মন্ত্রী বলেই কি যা ইচ্ছা তাই বলা জরুরী?

মন্ত্রী

জি. এম. মুরতুজা: “আগামী ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ বাইরে বের হলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। দেশব্যাপী ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে।” মঙ্গলবার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

আমি মাননীয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের দেয়া এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। প্রথমত: এমন ঘোষণা দেয়ার তিনি কোন এখতিয়ার বা অধিকার সংরক্ষন করেন না।

এমন ঘোষণা দিতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অথবা স্বাস্থ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয়ত: মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নিজেই বলেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহে এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।’

সরকার আগে এবং এখন মিলিয়ে যে হারে মানুষকে ভ্যাকসিন দিচ্ছে তাতে আগামী ১০ আগষ্ট পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারবে কি না-এটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। অথচ দেশে ১৮ বছরের উর্দ্ধে মানুষের সংখ্যা ১৩ কোটির উপরে।

তাহলে বাকি ১১ কোটি ১৮ উর্দ্ধে বয়সী মানুষ কি তাহলে ১১ আগষ্ট থেকে বাড়ীতে বসে আঙ্গুল চুসবেন। মন্ত্রী হলেই সব বিষয়ে নাক গলানো কিংবা কথা বলা কি দায়িত্বশীল আচরণের মধ্যে পড়ে। দানের ভ্যাকসিন পেয়ে এখন বড় গলায় কথা বলছেন।

আপনাদের কুট রাজনৈতি চালের জন্যতো গত মে মাস থেকে দেশে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া বন্ধ ছিল, তখন আপনার বড় গলা কোথায় ছিল মাননীয় মন্ত্রী।

সরকারের কিংবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উচিত রুল জারী করা, যাতে কোন মন্ত্রী তাঁর আওতাভূক্ত নয়, এমন বিষয়ে কোন বক্তব্য বা কথা বলা থেকে বিরত থাকেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তি সমুজ্জল হবে এবং মন্ত্রী মহোদয়গণ অপ্রাসঙ্গিক কথা বলা বা বক্তব্য দেয়ার ফলে জনমনে বিভ্রান্ত সৃস্টি হওয়ার পরিবেশ বিলুপ্ত হবে।