শিকলবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেলেন ফাহিমা

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে শিকলবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়েছেন ফাহিমা বেগম (৩০) নামের এক নারী।

শিবগঞ্জ উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের আওড়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের মেয়ে ফাহিমাকে মানসিক প্রতিবন্ধী আখ্যা দিয়ে ঘরে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি দেখে ইউএনও বিষয়টি জানতে পারেন। শুক্রবার পুলিশ পাঠিয়ে তাকে শিকলবন্দি দশা থেকে মুক্ত করেন।

জানা গেছে, স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করায় সাত বছর আগে ফাহিমা বেগম বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর থেকে মায়ের সঙ্গেই বসবাস করে আসছেন তিনি।

তার মা মেহেরুন বেওয়া জানান, কিছুদিন হলো তার মেয়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে এবং ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। এ কারণে তাকে গত নয়দিন আগে ঘরের মেঝেতে খাটের সঙ্গে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। শিকল বাঁধা অবস্থায় চলছিল তারা খাওয়া-দাওয়া ও ঘুমানো।

তবে ফাহিমা বেগম বলেন, বাড়িতে বসে বসে খাওয়ার কারণে আমার মা মারধর করেন। মারধর ঠেকাতে গিয়ে কিছু জিনিসপত্র ভেঙে যায়।

একই বাড়িতে বসবাসকারী তার চাচাতো ভাই শাহ আলম বলেন, ফাহিমা পাগল না, তার মা এমনিতেই রাগ করে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছেন।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবীর বলেন, শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার ছবি দেখে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারীকে শিকলবন্দি দশা থেকে উদ্ধার করা হয়। যদি ওই নারী মানসিক প্রতিবন্ধী হয়ে থাকেন তাহলে তার চিকিৎসা এবং ভাতার ব্যবস্থা করা হবে।

বিএ-১৬/০৩-০৪ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)