এবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার যেন ছিল এক গোলক-ধাঁধার নাম। যে কারো পক্ষে উত্তর মেলানো ছিলো কঠিন। সেই ধাঁধার চক্রে পড়ে নাজমুল হোসেন শান্তরা নিজেরাও ঘুরপাক খেয়েছেন। বিশ্বকাপ শেষে শান্ত কূটনৈতিক খোলস কিছুটা ছেড়ে বেরিয়ে বললেন, এত অদল-বদল না হলেই ভালো।
একদম প্রথম ম্যাচ থেকেই শুরু হয় বাংলাদেশ দলের পরীক্ষা নিরীক্ষা। মেহেদী হাসান মিরাজকে কেন্দ্র করেই মূলত ওলট-পালট। মিরাজকে টপ অর্ডার ব্যাটার বানাতে গিয়ে নাড়িয়ে দেওয়া হয় শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিমসহ অনেকের পজিশন। মিরাজ ব্যর্থ হলে আবার পুরনো অর্ডারে ফিরলেও মেলেনি হারানো ছন্দ।
ভারতের ব্যাটিং স্বর্গে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ভুগেছে ব্যাটিং নিয়ে। ধারাবাহিক ছিলেন না কেউই। দলের সবচেয়ে সফল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ ব্যাটার ৫৪.৬৬ গড় ও ৯১.৬২ স্ট্রাইকরেটে করেন দলের সর্বোচ্চ ৩২৮ রান। লিটন দাসের ব্যাট থেক আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮৪ রান।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্ত জানান ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কারো অভিযোগ না থাকলেও নড়াচড়া কম হলে ভালো হতে পারত,
‘আমার মনে হয়, ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে কোনো ব্যাটসম্যানের অভিযোগ ছিল না। যে যেখানে ব্যাটিং করেছে, সবাই খুশি ছিল। পাশাপাশি এটাও বলতে চাই, আমরা যেভাবে এসেছিলাম, ওই জায়গায় যদি একই রকম থাকত, ভিন্ন কিছু হলেও হতে পারত। ওটা হলেই যে আমরা অনেক সফল হয়ে যেতাম, এটা যেমন ঠিক নয়, আবার একই রকম থাকলে সাফল্যের পরিমাণ অনেক সময় বেশি থাকে। তবে আসলে এখন এটা নিয়ে কথা বলার বলার মানে হয় না।’
বিশ্বকাপের আগে টানা তিনে খেলেছিলেন শান্ত, মুশফিক ছিলেন ছয়ে। হৃদয় খেলেছেন পাঁচে। এসব পজিশনে তারা সফলতাও পাচ্ছিলেন। পরে সেটা আর থাকেনি। পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষের বিবেচনায় এত বদল কি আসলে কাজে দিল? শান্ত এবার খোলস ভেঙেই স্বীকার করলেন এসব নিরীক্ষায় না গেলেই ভালো, ‘(ব্যাটিং অর্ডারে ওলট-পালট) না করলেই ভালো। কিছু কিছু দলের বিপক্ষে অনেক সময় করতে হয়, ওই দলের শক্তিমত্তা অনুযায়ী। তবে যত কম করা যায়…এই বিশ্বকাপে অনেক বেশি করা হয়েছে…। এটার পেছনেও ভালো কিছু চিন্তা করেই করা হয়েছে, সত্যি বললে। প্রতিপক্ষ দলের শক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে। তবে যত কম করা যায়… না করলে সবচেয়ে ভালো হয়।’
এসএইচ-০৪/১২/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)