করোনা আক্রান্ত বগুড়ায় সন্দেহে ২ ব্যক্তি আইসোলেশনে

বগুড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে করোনা আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলা শহরের মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার বিকেলে তাদেরকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদের মধ্যে একজনের বয়স ২৫ বছর এবং অপরজন ৪৫ বছর বয়সী। ২৫ বছর বয়সী যুবককে ভর্তি করা হয় দুপুর ৩টার দিকে। তার বাড়ি খুলনায়। আর দ্বিতীয় ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয় বিকেল সাড়ে ৪টায়। তার বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলায়।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, দুই রোগীরই শ্বাস কষ্ট রয়েছে। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সোমবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, ২৫ বছর বয়সী যুবকের বাড়ি খুলনায়। তবে তিনি চাকরি করেন কুমিল্লার একটি প্রতিষ্ঠানে। অবশ্য তার বাবা চাকরির সুবাদে বগুড়ায় বসবাস করেন। প্রায় ১৪ দিন আগে ওই যুবক বগুড়ায় আসেন। তখন থেকেই তার জ্বর ও কাশি ছিল। তবে এখন তার জ্বর নেই, শুধু শ্বাস কষ্ট রয়েছে। রোববার বেলা ৩টার দিকে তিনি তার এক বোনের সঙ্গে হাসপাতালে আসেন।

ওই যুবক বিদেশী কিংবা বিদেশফেরতদের কারও সংস্পর্শে এসেছিলেন কি-না এমনটা জানতে চাইলে ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানতে পেরেছি যে, তিনি কুমিল্লায় যে এলাকায় কর্মরত সেখানে বিদেশফেরত লোকজনদের আনাগোনা ছিল। তাই আমরা তাকে সন্দেহ করছি।’

তিনি জানান, দ্বিতীয় ব্যক্তি বগুড়ার ধুনটের ওই বাসিন্দা শনিবার ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন। তার শরীরে কোন জ্বর নেই। তবে শ্বাসকষ্ট রয়েছে। সে কারণে তিনি রোববার প্রথমে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

শজিমেক হাসপাতালের সহকারি পরিচারক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, শ্বাস কষ্ট থাকায় ওই রোগীকে পরে করোনা আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আরএমও ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, শজিমেক হাসপাতাল থেকে পাঠানো রোগীকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দুই রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে কি’না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না এখনও নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে আগামীকাল (সোমবার) তা করা হবে।’

বিএ-১৬/২৯-০৩ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)