বিদেশ ভ্রমনের টুকরো স্মৃতি পর্ব-১

ভ্রমনের

জি. এম. মুরতুজা: আমার শেষ বিদেশ ভ্রমনটি ছিল বিশ্বের রাজধানী বলে খ্যাত লন্ডনে। উপলক্ষ ছিল Women of the World- WoW London ফেস্টিভেলে বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেয়ার পাশাপাশি এই ফেষ্টিভেলের আয়োজনিক কর্মকান্ড এবং ইভেন্টগুলো সম্পর্কে সাম্যক ধারনা নেয়া।

এমন একটি আন্তজার্তিক ইভেন্ট থেকে যেমন অনেক কিছু শিখেছি, পাশাপাশি এমন আড়ম্বরপূর্ণ ইভেন্ট কিভাবে সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা সম্ভব, তার কলাকৌশলও কিছুটা আয়ত্ব করতে সক্ষম হয়েছি। আমি অবাক হয়ে দেখেছি এই ইভেন্টের প্রতিটি সেশনে শত শত নারী পুরুষ ৪০ থেকে ৫০ পাউন্ডের টিকিট কেটে স্বত:ফূর্তভাবে অংশ গ্রহণ করছেন। একই সাথে বা প্যারালালভাবে তিন/চারটি সেশন আয়োজন করা হচ্ছে। প্রতিটি সেশনে হল ভর্তি দর্শক।

সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সেশন চলেছে, কোন সেশনে দর্শকের অভাব ছিল না। চার পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের টিকেট কেটে এত মানুষ শুধুমাত্র আলোচনা শোনার জন্য প্রতিটি সেশনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ দেখে আমি হতবাক হয়েছি। ধন্যবাদ ব্রিটিশ কাউন্সিলকে এমন একটি নান্দনিক এবং গুরুত্বপূর্ণ ভেষ্টিভেলে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

এই ভেষ্টিভেলে আমার জন্য দুটি বিশেষত্ব দিক ছিল। এর একটি হলো Women of the World- WoW Festival এর ফাউন্ডার মিস জুড কেলীর মত একজন অসাধারন স্বপ্নবাজ নারী এ্যাকটিভিষ্টের সাথে একান্তে আলাপচারিতার সুযোগ পাওয়া। বিভিন্ন দেশে নারী জাগরণ সম্পর্কে তাঁর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আমাকে রীতিমত শিহরিত করেছে।

আর অপরটি হলো বাংলাদেশের অন্যতম প্রখ্যাত অভিনেত্রী ও কালচারাল এ্যাকটিভিষ্ট সারা জাকের আপার সাথে চারদিন একসাথে নানা ধরনের আলোচনায় অংশ নিয়ে দেশের শিল্প সাংস্কৃতি ও মিডিয়ার গভীরতম বিষয়গুলো জানার সুযোগ পাওয়া। দেশের সাংস্কৃতি ও মিডিয়া অঙ্গনে নারীদের ইতিবাচকভাবে উপস্থাপনের বিষয়ে তাঁর আগামী দিনের রুপরেখা সম্পর্কে জানার সুযোগ পাওয়া ছিল আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।

[এই ভ্রমন নিয়ে আরো অনেক সুমধুর ও শিক্ষনীয় বিষয় আছে, যা অন্য লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করবো।]

Happy Memories at London, UK in 2020