সারের দাবিতে দিনাজপুরে সড়ক অবরোধ

সারের দাবিতে দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার কৃষকরা সড়ক অবরোধ করেছেন।

শুক্রবার কৃষকরা কাহারোল বাজারের বিভিন্ন সার বিক্রেতার দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো সার না পেয়ে দুপুর ১২টা থেকে সড়ক অবরোধ করেন।

রফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষক জানান, গত কয়েক দিন ধরে কৃষকরা সার পাচ্ছেন না। পাওয়া গেলেও দাম বস্তা প্রতি ১০০ থেকে ২০০ টাকা বেশি। দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে স্থানীয় প্রশাসন উপজেলায় সার বিক্রি বন্ধ করে দেয়।

কৃষকদের অভিযোগ, সরকার ইউরিয়া ও টিএসপি সারের মূল্য নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ১০০টাকা বস্তা, এমওপি ৭৫০টাকা, ড্যাপ ৮০০ টাকা বস্তা। সেখানে ডিলাররা সব সারের ক্ষেত্রে বস্তা প্রতি ১০০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখছেন। সাধারণ কৃষকদের চাহিদা মাফিক সার না দিয়ে ডিলারদের মনোনীত ও আধিয়ারদেরকে সার সরবরাহ করছেন। সময়মতো সার না পেয়ে উৎপাদন ব্যহত হবার আশঙ্কা করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের এমন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক সব ডিলারের গোডাউন সীলগালা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সাদেক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সাদেক বলেন, উপজেলায় বিএডিসির ১৭জন এবং বিসিআইসির ১০জন সারের ডিলার আছে। সার বিতরণে ডিলারদের বিরুদ্ধে কয়েকজন কৃষক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে সার বিতরণ করার কথা বিবেচনায় নিয়ে কাহারোল উপজেলায় ১০ জন বিসিআইসি ও বিএডিসির সার ডিলারের গোডাউন সীলগালা করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে যথারীতি সার বিতরণ করা কথা। কৃষকরা সার না পেয়ে সড়ক অবরোধ করেন।

পরে কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুল হাসান ও উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু জাফর মো. সাদেক ঘটনা স্থলে গিয়ে তালিকা তৈরি করে সার বিতরণের কথা জানালে কৃষকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেন।

কাহারোল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হাসান বলেন, কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সার বিতরণে কোনো ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। মনিটরিং কার্যক্রম বাড়ানোর কথাও বলেন তিনি।

এসএইচ-০২/১৯/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)