বগুড়ার ধুনটে নিজের মেয়েকে হত্যা করে লাশ ঘরের মেঝেতে পুতে রাখার ১০ দিন পর মাকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ধুনট পৌরসভার চান্দারপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ঘরের মেঝে খুঁড়ে মেয়ের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চান্দারপাড়া এলাকার মৃত দুলু মিয়ার মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্ত মর্জিনা খাতুন (৩৬) ও তার মা রওশনারা বেগম (৫৫) একই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। মর্জিনার এক ছেলে এবং রওশনারা বেগমের এক ছেলে (মর্জিনার ভাই) ঢাকায় বসবাস করেন।
কিন্তু ১০ থেকে ১২ দিন আগে মর্জিনার কোনো খোঁজ খবর পাচ্ছিলেন না প্রতিবেশিরা। এরমধ্যে ঘরে তালা দিয়ে মা রওশনারা বেগম একাই ঢাকায় চলে যান। এরপর ঢাকা থেকে গত দুই দিন আগে রওশনারা বাড়িতে ফিরে আসলে প্রতিবেশিরা মর্জিনার কথা জিজ্ঞাসা করতেই তার কথাবার্তা শুনে তাদের সন্দেহ হয়। পরে স্থানীয়দের মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ধুনট থানা পুলিশ ঘটনাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। একপর্য়ায়ে রওশনারাকে আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক হত্যার ঘটনা।
শনিবার বিকেল ৪টার দিকে রওশনারার শয়ন ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে মর্জিনার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কেন মেয়েকে হত্যা করেছেন সে বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি রওশনারা বেগম।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মা। আটকের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কারা জড়িত এবং কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে এসব বিষয়ে আরও তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
এসএইচ-০৪/২২/২৩ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)