বগুড়ায় বাস থেকে নামিয়ে বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

বগুড়ায় প্রকাশ্যে বাস থেকে নামিয়ে আপেল মাহমুদ (৩৫) নামের এক বিএনপিকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তার বড় ভাই বিএনপি কর্মী আল মামুনকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক এক সভাপতির বিরুদ্ধে এ হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের শিবগঞ্জ উপজেলার পাকুড়তলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান।

নিহত আপেল মাহমুদ বগুড়া সদরের গোকুল ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সক্রিয়কর্মী। তার বড় ভাই আল মামুন গোকুল ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আপেল ও তার বড় ভাই মামুন গরু কেনার জন্য বাসযোগে গোবিন্দগঞ্জ যাচ্ছিলেন। পথে চন্ডিহারা বন্দরের আগে পাকুড়তলা নামকস্থানে গোকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ও তার সহযোগীরা বাসটি থামায়। এরপর শতশত মানুষের সামনে বাসের ভেতর থেকে দুই ভাইকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে নেয়।

তাদেরকে মহাসড়কের পাশে একটি লিচু বাগানে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আপেল মারা যান এবং মামুনের শরীরে বিভিন্নস্থানে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মামুনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

গোকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ বিপুল জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নিজ দলের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রয়ারি গোকুল হল বন্দরে মিজানের সহযোগী সনি খুন হয়। সনি হত্যা মামলার আসামি মামুন।

এরপর থেকে মিজান গ্রুপের সঙ্গে তাদের বিরোধ বেড়ে যায়। গত ২১ অক্টোবর মামুন আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে শহরের আটাপড়া এলাকায় তাকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে মিজান ও তার সহযোগীরা।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিএ-০৭/২০-০২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)