো হয়েছে।

এআর-০১/১৯/০৪ (জাতীয় ডেস্ক)

লেবুপানি খাবেন যে কারণে

ডিটক্সিফিকেশন, হাইড্রেশন এবং ইমিউন-বুস্টিং বৈশিষ্ট্য সহ অগণিত স্বাস্থ্য সুবিধার জন্য বিখ্যাত লেবুপানি দীর্ঘকাল ধরে সামগ্রিক সুস্থতায় অবদান রেখে আসছে। লেবুপানির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি হলো শরীরকে হাইড্রেট এবং পরিষ্কার করার ক্ষমতা। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ লেবুর রস শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বক পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর হয়। পানীয়টির হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্যের জন্য গায়ের রং আরও উজ্জ্বল, কোমল এবং পুনরুজ্জীবিত হয়।

ত্বক উজ্জ্বল করে

লেবুপানিতে থাকা ভিটামিন সি প্রাকৃতিক ত্বক উজ্জ্বলকারী এবং বর্ণ বর্ধক হিসাবে কাজ করে। এই সাইট্রাস-মিশ্রিত পানীয় নিয়মিত খেলে ত্বকের কালো দাগ এবং পিগমেন্টেশন ধীরে ধীরে কমে যাবে। লেবুর রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‌্যাডিকেল ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ দেখায়। লেবুপানির প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্য ত্বক মসৃণ করে। যে কারণে ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত এবং পুনরুজ্জীবিত দেখায়।

ব্রণ এবং দাগ দূর করে

লেবুপানি খেলে ত্বকের যেসব পরিবর্তন হয় তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ব্রণ এবং দাগ কমানো। লেবুর রসে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যাস্ট্রিনজেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই এবং অতিরিক্ত তেল উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন লেবুপািপিান করলে ত্বকের স্বচ্ছতা এবং উল্লেখযোগ্য উন্নতি নিজেই লক্ষ্য করবেন।

ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখে

ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা ছাড়াও লেবুপানি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-এজিং হিসেবে কাজ করে। যা বলিরেখা এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। লেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে, ত্বকে দৃঢ়তা এবং স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। নিয়মিত লেবুপানি খেলে ত্বক দৃঢ়, মসৃণ এবং তারুণ্যদীপ্ত দেখায়। লেবুর রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দূষণের ক্ষতির বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়, যা ত্বকের তারুণ্যকে দীর্ঘকাল ধরে রাখতে সাহায্য করে।

এসএ-১১/১৯/২৪(লাইফস্টাইল ডেস্ক)

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পথে আইসিসি, জরুরি বৈঠক ডাকলেন নেতানিয়াহু

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান এবং তাতে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘণের অজস্র ঘটনার দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েক জন জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আইসিসির রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে ইসরায়েল সরকার। সম্ভাব্য এই পদক্ষেপ ঠেকাতে তাই সম্প্রতি নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীবও আইন বিশেষজ্ঞ উপস্থিতি ছিলেন।

গত মঙ্গলবার রাতে এ বৈঠক হয়েছিল বলে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্রটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর।

বুধবার জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোনার প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরোয়ানা ঠেকাতে তিনি এই দুই দেশের সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস এবং আইডিএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর এই কাজ স্থগিত থাকার পর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফরে এসেছিলেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে পারেননি তিনি তবে সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয় এবং যেসব সহিংসতা পূর্বে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, সেসব হামাস এবং আইডিএফের পূর্ব পরিকল্পিত বলে তিনি মনে করছেন। এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

করিম খানের সফরের তিন মাস পর এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া আইসিসি শুরু করেছে বলে জানা গেছে, যা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে ইসরায়েরের সরকার।

সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল

এসএ-১০/১৯/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)

হামলার পর ইসরায়েলকে যে হুমকি দিল ইরান

শুক্রবার ড্রোন হামলার পর ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) বলেছে, যদি দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে কোনো হামলা চালানো হয়— তাহলে তার পরিণতি ভয়াবহ হবে।

পারমাণবিক স্থাপনা রক্ষণাবেক্ষণে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইআরজিসি টিমের প্রধান জেনারেল আহমেদ হাকতালাব এক বার্তায় বলেছেন, ‘যদি জায়নবাদী শাসকগোষ্ঠী আমাদের পরমাণু স্থাপনা ও কেন্দ্রগুলোতে কোনো প্রকার ক্ষতি সাধনের পদক্ষেপ নেয়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমরা তার প্রতিক্রিয়া জানাব এবং সেই প্রতিক্রিয়া হবে ভয়াবহ।’

ইসরায়েল যদি সত্যিই পরমাণু স্থাপনায় হামলা করে, তাহলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন জেনারেল হাকতালাব।

‘ইসরায়েলের ভুয়া জায়নবাদী গোষ্ঠী যদি ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য পারমাণবিক স্থাপনা ও প্রকল্প কার্যালয়ে হামলা করে, তাহলে ইরানও তার পারমাণবিক ডকট্রিন ও নীতি সংশোধন করবে এবং পূর্বঘোষিত বিবেচন্য বিষয়গুলো থেকে সরে আসবে।’

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে নিহত হন ১৩ জন। নিহতদের মধ্যে ইরানের সামরিক বাহিনীর এলিট শাখা ইসলামিক রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) দুই জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহেদী এবং মোহাম্মদ হাদি হাজি রাহিমিও ছিলেন।

হামলার দায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েল স্বীকার করেনি। তবে সাক্ষ্য-প্রমাণ যা পাওয়া গেছে,তাতে হামলাটি যে আইডিএফ করেছিল— তা পরিষ্কার।

গত সপ্তাহে ইরানের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন— এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।

তারপর শনিবার রাত ও রোববার ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ৩ শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরানের সামরিক বাহিনী। হামলায় হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান ও আঞ্চলিক মিত্রদের সহায়তায় বেশিরভাগ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলের ৯টি স্থাপনায় ইরানি ড্রোন আঘাত হানতে সফল হয়েছে ইরান।

আকস্মিক এই হামলার পর ইরানকে পাল্টা জবাব দেওয় হবে বলে ঘোষণা করেছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। রাষ্ট্রটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুও দ্ব্যর্থহীনভাবে আইডিএফের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে।

তারপর আজ শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় দুপুর সাড়ে ১২ টার (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬ টা) দিকে ইরানের তৃতীয় বৃহত্তম নগরী ইসফাহানে ড্রোন হামলা চালায় আইডিএফ। তবে হামলায় ব্যবহৃত ৩টি ড্রোনই ধ্বংস করে দিয়েছে ইরানের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা।

রাজধানী তেহরান থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইসফাহানে ইরানি সেনাবাহিনীর বেশ বড় একটি বিমান ঘাঁটি ও বেশ কয়েকটি পরমাণু স্থাপনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিন ইস্যুতে ইসরায়েলের সঙ্গে চরম দ্বন্দ্ব রয়েছে ইরানের। সেই দ্বন্দ্ব আরও ব্যাপকভাবে বেড়েছে গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকে।

সূত্র : তেহরান টাইমস

এসএ-০৯/১৯/২৪(আন্তর্জাতিক ডেস্ক)