কনের আসনে বসলেন মেয়ের ভাবি

ধুমধামে চলছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন। আসরে বরযাত্রী উপস্থিত হলে তড়িঘড়ি করে কাজ শুরু করেন কাজী। এমন সময় সেখানে হাজির হন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ফলে পাল্টে যায় চিত্র। কৌশলে কনেকে সরিয়ে তার আসনে বসেন ভাবি। তবে তাদের চালাকি টের পেয়ে বিয়ে পণ্ড করে দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

বৃহস্পতিবার রাতে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় খানপুর ইউনিয়নের ন্যাটাশন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার কাজীকে ছয়মাসের সাজা দেন এবং বরকে জরিমানা করেন। এ ছাড়া বাল্যবিয়ে না দেওয়ার বিষয়ে কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দ্রুত বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে কাজী রেহান রেজা খসড়া লেখা শেষ করেন আগেই। কিন্তু ওই সময় পুলিশসহ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশে দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন কাজী। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে আটক করা হয়।

ইউএনও জানান, পুলিশকে বোকা বানাতে কনেকে সরিয়ে তার ভাবি বৌ সেজে বসেন। পরে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।

এসএইচ-০৭/০৩/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)