ডি সিলভার ২৭ বছর পর ফাইনালে হেডের কীর্তি
সেমিফাইনালে অর্ধশতক হাকিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় এনে দিয়েছিলেন ট্রাভিস হেড। ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে দারুন এক জুটি গড়ে অজিদের জয়ের সুবাস দিচ্ছেন হেড। তুলে নিয়েছেন আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
রোববার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে জয়ের জন্য ২৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে অস্ট্রেলিয়া। এদিন মাত্র ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল অজিরা। সেখান থেকে মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের বন্দরে ভেড়াচ্ছেন ট্রাভিস হেড। ১৫০ রানের জুটিতে এরই মধ্যে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন হেড। ২০১১ বিশ্বকাপে মাহেলা জয়াবর্ধনের সেঞ্চুরির পর প্রথম কোনো ব্যাটার ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকালেন।
এই সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার আরেক কিংবদন্তি অরবিন্দ ডি সিলভার পাশে বসেছেন হেড। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকানোর পর ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনবদ্য এক সেঞ্চুরিতে দলকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার ২৭ বছর পর ট্রাভিস হেড একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালেন। দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হাফ সেঞ্চুরির পর ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকালেন হেড।
তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলে একটি সেঞ্চুরি ও আরেকটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসের রেকর্ড আছে আরও তিনজনের। ডি সিলভা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ ও ভারতের বিরাট কোহলি আছেন এই তালিকায়। তবে স্মিথ এবং কোহলি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সেমিফাইনালে।
উভয়ই ফাইনালে হাফ সেঞ্চুরি করেই থেমেছেন। চলতি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর অজিদের বিপক্ষে ফাইনালে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন কোহলি। আর স্মিথ ২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান।
এসএইচ-১৫/১৯/২৩ (স্পোর্টস ডেস্ক)