কুমিল্লায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা শাখার উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন বিষয়ের পরীক্ষায় প্রথম পত্রের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্নপত্রের জায়গায় দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন বিলি করা হয়েছে। এই ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলা ও গাফিলতির অভিযোগে দুজনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন প্রশ্নে শনিবার সকাল ১০টায় এই পরীক্ষা আবার নেওয়া হবে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টায় কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফফরগঞ্জ আলী নওয়াব উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন প্রথম পত্রসহ আরও তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা শুরু হয়।
এ সময় প্রথম পত্রের নৈর্ব্যক্তিকের বদলে দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যক্তিকের প্রশ্নের খাম খোলা হয় ও বিলি করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে সেটি পরীক্ষার্থীদের নজরে এলে অন্য সেটের প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়।
খবর পেয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আসাদুজ্জামান ও লাকসামের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম সাইফুল আলম ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে যান। এরপর বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রাথমিক তদন্ত করে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দেন।
পরে ইউএনও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজ্জাম্মেল হক মিয়াকে প্রত্যাহার করে মুদাফফরগঞ্জ আলী নওয়াব উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের ভূগোল বিষয়ের সহকারী অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানুর রহমানকে নতুন করে দায়িত্ব দেন। একই সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ট্যাগ কর্মকর্তা লাকসাম উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবুল কাশেমের জায়গায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার ভাওয়ালকে দায়িত্ব দেন।
ইউএনও এ কে এম সাইফুল আলম বলেন, প্রশ্নের খাম খোলা হয়েছিল। এটি কর্তব্যে অবহেলার মধ্যে পড়ে। তাই দুজনকে প্রত্যাহার করে নতুন দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আসাদুজ্জামান বলেন, আগামী শনিবার উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন বিষয়ের দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হবে। ওই পরীক্ষার নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন নতুন করে ছাপা হবে। পুরো বোর্ডে এই বিষয়ে ১১ হাজার ৬০২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রশ্ন জেলার ৬ উপজেলার ১৮৬টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পুরো বিষয়টি জেনেছি। এরপর প্রশাসনকে পরীক্ষা নিয়ে অবহেলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। এতে পরীক্ষার্থীরা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হননি। সময়ও অপচয় হয়নি।’
বিএ-১৬/২৪-০৪ (শিক্ষা ডেস্ক)