বগুড়ায় পুর্ননির্বাচনের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল

নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীন পুর্ননির্বাচনের দাবিতে বগুড়ায় কালো পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে বাম গণতান্ত্রিক জোট বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে শহরে এ পতাকা মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কালো পতাকা মিছিল প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের সাতমাথায় সমাবেশে মিলিত হয়।

সংগঠনের জেলা সমন্বয়ক, বাসদ জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক জিন্নাতুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক আব্দুর রশিদ, বাসদ জেলা সদস্য মাসুদ পারভেজ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা নেতা আমিনুল ইসলাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা নেতা শাহাদত হোসেন শান্ত প্রমুখ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, গোটা দেশকে অবরুদ্ধ করে কোটি কোটি ভোটারের ভোটাধিকার হরণ করে আরও একবার যে জবরদস্তিমূলক প্রহসনের নির্বাচন মঞ্চস্থ করা হলো- বাম গণতান্ত্রিক জোট এই নির্বাচন ও নির্বাচনের ফলাফলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

আগের রাতে ব্যালট বাক্সভর্তি করে রাখা, নিরাপত্তার নামে নজিরবিহীন ভয়ভীতি ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রতি নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও ন্যক্কারজনক ভূমিকা, বাম জোটের একাধিক প্রার্থীসহ বিরোধী দলের প্রার্থী ও এজেন্টদের আটক, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত, কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দেয়ায় দেশবাসীও এই নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।

প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে গোটা নির্বাচনকে ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন নেতারা।

বক্তারা আরও বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে ন্যূনতম গণতান্ত্রিক পরিবেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের যে অবকাশ নেই- তা আরেকবার প্রমাণ করল। এই নির্বাচনের ফলাফল কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সে সঙ্গে তাড়াহুড়া করে পুরনো সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন সংসদ সদস্যদের শপথ, মন্ত্রিসভা বহাল রেখেই নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানও হয়ে গেল। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করলেও পরাজয় ঘটেছে জনগণের।

তাই অবিলম্বে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানান বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা।

বিএ-১৭/৩০-০১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)