অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ‘মিতালী এক্সপ্রেসের’ ৮৪ যাত্রী

দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে রেললাইনের ওপর ভারতীয় পাথরবোঝাই ট্রাকের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এতে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে ছেড়ে আসা ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৮৪ জন যাত্রী।

রোববার বিকেল ৫টার দিকে হিলি সীমান্তের জিরো পয়েন্ট গেটে রেললাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বিকেল ৫টার দিকে ট্রাকটি বিকল হলে লাল পতাকা নিয়ে ট্রেন থামানোর জন্য যান স্টেশনের পয়েন্টম্যান। সেখানে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সহযোগিতায় লাল পতাকা সংকেত দিয়ে থামিয়ে দেয়া হয় ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পায় ট্রেনে থাকা ৮৪ জন যাত্রী।

হিলি রেলওয়ে গেটকিপার সুজন জানান, প্রতিদিনের মতো বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি হিলি ক্রস করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ক্লিয়ারিং দেয়ার জন্য জিরো পয়েন্ট গেটে আমি অবস্থান করি। এ সময় লাইনে পণ্যবাহী ট্রাকটি বিকল হয়ে পড়ে। ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ পার্শ্ববর্তী স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে হিলির উদ্দেশে। এ সময় আমি লাল পতাকা নিয়ে বিজিবির সহযোগিতায় জীবনের ঝুঁকে নিয়ে রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হই।

এ বিষয়ে ‘মিতালি এক্সপ্রেস’ ট্রেনের কর্তব্যরত চালক কাজী ওহিদুজ্জামান জানান, ট্রেনটি দ্রুতগতিতেই চলছিল। হঠাৎ করে সামনে দিকে দেখি লাল পতাকা নিয়ে দুজন দাঁড়িয়ে আছেন। লাল পতাকা দেখে ট্রেনটি থামানোর চেষ্টা করি। পরে ট্রেনটি থামানো হয়। তবে ট্রেনটির থামানো না গেলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।

হিলি রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তপন কুমার চক্রবর্তী জানান, ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি হিলি এলাকায় প্রবেশ করার আগ মুহূর্তে লাইনের ওপরে বিকল হয় পাথরবোঝাই ওই ট্রাকটি। এ সময় লাল পতাকা সংকেত দিয়ে ট্রেনটি থামানো গেলেও প্রায় ২০ মিনিট পর স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।

তিনি বলেন, হিলির রেলস্টেশনের ওপর দিয়ে প্রতিদিন ২৬টি ট্রেন চলাচল করে। ঢাকাগামী কোনো ট্রেনের হিলিতে যাত্রা বিরতি নেই। ট্রেনগুলো যখন হিলি ক্রোসিং করে; তখন তার গতি অনেকটাই বেশি থাকে। আজকের যে ঘটনা এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।

এছাড়া মাঝেমধ্যেই লক্কড়ঝক্কড় ভারতীয় ট্রাকে পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। প্রায় এই ধরনের ট্রাক বিকলের ঘটনা ঘটছে। ব্যবসায়ীদের বারবার অনুরোধ করা হয়েছে এই ধরনের ট্রাক দিয়ে পণ্য পরিবহন না করার জন্য। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনো সময় বলে জানান ওই স্টেশন মাস্টার ।

এসএইচ-০৯/৩০/২২ (উত্তরাঞ্চলে ডেস্ক)