রাজশাহীতে কমেছে পাশের হার, জিপিএ-৫

গত ৫ বছরের মধ্যে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে জেএসসিতে পাশের হার ও জিপিএ-৫ এবার তলানিতে । বোর্ডে এবার পাশের হার ৯৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আর জিপিএ- ৫ পেয়েছে সবমিলিয়ে ১৪ হাজার ৬৩৮ জন।

এর আগে ২০১৩ সালে বোর্ডে পাশের হার ছিলো ৯৩ দশমিক ৮৮। তবুও সেবার জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয় ২০ হাজার ৫২৩ পরীক্ষার্থী। যদিও এ ক’ বছরে উপস্থিত পরীক্ষার্থী বেড়েছে ৬২ হাজারের উপরে। গত পাঁচ বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, এবার পাশের হার ৯৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গত বছর পাশের হার ছিলো ৯৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭ হাজার ৬৩৩ জন। এবার তার অর্ধেক করে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৬৩৮ জন।

সোমবার দুপুরে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আনারুল হক প্রামানিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে এবার পরীক্ষার্থী ছিলো ২ লাখ ৫৩ হাজার ২২১ জন। এর মধ্যে অংশ নেয় ২ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯৩ জন। পাশ করেছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬৯জন। ৯৪ দশমিক ০৫ শতাংশ হারে ছেলে এবং ৯৫ দশমিক ০৬ শতাংশ হারে মেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে এবার।

এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে ৭ হাজার ৭৬৫ জন মেয়ে এবং ৬ হাজার ৮৭৩ জন ছেলে। গত বছর ২১ হাজার ২৩ জন মেয়ে এবং ১৬ হাজার ৬১০ জন ছেলেসহ মোট ৩৭ হাজার ৬৩৩ জন জিপিএ-৫ পায়।

গত বছর উপস্থিত মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ২ লাখ ৩৭ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে ৯৬ দশমিক ২১ শতাংশ মেয়ে এবং ৯৪ দশমকি ৮৪ শতাংশ ছেলে পাশ করে। এ বছর অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বোর্ডে ৮ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ২০ জন। গত বছর একজন পরীক্ষার্থী পাশ করেনি এমন বিদ্যালয় ছিলো ৫টি। এবছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ২টিতে।

কমেছে শতভাগ পাশকৃত বিদ্যালয় সংখ্যাও। এবছর এমন বিদ্যালয় ছিলো এক হাজার ৩৫টি। এবার কমে দাঁড়িয়েছে ৯১২টিতে। এবছর ২ হাজার ৯৮২টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা একযোগে ২৫৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়।

গত বছরের চেয়ে ফলাফলে বোর্ডের পিছিয়ে পড়া স্বাভাবিক বলছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। তিনি বলেন, ব্যবধান যেটুকু তা সামান্যই। এমনটি হতেই পারে। তবে সার্বিকভাবে বোর্ডের ফলাফল সস্তোষজনক। এবারো শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অধিক প্রস্তুতির কারণে প্রত্যাশিত ফল এসেছে।

বরাবরই ভালো করার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়কে বোর্ডের পক্ষ থেকে নিয়মিত চাপ দেয়া হচ্ছে জানিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করছেন নিয়মিত। শিক্ষার্থীদেরও উৎসাহিত করা হচ্ছে ভালো ফলাফলো। আগামীতে আরো ভালো ফলের আশাবাদ ব্যক্ত করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বোর্ডের সচিব অধ্যাপক তরুণ কুমার সরকার, উপ পরীক্ষা নিযন্ত্রক (জেএসসি) সেলিমা পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বিএ-০৩/২৪-১২ (নিজস্ব প্রতিবেদক)