পরীমনির বাসায় যাতায়াত ছিলো এমন কারো তালিকা হচ্ছে না!

যাতায়াত

জি. এম. মুরতুজা: পরীমনি ও অন্যান্য মডেলদের ‘প্রমোদ ভ্রমণসঙ্গীদের’ তালিকা করছে পুলিশ; পরীমণিদের ব্ল্যাকমেইলকাণ্ডে জড়িত অনেকের নাম পেয়েছে সিআইডি; পরীমণি ও পিয়াসার সঙ্গে ২১ প্রভাবশালীর সখ্য—এরকম বেশ কিছু সংবাদ নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, পরীমনির বাসায় যাতায়াত ছিল এমন কারও তালিকা হচ্ছে না।

ফলে প্রশ্ন হলো, এর আগে কেন তালিকা করা কিংবা ২০ জনের বেশি মানুষের নাম পাওয়া গেছে—এরকম সংবাদ প্রকাশিত হলো? এইসব সংবাদ তো আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর বরাতেই প্রকাশিত হয়েছে। তার চেয়ে বড় প্রশ্ন, পরীমনি বা এরকম চিত্রনায়িকা ও মডেলদের সাথে সখ্য রয়েছে, তাদের সাথে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে সময় কাটান—এরকম লোকদের তালিকা করা হলে সেটি কত বড় হবে?

আবার যদি সেই তালিকাটি যদি সত্যিই বস্তুনিষ্ঠ হয়, তাহলে সেখানে নিশ্চয়ই এমন অনেকের নাম আসবে, যাদের নাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও হয়তো প্রকাশ করবে না কিংবা সাংবাদিকরাও জানলেও তাদের অনেকে নাম প্রকাশে ব্রিবত হবে, অনেকের নাম প্রকাশে ভয় পাবে ।

সুতরাং, ডিএমপি কমিশনার যে বলেছেন পরীমনির বাসায় যাতায়াত ছিলো এমন কারো তালিকা হচ্ছে না—এটিই বাস্তবতা। আর এমন কারো তালিকা করার সক্ষমতা ও ক্ষমতা দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আদৌ আছে কি? আসলেই নাই।

কেননা যাদের তালিকা করা হবে, তারা এতই প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান যে- এদের তালিকা করার সাহস দেখাবে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী! কেননা যারা এই তালিকা তৈরী করতে যাবেন তাদের কাঁধে গর্ধান থাকার বিষয়ে তাদের নিজেদেরই খোদ সন্দেহ আছে! কাজেই বাংলাদেশে এমন তালিকা তৈরী হবে বলে যারা আশা-প্রত্যাশা করেন- সে গুড়ে বালি!