চাঁপাইনবাবগঞ্জে হোম কোরায়েন্টাইনে ৩০০ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দরসহ অন্যান্য বন্দর দিয়ে আসা সব পাসর্পোটধারী বিদেশ ফেরতদের স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেইসাথে বিদেশ ফেরতদের সবার পূর্ণাঙ্গ নাম পরিচয় সংরক্ষণ করছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে রোববার বেলা ১টা থেকে ভারতীয় মোহদীপুর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ সকল ধরনের যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দিয়েছে। তাই সোমবার থেকে হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা ব্যক্তির সংখ্যা করতে থাকবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: জাহিদ নজরুল চৌধুরি জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সোনামসজিদ বন্দর ব্যবহারকারী সকলকে ভালভাবে চেকআপ করছে ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম। ভারতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় গত ৪ দিন থেকে ভারত থেকে আসা সব পাসর্পোটধারী যাত্রীর পুরো ঠিকানা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সবাইকে অন্তত ১৪ দিন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সোনামসজিদ বন্দরে আগত ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও সহকারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এছাড়া রহনপুর শুল্ক স্টেশনে ভারত থেকে আসা ট্রেনচালক,সহকারী ও ব্যবস্থাপকদের অস্থায়ী মেডিক্যাল টিম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। তিনি বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১৬ মার্চ সোমবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ৩০০ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২৫৮ জন বাংলাদেশী, ৪০ জন ভারতীয় ও ২ জন নেপালী ছাত্র।

তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা হচ্ছে, করোনা আক্রান্ত কোন দেশ থেকে কোন ব্যক্তি (দেশী বা বিদেশী) দেশে প্রবেশ করলে তাকে ২ সপ্তাহ হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। তাদের সাথে সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করবে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তির যদি করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয় (সর্দি, কাশি বা জ্বর) তাহলে সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার আন্তরিকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য জেলা হাসপাতালে ৪ এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২টি আইসোলেশন বেডের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বিএ-০৭/১৬-০৩ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)