হোপ ফর দ্যা বেষ্ট

হোপ

জি. এম. মুরতুজা: ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডে “ট্রেনিং অব ট্রেনার্স অন মোবাইল জার্নালিজম” প্রশিক্ষণ গ্রহণের পরে মুখিয়ে ছিলাম কবে বাংলাদেশে মোবাইল জার্নালিজম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারবো।

অবশেষে আশাটি পূর্ণ হয়েছে ৩১ জন উদীয়মান যুব নারীকে প্রশিক্ষণ দিতে পেরে। পুরো ট্রেনিংয়ের মডিউল এমনভাবে সাজানো ছিল যেন, এই নবীন নারীরা মোবাইল জার্নালিজমে পর্যাপ্ত দক্ষতা অর্জন করে তা চর্চা করার মাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া স্টোরিসহ বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট তৈরী করার পাশাপাশি মোবাইল ফটোগ্রাফীও করতে পারেন।

আমার বিবেচনায় এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই নবীন নারীরা মোবাইল জার্নালিজম চর্চা ও প্রয়োগ করার সকল সক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছেন। ইনারা যদি একটু মনযোগি হয়ে চর্চাটা চালিয়ে যান, তবে তারা আগামীতে দেশে মোবাইল জার্নালিজম ফিল্ডে লিড নিতে পারবেন। আমি ইনাদের নিয়ে বেশ আশাবাদী।

কিন্তু এটাতো বাংলাদেশ তাই নারীদের জার্নালিজমের এই নতুন প্যার্টানের সাথে যুক্ত থাকতে হলে নানা চড়াই উতরায় পাড়ি দিতে হবে। অনেক ধৈর্য নিয়ে তাদের এগিয়ে যেতে হবে। কাজ করতে গেলে নানা ভুল হবে, সেগুলোর সাম্ভব্য সমাধান দেয়ার জন্য আমরা আছি। কাজেই তারা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারলে ইনারা কমবেশী সবাই স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে বিশেষ জায়গা করে নিতে সক্ষম হবেন বলে আমি বেশ আশাবাদী। আমার অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলছে।

তাছাড়া এই নবীন নারীরা যদি সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত নাও হয়, তবুও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য নানা ধরণের কনটেন্ট তৈরী করে নিজেই ফ্রিল্যান্স জার্নালিষ্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন।

So hope for the best all of our trainee women mobile journalists. Now your turn is to prove yourself.