অনশনে রাবির ৫৩ শিক্ষার্থী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের মাস্টার্স-১৯ ফাইনাল পরীক্ষায় ৫২ জনকে বাদ রেখে মাত্র ১১ জন নিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে রোববার সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে একই দাবিতে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত ওই স্থানে অবস্থান নেন তারা। পরে ছাত্র-উপদেষ্টা পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার আশ^াসে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করেন তারা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৪ তারিখে বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমার বাবা মারা যান, এ ঘটনায় ১৬ তারিখ শনিবার পূর্বনির্ধারিত ৫০২ নং কোর্স ‘কোগনেটিভ নিউরো সাইকোলজি’ পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য বিভাগের পরীক্ষা কমিটির সভাপতির নিকট অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বিবেচনা না করেই পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা নেন।

এদিকে পুনরায় পরীক্ষার লিখিত নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সাড়ে ১২ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত বিভাগের ৩৪১ ও ৩৪২ নং কক্ষে পরীক্ষার আয়োজন করে বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এতে মাস্টার্স এর ৬৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

পরীক্ষা কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. সাবিনা সুলতানা যুগান্তরকে জানান, পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত ছিলো। পরীক্ষা স্থগিত করার নোটিশও দেওয়া হয়নি। এখন যারা পরীক্ষা দিতে এসেছে তাদের নিয়েই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীর বাবা মারা যাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বলেছিলো স্থগিত করতে তবে পরীক্ষা কমিটি, বিভাগীয় সভাপতি মনে করেছে পরীক্ষা স্থগিত করা হবে না তাই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ দায় কমিটির সভাপতির নয় বলেও দাবি করেন তিনি

এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. এনামুল হক জানান, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এ বিষয়ে আমাকে কিছু জানায়নি। পরীক্ষা যেহেতু অনুষ্ঠিত হয়েছে সেক্ষেত্রে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভাগে নির্দেশনা পাঠালে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. লায়লা আরজুমান বানু জানান, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পরবর্তী পরীক্ষা গুলোতে বসতে বলেছি। ১৬ মার্চের পরীক্ষাটি পুনরায় নেওয়ার জন্য আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

বিএ-১৩/১৭-০৩ (শিক্ষা ডেস্ক)