অভিষেকের পর থেকে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে সময় পার করছে বাংলাদেশ। ভারতের আগে আর কোনো আসরে টানা ৬ ম্যাচ হারের লজ্জায় ডোবেনি টাইগাররা। নানা নাটকীয়তায় বিশ্ব আসরের স্কোয়াডে না থাকলেও, বাজে সময় পার করা দলের জন্য সমর্থন ও ভালোবাসা চেয়েছেন সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বড় স্বপ্ন নিয়ে ভারতে পাড়ি দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। ১৯৯৯ সালে অভিষেকের পর নিজেদের সপ্তম আসর। যেখানে সবচেয়ে পরিণত দলকেই দেখতে মুখিয়ে ছিল দেশের মানুষ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসরটা শুরুও করেছিল দাপুটে জয়ে। কিন্তু এরপর পুরো জাতিকে হতাশ করেছে টাইগাররা। টানা ৬ ম্যাচ হেরে সবার আগে বিদায় নিশ্চিত করেছে সাকিব আল হাসানের দল। সবচেয়ে বাজে হারটা ছিল বাছাই পর্ব উতরে আসা দল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। অথচ বাংলাদেশ দল আসরে পা রেখেছিল ওয়ানডে সুপার লিগের তিনে থেকে।
টাইগারদের এমন পারফরম্যান্সে ক্রিকেট প্রিয় আবেগী সমর্থকদের কতটা মর্মাহত সেটা উপলব্ধি করেছেন তামিম ইকবাল। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট নিয়ে এতই আবেগী যে, যখন ভালো হয় না, তখন মনে হয় দুনিয়া শেষ হয়ে গেল। যখন ভালো হয়, মনে হয় আমরা সব জয় করে নিয়েছি। আমি জানি, এটা কঠিন সময় আমরা জাতিকে হতাশ করেছি।’
ফিটনেস জটিলতা, ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, নানা নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত ভারত বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তামিমের। কিন্তু সেটা নিয়ে আক্ষেপ নেই তার। বরং বাজে সময় পার করা দলের জন্য সমর্থন ও ভালোবাসা চেয়েছেন তিনি। খেলতে যাওয়া ১৫ জন ক্রিকেটারের পাশে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘এখন একটু কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি সবাই। যতটুকু সম্ভব দেশকে সমর্থন করা উচিত। হতাশা কেউ কোনো না কোনো জায়গায় তো বের করে নেয়। একটু চিন্তা করেন, ১৫ জন ছেলে ওখানে গিয়ে চেষ্টা করছে। তাদের পরিবার ও তাদের ওপর কীভাবে প্রভাবটা পড়ছে। দিনশেষে ওরা সবাই মানুষ। আমি খেলি বা না খেলি এটা কোনো বিষয় না। বাংলাদেশ খেলছে। আমাদের সমর্থন প্রয়োজন। দেশকে আমাদের ভালোবাসা প্রকাশ করা প্রয়োজন।’
গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মাঝপথে হঠাৎ অবসর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছিলেন তামিম। এরপর অধিনায়কত্ব ছাড়লেও কথা ছিল বিশ্বকাপে খেলার। কোমরের ইনজুরির চিকিৎসা নিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। গত সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দুটি ম্যাচ খেলে প্রত্যাবর্তনের বার্তাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষদিকে নানা নাটকীয়তায় দলে জায়গা হয়নি তার। এদিকে জাতীয় লিগ শুরু হলেও সেখানে খেলছেন না তিনি। তাতে সংশয় দেখা গেছে ভবিষ্যতে জাতীয় দলের জার্সিতে আবার তাকে মাঠে দেখা নিয়ে। বিষয়টি ধোঁয়াশায় রেখেছেন তামিম নিজেও।
তিনি বলেন, ‘জানি না সামনে খেলব কি খেলব না। যদি খেলি মাঠে দেখবেন, আর যদি না খেলি দোয়া করবেন আমার জন্য।’
এসএইচ-১১/০৩/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)