বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার বুজরুকবাড়িয়ায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে দুজন এবং বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুরে ট্রাক থেকে পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- বগুড়া সদরের দীঘলকান্দি গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে আল-আমিন (২৮), শিবগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামের মনছের আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন (৩০) এবং নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার কালুয়ারকান্দা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আবদুল গণি (৩৮)।

বগুড়ার সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা জানান, শুক্রবার সকালে শহরতলির দ্বিতীয় বাইপাশ মহাসড়কের বুজরুকবাড়িয়া গ্রামে একটি কাঁঠালবোঝাই ট্রাক বিকল হয়ে যায়। শ্রমিকরা ট্রাকটি মেরামত করছিলেন।

এ সময় আল-আমিন ও বিপ্লব হোসেন সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পঞ্চগড় ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিকল ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

এ ছাড়া পাথরবোঝাই ট্রাকের সামনে অংশ দুমড়েমুচড়ে গেলে চালক ও হেলপার ভেতরে আটকা পড়েন।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ট্রাকের সামনের অংশ কেটে তাদের উদ্ধার করেন।

পরে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অপেরদিকে বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর উপজেলায় ট্রাক থেকে পড়ে গরু ব্যবসায়ী আবদুল গণি নিহত হয়েছেন।

হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া অঞ্চলের কুন্দারহাট ফাঁড়ির এসআই কাজল নন্দী জানান, নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার কালুয়ারকান্দা গ্রামের আবদুল গণিসহ ৬-৭ জন ব্যবসায়ী বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার ধাপ সুলতানগঞ্জ হাট থেকে ১৩টি গরু কেনেন।

বৃহস্পতিবার রাতে গরুগুলো ট্রাকে তুলে বাড়িতে ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে ট্রাক বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শেরুয়া বটতলায় পৌঁছে। সেখানে অপর একটি ট্রাককে অতিক্রম করার সময় পেছনের অংশে ধাক্কা লাগে। এত প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে গরুবোঝাই ট্রাকের কেবিনের ওপর থাকা ব্যবসায়ী আবদুল গণি ছিটকে মহাসড়কে পড়ে যান।

পরে তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর তিনি মারা যান।

বিএ-০৪/২৮-০৬ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)