ঢাবি শিক্ষার্থীকে মেরে ডাস্টবিনে ফেলে গেল ছাত্রলীগ নেতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে ইমাম নামের এক ছাত্রলীগ নেতা। পরে তাকে আহত অবস্থায় ডাস্টবিনে ফেলে রেখে চলে যান মারধরকারী ছাত্রলীগ নেতা৷ আহত শিক্ষার্থীর নাম আবুল কাশেম৷ বর্তমানে তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন আছেন৷

মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দিন হলে এই ঘটনা ঘটে। কথা কাটাকাটির জের ধরে এই ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

মারধরে জড়িত ইমাম হাসান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক। সে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী। এছাড়া ডাকসু এবং জসীম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক পদপ্রত্যাশী।

অন্যদিকে আহত ওই ছাত্রের নাম আবুল কাসেম। সে টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মারধরকারী এবং ভুক্তভোগী উভয়ই জসীম উদ্দিন হলের ছাত্র। এসময় কাসেমকে বাচাতে দিয়ে আহত হন একই হলের ২য় বর্ষের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের জোবায়ের, ৩য় বর্ষের ম্যানেজম্যান্ট ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মোস্তফা দাউদ ও ২য় বর্ষের ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের শওকত। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও একটি মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইমাম ও কাসেমের মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমামসহ তার অনুসারীরা কাসেমকে মারধর করতে থাকে। এসময় কাসেমকে বাচাতে গিয়ে আরো তিনজনকে মারধর করে ইমামের অনুসারীরা। কাসেম গুরুতর আহত হলে ইমামের অনুসারীরা তাকে হলের ডাস্টবিনে ফেলে রাখে। পরে সেখান থেকে সূর্য সেন হল ছাত্রলীগ নেতা মেশকাতসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করে।

অভিযোগের বিষয়ে ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী। এ বিষয়ে সনজিত চন্দ্র দাসকে একাধিকবার কল দেয়া হয়। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি।

বিএ-০২/২০-০২ (শিক্ষা ডেস্ক)