যে বিষয়গুলো প্রাধান্য পাবে রাকসুর নির্বাচনী আলোচনায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে রাকসু সচলে সক্রিয় অবস্থানে ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতারা।

আলোচনায় বসলে কোন কোন বিষয়ে প্রাধান্য দেবেন সে বিষয়েও চলছে প্রস্তুতি। ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে কথা বলে জানা গেছে গুরুত্ব পাবে সদস্য ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা শিথিল, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির নির্বাচনে অংশ না নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি বিষয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয়ক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, বাম জোটের থেকে আমাদের দুইটি চাওয়া থাকবে। একটি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি শিবির যেন অংশহগ্রহণ করতে না পারে। অন্যটি হলগুলোতে ভোটগ্রহণ না করে বিভাগ ভিত্তিক ভোট গ্রহণের আয়োজন।

দাবির পক্ষে ছাত্রজোটের এই নেতা বলেন, শিবির রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠন তাই তারা যাতে কোনভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া হলগুলোতে ভোট বাদ দিয়ে কেন বিভাগে ভোটগ্রহণ করতে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই হলগুলো ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দখলে। সেখানে নির্বাচনের আয়োজন করলে তা ছাত্রলীগের প্রভাবে অনেকে ভোট সুস্থভাবে দিতে পারবেন না।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পক্ষ থেকে মোট ৫ টি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ রাহী। ছাত্রদলের এই নেতা বলেন, আলোচনায় সত্যিকার অর্থে বসবে কিনা সে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভাল বলতে পারবেন।

যদি আলোচনায় বসেন তাহলে আমরা সদস্য হওয়া ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা শিথিল, ক্যাম্পাসে ছাত্রসংগঠনগুলোর সহাবস্থান, সংবিধান সংশোধন, ছাত্রনামধারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া এছাড়া অনুষদ ভিত্তিক নির্বাচনের আয়োজন করার দাবিও রাখবেন বলে জানান।

বিএ-১৩/১৩-০১ (শিক্ষা ডেস্ক)