বিদেশ ভ্রমনের টুকরো স্মৃতি পর্ব-৪

বিদেশ

২০১৯ সালের মে মাসে দ্বিতীয়বারের মত থাইল্যান্ড সফরের সুযোগ হয়। এবারের থাইল্যান্ড গমনের উদ্দেশ্য ছিল এশিয়া মোবাইল জার্নালিজম কনফারেন্সে অংশগ্রহণ। KAS Media Progrmme এর আমন্ত্রণে এই কনফারেন্সে আমার দায়িত্ব ছিল একটি সেশনে স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখা এবং ফ্যাসিলিয়েটেটর হিসেবে একটি কর্মশালা পরিচালনা করা। কনফারেন্সটি ছিল সত্যিই অসাধারণ।

বাংলাদেশসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রায় ২০০ সাংবাদিক এই কনফারেন্সে অংশ নিয়ে মোবাইল জার্নালিজমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রায়োগিক দিক নিয়ে নানামাত্রিক আলোচনা, অভিজ্ঞতা বিনিময়সহ বিভিন্ন কর্মশালা, মাষ্টারক্লাশ ও টেকনিকাল সেশনে অংশগ্রহণ করেন।

বেশিরভাগ স্পিকার, ট্রেনার ও ফ্যাসিলিয়েটেটর ছিলেন ইউরোপীয় এবং এশিয়ার বাইরের দেশের। এই কনফারেন্সের মূল বক্তব্যই ছিল আগামী দিনগুলোতে মিডিয়া পরিচালনা করবে মোবাইল জার্নালিজম এবং সংবাদিকদের পেশায় টিকে থাকতে হলে অবশ্যই মোবাইল জার্নালিজমে দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশে মোবাইল জার্নালিজম চর্চা ও প্রসারে সক্রিয় উদ্যোগ নেয়ার ব্রত নেয়। থাইল্যন্ড থেকে ফিরে এসেই সিসিডি’র মাধ্যমে আমি নানাভাবে চেষ্টা করতে থাকি একটি পূর্নাঙ্গ মোবাইল জার্নালিজম প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করার।

নানা চেষ্টার পর ২০২০ সালের মার্চ মাসে ARROW এবং WORTH Initiative এমন একটি পূর্ণাঙ্গ কোর্স আয়োজনে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা দিতে সম্মতি জ্ঞাপন করে। কিন্তু এর মধ্যে দেশে হানা দেয় করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ওয়েব। অনেক প্রতিক্ষার প্রহর পার করে অবশেষে ২৫-২৯ আগষ্ট বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ইতিহাসে প্রথমবারের মত মোবাইল জার্নালিজম কর্মসূচির প্রথম প্রশিক্ষণটি অত্যন্ত সফলভাবে শেষ করতে সক্ষম হয়েছি। ব্যাতিক্রম হচ্ছে এই কর্মসূচির সকল অংশগ্রহণকারী হচ্ছে তরুণ নারী।

আমার বিশ্বাস অংশগ্রহণকারীগণ যদি সফলভাবে পুরো কোর্স শেষ করতে পারেন, তবে সবাই হয়ে উঠবেন পূর্ণাঙ্গ মোবাইল জার্নালিষ্ট। এবং এদের অনেকেই বাংলাদেশের প্রথমসারির মিডিয়াতে কাজের সুযোগ পাবেন বলে আমার বিশ্বাস। আবার অনেকে হয়ে উঠবেন দক্ষ মোবাইল কনটেন্ট নির্মাতা, যারা ইউটিউব ও ফেসবুকের জন্য নির্মান করবেন জনগুরুত্বপূর্ন সব ইন্টারএ্যাকটিভ ভিডিও কনটেন্ট।

আমি থাইল্যন্ডে মোবাইল জার্নালিজম কনফারেন্সে না গেলে এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার উৎসাহ ও উদ্দীপনা হয়তো পেতাম না। আমার চেষ্টা থাকবে সিসিডি’র মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের তরুন প্রজম্মের মধ্যে মোবাইল জার্নালিজম শিক্ষণ ও চর্চার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা।

এমন মহতী কাজে আমি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা ও আনুকূল্য প্রত্যাশা করছি। আশা করি সংশ্লিষ্ট সবাই পাশে থাকবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ ও নির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করবেন।

[এবারের লেখায় থাইল্যন্ড ভ্রমনের অনেক কথাই লিখা হলো না। আশা করি আগামীতে নানা টুটিটাকি বিষয়গুলো তুলে ধরবো।]