করোনা ভ্যাকসিনের ‘মিক্স এ্যান্ড ম্যাচ’ ব্যাপক সাড়া ফেলেছ!

করোনা

জি. এম. মুরতুজা: গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক চিকিৎসাবিজ্ঞান সাময়িকী ‘ল্যানসেট’-এ যুক্তরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণার ফল প্রকাশিত হলে সারা বিশ্বেই করোনা ভ্যাকসিনের ‘মিক্স এ্যান্ড ম্যাচ’ পদ্ধতি নিয়ে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

এই গবেষণার সূত্র ধরেই কানাডা কোভিড ভ্যাকসিনের ‘মিক্স এ্যান্ড ম্যাচ’-এর অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছে। ফলে দেশটিতে প্রথম ডোজ হিসেবে যাদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন দিয়েছিল তাদের দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে এখন ফাইজার অথবা মডার্নার ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। কেবল কানাডাই নয়, আমেরিকা ও যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানির তৈরীকৃত ভ্যাকসিনের ‘মিক্স এ্যান্ড ম্যাচ’ পদ্ধতিতে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়েছে। ‘মিক্স এ্যান্ড ম্যাচ’ পদ্ধতি হচ্ছে, যাদের অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে তাদের মর্ডানা অথবা ফাইজারের ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেয়া যাবে। এতে কারো কোন ক্ষতি হবে না বরং বৈজ্ঞানিকভাবে এর বেশী উপকারিতা প্রমানিত হয়েছে।

দেশে যেহেতু করোনা সংক্রমনের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে সরকারের উচিত হবে মে মাসে যেসব মানুষকে অ্যাস্ট্রেজেনেকা ভ্যাকসিন প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া হয়েছিল, তাদের অতি দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে মডার্নার অথবা ফাইজারের ভ্যাকসিন দিয়ে ফেলে তাদের কোর্স সম্পন্ন করা।

এক্ষেত্রে যত বিলম্ব করা হবে ততোবেশী প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া মানুষগুলো দূ:চিন্তায় ভুগবেন। আর সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরো এক মাস পার করে দিলে এই বিপূল সংখ্যক মানুষকে আবার নতুন করে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হবে। এতে প্রথমবার দেয়া কয়েক লাখ ডোজ ভ্যাকসিনের অপচয় হবে। করোনার ভ্যাকসিনের এমন দু:মূল্যের বাজারে আশা করি সরকার এমন ভুল সিদ্ধান্ত নিবে না।